ছোট থেকে যেসব ছেলেমেয়েরা বায়োলজি বা জীববিদ্যা পড়তে ভালোবাসে তারা আসলে ভবিষ্যতে বেশিরভাগই ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখে।
সেই পেশা যেখানে সত্যি একজন মানুষ ঈশ্বরের প্রতিরূপ হিসেবে নিত্যদিন সাধারণ মানুষের সেবা করার সুযোগ পায়।
পরিবর্তে পায় সম্মান, যশ এবং সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা, অর্থের কথা বললাম না কারণ যারা প্রত্যন্ত গ্রামেগঞ্জে ডাক্তারি ও স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে থাকে তারা সত্যি শুধুমাত্র উপার্জন নিয়ে মাথা ঘামায় না।
তাদেরও সত্যি অর্থ ঠিক ততটাই দরকার যতটা জীবনধারণের জন্য লাগে, বাদবাকিটা তাদের মূল্যবোধ এবং তাদের পেশার প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রেম। কিন্তু এটাও ঠিক যে ডাক্তারিতে অর্থ উপার্জনের সুযোগও প্রচুর।
বর্তমানে ডাক্তারি পড়তে গেলে সারা ভারত জুড়ে হওয়া প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা NEET (ন্যাশনাল এন্ট্রান্স এলিজিবিলিটি টেস্ট) দিয়ে তাতে ভালো রাঙ্ক এলে তবেই সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়া যায়।
ভালো রাঙ্কের জন্য দরকার সেইমতো প্রস্তুতি, মাধ্যমিকের পর থেকেই তার পরিকল্পনা এবং অধ্যবসায় দরকার। এখন বেসরকারি কলেজেও মেডিকেল পড়া যায় কিন্তু তা যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ বলে সকলের পক্ষে সেই ব্যয় বহন সম্ভব নয়, তাই এখানে সেগুলির উল্লেখ করলাম না ।
এখন দেখে নেওয়া যাক উচ্চমাধ্যমিকের পর মেডিক্যাল কী কী স্ট্রিমে পড়া যায় :-
মেডিক্যাল কারা পড়তে পারে ?-
যারা উচ্চমাধ্যমিকে পদার্থবিদ্যা (ফিজিক্স), রসায়ন (কেমিস্ট্রি), বায়োলজি পড়েছে তারা সবাই মেডিকেল জয়েন্ট (NEET) এ বসতে পারবে।
মেডিকেল স্ট্রিমে ব্যাচেলর্স ডিগ্রীতে যা যা পড়ানো সেগুলি হল-
১) এম বি বি এস
২) ডেন্টাল
৩) হোমিওপ্যাথি
৪) আয়ুর্বেদিক
৫) ইউনানী
এছাড়াও বায়োসায়েন্স পড়ে আরও যে যে পেশাগত বিষয়ে পড়াশোনা করা যায় সেগুলি হল –
১) নার্সিং ২) ফার্মাসি ৩) প্যারামেডিকেল
প্রথমে দেখে নেওয়া যাক উচ্চমাধ্যমিকের পর মেডিক্যাল বা ডাক্তারির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য –
এম বি বি এস (ব্যাচেলর অফ মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অফ সার্জারি) –
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
NEET (ন্যাশনাল এন্ট্রান্স এলিজিবিলিটি টেস্ট) দিয়ে এম বি বি এস ও ডেন্টাল পড়া যায়। নীট এ প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা অনুযায়ী কলেজে ভর্তি হতে হয়।
বিস্তারিত জানতে, নিট – এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন – https://ntaneet.nic.in/
কোথায় পড়ানো হয়?
পশ্চিমবঙ্গে সরকারি এবং বেসরকারি কলেজে MBBS পড়ানো হয়।
প্রথম দিকে রাঙ্ক করলে সরকারি কলেজে ভর্তি হবার সুযোগ পাবে। নাহলে বেসরকারি বহু কলেজ এখন MBBS পড়াচ্ছে। কিন্তু তাদের কোর্স ফী ও যথেষ্ট বেশি ,কারণ মেডিকেল পড়ানোর জন্য যে পরিকাঠামো ,যন্ত্রপাতি দরকার তা সত্যি ব্যয়বহুল।
কিন্তু সরকারি কলেজে সরকারকে প্রতি পড়ুয়ার জন্য অনেক ভর্তুকি দিতে হয়, একজন ডাক্তার বানাবার জন্য। আর সরকার এই ভর্তুকি বহন করে,কারণ শুধু একটাই যাতে তারা সমাজে স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু রাখতে পারে,এবং সাধারণ দেশবাসী উপকৃত হয়।
হোমিওপ্যাথি – ৫.৫ বছরের কোর্স (BHMS)
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.wbhealth.gov.in/ayush/news.ph
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
NEET UG তে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই কলেজ কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ মেলে।
(উচ্চমাধ্যমিক বা ১০+২ শ্রেণীতে পদার্থবিদ্যা , রসায়ন ,এবং জীববিদ্যাতে গড়ে ৫০% নম্বর থাকতেই হবে। আর অবশ্যই ইংরাজি থাকতে হবে,তবেই পড়তে পারবে BHMS)
কোথায় পড়ানো হয়?
ক্যালকাটা হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল – ৫০ আসন
Address & Contact Details
265-266, A.P.C. RoadKolkata- 700009 (Near Maniktala)
Email: dr.rajatchatterjee@gmail.com / chmch_1881@rediffmail.com
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথি কলকাতা – ৯৩ আসন
Address & Contact Details
Block – GE, Sector-III , Salt Lake, Kolkata – 700106 West Bengal, India
Phone: 2337 0969 / 70 , Fax: 2337 5295 , Email: admin@nih.nic.in
মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল – ৫৪ আসন
Address & Contact Details
P.O.- Midnapore , Dist.- Paschim Medinipur , Pin- 721101 (West Bengal) – India
Phone: +91 03222-275311 , Fax: +91 03222-275311 , Email: mhmch1945@gmail.com
ডি.এন.দে হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, কলকাতা – ৫০ আসন
Address & Contact Details
12, Gobindo Khatick Road , Kolkata – 700046, West Bengal
Phone: 033 2328 2713 , 033 2328 2714 , Email: dndeofficial@gmail.com
মহেশ ভট্টাচার্য হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল , হাওড়া – ৫০ আসন
Address & Contact Details
Dr Bholanath Chakraborty Sarani, (Drainage Canel Road) Dumoorjala, Howrah 711104, West Bengal, India
Phone: 91-33- 2677 4449 , FAX : 91-33- 2677 4449
Email: principalmbhmch@gmail.com
ডেন্টাল/BDS (ব্যাচেলর ইন ডেন্টাল সার্জারি):
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
NEET UG তে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই কলেজ কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ মেলে। (উচ্চমাধ্যমিক বা ১০+২ শ্রেণীতে পদার্থবিদ্যা , রসায়ন এবং জীববিদ্যাতে গড়ে ৫০% নম্বর থাকতে হবে। আর অবশ্যই ইংরাজি থাকতে হবে।
কোথায় পড়ানো হয়?
ড.আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল
114, Acharya Jagadish Chandra Bose Road,Kolkata-700 014.
বর্ধমান ডেন্টাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল
Power House Para, Dist.Burdwan, Pin-713101, West Bengal
নর্থ বেঙ্গল ডেন্টাল কলেজ ও হসপিটাল
The North Bengal Medical College & Hospital Campus P.O- Sushratnagar-734012,
Dist. Darjeeling, West Bengal
এছাড়া ২ টি বেসরকারি কলেজ আছে হলদিয়া এবং গুরু নানক ডেন্টাল কলেজ।
আয়ুর্বেদিক – BAM (ব্যাচেলর অফ আয়ুর্বেদ মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি) – ৫.৫ বছর
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
NEET -UG
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://wbuhs.ac.in
কোথায় পড়ানো হয়?
একমাত্র জে.বি রায় কলেজে গ্র্যাজুয়েশন করানো হয়।
বাদবাকি কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করানো হয়।
জে. বি রায় স্টেট আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল , কলকাতা – ৬০ সিট্
Address & Contact Details-170-172, Raja Dinendra Street. PO- Shyambazar,
Kolkata -700004 , West Bengal, India, Phone: 03325545418
বিশ্বনাথ আয়ুর্বেদিক মহাবিদ্যালয় –
২ বছরের ডিপ্লোমা আয়ুর্বেদিক ফার্মাসিতে করা যায়।
Superintendent and Ex Officio Professor Dr. Debashish Ghosh.
Address- 77, Aurobinda Sarani, Kolkata- 700005
Hospital Ph. No and Email ID- (033) 033- 2555-6741, vamhospital@gmail.com
Course- 2 Yrs Diploma in Pharmacy (Ayurveda) – 30 Seats
Affiliation- Paschim Banga Ayurved Parishad.
এ ছাড়াও
১ বছরের পঞ্চকর্মা কোর্স হয় যাতে উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর অনুযায়ী ভর্তি হয়।
পঞ্চকর্মা কোর্স কি? – ২০ সিট্
অ্যাপ্লিকেশন – অনলাইনেই করতে হয় , উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর অনুযায়ী মেরিট লিস্ট বেরোয় ।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.wbhealth.gov.in
ইউনানী – ৫.৫ বছরের কোর্স
যোগ্যতা-
১০+২ সাইন্স নিয়ে পাস্ করতে হবে এবং বায়োলজি থাকতে হবে।
কোর্সের নাম – ব্যাচেলর অফ মেডিসিন ইউনানী অ্যান্ড সার্জারি (BUMS)
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
NEET
কোথায় পড়ানো হয়?
ক্যালকাটা ইউনানী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – http://calumch.org
নার্সিং :
নার্সিং ২ ভাবে পড়া যায়
১. B.sc নার্সিং (ডিগ্রী)
২. GNM নার্সিং (ডিপ্লোমা)
১. B.Sc নার্সিং (ডিগ্রী) –
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন বোর্ডেরই পরিচালিত পরীক্ষা JENPAS – UG দিয়ে পাস্ করতে হবে। এই পরীক্ষাটির ফর্ম ফিল আপ পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে অনলাইনেই হয়।
এই পরীক্ষাতে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং জীববিদ্যা থেকেই প্রশ্ন হয় যা ১১-১২ শ্রেণী থেকেই আসে।
২ ঘন্টার পরীক্ষা।
তাই যারা অংকে দুর্বল তারা এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতেই পারো।
অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ফিল আপ করার পদ্ধতি হল-
প্রথম ধাপ :
১. অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ফিল আপ করতে গেলে প্রথমে ক্যান্ডিডেটকে রেজিস্টার করতে হবে।
২. নিজের নাম,বাবা -মা এর নাম, ঠিকানা , জন্মতারিখ, ই. মেল্ আইডি, মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
৩. তারপর ক্যান্ডিডেটকে একটা পাসওয়ার্ড ও সিকিউরিটি প্রশ্ন বেছে নিতে হবে।
৪. তারপর সাবমিট করে দিলেই রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
৫. ক্যান্ডিডেটের ফোন বা মেল এ অ্যাপ্লিকেশন নম্বর চলে আসবে।
দ্বিতীয় ধাপ –
৬. সেই অ্যাপ্লিকেশন নম্বর দিয়ে আবার ওই এক ই সাইটে গিয়ে লগ ইন করতে হবে।
৭. ফর্ম ফিল আপ করতে হবে।
৮. তারপর নিজের একটা রিসেন্ট ফটো গ্রাফ আর সই JPEG বা JPG ফরম্যাটে আপলোড করতে হবে। ছবিগুলোর রিসোলিউশন ৩০০ dpi এর মধ্যে হবে।
৯. তারপর ৫০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে ডেবিট কার্ড ,ক্রেডিট কার্ড বা অনলাইন পেমেন্ট এর মাধ্যমে।
১০. তারপর সাবমিট করলেই কনফার্মেশন পেজ আসবে তাতে ক্লিক করলেই হয়ে যাবে আবেদন করা।
২. GNM নার্সিং (ডিপ্লোমা) –
কারা পড়তে পারে ?
সাইন্স ,আর্টস, কমার্স যেকোনো বিভাগের পড়ুয়ারা আবেদন করতে পারে ১০+২ এর পর।
https://www.wbhealth.gov.in. ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে আবেদন করলেই হবে।
কোনো এন্ট্রান্স নেই।
৩ বছরের কোর্স + ৬ মাসের ইন্টার্নশীপ। মোট আসন- ২৮১৭
বয়স সীমা -১৭-২৭
সিলেকশন পদ্ধতি –
১. ফর্ম ফিল আপ এর পর https://www.wbhealth.gov.in. মেরিট লিস্ট প্রকাশ করবে।ক্যান্ডিডেট তার রাঙ্ক অনলাইনেই দেখতে পারবে।
২. যদি সিলেক্ট হও তাহলে ভেরিফিকেশন সেন্টারে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন হবে, প্রতিটা জেলাতে আলাদা আলাদা।
ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এ যে যে ডকুমেন্টগুলো লাগবে সেগুলি হলো –
১. উচ্চমাধ্যমিক এর মার্কশীট,
২. বার্থ সার্টিফিকেট , রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট যা গেজেটেড অফিসার বা MLA ,MP ,কাউন্সিলর দ্বারা ইস্যু করা।
৩. কাস্ট সার্টিফিকেট
৪. PWD সার্টিফিকেট মেডিক্যাল অফিসার দ্বারা ইস্যু করা।
৫. পাসপোর্ট সাইজ ফটোগ্রাফ।
শেষ ধাপ –
১. তারপর মেডিকেল চেক আপ হবে।
২. তারপর ফাইনাল মেরিট লিস্ট আসবে।
৩. তারপর সিট allotment হবে এবং কাউন্সেলিং শুরু হবে।
এই বছর ২০২১ এর GNM ফর্ম ফিল আপ চালু হবে জুলাই মাসে।
ফার্মাসি :
ব্যাচেলর ডিগ্রী ইন ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি/B .Pharm
ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি কি?-
এটি অনেকগুলি বিষয়ের সমষ্টি। ওষুধ আবিষ্কার থেকে শুরু করে তার মধ্যের প্রতিটা মৌল এবং পদার্থের পরিমানগত সংমিশ্রণ এর সঠিক অনুপাতের গুণগত মান নির্ধারণ ,সেগুলির অনুপাত আলাদা হলে শরীরে তার কি প্রভাব পড়ে , এবং তার পরীক্ষা ও সর্বোপরি কোনো ওষুধ যা তৈরী হচ্ছে মানুষের ব্যবহারের জন্য যা ইতিমধ্যেই বাজারে চলে এসেছে সেই ওষুধের গুনগত মান বজায় রাখা হচ্ছে কিনা এসবই ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজির মধ্যে পরে।
এটা এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফার্মাসিউটিকাল সাইন্স একসাথে কাজ করে।
কোথায় পড়ানো হয়?
সরকারি ২ টো কলেজ –
যাদবপুর ইউনিভার্সিটি
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সাইন্স (WBUHS )
এছাড়াও অনেক বেসরকারি কলেজ আছে যেখানে পড়ানো হয়।
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
WBJEE – ৪ বছরের কোর্স
কারা পড়তে পারে?
পদার্থ্যবিদ্যা, অংক, রসায়ন বা বায়োলজি নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাস্ করলেই ফার্মাসির জয়েন্ট পরীক্ষা দেওয়া যায়।
বিস্তারিত জানতে নিচের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.wbjeeb.nic.in
প্যারামেডিক্যাল :
পড়তে গেলে কি যোগ্যতা ?-
১০+২ তে রসায়ন ,পদার্থবিদ্যা, ও জীববিদ্যা নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাস বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে এমন ,সর্বনিম্ন ১৭ বছর বয়স।
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
প্যারামেডিক্যালেরও জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার নাম – SMFWB এন্ট্রান্স
পরীক্ষাটি নেয় – স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ( SMFWB )
পরীক্ষাটি অফলাইনে হয়।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হল– http://smfwb.in
কী করে এই পরীক্ষাতে আবেদন করার জন্য ফর্ম ফিল আপ করতে হয়?
১) প্রথমে SMFWB এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ক্যান্ডিডেটকে নিজের নাম রেজিস্টার করতে হবে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হল – http://smfwb.in
২) তারপর অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম অনলাইনেই ওই রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফিল আপ করতে হবে। নিজের স্ক্যান করা পাসপোর্ট সাইজ ছবি আপলোড করতে হবে। (একজন একটাই অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবে , এক ই ক্যান্ডিডেট অনেকগুলো অ্যাপ্লিকেশন করলে তার অ্যাপ্লিকেশন টা বাতিল হয়ে যাবে )
৩) অনলাইনেই অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটা ফিল আপ করে সাবমিট করে তার একটা কপি নিজের কাছে রেখে দিতে হবে ,পরে কাজে লাগবে।
৪) অ্যাপ্লিকেশন ফী- ১০০ টাকা + রেজিস্ট্রেশন ফী ৫০০ টাকা , মোট অ্যাপ্লিকেশন ফী =৬০০ টাকা
১০০ টাকাটা অনলাইনেই পেমেন্ট করতে হবে আর অ্যাপ্লিকেশন ফী ৬০০টাকাটা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার চালান বা অনলাইনে দিলেও হবে।
কি কি বিষয়ে এই পরীক্ষা হয় ?
পরীক্ষাতে মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চন (MCQ) থাকে।
২ টি সেকশন – সেকশন A -পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন
সেকশন- B – বায়োলজি বা জীববিদ্যা
টোটাল ২ টো সেকশন মিলিয়ে ১০০ টা কোয়েশ্চন। কোনো নেগেটিভ মার্কিং নেই।
পরীক্ষা কেন্দ্র কোথায় কোথায় আছে?
কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর,নদীয়া, মালদা, শিলিগুড়ি তে।
পরীক্ষাতে পাস্ করার পর কোর্সে ভর্তির পদ্ধতি:
প্যারামেডিকেলের এন্ট্রাস পরীক্ষাতে পাস্ করলে মেরিট লিস্টে নাম এলে তারপর সম্পূর্ণ অনলাইনেই কাউন্সিলিং হবে রাঙ্ক অনুযায়ী।
তারপর নিজের সিট বুক করার জন্য ১৫০০০ টাকা অনলাইন পেমেন্ট এর মাধ্যমে দিতে হবে। একবার কাউন্সিলিং এ নাম এসে গিয়ে কোনো কলেজের সিট্ এ ভর্তি হয়ে গেলে,তা কোনো ভাবেই বদলানো যাবেনা।
মনে রেখো :
প্যারামেডিকেল কোর্সগুলি সাধারণত ৩ বছরের হয়।
প্রধানত স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী তৈরী করার বাজারমুখী কোর্সই প্যারামেডিক্যাল।
আমরা যখনই কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যাই রক্ত পরীক্ষা করতে, বা এক্স-রে করতে সেই সম্পূর্ণ পদ্ধতিটা কোনো ডাক্তার করেনা কিন্তু করে এক একজন দক্ষ পেশাদার প্যারামেডিকেল কর্মীরা।
যত দিন বাড়ছে জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। তাই সুশিক্ষিত প্যারামেডিকেল কর্মীর চাহিদাও ভালো বাজারে।
এবার দেখা যাক পশ্চিমবঙ্গে প্যারামেডিকেল কি কি কোর্স আমরা করতে পারি:
১) ডি এল এম টি (DLMT) : ডিপ্লোমা ইন ল্যাবরেটরি টেকনিসিয়ান কোর্সেস/DIPLOMA IN LABORATORY TECHNICIAN COURSES :
২) ডিপ্লোমা ইন ক্রিটিকাল কেয়ার টেকনোলজি (Diploma in Critical Care Technology)
৩) ডিপ্লোমা ইন ক্যাথ ল্যাব টেকনিশিয়ান (Diploma in Cath-lab Technician)
৪) ডিপ্লোমা ইন ডায়াবেটিস কেয়ার টেকনোলজি (Diploma in Diabetes Care Technology)
৫) ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ল্যাবরেটরি টেকনোলজি (Diploma in Medical Laboratory Technology)
৬) ডিপ্লোমা ইন নিউরো ইলেক্ট্রো ফিজিওলজি (Diploma in Neuro Electro Physiology)
৭) ডিপ্লোমা ইন অপটোমেট্রি অ্যান্ড অপথালমিক টেকনিক Diploma in Optometry with Ophthalmic Technique)
৮) ডিপ্লোমা ইন অপারেশন থিয়েটার টেকনোলজি (Diploma in Operation Theatre Technology)
৯) ডিপ্লোমা ইন পারফিউশন টেকনোলজি (Diploma in Perfusion Technology)
১০) ডিপ্লোমা ইন ফিজিওথেরাপি (Diploma in Physiotherapy)
১১) ডিপ্লোমা ইন রেডিওগ্রাফি (Diploma in Radiography)
১২) ডিপ্লোমা ইন রেডিওথেরাপিউটিক টেকনোলজি (Diploma in Radiotherapeutic Technology)
আরো বিস্তারিত জানতে SMFWB এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান-
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – http://smfwb.in
নিচের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখে নিন কোন কোন হসপিটালে এই কোর্স গুলি করানো হয় এবং করতে খরচ কিরকম –
https://smfwb.examflix.in/affiliated-institutions
প্লাস্টিক টেকনোলজি-
এছাড়াও প্লাস্টিক টেকনোলজি যা এখনকার সময়ের উপযোগী কোর্স তা নিয়ে পড়াশোনা করা যে শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমেই সম্ভব তা একেবারেই নয়।
বরং সরকারি প্রতিষ্ঠানেই এই ডিপ্লোমা কোর্স করা যায়। যেমন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোকেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (CIPET) এ ন্যূনতম মাধ্যমিক পাস্ যোগ্যতায় প্লাস্টিক টেকনোলজির ডিপ্লোমা কোর্স পড়ানো হয় ।
CIPET এর DPT( ডিপ্লোমা ইন প্লাস্টিক টেকনোলজি ) ও DPMT ( ডিপ্লোমা ইন প্লাষ্টিক মোল্ড টেকনোলজি) কোর্স
উচ্চমাধ্যমিকের পর কি কি করা যায়? বিজ্ঞান বিভাগ (ইঞ্জিনিয়ারিং)
মাধ্যমিকের পরে কি নিয়ে পড়বো? উচ্চমাধ্যমিক ছাড়া আর কি কি করা যায়?