উচ্চমাধ্যমিকের পরে কি করবো এটা ভেবে আমরা সবাই খুবই চিন্তিত হয়ে যাই কারণ স্কুল শেষ হলে আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন কিছু নিয়ে পড়তে চাই যা পড়ে খুব তাড়াতাড়ি চাকরি পাওয়া যাবে।
কিছু ছাত্রছাত্রী যারা নিজেদের কেরিয়ার সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন তারা আগে থেকেই নিশ্চিত করে রাখে যে কোন বিষয় নিয়ে পড়বে কিন্তু বাদবাকি বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীই সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যহীন হয়ে বসে থাকে।
এর কারণ দুটি, প্রথম নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকা আর দ্বিতীয় হলো সর্বসাধারণের পরিচিত বিষয়গুলি ছাড়া আরও কত কি বিষয় নিয়ে এগোনো যায় তা সম্পর্কে অবগত না থাকা।
এই লেখায় আমরা চেষ্টা করবো দ্বিতীয় সমস্যাটির সমাধান করতে অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিকের পরে পড়া যায় এমন সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে আমরা বিশদে আলোচনা করবো এবং দেখবো এই বিষয়গুলি নিয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে কাজের সুযোগ সত্যিই কেমন?
উচ্চমাধ্যমিক এর পর আমরা কি কি বিষয় নিয়ে পড়াশুনো করতে পারি এবং সেগুলো করে আমরা কি কি ডিগ্ৰী অর্জন করবো তা একবার দেখে নিই –
এই পোস্টটি, যারা সায়েন্স বা বিজ্ঞানে বিভাগ নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাস্ করতে চলেছ এবং উচ্চমাধ্যমিকের পর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাও বলে ঠিক করে ফেলেছ তাদের জন্য।
মেডিক্যাল, প্যারামেডিক্যাল, নার্সিং, হোমিওপ্যাথি, ফার্মাসি, আয়র্বেদিক, ইউনানী, আর্টস, কমার্স ও অন্যান্য কোর্স সম্পর্কে জানতে আমাদের পরবর্তী নিবন্ধটি পড়ুন।
প্রথম গ্রুপ (টেকনিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং) –
{ ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও অঙ্ক সহ উচ্চমাধ্যমিক দিলে }
B.Tech – ব্যাচেলর অফ টেকনোলজি – | ৪ বছরের কোর্স |
B. E – ব্যাচেলর অফ ইঞ্জিনিয়ারিং | ৪ বছরের কোর্স |
B F. Tech – ব্যাচেলর অফ ফ্যাশন টেকনোলজি | ৪ বছরের কোর্স |
B. S – ব্যাচেলর অফ সায়েন্স | ৪ বছরের কোর্স |
B. Arch – ব্যাচেলর অফ আর্কিটেকচার | ৫ বছরের কোর্স |
B. Plan – ব্যাচেলর অফ প্ল্যানিং | ৪ বছরের কোর্স |
B. Tech + M. Tech | ৬ বছরের কোর্স |
ইঞ্জিনিয়ারিং –
কি কি ভাবে ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যায়?
ক) রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়ে –
যেখানে রাজ্যের মধ্যে থাকা কলেজগুলোতে পড়ার সুযোগ পাবে সফলভাবে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। তারা মেধাতালিকা অনুযায়ী কলেজ ও বিষয় নির্বাচনের সুযোগ পাবে। যদিও এখন এই পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনেই হয়।
প্রতি বছর পরীক্ষা হয়। যারা যে বছর উচ্চমাধ্যমিক বা দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দেবে তাদেরকে তাদের স্কুল এর ফাইনাল পরীক্ষার আগেই ফর্ম ফিল আপ করতে হবে। স্কুলের বোর্ডের ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে গেলে এই জয়েন্ট পরীক্ষা হবে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://wbjeeb.in/
খ) Jee Main ও Jee Advance পরীক্ষা দিয়ে –
শুধু রাজ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে সারা দেশের যে কোনো কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলে এই পরীক্ষাগুলিতে বসতে হয় তাছাড়া এই দুটি পরীক্ষায় প্রাপ্ত rank এর ভিত্তিতেই দেশের ২৩টি IIT ও ৩১টি NIT তে ভর্তির সুযোগ মেলে।
এবার এই সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ব্যাপারে বিস্তারিত জানার আগে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আবশ্যিক। চলো দেখে নিই –
মধ্যবিত্ত পরিবারে পড়াশোনার টার্গেটই থাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চাকরি যোগাড় করা। আর ঠিক এই রকম অবস্থার সুযোগ নিয়েই আমাদের চারিদিকে গজিয়ে উঠেছে ছাতার মতো অসংখ্য প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, যেখানে প্রচুর টাকার বিনিময়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয়। সবারই একটাই প্রতিশ্রুতি যে তারা নাকি সবচেয়ে ভালো প্লেসমেন্ট দেয়।
এবার দেখার বিষয়-
প্লেসমেন্ট যে দেয়, তা সত্যি কতটা ভালো প্যাকেজ এর ?
ভেবে দেখো বাবা মা এতো টাকা খরচ করে সন্তানদের পড়ান এই আশায় যে চাকরি পেয়ে ছেলেমেয়ে সেই টাকা তুলে নেবে। কিন্তু সত্যি যদি ভালো প্যাকেজের বাজারমূল্যর চাকরি এই প্রাইভেট কলেজগুলো দিতে পারত তাহলে যেকোনো সরকারি চাকরির পরীক্ষাতে এতো ইঞ্জিনিয়াররা সাধারণ ক্লার্ক এর চাকরির জন্য কেন আবেদন করে?
তাহলে কি “জব স্যাটিসফ্যাকশন” নেই ?
যদি ধরেওনি যে তারা স্থায়ী চাকরির জন্য চেষ্টা করে সরকারি চাকরি পাওয়ার, তাহলেও তো ভাববার বিষয় যে এতো টাকা দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে আসলে কি ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রতি ভালোবাসাই তৈরী হল না?
আসলে এতো টাকার চাকরি বেশিরভাগকেই দেওয়া সম্ভব নয়। এটাই সত্যি। শুনতে তো পাবে যে অমুক ছেলে ওই কলেজ থেকে পড়ে চাকরি পেয়ে বেঙ্গালুরু গেছে বা পুনে গেছে।
কিন্তু যদি সত্যিই জানতে চাও যে কলেজ কেমন, প্লেসমেন্ট কেমন, তাহলে ভর্তি হবার আগে কলেজ এর প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলো।
কারণ সে বেঙ্গালুরুতে ৮০০০ টাকার মাইনেই পায় নাকি ৩০০০০ টাকা মাইনে পায় তা একমাত্র সেই জানে।
জব স্যাটিসফ্যাকশন আছে কিনা, এসবের উত্তর একমাত্র প্রাক্তন ছাত্র নিজে দিতে পারবে। কারণ তুমি টাকা দিয়ে পড়ছো তাই সমস্ত দিক যাচাই করে নেবার অধিকার তোমার আছে।
সরকারি কলেজে যদি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পাও তাহলে অবশ্যই খুব ভালো কারণ খরচ অনেক কম এবং শিক্ষক শিক্ষিকারাও যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন।
আর যেহেতু সরকারি কলেজে তারাই পড়ে যারা জয়েন্টে প্রথম দিকে রাঙ্ক করে তাই কোম্পানিগুলিও চায় এখান থেকেই ক্যাম্পাসিং করতে। তবে সরকারি কলেজে পড়লেই যে চাকরি নিশ্চিত এরম ভাবার কোনো কারণ নেই।
এগুলো কী ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করার কৌশল মাত্র?
হ্যাঁ। এগুলি ছাত্র ভর্তি করারই কৌশল। কিছু ভালো প্রাইভেট কলেজ নিশ্চয় আছে যারা খুব ভালো প্লেসমেন্ট দেয়। কিন্তু তা যাচাই করে নিতে হবে তোমাকেই।
কলেজগুলিতে পড়াশোনার মানই বা কিরকম ?
সেই বিষয়েও খোঁজখবর ভালোভাবে নিতে হবে। বেসরকারি কলেজগুলি যেগুলোতে জয়েন্ট এ খুব পিছনে রাঙ্ক করা ছেলেরা ভর্তি হয় সেখানে পড়াশোনার মান খুব খারাপ। কারণ তারা টাকার জন্য ব্যবসা খুলে বসেছে। তাদের উদ্দেশ্য শুধু একটাই ব্যবসা করা।
কিন্তু যদি তোমার উদ্দেশ্য হয় শুধুমাত্র ডিগ্রী অর্জন তাহলে যেকোনো বেসরকারি কলেজেই পড়তে পারো।
যে বিষয়গুলোতে ইঞ্জিনিয়ারিং অর্থাৎ B.Tech বা B.E পড়ানো হয় আমাদের পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সেগুলি হল –
১) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
২) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
৩) ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
প্রচলিত বহু বছরের ধারণা অনুযায়ী মেকানিক্যাল, সিভিল, ইলেক্ট্রিক্যাল এই তিনটি নাকি “কোর স্ট্রিম “, এগুলো পড়া সবসময় ভালো, কারণ এর চাহিদা নাকি সবসময় বেশি থাকে, তাই একটু সিনিয়র মানুষরা সবসময় উপদেশ দিয়েই থাকেন এই তিনটির মধ্যে যেকোনো একটা পড়তে।
কিন্তু আমরা এই পোস্টটাতে চেষ্টা করছি এমন পেশার সন্ধান দিতে যেগুলি যুগোপযোগী এবং যার বাজারে চাহিদা ও যথেষ্ট আছে, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষেরই এ সম্বন্ধে কোনো ধারণা ও জ্ঞান নেই বলেই কোর বিষয় এর মোহে পড়ে যায়।
তারপর যখন দেখে যে কোর স্ট্রিমে ছাত্রছাত্রীও প্রচুর তাই ইঞ্জিনিয়ারিং পাস্ করে বেকারের সংখ্যা ও প্রতিযোগিতা প্রবল, তখন হতাশাতে ভোগে।
তাই আগে থেকে নানা পেশার পথের সন্ধান, যেগুলো গভর্নমেন্ট পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে যুগের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ কর্মী বানাবার জন্য, তা আমাদের নিজেদের মাতৃভাষাতে দেওয়ার প্রয়াস করছি। সেগুলো হলো :
৪) ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-
কোথায় পড়ানো হয় ?
পশ্চিমবঙ্গের এখনও অবধি ৮ টা কলেজে পড়ানো হয়।
যাদবপুর ইউনিভার্সিটি (কলকাতা),
গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (সোদপুর, কলকাতা),
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (সল্টলেক, কলকাতা)
হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (মেদিনীপুর),
টেকনো ইন্ডিয়া সল্টলেক (কলকাতা),
গনি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট (মালদা),
হেমনলিনী মেমোরিয়াল কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং (কল্যাণী তে)
এ ছাড়াও আই আই টি খড়্গপুরেও পড়ানো হয়।
ফুড টেকনোলজি পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?–
ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাস্ করলে রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্ত কলেজগুলোতে পড়তে পারবে। ওপরের সব কলেজগুলোতে পড়া যাবে।
আর আই আই টি খড়্গপুরে পড়তে হলে JEE Main আর JEE অ্যাডভান্স পরীক্ষাতে পাস্ করতে হবে।
৫) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
কোথায় পড়ানো হয়?-
পশ্চিমবঙ্গের ১০ টা কলেজে পড়ানো হয়।
IIT খড়্গপুর,
যাদবপুর ইউনিভার্সিটি (কলকাতা),
ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি ,
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (সল্টলেক,কলকাতা)
হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (মেদিনীপুর),
হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (কলকাতা),
টেকনো ইন্ডিয়া সল্টলেক (কলকাতা),
সি আই টি (হাওড়া), NIT দুর্গাপুর।
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?–
ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাস্ করলে রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্ত কলেজগুলোতে পড়তে পারবে। ওপরের সব কলেজগুলোতে পড়া যাবে।
আর আই আই টি খড়্গপুরে পড়তে হলে JEE Main আর JEE অ্যাডভান্স পরীক্ষাতে পাস্ করতে হবে।
৬) ইনফরমেশন টেকনোলজি:
কোথায় পড়ানো হয়? –
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব গভর্নমেন্ট ও প্রাইভেট কলেজেই ইনফরমেশন টেকনোলজি পড়ানো হয়।
ইনফরমেশন টেকনোলজি পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
(IIEST) শিবপুর বাদে প্রায় সব কলেজেই ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাস্ করলে রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্ত কলেজগুলোতে পড়তে পারবে।
শিবপুর (IIEST) তে পড়তে গেলে JEE Main পরীক্ষাতে পাস্ করতে হবে।
পাস্ করার পর কাজের সুযোগ কেমন ? –
কাজের সুযোগ ভালো।এরকম একটা প্রচলিত কথা আছে যে IT র বাজার আর আগের মতো ভালো নেই, স্যাচুরেশন এসেছে, কিন্তু কথাটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়।
২০০২-২০০৩ সালে যখন প্রথম IT-র পড়াশোনা বাজারে এসেছিলো তখনকার মতো অত চাহিদা হয়তো এখন নেই এটা সত্যি, কিন্তু তা সত্ত্বেও ভালো কলেজ থেকে পড়লে দক্ষ IT কর্মীর চাহিদা এখনো যথেষ্ট ভালো।
৭) ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন
কোথায় পড়ানো হয়?-
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় বেশিরভাগ গভর্নমেন্ট এবং প্রাইভেট কলেজে পড়ানো হয়।
ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
গভর্নমেন্ট কলেজে পড়তে গেলে WBJEE (ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন) তে পাস্ করতে হবে, আর প্রাইভেট কলেজগুলো তে পড়তে হলে JEE main বা WBJEE তে পাস্ করতে হবে।
পাস্ করার পর কাজ এর সুযোগ কেমন?-
সরাসরি এই বিষয়ে চাকরি না পেলেও পাস্ করার পরে বেশিরভাগ পড়ুয়াই বিভিন্ন IT কোম্পানিতেই যোগদান করে।
৮) প্রিন্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং
কোথায় পড়ানো হয়?-
যাদবপুর ইউনিভার্সিটি তে পড়ানো হয়। ডিগ্রী – B.E (৪ বছরের কোর্স)
প্রিন্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
WBJEE (ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন) তে পাস্ করতে হবে।
পাস্ করার পর কাজ এর সুযোগ কেমন?-
খুব কম পড়ুয়া পড়ে, বাজারে চাহিদাও নিতান্ত মন্দ নয়, তাই কাজের সুযোগ মোটামুটি ভালোই বলা যায়।
৯) মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
কোথায় পড়ানো হয়?-
IIT খড়্গপুর,
যাদবপুর ইউনিভার্সিটি (কলকাতা),
IIEST শিবপুর / বি. ই কলেজ,
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (সল্টলেক ,কলকাতা),
কাজী নজরুল ইউনিভার্সিটি ( govt ),আসানসোল
এছাড়া কিছু প্রাইভেট কলেজেও পড়ানো হয়।
মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাস্ করলে রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্ত কলেজ গুলো তে পড়তে পারবে।
NIT এর জন্য JEE মেন্ এবং বা IIT এর জন্য JEE মেন্ ও তারপর JEE অ্যাডভান্স এ পাস্ করতে হবে।
পাস্ করার পর কাজ এর সুযোগ কেমন?
কম পড়ুয়া পড়ে, বাজারে চাহিদাও ভালো, তাই কাজের সুযোগ মোটামুটি ভালোই বলা যায়।
১০) কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং
কোথায় পড়ানো হয়?
যাদবপুর ইউনিভার্সিটি (কলকাতা),
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (সল্টলেক ,কলকাতা)
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম (WBJEE)
পাস্ করার পর কাজ এর সুযোগ কেমন?
খুব কম পড়ুয়া পড়ে তাই কাজের সুযোগ ও ভালো, যদিও প্রতি বছর বাজারের চাহিদা ও পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজের সুযোগের তারতম্য হতেই পারে।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর পার্থক্য কি?
৯০% সিলেবাস প্রায় সমান। সেই অর্থে কোনো পার্থক্য খুব বেশি নয়। আসলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংকেই আরো বেশি পেশাদারি জগতের উপযোগী করার জন্য এই স্ট্রিম চালু হয়। যেকোনো কনস্ট্রাকশন কোম্পানি যেমন ITD , L & T এর মতো কোম্পানিরা এই স্ট্রিম থেকে পড়ুয়া নেয়।
১১) পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং
কোথায় পড়ানো হয়?
যাদবপুর ইউনিভার্সিটি (কলকাতা)
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম (WBJEE)
পাস্ করার পর কাজের সুযোগ কেমন?
ক্ৰমবৰ্ধমান ছাত্রসংখ্যার সাথে বিভিন্ন core স্ট্রিম গুলিকেও ভাগ করে নতুন বিষয় তৈরি করা হয়েছে।
পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং আসলে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এরই একটি ভাগ কিন্তু বর্তমানে শুধুমাত্র পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়েও ডিগ্রী পাওয়া সম্ভব।
নাম আলাদা হলেও পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্রছাত্রীদের যে সমস্ত কাজের সুযোগ মেলে তাতে সাধারণত মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রছাত্রীরাও আবেদন করতে পারে তাই প্রতিযোগীতা ভালোই।
১২) প্রোডাক্শন ইঞ্জিনিয়ারিং
কোথায় পড়ানো হয়?
যাদবপুর ইউনিভার্সিটি (কলকাতা),
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (সল্টলেক ,কলকাতা)
HIT (হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি) (মেদিনীপুর) (প্রাইভেট)
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম (WBJEE )
পাস্ করার পর কাজ এর সুযোগ কেমন?
এটাও পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এরই মতো। তাই কাজের সুযোগ ও মেকানিকাল এরই মতো।
১৩) ইন্সট্রমেনটেশন অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স
কোথায় পড়ানো হয়?
অনেক কলেজেই এই বিষয় পড়ানো হয়।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুলো হল–
যাদবপুর ইউনিভার্সিটি (কলকাতা).
IIT খড়্গপুর,
হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (মেদিনীপুর),(Pvt )
হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (কলকাতা), (Pvt )
University College of Science, Technology and Agriculture (ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি এর দ্বারা )
B.C Roy ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ দুর্গাপুর ( PVT ) ,ইত্যাদি
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
IIT খড়্গপুর-JEE অ্যাডভান্স।
আর বাদবাকিগুলোতে সরকারি কলেজ হলে ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম (WBJEE),
আর বাকি প্রাইভেট কলেজগুলোতে JEE মেন্ পাস্ করে ভর্তি হওয়া যায়।
পাস্ করার পর কাজ এর সুযোগ কেমন?
কাজের সুযোগ ভালোই। বিভিন্ন সরকারি সংস্থাতেও বর্তমানে এই বিষয়ের ইঞ্জিনিয়ারদের জন্যও নির্দিষ্ট কাজের সুযোগ আছে।
১৪) ফুড টেকনোলজি
কোথায় পড়ানো হয়?
IIT খড়্গপুর,
যাদবপুর ইউনিভার্সিটি (কলকাতা),
হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (মেদিনীপুর), (PVT)
টেকনো ইন্ডিয়া সল্টলেক (কলকাতা), (PVT)
গুরুনানক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (pvt),
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (সল্টলেক,কলকাতা),
গণিখান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (মালদা ),
হেমনলিনী মেমোরিয়াল কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং (কল্যাণী), (PVT)
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
IIT খড়্গপুর – JEE অ্যাডভান্স।
আর বাদবাকি গুলোতে সরকারি কলেজ হলে ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম (WBJEE),
আর বাকি প্রাইভেট কলেজগুলোতে JEE মেন্ পাস্ করে বা wbjee পাস্ করে ভর্তি হওয়া যায়।
পাস্ করার পর কাজের সুযোগ কেমন?
ভালো।
১৫) এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং
কোথায় পড়ানো হয়?
IIT খড়্গপুর ,
IIEST শিবপুর,
The Institutions of Engineers India, Kolkata
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
IIT খড়্গপুর-JEE অ্যাডভান্স
IIEST শিবপুর,- JEE মেন্
The Institutions of Engineers India, Kolkata
এটা ভারত সরকার দ্বারা স্বীকৃত সম্পূর্ণ সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখানে ইঞ্জিনিয়ারিং এ বি.টেক বা ডিপ্লোমা করে তার অ্যাডভান্স কোর্স করার জন্য এখানে ভর্তি হওয়া যায়।
কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক পাস্ করেও এখানে পড়া যায়।
পরীক্ষার নাম – AMIE
কিভাবে ভর্তি হওয়া যায়?
AMIE পরীক্ষার মাধ্যমে। উচ্চমাধ্যমিকে সায়েন্স সাবজেক্টসগুলোতে ৪৫% নম্বর থাকলেই এই এন্ট্রান্স এ বসতে পারবে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.ieindia.org/webui/iei-home.aspx
পাস্ করার পর কাজের সুযোগ কেমন?
খুব ভালো।
১৬) মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং
কোথায় পড়ানো হয়?
IIT খড়্গপুর ,
IIEST শিবপুর,
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (সল্টলেক ,কলকাতা),
কাজী নজরুল ইউনিভার্সিটি ( আসানসোল ) ( GOVT )
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
IIT খড়্গপুর- JEE অ্যাডভান্স
IIEST শিবপুর – JEE মেন্
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (সল্টলেক ,কলকাতা)- WBJEE
কাজী নজরুল ইউনিভার্সিটি (আসানসোল) – WBJEE
পাস্ করার পর কাজের সুযোগ কেমন?
ভালো।
১৭) জুট অ্যান্ড ফাইবার টেকনোলজি (ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি)
কোথায় পড়ানো হয়?
ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি,
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (সল্টলেক ,কলকাতা)
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
WBJEE
পাস্ করার পর কাজের সুযোগ কেমন?
পাট শিল্পের অবস্থা আগের মতো ভালো নেই , তাই কাজের সুযোগও খুব ভালো নয়, কিন্তু যেহেতু বর্তমানে পুনর্নবীকরনযোগ্য পদার্থের কদর বাড়ছে, তাই জুট নিয়েও কাজ করার প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে।
১৮) অপটিক্স অ্যান্ড অপ্ট ইলেকট্রনিক্স
কোথায় পড়ানো হয়?
শুধুমাত্র ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি তে।
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
WBJEE
পাস্ করার পর কাজের সুযোগ কেমন?
অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজের সুযোগ ভালোই। নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি ইঞ্জিনিয়ার ও সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কোম্পানিতে কাজ পাওয়া যায়।
১৯) পলিমার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং
কোথায় পড়ানো হয়?
(ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি) – ৪০ সিট্
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
WBJEE
পাস্ করার পর কাজের সুযোগ কেমন?
কাজের সুযোগ ভালো,কারণ আমরা এখন প্লাষ্টিক যুগে বসবাস করছি, তাই প্লাস্টিককে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার ক্ষেত্রে পলিমার নিয়ে প্রচুর কাজ হচ্ছে ।
২০) রেডিও ফিজিক্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং
কোথায় পড়ানো হয়?
শুধুমাত্র ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটিতে।
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে ?
WBJEE
পাস্ করার পর কাজের সুযোগ কেমন?
কাজের সুযোগ ভালোই যদিও বেশিভাগ চাকরিই IT বা ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানিতেই হয়।
২১) টেক্সটাইল ও লেদার টেকনোলজি
কোথায় পড়ানো হয়?
টেক্সটাইল-
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (সল্টলেক,কলকাতা),
শ্রীরামপুর গভর্নমেন্ট কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেক্সটাইল টেকনোলজি ,
বহরমপুর গভর্নমেন্ট কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেক্সটাইল টেকনোলজি,
ডিপার্টমেন্ট অফ জুট অ্যান্ড ফাইবার টেকনোলজি,ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি -৬০ সিট্
লেদার টেকনোলজি
গভর্নমেন্ট কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লেদার টেকনোলজি, সল্টলেক
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
WBJEE
পাস্ করার পর কাজের সুযোগ কেমন?
কাজের সুযোগ ভালো। রেমন্ড, ট্রাইডেন্ট এর মতো কোম্পানিতে চাকরি পাওয়া যায়।
২২) বায়োটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং
কোথায় পড়ানো হয়?
IIT খড়্গপুর,
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (সল্টলেক,কলকাতা)
NIT দুর্গাপুর ,
হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ,(PVT)
বেঙ্গল কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং দুর্গাপুর, (PVT)
টেকনো ইন্ডিয়া সল্টলেক ,(PVT)
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
IIT খড়্গপুর – JEE অ্যাডভান্স
আর বাদবাকি কলেজগুলো তে পড়ার জন্য WBJEE বা JEE মেন্ পাস্ করতে হবে।
পাস্ করার পর কাজের সুযোগ কেমন?
যথেষ্ট ভালো।এই সংক্রান্ত কাজের সুযোগ বিদেশেও যথেষ্ট ভালো।
২৩) মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং
কোথায় পড়ানো হয়?
৪ টি কলেজে পড়ানো হয় :
IMU ( কলকাতা ইন্ডিয়ান ম্যাট্রিম ইউনিভার্সিটি, তারাতলা ) ,
নেওটিয়া কলেজ ,
মৌলানা আবুল কালাম ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি ,
seacom ইঞ্জিনিয়ারিং,
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
IMU (কলকাতা ইন্ডিয়ান ম্যাট্রিম ইউনিভার্সিটি (তারাতলা ) – IMUCET পরীক্ষাতে পাস্ করতে হবে।
মৌলানা আবুল কালাম ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি – WBJEE
নেওটিয়া , seacom ইঞ্জিনিয়ারিং – JEE মেন্ বা WBJEE
পাস্ করার পর কাজের সুযোগ কেমন?
খুব ই ভালো। কিন্তু এই স্ট্রিম তাদের জন্যই ভালো যারা সাহসী একটু ভিন্ন ধরণের জীবনযাত্রার প্রতি আগ্রহী।
২৪) ডেয়ারি টেকনোলজি
কোথায় পড়ানো হয়?
২ টি কলেজে পড়ানো হয় :
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যানিম্যাল অ্যান্ড ফিশারি সাইন্স,
MIET (মডার্ন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং )
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যানিম্যাল অ্যান্ড ফিশারি সাইন্স, – WBJEE
MIET- WBJEE বা JEE মেন্
পাস্ করার পর কাজের সুযোগ কেমন?
পণ্যের চাহিদা বাজারে বরাবরই যথেষ্ট ভালো তাই কাজের সুযোগ ও ভালোই।
২৫) সেরামিক টেকনোলজি
কোথায় পড়ানো হয়?
মৌলানা আবুল কালাম ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি,
ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি ,
বেলিয়াঘাটা গভর্নমেন্ট কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সেরামিক টেকনোলজি
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
WBJEE
পাস্ করার পর কাজের সুযোগ কেমন?
প্রতিযোগিতা ও ছাত্র সংখ্যা কম হওয়ার জন্য কাজের সুযোগ ভালোই।
২৬) ফিশারি
কোথায় পড়ানো হয়?
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যানিম্যাল অ্যান্ড ফিশারি সাইন্স কলেজে BACHELOR OF FISHERIES SCIENCE [BFSC পড়ানো হয় – ৪ বছরের কোর্স।
পড়তে গেলে কি পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে?
উচ্চমাধ্যমিকের নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি হয়। কোনো এন্ট্রান্স ছাড়া।ডিগ্রী B.Fsc (B.Tech নয়)
পাস্ করার পর কাজের সুযোগ কেমন?
ভালো।
ব্যাচেলর অফ আর্কিটেকচার –
এই কোর্স ভর্তির যোগ্যতা নির্ধারক এন্ট্রান্স পরীক্ষা ন্যাশনাল অ্যাপটিটিউড টেস্ট ইন আর্কিটেকচার ২০২৪ এর অনলাইনে ফর্ম ফিল আপ চলছে। ৩ টি attempt এ এই পরীক্ষা দেওয়া যাবে; ৬ ই এপ্রিল থেকে শুরু করে জুলাই অবধি প্রতি সপ্তাহান্তে।
আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা স্থাপত্যবিদ্যা হল প্রযুক্তিবিদ্যার এমন একটি বিভাগ যেখানে প্রযুক্তি অর্থাৎ টেকনোলজির সাথে মানুষের শিল্পসত্ত্বা একত্রে সৃষ্টির আধার তৈরী করে।
আমাদের আশপাশের যে কোনো সাধারণ বাড়ির নকশা বা প্ল্যান বানানো এবং সেই নকশা অনুযায়ী বাড়িটি তৈরী করার জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন হয়।
কিন্তু আমরা সেই বাড়িটিকেই যদি খুব আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন বানাতে চাই, তাহলে শুধুমাত্র কাঠামো ছাড়াও বাড়ির সজ্জা বৃদ্ধি প্রয়োজন। আর সেই সজ্জায়নের কাজটি করে আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়াররা।
আমরা যখন ই কোনো সুন্দর স্থাপত্যের সামনে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি তার অনেকটাই সেই স্থাপত্য বা স্ট্রাকচারের স্থপতিকারের শিল্পী সত্ত্বার অবদান।
যেকোনো বিশালাকায় আয়তনের কাঠামো যেগুলি আজ হেরিটেজ বিল্ডিং বা ঐতিহ্যশালী স্থাপত্য হিসেবে পরিগণিত হয় তা পুরোনো আমলের বিভিন্ন রাজবাড়ী-তাজমহল-মিউজিয়াম থেকে বর্তমানের সুউচ্চ আকাশছোঁয়া বিলাসবহুল বহুতল-পাঁচতারা হোটেল-এয়ারপোর্ট-প্রেক্ষাগৃহ ই হোক না কেন তাদের সৌন্দর্য্যের কারিগর হলেন আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ার, দক্ষ শ্রমিক ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ার দের সম্মিলিত প্রয়াস।
ডিগ্রীর নাম – বি. আর্ক্
কারা পড়তে পারবে ?
উচ্চমাধ্যমিকে ফিজিক্স কেমিস্ট্রি ও অংক নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাস্ করলে এবং ওই ৩ টি বিষয়ে ৫০ % এর অধিক নম্বর থাকলে এন্ট্রান্স (ন্যাশনাল অ্যাপটিটিউড টেস্ট ইন আর্কিটেকচার ) পরীক্ষায় সফল হলে তবেই বি. আর্ক্ পড়া যাবে।
কীভাবে পড়তে পারবো ?
যারা উচ্চমাধ্যমিকের পর আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা বি আর্ক্ ( ব্যাচেলর ইন আর্চিটেক্চার ) পড়তে চাও তাদের একটি সর্বভারতীয় এন্ট্রান্স পরীক্ষাতে বসতে হবে। পরীক্ষার নাম – ন্যাশনাল অ্যাপটিটিউড টেস্ট ইন আর্কিটেকচার।
এখনই ফর্ম ফিল আপ চলছে ২০২৩ এর জন্য।
কোর্সের মেয়াদ কত দিনের ?
৫ বছর।
কোথায় পড়ানো হয় ?
এই পরীক্ষাতে পাস্ করলে ভারতের যেকোনো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বি আর্ক্ পড়তে পারবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
ন্যাশনাল অ্যাপটিটিউড টেস্ট ইন আর্কিটেকচার ২০২৪ –
সর্বভারতীয় পরীক্ষা যা অনলাইনেই হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র কলকাতা ও শিলিগুড়ি তে আছে।
উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে পরীক্ষা শুরু হবে ৬ ই এপ্রিল থেকে।
যদি একদিন পরীক্ষা দিতে চাও তাহলে ছাত্র হলে ১৭৫০ টাকা ও ছাত্রী হলে ১২৫০ টাকা আর ২ দিন দিতে চাইলে ছাত্রদের ৩২৫০ ও ছাত্রীদের ২২৫০ টাকা আবার ৩ দিন ই পরীক্ষা তে বসতে চাইলে ছাত্রদের ৪৫০০ ও ছাত্রীদের ৩০০০ টাকা।
রেজিস্ট্রেশনের সময় নিজের পাসপোর্ট সাইজের JPG ফরম্যাটের ছবি ও সই আপলোড করতে হবে।
২০০ নম্বরের পরীক্ষা। কোনো নেগেটিভ মার্কিং নেই। পরীক্ষার প্রশ্ন হবে ডায়াগ্রামাটিক রিসনিং, লজিকাল রিসনিং, ভার্বাল রিসনিং, নিউমেরিক্যাল রিসনিং, ইন্ডাকটিভ রিসনিং, সিচুয়েশনাল রিসনিং, অ্যাবস্ট্রাক্ট রিসনিং এর উপর।
পরীক্ষা ২টি পার্টে হবে।পরীক্ষার সময় প্রথম পার্টের সকাল ১০ টা থেকে ১ টা ও দ্বিতীয় পার্টের দুপুর ১:৩০ থেকে ৪:৩০ পর্যন্ত।
NATA র ২০২৪ এর Information Brochure – ডাউনলোড করুন
অনলাইনে আবেদন করার জন্য সরাসরি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান – https://www.nata.in/
প্লাস্টিক টেকনোলজির ডিপ্লোমা কোর্স –
হলদিয়ায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোকেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (CIPET ) কর্তৃপক্ষ দ্বারা এই কোর্স টি করানো হয়।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য অনলাইনেই আবেদন করা যাবে ৩১ শে মে এর মধ্যে।
কারা আবেদন যোগ্য ?
ন্যূনতম মাধ্যমিক পাস্ ছাত্রছাত্রীরা প্লাস্টিক মোল্ড টেকনোলজি (DPMT) ও প্লাস্টিক টেকনোলজির ডিপ্লোমা (DPT) কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবে।কোর্সের মেয়াদ-৩ বছরের কোর্স।
সায়েন্স শাখায় ৩ বছরের ডিগ্ৰী কোর্স পাস্ ছাত্রছাত্রীরা প্লাস্টিক প্রসেসিং এন্ড টেস্টিং এর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্সের ভর্তির জন্য আবেদন যোগ্য। কোর্সের মেয়াদ- ২বছর।
প্লাস্টিক ,পলিমার, টুল, তুলে এন্ড ডাই মেকিং, প্রোডাকশন, DPT, DPMT , অটোমোবাইল পেট্রোকেমিক্যালস , ইন্ডাস্ট্রিয়ালস, ইন্সট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বা টেকনোলজির ডিপ্লোমা কোর্স পাস্ ছাত্রছাত্রীরা রা প্লাস্টিক মোল্ড ডিসাইন উইথ CAM ও CAD সহযোগের পোস্ট ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে পারবে। কোর্সের মেয়াদ- দেড় বছর।
কোর্স ফী – প্রতি সেমেস্টারের জন্য পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ও পোস্ট ডিপ্লোমার ক্ষেত্রে ২০,০০০ টাকা।
ডিপ্লোমা কোর্সের ক্ষেত্রে ১৬,৭০০ টাকা।
হোস্টেল চার্জ – অতিরিক্ত।
সুযোগ সুবিধা কি কি ?
১) ছেলে ও মেয়েদের আলাদা হোস্টেলে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। ২) ভর্তি নিয়ে বয়সের কোনো কড়াকড়ি নেই। ৩) স্কলারশিপের ব্যবস্থা আছে।
প্রার্থী বাছাই হবে কীভাবে?
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে ৩১ শে মে এর মধ্যে।
আবেদন প্রক্রিয়া – অনলাইনে ৩১ শে মে, ২০২৪ এর মধ্যে।
CIPET JEE পরীক্ষার মাধ্যমে। ২০২৪ এর পরীক্ষা হবে ৯ ই জুন। পরীক্ষাটি অনলাইনে হবে।
আবেদনের জন্য সমস্ত তথ্যর জন্য এই ওয়েবসাইটে যান – https://www.cipet.gov.in/academics/cipet_admission.php
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হল-
https://www.cipet.gov.in/centres/cipet-haldia/introduction.php#
অফিস যোগাযোগের ঠিকানা –
সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোকেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি , সিএসটিএস, হলদিয়া, সিটি সেন্টার, পূর্ব মেদিনীপুর। ফোন নং-9800865751,3224-25553
(যেকোনো জিজ্ঞাসা থাকলে ফোন করে জিজ্ঞাসা করতেই পারো। অফিস কর্তৃপক্ষ সমস্যা বা জিজ্ঞাসা সমাধানের জন্যই আছে ,এবং সরকারি স্কিম তৈরী হয়েছে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্যই, তাই যোগাযোগ করতে ইতস্তত বোধ করা একদম ই বোকামি )
এবার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ কেমন তা জানব।
কিভাবে পড়তে পারো?
যদিও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং মাধ্যমিক পাস্ করেও পড়া যায়,তবুও বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরাই উচ্চমাধ্যমিক এর পরেই পড়ে।
জয়েন্ট এর মতোই ডিপ্লোমার ও জয়েন্ট হয় (JEXPO)।
যার ফর্ম মাধ্যমিক/উচ্চমাধ্যমিকের আগেই ফিল আপ করতে হয়।
আর পরীক্ষা হয় মাধ্যমিক/উচ্চমাধ্যমিকের পর। ডিগ্রী জয়েন্টের তুলনায় সহজ পরীক্ষা। যদিও সিলেবাস বলে যে মাধ্যমিক স্তরের প্রশ্ন করা হয় কিন্তু কিছু প্রশ্ন উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস থেকেও আসে।
পড়ুন – পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার আগে যেগুলি জেনে রাখবেন
দ্বিতীয় গ্রূপ :- মেডিক্যাল, প্যারামেডিক্যাল, নার্সিং,ফার্মাসি নিয়ে আগ্রহীরা নিচের লিংকে গিয়ে বিস্তারিত জানুন।
বায়োসায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে উচ্চমাধ্যমিকের পরে মেডিক্যাল কি কি স্ট্রিমে পড়া যায়?