স্কুলজীবনের শুরু থেকে দশম শ্রেণীর টেস্ট পরীক্ষার আগে পর্যন্ত সময়টা একইরকম গতানুগতিক রুটিনে কেটে যায়।
এর পরেই আসে ছাত্রজীবনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ‘মাধ্যমিক’। এই পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য সকলে যথাসাধ্য চেষ্টা করে।
কিন্তু এর পরেই যে বিষয়গুলো নিয়ে সকলে চিন্তার সম্মুখীন হয় তা হলো –
এরপর কি নিয়ে পড়বো সায়েন্স, কমার্স নাকি আটর্স ?
কোনটা নিলে চাকরির সুযোগ বেশি ?
উচ্চমাধ্যমিক না দিলে আর কি করা যায় ?
মাধ্যমিকের পরে কি চাকরি করা যায় ? (উত্তর হলো – না, ১৮ বছর বয়স না হলে কোনো চাকরির জন্য যোগ্য হওয়া যায়না।)
মাধ্যমিক দিয়ে কি সরকারি চাকরি পাওয়া যায় ?
মাধ্যমিক যোগ্যতায় চাকরি পাওয়া সম্ভব কিন্তু ১৮ বছর বয়স না হলে সম্ভব নয়।
এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন।
উচ্চমাধ্যমিক :
বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মাধ্যমিকের পর এই ধাপটিকেই বেছে নেয়। স্কুল থেকে কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি।
সাধারণত তিনটি বিভাগের ওপরেই এই পরীক্ষা হয়। সায়েন্স বা বিজ্ঞান বিভাগ, বাণিজ্য বিভাগ বা কমার্স এবং কলা বিভাগ বা আর্টস।
বহু ছাত্রছাত্রী এই নিয়েই চিন্তা করে যে এর মধ্যে কোনটা সে নেবে।
সায়েন্স, কমার্স নাকি আটর্স ? কোনটা ভালো ?
কোনো বিষয়কেই ভালো বা খারাপ বলার কোনো মাপকাঠি কারোর কাছেই নেই, আগ্রহ ও উদ্যম থাকলে যে কোনো বিষয় নিয়েই সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়।
তবুও বরাবর সায়েন্সকেই আলাদা নজরে দেখা হয়, অনেকে তো সায়েন্স না পেয়ে অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়ে, যদিও এরম ভাবা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়।
এখন মনে হতেই পারে যদি সত্যিই সায়েন্স এর মান বাকি দুই বিভাগের থেকে উঁচু নাই হবে তাহলে সবাই কেন সায়েন্স নেওয়ার জন্য আদাজল খেয়ে লেগে পড়ে?
এর প্রধান কারণ হলো সায়েন্স নিয়ে পড়লে পরবর্তীতে যদি মনে হয় বিষয়গুলি কঠিন বা সামলানো যাচ্ছে না তাহলে যে কোনো সায়েন্স এর ছাত্রছাত্রী উচ্চমাধ্যমিকের পর কমার্স বা আর্টস এর যে কোনো বিষয় নিয়ে কলেজে ভর্তি হতে পারে।
কিন্তু এর উল্টোটা কখনই সম্ভব নয়।
অর্থাৎ কোনো কমার্স বা আর্টসের ছাত্রছাত্রী চাইলেও আর উচ্চমাধ্যমিকের পর সায়েন্স এর কোনো বিষয় নিয়ে পড়তে পারবে না।
এছাড়া যদি আগে থেকেই মনস্থির করা থাকে ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার তাহলে তো সায়েন্স না নিয়ে উপায় নেই।
কিন্তু এরম ইচ্ছা যদি না থাকে তাহলে সায়েন্স নিতেই হবে এরম কোনো কথা নেই।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাতে মাধ্যমিকের পরে চারটে স্ট্রিম নিয়ে পড়া যায়, বাংলা ও ইংরেজি আবশ্যিক, এছাড়া যে যে বিষয় গুলি নেওয়া যায় তা হল-
ক) পিওর সায়েন্স – অংক, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন। (যদিও সাথে কম্পিউটার বা জীববিজ্ঞান ও রাখা যায়, কিন্তু আবশ্যিক নয়)
তাহলে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী কম্পিউটার বা জীববিজ্ঞান সাথে রাখছে কেন?
কারণ, নিয়ম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো নম্বর পাওয়া ৫ টি বিষয় এর উপর ই টোটাল করা হয়।
যে বিষয়গুলিতে বেশি নম্বর পাবে তার নাম্বারই যোগ হবে।যদি কোনোটাতে কম পাও সেটার নম্বর যোগ হবেনা।(বাংলা ও ইংরেজি বাদে কারণ এগুলি আবশ্যিক বিষয়)
ধরো তোমার সাবজেক্ট কম্বিনেশনে আছে বাংলা,ইংরেজি,অংক,পদার্থবিদ্যা, রসায়ন। ধরো সব বিষয়ের চেয়ে তুমি রসায়নে কম নম্বর পেলে উচ্চমাধ্যমিকে।
তাহলে তোমার টোটাল কমে যাবে, কলেজে ভর্তি হতে সমস্যা হবে। কিন্তু সাথে যদি জীববিজ্ঞান থাকে এবং তুমি যদি জীববিজ্ঞানে রসায়নের চেয়ে বেশি পাও তাহলে, জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বরই টোটালে যোগ হবে। ফলে কোনো অসুবিধা হবেনা।
খ) বায়ো সায়েন্স – পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান
গ) কমার্স – হিসাব শাস্ত্র (অ্যাকাউন্টস), বিজনেস স্টাডিস, অর্থনীতি, স্ট্যাটিসটিক্স
ঘ) আর্টস/হিউম্যানিটিজ – ইতিহাস, ভূগোল, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি ইত্যাদি (পরবর্তী ক্ষেত্রে ভূগোল, অর্থনীতি বা মনোবিজ্ঞান নিলে যদি সাথে অংক থাকে এবং উচ্চমাধ্যমিকের পর যদি অনার্স পড়া হয় তাহলে ডিগ্রীটা বি.এসসি হয়। যদিও অংক নেওয়া একেবারেই ঐচ্ছিক)
এবার জানা যাক উচ্চমাধ্যমিক ছাড়া আর কি কি করা যায় ?
I.T.I :
- ITI এর কোর্স গুলি ২ অথবা ১ বছরের জন্য হয়।
- মাধ্যমিক পাস্ করলেই ITI পড়া যায়।
- গভর্নমেন্ট এবং প্রাইভেট যেকোনো ইনস্টিটিউটেই পড়ানো হয় ITI, আসলে পড়ানোর সাথে হাতেকলমে প্রশিক্ষণই এই কোর্সের চাহিদা বাড়িয়েছে।
- ভেবে দেখো বাড়িতে, অফিসে যেকোনো মুহূর্তে আমাদের টেকনিশিয়ানেরই দরকার সবচেয়ে বেশি।
- ভালো দক্ষ ইলেক্ট্রিশিয়ান থেকে কলের মিস্ত্রি, ছুতোর থেকে বাড়ির কম্পিউটার বা টিভি সারানোর লোক, পেন্টার থেকে ফায়ারম্যানদের চাহিদা সবসময় থাকে সর্বত্র। তাই সরকারি থেকে বেসরকারি অফিসে যেমন চাকরি সম্ভব তেমনই নিজস্ব উদ্যোগে যেকোনো সার্ভিস দেবার ব্যবসা পর্যন্ত করা যায় ITI পাস করে।
পশ্চিমবঙ্গে আই টি আই এর যে কোর্সগুলি পড়ানো হয় তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল
- কম্পিউটার অপারেটর এবং প্রোগ্রামিং অ্যাসিস্ট্যান্ট
- সিভিল ড্রাফটসম্যান এবং মেকানিক্যাল ড্রাফটসম্যান
- কার্পেন্ট্রি
- কর্পোরেট হাউস কিপিং
- প্লাস্টিক প্রসেসিং অপারেটর
- মোটর সাইকেল মেকানিক
- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার অপারেটর
- বেকারি এবং কনফেকশনারি
- ওয়েল্ডার
- প্লাম্বার
- ফাউন্ডরী ম্যান
- ফিটার ইত্যাদি
পলিটেকনিক:
- পলিটেকনিক সাধারণত ৩ বছরের কোর্স। এই কোর্সেও হাতেকলমে শিক্ষাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়।
- পাস করার পর জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তারা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে।
- এটা ডিগ্রী কোর্স নয় তাই পাস করলে এই কোর্সের ভ্যালু ডিপ্লোমা (গ্র্যাজুয়েট নয়)।
- যেহেতু উচ্চমাধ্যমিক পাস না করেই এটা পড়া যায় তাই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর সিলেবাসের সাথে এর মিল পাওয়া যায়।
এবার দেখা যাক পলিটেকনিক এ কি কি কোর্স করা যায়: আসলে যেসব কোর্স গুলিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয় সেই সব কোর্সেই প্রায় পলিটেকনিক পড়ানো হয়। তালিকা নিচে দেওয়া হল:
- মেকানিক্যাল
- সিভিল
- ইলেকট্রিক্যাল
- কম্পিউটার সাইন্স
- অটোমোবাইল
- ইলেকট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন
- ফুড প্রসেসিং
- ফুটওয়ার
- এগ্রিকালচার
- আর্কিটেকচার
- প্রিন্টিং ইত্যাদি
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আরো ভোকেশনাল কোর্স সম্পর্কে জানতে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।
প্লাস্টিক টেকনোলজির ডিপ্লোমা কোর্স –
হলদিয়ায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোকেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (CIPET ) কর্তৃপক্ষ দ্বারা এই কোর্স টি করানো হয়।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য অনলাইনেই আবেদন করা যাবে ২৮ শে মে এর মধ্যে ।
কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা হবে ১১ ই জুন, ২০২৩।
কারা প্লাস্টিক টেকনোলোজি কোর্সের জন্য আবেদন যোগ্য ?
ন্যূনতম মাধ্যমিক পাস্ ছাত্রছাত্রীরা প্লাস্টিক মোল্ড টেকনোলজি (DPMT) ও প্লাস্টিক টেকনোলজির ডিপ্লোমা (DPT) কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবে। কোর্সের মেয়াদ – ৩ বছরের কোর্স।
সায়েন্স শাখায় ৩ বছরের ডিগ্ৰী কোর্স পাস্ ছাত্রছাত্রীরা প্লাস্টিক প্রসেসিং অ্যান্ড টেস্টিং এর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্সের ভর্তির জন্য আবেদন যোগ্য। কোর্সের মেয়াদ – ২বছর।
প্লাস্টিক ,পলিমার, টুল, টুল অ্যান্ড ডাই মেকিং, প্রোডাকশন, DPT, DPMT , অটোমোবাইল পেট্রোকেমিক্যালস , ইন্ডাস্ট্রিয়ালস, ইন্সট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বা টেকনোলজির ডিপ্লোমা কোর্স পাস্ ছাত্রছাত্রীরারা প্লাস্টিক মোল্ড ডিসাইন উইথ CAM ও CAD সহযোগের পোস্ট ডিপ্লোমা কোর্স ভর্তি হতে পারবে। কোর্সের মেয়াদ – দেড় বছর।
প্লাস্টিক টেকনোলজির সুযোগ সুবিধা কি কি ?
১) ছেলে ও মেয়েদের আলাদা হোস্টেলে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। ২) ভর্তি নিয়ে বয়সের কোনো কড়াকড়ি নেই। ৩) স্কলারশিপের ব্যবস্থা আছে ।
কোর্স ফী – প্রতি সেমেস্টারের জন্য পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ও পোস্ট ডিপ্লোমার ক্ষেত্রে ২০,০০০ টাকা।
ডিপ্লোমা কোর্সের ক্ষেত্রে ১৬,৭০০ টাকা।
হোস্টেল চার্জ – অতিরিক্ত।
প্রার্থী বাছাই হবে কীভাবে?
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে ২৪ শে ফেব্রুয়ারী থেকে ২৮ শে মে এর মধ্যে।
আবেদন প্রক্রিয়া – অনলাইনে ২৮ শে মে, ২০২৩ এর মধ্যে ।
CIPET JEE পরীক্ষার মাধ্যমে। ২০২৩ এর পরীক্ষা হবে ১১ ই জুন। পরীক্ষাটি হবে অনলাইনেই।
আবেদন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যর জন্য এই ওয়েবসাইটে যান – https://www.cipet.gov.in/academics/cipet_admission.php
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হল-
https://www.cipet.gov.in/centres/cipet-haldia/introduction.php#
অফিস যোগাযোগের ঠিকানা –
সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোকেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি , সিএসটিএস, হলদিয়া, সিটি সেন্টার, পূর্ব মেদিনীপুর। ফোন নং-9800865751,3224-25553
(যেকোনো জিজ্ঞাসা থাকলে ফোন করে জিজ্ঞাসা করতেই পারো। অফিস কর্তৃপক্ষ সমস্যা বা জিজ্ঞাসা সমাধানের জন্যই আছে ,এবং সরকারি স্কিম তৈরী হয়েছে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্যই, তাই যোগাযোগ করতে ইতস্তত বোধ করা একদম ই বোকামি )
প্যারামেডিকেল :
মাধ্যমিক পাস্ করে প্যারামেডিকেল কোর্স কিছু কিছু করা যায়। তার মধ্যে দু ধরণের কোর্স হয়। একটা সার্টিফিকেট কোর্স, আর দ্বিতীয়টা হলো ডিপ্লোমা কোর্স।
কিন্তু কোর্সগুলো স্বল্পমেয়াদি হওয়ায় এগুলির বাজারগত মূল্য খুবই কম। তাই ভালো প্যারামেডিকেল কোর্স করতে গেলে উচ্চমাধ্যমিক পাস্ হওয়া আবশ্যিক।
অল্প সময়ে যে কোর্সগুলি করতে পারো, সেগুলি নিচে দেওয়া হল:
অনেকেরই এই ভাবনা থাকে যে আগে গ্র্যাজুয়েশন শেষ হোক তারপরে আয়ের কথা ভাবা যাবে নয়তো পড়ার ক্ষতি হবে।এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়, রিসার্চ নিয়ে এগোনো বা উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণ ই যদি লক্ষ্য হয় তাহলে ঠিক আছে।
কিন্তু যদি গ্র্যাজুয়েশনের পর চাকরি করাই উদ্দেশ্য হয় তবে তার প্রচেষ্টা আগে থেকেই নয় কেন?
পড়ার সাথে সাথে অন্য কিছু শেখা বা টাকা রোজগারের জন্য কোনো কাজ করা পড়ার ক্ষতি তো করেই না বরং একঘেয়েমি কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করে, বাইরের পৃথিবীর বাস্তবতা বুঝতে ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলতেও সাহায্য করে।
কম্পিউটার ভিত্তিক কোর্স:
ডি টি পি (DTP):
ডিটিপি এর অর্থ হল ডেস্কটপ পাবলিশিং। যেখানে ডিটিপি অপারেটর, কোনো আর্টিস্ট বা শিল্পীর আঁকা ছবিকে ডিজিটাল রূপ দেয় যাতে তা কম্পিউটারে প্রিন্ট করা যায় এবং অনলাইনে আপলোড করা যায়, অর্থাৎ কোনো ছবির হার্ডকপি থেকে সফটকপি বানানোর পদ্ধতি হল ডিটিপি।
ডিটিপি অপারেটরের ডিজাইনিং কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে জ্ঞান থাকা আবশ্যিক, যেমন adob css ইত্যাদি।
ডিটিপি অপারেটররা সাধারণত কাজ করে অ্যাডভার্টাইসমেন্ট এজেন্সীতে, প্রিন্টিং এবং পাবলিশিং সেক্টরে।
যদিও কোথাও চাকরি হিসেবে না করেও নিজে বাড়িতে বসে ব্যবসাও করতে পারেন। যা উপরি এবং স্বাধীন রোজগার।
আমরা রাস্তায় যেতে যেতে যে বিজ্ঞাপনী হোর্ডিংগুলো দেখে থাকি; তার বেশিরভাগই ডিটিপি তেই বানানো হয়। তাই এর চাহিদা যথেষ্ট রয়েছে।
ট্যালি (TALLY) –
ট্যালি হল একটা অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার যা যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে সমস্ত ধরণের হিসেবনিকেশ করে থাকে, এবং কোম্পানির ক্রয় (purchase), বিক্রয় (sale), ম্যানুফ্যাকচারিং, ফিনান্স এর সমস্ত তথ্য এবং হিসেব রাখে।
দৈনন্দিন প্রতিটা ট্রানসাকশান ট্যালি সার্ভারেই আপলোড করা হয়ে থাকে।তাই ট্যালি ছোট থেকে বড় যেকোনো কোম্পানিতে কাজে লাগে, কিন্তু এটাও সত্যি ট্যালি শুধু এক্সট্রা স্কিল হিসেবে কাজে লাগতে পারে।কিন্তু লংটার্মে শুধু মাত্র এই কাজে উন্নতির বিশেষ সুবিধা নেই।
গ্রাফিক্স (graphics) –
গ্রাফিক্স হল আসলে ডিজাইন বা কিছু দৃশ্যমান ছবি যা বিভিন্ন জিনিসের উপর বানানো হয়, যেমন কখনো তা ক্যানভাসে, কখনো দেয়ালে, কখনো কাগজে, বা কখনো কম্পিউটার স্ক্রিনে।
বেশিরভাগ সময়ই এই ছবি কোনো বিশেষ অর্থ বহন করে, আবার নির্ভেজাল আনন্দ দান বা পোস্টার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
অ্যানিমেশন (animation) –
সহজ ভাষায় অ্যানিমেশন হল যেকোনো স্থির ছবিকে চলমান করার প্রযুক্তি। পরপর আঁকা ছবিগুলিকে জুড়ে দিয়ে তা চলন্ত করে দিলেই আমাদের মনে হয় যে ছবিগুলি আসলে ভিডিওর ই মতো।
আমাদের চোখ ১/১০ সেকেন্ডের কম সময়ে কোনো ছবি মনে রাখতে পারেনা। তাই পরপর যদি ছবিগুলো বদলে যায় ব্রেন তা চলন্ত হিসেবে ধরে নেয়।এই পদ্ধতিতেই তৈরী হয় অ্যানিমেশন।
যেকোনো কার্টুন যেমন ছোটা ভীম থেকে গোপাল ভাঁড় অ্যানিমেশনেই তৈরী।
ওয়েব ডিজাইনিং (web designing) –
ওয়েব ডিজাইনিং এ যেকোনো ওয়েব পেজে কিভাবে কনটেন্টগুলো সাজানো থাকবে তা এই প্রযুক্তি পদ্ধতিতেই ঠিক হয়। অর্থাৎ আমরা একটা ওয়েবসাইট খুললে যে যে ছবি যেভাবে দেখতে পাই, যেভাবে কনটেন্ট ডিজাইন করে লেখা থাকে সেগুলো সবই ওয়েব ডিজাইন এই হয়।
ওয়েব ডিজাইনারের মূল উদ্দেশ্য হলো একটি ওয়েবসাইটকে ব্যবহারকারীর কাছে সুবিধাজনক ও আকর্ষণীয় করে তোলা।
সাইবার সিকিউরিটি (cyber security):
এটা আজকের যুগে সবচেয়ে বেশি চাহিদা যোগ্য পেশা। যত দিন যাচ্ছে মানুষ বেশি সময় ইন্টারনেট অর্থাৎ ডিজিটাল দুনিয়াতে কাটাচ্ছে।
ব্যাঙ্কিং লেনদেন থেকে ছবি শেয়ার সর্বক্ষণ মানুষ নিজের সমস্ত তথ্য নিজের অজান্তেই ডিজিটাল মাধ্যমে প্রদান করছে।আর এই সুযোগে কিছু মানুষ ফাঁদ পেতে রেখেছে প্রতারণার।
তাই নিজেকে এবং নিজের কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখতে সাইবার সিকিউরিটি আবশ্যক। শুধু তাই নয় বেশিরভাগ অফিসই এখন যাবতীয় কাজ অনলাইনেই করে, তাই যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রাখতে সব কোম্পানিই এখন সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট রাখছে। তাই এর চাহিদা সত্যিই প্রচুর।
এছাড়া কম প্রচলিত আরো কিছু কোর্সগুলি হল-
প্রথাগত শিক্ষা দিয়েই যে শুধু রোজগার করা যায়, এ ধারণা আজ অতীত।
বর্তমানে প্রমাণিত যে প্রথাগত শিক্ষা ছাড়াও যথেষ্ট ভালো রোজগার করা যায়। শুধু চাই সঠিক দিশা, প্রশিক্ষণ, ধৈর্য্য এবং নতুন পেশার সঙ্গে যুক্ত হবার ইচ্ছা ও মনোবল।
কোনো বিষয় নিয়ে এগোতে আগ্রহী হলে তার জন্য উপযুক্ত তথ্য জানাটাও খুব প্রয়োজনীয়।
আমরা এখানে সেই চেষ্টাই করছি যাতে উপযুক্ত তথ্য দিতে পারি যাতে তোমরা তোমাদের পছন্দের বা আগ্রহের নতুন কোনো জীবিকার সন্ধান করতে পারো।
দেখো তথ্য থাকলেই আমরা দেখতে পাই যে সরকারি স্তরেও সাহায্য পাওয়া যায়। কিন্তু যেহেতু তথ্য থাকেনা তাই আমরা গতে বাঁধা বিরক্তিকর কাজেই নিজেদেরকে অভ্যস্ত করে নিতে বাধ্য হই।
তোমরা হয়তো মাধ্যমিকের পরই শুনতে পাবে যে “একাদশ ও দ্বাদশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ” এই সময় পড়াশুনা (ওই গতে বাঁধা বিষয়ে) ছাড়া অন্য কিছুতে মন দেওয়া উচিত নয়”, ইত্যাদি ইত্যাদি।
সত্যি কথা বলতে কি উচ্চমাধ্যমিকের এতো সিলেবাস যে বড়োদের এই উপদেশটা যে সম্পূর্ণ ভুল, এরকম নয়। কিন্তু এটাও সত্যি যে বহু ছাত্রছাত্রীদের নিজের পড়াশুনোর খরচ নিজেই চালাতে হয়।
কোনোমতে উচ্চমাধ্যমিক পাস্ করার পরই রোজগারের কথা ভেবে পড়াশুনো আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়না।
অথচ সত্যিই তো তার অন্য কোনো স্কিল সে তৈরী করেইনি, তাই বাধ্য হয়ে ডাটা এন্ট্রি জাতীয় কাজ বা কোনো কারখানা তে কাজ করতে সে বাধ্য হয়।
তাই উচ্চমাধ্যমিকের সাথে সাথে নিজেরা নিজেদের” স্কিল “, যাকে বাংলা তে বলে” দক্ষতা” তা অর্জন করো, বিভিন্ন পেশাদারি কোর্স করে।
নিচে সেরকমই কিছু কোর্সের সন্ধান রইলো।
এনার্জি এডুকেশনাল কোর্স –
আজকের দিনে শক্তি উৎপাদন অতি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ চিরাচরিতভাবে শক্তি উৎপাদন যা থেকে হয় অর্থাৎ কয়লা আর পেট্রোলিয়াম, দুয়ের ভান্ডারই পৃথিবীতে নির্দিষ্ট এবং তা ক্রমশ নিঃশেষ হয়ে আসছে।
তার সাথে আছে এই দুই থেকে নির্গত দূষণ আর কার্বন নিঃসরণ। যা পৃথিবীকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর পথে ঠেলে দিচ্ছে। আর এখানেই বিকল্প শক্তি উৎপাদনের চাহিদা বাড়ছে।
পরিবেশ বান্ধব যে শক্তি উৎপাদনের পদ্ধতি গুলো আছে যেমন বায়োগ্যাস, জলবিদ্যুৎ, বায়ুশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এই প্রতিটা পদ্ধতিই যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ (যদিও বায়োগ্যাস ততটা ব্যয়সাপেক্ষ নয়)।
কিন্তু আমাদের দেশের মতো ক্রান্তীয় অঞ্চলে যেখানে প্রায় ৮ মাস গরমকাল সেখানে শক্তি উৎপাদনের সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো সৌর শক্তি উৎপাদন।
যা বিদ্যুৎ এর বিল কমায় আর সাথে পরিবেশ বান্ধব। তাই গৃহস্থের বাড়িতে, অফিসে, সর্বত্র সৌরশক্তির চাহিদা বাড়ছে।
এখনো আমাদের দেশে সাধারণ স্তরে মানুষ এই সবে বাড়িতে বাড়িতে ইমপ্লান্ট করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এখন বাজারে চাহিদা প্রচুর কারণ খুব কম লোক এই বিষয়ে এখন কাজ করছে।
তাই এই সুযোগ, শিখে নিতে পারো সোলার প্লান্ট এর ইনস্টলেশন, মেইনটেনেন্স পদ্ধতি।
উপযুক্ত ভাবে শিখতে পারলে আর মার্কেটিং করলে পুরো বাজার তোমার জন্য খোলা কারণ প্রতিযোগিতা এখনো অনেক কম।
মাধ্যমিক বা আইটিআই যোগ্যতায় সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমা কোর্স করে নিতে পারো।
West Bengal renewable energy development agency পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর কাজ এবং প্রজেক্ট করছে।
কলকাতায় আছে – ইনস্টিটিউট অফ সোলার টেকনোলজি
আরও জানার জন্য এদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখো।
কমার্শিয়াল ডাইভিং কোর্স
বহু ছেলেমেয়ে ছোটো থেকেই সাঁতার এর বিষয়ে আগ্রহী থাকে। কিন্তু তা যে কোনো পেশাদারি ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে তা অনেকেই জানেনা।
সবাই ভাবে সাঁতার নিয়ে এগোনো মানে সাঁতারু হওয়া, এবং তাদের কাজ প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহন করা।
কিন্তু সাধারণ সাঁতার জানা ছেলেমেয়েদের মাধ্যমিকের পরই একাধিক কোর্স রয়েছে ডাইভিং সংক্রান্ত।
আন্ডার ওয়াটার ডুবন ওয়াক, লাইফ সেভিং অপারেশন, ওয়াটার স্পোর্টস রিলেটেড কাজের জন্য করা যেতে পারে ডাইভিং কোর্স।
কলকাতাতে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ” সী এক্সপ্লোরার ইনস্টিটিউট”, যেখানে এই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
আরও জানার জন্য এদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখো।
লেদার গুডস এন্ড ফুটওয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং কোর্স
মাধ্যমিক পাস্ করার পর লেদার গুডস এন্ড ফুটওয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং এর উপর সার্টিফিকেট কোর্স করতে পারো।
কলকাতাতেই গভর্নমেন্ট কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং লেদার টেকনোলোজিতে এই কোর্সগুলো করানো হয়।
এটা সম্পূর্ণভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠান, এবং কোর্সটি ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট টেকনিক্যাল এডুকেশন এর অনুমোদিত। তাই পড়ার খরচও সামান্য।
মাধ্যমিকের পর একাদশ দ্বাদশ চলাকালীন এই সার্টিফিকেট কোর্স করে রাখলে ২ টো সুবিধা –
১. ‘শু’ মানে জুতো তৈরির যে কোম্পানি গুলো আছে, এবং লেদার এর জিনিসপত্র যেমন ব্যাগ, জ্যাকেট তৈরির কোম্পানি গুলো যারা আউটসোর্স করে সেইসব কোম্পানিতে চাকরি পাওয়া যায়।
২. উচ্চমাধ্যমিকের পর এই বিষয়ে অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা বা ডিপ্লোমা করার বাড়তি সুযোগ পাওয়া যায়।যাতে আরও আধুনিক প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়।
এই প্রতিষ্ঠানে কোর্স করতে গেলে একটা এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে হবে।
আরও জানার জন্য এদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখো
Government College of Engineering & Leather Technology
Block – LB 11, Sector-III, Salt Lake
Kolkata-700106, India.
Phone: +91 33 23356977, Fax: +91 33 23358353,
Email: principal@gcelt.gov.in
ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবল প্রিজারভেশন সার্টিফিকেট কোর্স –
গ্রামে যাদের চাষবাস আছে, বা পারিবারিক সূত্রে ফল বা সবজির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তারা যদি তাদের ব্যবসাকে আধুনিক করতে চায়, ব্যবসা বড়ো করতে চায়, তা করতে হবে উৎপন্ন পণ্যের সংরক্ষণের মাধ্যমে।
কারণ শহরে সুপারমার্কেট বা বিদেশে বা ভিন রাজ্যে জিনিস রপ্তানি করতে গেলে যাতে ফল বা সবজি পচে না যায়, যাতে তার কোয়ালিটি বা গুণগত মান ঠিক থাকে, তার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকার জন্য চাই প্রশিক্ষণ।
আর এই কারণেই এই প্রিজারভেশন কোর্সের চাহিদা বাড়ছে। এই কোর্স করে নিজস্ব উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
তবে হ্যাঁ প্রতিটা কোর্সের ক্ষেত্রে একটা কথাই বলার যে ব্যবসা শুরু করতে এই কোর্সগুলো সাহায্য করবে কিন্তু তা বড়ো করার জন্য নিজেকে আপডেটেড রাখতে হবে সমসাময়িক উন্নত প্রযুক্তি নিজের ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে।
কোথায় পড়ানো হয়?
আরও জানার জন্য এদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখো।
যোগাযোগের ঠিকানা –
নেতাজি সুভাষ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অফ এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং
(ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং বোর্ড)
শাসমল পাড়া, বৈদ্যবাটী, হুগলি -৭১২২২২
টেলিফোন নম্বর-২৬৩২-১৭১০/২৫২৯
ফ্যাক্স- ২৬৩২ -২৫২৯
email- netajiinstitute@rediffmail.com
টেলারিং
নিজেকে স্বনির্ভর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মেয়েরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টেলারিংয়ের কাজ বেছে নেয়।
কিন্তু সত্যিই উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে ভালো জামা বানাতে পারা যাবে এবং হাতে বানানো জামার চাহিদা এখনো সর্বত্র আছে।
এছাড়াও এখন প্রতিটা ব্র্যান্ড ই বিভিন্ন কারিগরকে দিয়ে এক ই ডিজাইন এর বিভিন্ন মাপের পোশাক বানায়, সেখানেও কারিগর হিসেবে কাজ করার জন্য দরকার পেশাদারি কোর্স এবং সার্টিফিকেট।
এই সার্টিফিকেট কোর্স গুলো করে রাখলে পরে ডিপ্লোমা এবং আরো বাজারমুখী ডিজাইনিং কোর্স করে নিজের বুটিক বা স্টার্ট আপ খুলে স্বনির্ভর হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়।
আজকের যারা ফ্যাশন ডিজাইনার তারা আসলে কিন্তু কারিগর , শুধু মাত্র পেশাদারি দক্ষতা অর্জন , অধ্যাবসায় এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত নানা কোর্স করে নিজেদের নিজস্বতা দিয়ে তারা আজ একেকটি ব্র্যান্ড এর মালিক।
তাই যদি কারোর ডিজাইন এর প্রতি আগ্রহ থাকে, বুটিক করার ইচ্ছে থাকে তাহলে প্রথম পদক্ষেপই হল মাধ্যমিকের পরই টেলারিং এর কোর্স করা, তার সাথে সাথে চলুক না পড়াশুনো।
তারপর উচ্চমাধ্যমিক শেষ হলে ফ্যাশন ডিজাইনিং বা এর উপর ডিপ্লোমা করে রোজগার করা যেতে পারে।
সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে এবং কোথায় পড়ানো হয় ?
গভর্নমেন্ট টেলারিং ইনস্টিটিউট,
ঠিকানা-
P-12 , New CIT road, Deb lane, Entally, Kolkata -14
ফোন নম্বর- ২২৮৪-৮১৩৪
এখানে ২ বছরের ডিপ্লোমা করা যায়। বয়সসীমা -২৮ বছর
এছাড়াও তোমার আশপাশে টেলারিং ইনস্টিটিউট খোঁজার জন্য তলার লিংক এ ক্লিক করো –
https://www.sulekha.com/tailoring-training/kolkata
আর্টস নিয়ে পড়ার পর পেশাদারি কোর্স
প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষার জন্য ইংরেজির ভালো বই