কমার্স নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাস্ করে গ্র্যাজুয়েশনে কি কি পড়া যায় ?

by

তৃতীয় গ্রূপ – কমার্স

কমার্স

বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী যারা মাধ্যমিকের পর কমার্স নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পড়ে ভাবে যে বি.কম এর পর বিশেষ কিছু করার নেই, তারা সত্যিই ভুল জানে কারণ কমার্স নিয়ে পড়ে ভালো করে পড়াশুনো করে ঠিক দিশা বাছতে পারলে ভবিষ্যৎ খুবই ভালো হতে পারে।

আমরা সবাই জানি যে CA বা চাটার্ড অ্যাকাউটেন্ট কমার্সের ছাত্রছাত্রীরা পড়তে পারে। কিন্তু আমরা কতজন জানি যে তা উচ্চমাধ্যমিকের পর ই পড়া যায়?

এবার দেখা যাক কমার্স নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক দেওয়ার পর কি কি পড়াশোনা করা যায় –

. বি.কম (B.Com) গ্র্যাজুয়েশন – ৩ বছরের কোর্স

২. বি.কম (B.Com) (অনার্স) – ৩ বছরের কোর্স

৩. বি.এস.সি (B.Sc) (ফিনান্স ) ( Bachelor in science with specialization in finance)   –  

৩ বছরের কোর্স

৪. বি. বি. এ (BBA) (ফিনান্স) (Bachelor in Business administration with specialization in finance)-

৩ বছরের কোর্স

৫. বি. এফ. এ (BFA) (Bachelor in financial accounting )    –  ৩ বছরের কোর্স


৬. বি. কম (B. Com) professional –   ৩ বছরের কোর্স

বি.কম পড়ে গ্র্যাজুয়েশনের পর কোন দিকে কাজ পাওয়া যাবে বা কেরিয়ার বানানো যাবে আগে তা দেখে নেওয়া যাক –

১. ফিনান্স, ইকোনমিক্স, ম্যানেজমেন্ট নিয়ে উচ্চশিক্ষা  করা যেতে পারে।

২. ফিনান্স আর অ্যাকাউন্টিং নিয়ে পড়ে যেকোনো বেসরকারি সংস্থাতে কাজ করা যেতে পারে।

৩. বেসরকারি আর্থিক সংস্থা যেমন ব্যাঙ্ক ,ইন্সুরেন্স, স্টক ব্রোকিং কোম্পানিতে চাকরি পাওয়া যায়।

৪. সিভিল সার্ভিস এর জন্য প্রস্তুতি নিতে পারো।

এটা ছাড়াও কমার্সে আর যে ভালো প্রফেশনাল কোর্সগুলো উচ্চমাধ্যমিকের পরই পড়ার সুযোগ পাওয়া যায় বিভিন্ন এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে, যার সম্পর্কে বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষরা জানেনা বা ভাবতে ভয় পায় শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ এবং উপযুক্ত পরিকল্পনার অভাবে, চলো সেগুলো একটু দেখে নেওয়া যাক –

CA বা চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট –

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.icai.org/

উচ্চমাধ্যমিক পাস্ করে CA পড়া যায়? পড়তে  গেলে কি করতে হবে?

চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি ২ ভাবে পড়া যায়।

উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে CA পড়া যায় আবার কমার্সে গ্র্যাজুয়েশন করেও তারপর CA পড়া যায়।

উচ্চমাধ্যমিক পাস্ করে কিভাবে CA পড়া যায় ?

তিন ধাপে পরীক্ষা হয়-

১. কমন প্রফিসিয়েন্সি টেস্ট / common proficiency  test(cpt) –

২. ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা / intermediate exam  –

৩. ফাইনাল পরীক্ষা / final examination –

কমন প্রফিসিয়েন্সি টেস্ট বছরে ২ বার হয় , জুন মাসে ও ডিসেম্বরে।

ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা ও ফাইনাল পরীক্ষাও বছরে ২ বার হয়, মে আর নভেম্বরে।

প্রথম স্টেপ –

১. সেই বছর উচ্চমাধ্যমিক দেবে এমন পরীক্ষার্থীদের (appearing students)    http://www.icai.org/post/bos-knowledge-portal তে গিয়ে নিজের নাম রেজিস্টার করতে হবে।

২. ৪ মাস পড়াশোনা করতে হবে রেজিস্টার করার পর। রেজিস্ট্রেশন বছরে ২ বার হয়। ৩০ শে জুন অবধি/৩১ শে ডিসেম্বর অবধি।

৩. নভেম্বর বা মে তে ফাউন্ডেশন পরীক্ষাটা দিতে হবে। ফাউন্ডেশন পরীক্ষাতে কোয়ালিফাই করলে তবেই ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার জন্য আবার রেজিস্টার করা যাবে।

৪. ইন্টারমিডিয়েটে রেজিস্টার করে আবার ৮ মাস পড়াশোনা করার সময় পাবে। ইন্টারমিডিয়েটে ২ টো গ্রূপের পরীক্ষাতে পাস্ করতে হবে।

৫. ইন্টারমিডিয়েটে রেজিস্টার করার পর ইনফরমেশন টেকনোলজি ও সফ্ট স্কিলের উপর  ৪ সপ্তাহের ইন্টিগ্রেটেড কোর্স (ICITSS) করে ফেলতে হবে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা আসার আগেই।

৬. ইন্টারমিডিয়েটে কোর্সের ২ টো বা একটা গ্রূপে পাস্ করেই ৩ বছরের প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিং এর জন্য রেজিস্টার করে ফেলতে হবে। ইন্টারমিডিয়েটে কোর্সের ২ টো গ্রূপে পাস্ করলে তবেই ফাইনাল কোর্সের জন্য রেজিস্টার করতে পারা যাবে।

৭. ইন্টারমিডিয়েটে কোর্সের ২ টো গ্রূপে পাস্ করে ফাইনাল কোর্সে রেজিস্টার করতে হবে।

৮. প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিং এর শেষ ২ বছরে অ্যাডভান্সড ইনফরমেশন টেকনোলজি ও সফ্ট স্কিল (AIICITSS) এর ৪ সপ্তাহের ইন্টিগ্রেটেড কোর্স শেষ করে ফেলতে হবে। ফাইনাল পরীক্ষা দেবার আগে।

৯. প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিং এর শেষ ৬ মাসে ফাইনাল পরীক্ষা হবে।

১০. প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিং শেষ করতে হবে।

১১. ফাইনাল কোর্সের ২ টো গ্রূপেই পাস্ করলে তবেই CA মেম্বার হতে পারবে এবং হয়ে যাবে CA – চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট।

পদ্ধতি খুব লম্বা এবং ধৈর্য্যসাপেক্ষ কিন্তু হতে পারলে ভবিষ্যৎ এ রোজগারের সম্ভাবনাও প্রচুর। 

এ ছাড়াও বহু ইনস্টিটিউট প্রাইভেটে নানা প্রফেশনাল কোর্স করায়। অর্থনৈতিক সামর্থ্য থাকলে সেগুলোর কথাও ভাবতে পারো। এখানে কয়েকটি এইরকম ই প্রফেশনাল কোর্সের উল্লেখ করলাম, প্রাইভেটে করতে পারো ।

CS – কোম্পানি সেক্রেটারি 

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.icsi.edu/home/

CWA – কস্ট অ্যান্ড ওয়ার্ক অ্যাকাউন্টেন্ট-

CFA – সার্টিফাইড ফিনান্স অ্যান্যালিস্ট – CFA Institute

CFP – সার্টিফাইড ফিনান্স প্লানার –

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.cpf.net

CIB -সার্টিফাইড ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার

বিভিন্ন প্রাইভেট ইনস্টিটিউশনে পড়ানো হয়।

CSB – সার্টিফাইড স্টক ব্রোকার

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.nism.ac.in

CIA – সার্টিফাইড ইনভেস্টমেন্ট অ্যানালিস্ট-

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.nism.ac.in

NSE  সার্টিফিকেশন-

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – NSE – National Stock Exchange of India Ltd: Live Share/Stock Market News & Updates, Quotes

BSE সার্টিফিকেশন –

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.bsebti.com 

প্লাস্টিক টেকনোলজি ডিপ্লোমা কোর্স -(যদিও এটি গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি কোর্স নয় )

কমার্স নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে উপরোক্ত কোর্সগুলি তো আপনি করতেই পারেন এছাড়াও মাধ্যমিক পাস্ যোগ্যতা তে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোকেমিক্যালস এন্ড টেকনোলজি (CIPET) কর্তৃক ডিপ্লোমা ইন প্লাস্টিক টেকনোলজি (DPT) ও ডিপ্লোমা ইন প্লাস্টিক মোল্ড টেকনোলজির (DPMT) এর কোর্স ও করতে পারবে যেকোনো কমার্সের ছাত্রছাত্রীরা।

DMCA.com Protection Status

Spread the love

Leave a Comment

error: Content is protected !!