The Monk Who Sold His Ferrari বাংলা সারবত্তা । আপন ঐশ্বর্য্য ত্যাগ করা এক সন্ন্যাসী ।

by

The Monk Who Sold His Ferrari গল্পের লেখক Robin Sharma এবং তার বন্ধু Julian Mantle হলেন এই গল্পের মুখ্য চরিত্র।

জুলিয়ান প্রচন্ড বিত্তশালী হওয়া সত্ত্বেও ভিতর থেকে একদমই খুশি ছিল না এবং একদিন এক হার্ট অ্যাটাকের পর সে তার সমস্ত সম্পত্তি ফেলে কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য ও সাধারণ একটা সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ জীবন লাভের উদ্দেশ্যে কাউকে কিছু না জানিয়ে হিমালয়ে রওনা দেয়।

এর তিনবছর পর সে ফিরে এলে তার মধ্যে আশ্চর্যজনক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এবং এই তিন বছরের সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা সে লেখককে জানায়।

সে তার এই যাত্রায় ভারতবর্ষে আসে এবং সেখানে সে যোগী কৃষ্ণণ নামক এক ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসে এবং তার কাছে জানতে পারে যে তার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সে পেতে পারে শিভানা সাধুদের কাছে, কিন্তু তাদের কাছে পৌঁছনো অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার।

অবশেষে বহু দুর্গম পথ অতিক্রম করে সে শিভানা সাধুদের খোঁজ পায় সেখানে যোগী রমন তাকে আশ্বস্ত করে যে তাদের সমস্ত জ্ঞান, জীবনধারনের উদ্দেশ্য ও তার বাকি সব প্রশ্নের উত্তর সে পাবে।

বেশ কিছুদিন সেই সাধুদের সাথে কাটানোর পর একদিন যোগী রমন তাকে জানায় যে মনের অভ্যন্তরীন শান্তি , আনন্দ ও আধ্যাত্মিক উন্নতির সূত্র লুকিয়ে আছে একটি গল্পের মধ্যে যার তাৎপর্য জুলিয়ানকেই উদ্ধার করতে হবে।

সে তাকে বলে চোখ বুজে গল্পের দৃশ্যটি কল্পনা করতে, গল্পটি ছিল এরকম – 

মনে করো তুমি একটি অত্যন্ত মনোরম, সবুজে পরিপূর্ণ বাগানের মাঝখানে বসে আছো, এই বাগান অপার্থিব সুন্দর ফুলে পরিপূর্ণ। পরিবেশ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও নিঃস্তব্ধ। 

মনে করো তোমার কাছে অগাধ সময় আছে এই প্রাকৃতিক মরুদ্যানের সৌন্দর্যকে উপভোগ করার। চারিদিকে তাকিয়ে তুমি দেখতে পেলে এই মায়াবী বাগানের কেন্দ্রে একটি লম্বা লাল ছ তলা উঁচু লাইট হাউস বা বাতিঘর। 

হঠাৎই বাগানের সমস্ত নিঃস্তব্ধতা ভঙ্গ করে লাইটহাউসের বা বাতিঘরের দরজাটা খুলে যায় এবং নফুট লম্বা, নশো পাউন্ড ওজনের এক জাপানি সুমো পালোয়ান বাইরে বেরিয়ে এসে বাগানে ঘুরতে শুরু করে। তার সম্পূর্ণ দেহ অনাবৃত শুধু নিম্নাঙ্গে একটি গোলাপি সুতোর ন্যায় কাপড়। 

এই সুমো যখন বাগানে ঘুরতে আরম্ভ করে তখন সে খুঁজে পায় একটি চকচকে সোনার স্টপওয়াচ যেটা কেউ হয়তো বহুবছর আগে সেখানে ফেলে গেছে, সে এটার ওপর পা পিছলে বিশাল শব্দ করে মাটিতে আছাড় খেয়ে পড়ে।

সে সেখানে স্থির, অচেতন হয়েই পড়ে থাকে এবং তাকে ওভাবে পড়ে থাকতে দেখে যখন মনে হবে যে সে হয়তো তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে তখনই সে সংজ্ঞা ফিরে পায়। হয়তো কাছেই ফুটে থাকা হলুদ গোলাপের সুবাস তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনে। 

শক্তি ফিরে পেয়ে সুমো লাফিয়ে উঠে দাঁড়ায় এবং কৌতূহলের সাথে তার বাঁদিকে তাকিয়ে বিস্মিত হয়ে পড়ে। সে দেখতে পায় বাগানের প্রান্তে থাকা ঝোপের মধ্যে একটি প্যাঁচালো/ঘোরালো পথ, সেই পথ আবৃত হয়ে আছে পথের ওপর ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি হীরেয়।

যেন কোন অজ্ঞাত নির্দেশেই সুমো সেই পথে অগ্রসর হয় এবং এই পথই তাকে নিয়ে যাবে অনন্ত সুখ ও চিরন্তন মুক্তির পথে।

এই গল্পের তাৎপর্যের বিশদ ব্যাখ্যা পেতে হলে বইটি সংগ্রহ করে অবশ্যই পড়ুন 

এখানে খুব সংক্ষিপ্ত আকারে The Monk Who Sold His Ferrari গল্পের তাৎপর্য আমি নিজের ভাষায় সারমর্ম হিসেবে তুলে ধরলাম – 

অত্যাশ্চর্য বাগান – এই গল্পের বাগান হলো মনের প্রতীক। যদি আমরা আমাদের মনকে একটা উর্বর বাগানের ন্যায় যত্ন করি, তাকে উৎকৃষ্ট চিন্তা দ্বারা কর্ষণ করি তাহলে সে আমাদের আশাতীত ফল প্রদান করবে কিন্তু যদি আমরা আগাছার মতো নেতিবাচক চিন্তার শিকড়কে উপড়ে না ফেলে প্রসারিত হতে দিই তবে মনের অভ্যন্তরীণ শান্তি আমাদের অধরাই রয়ে যাবে।

আমাদের জীবনযাত্রার মান নির্ধারিত হয় আমাদের চিন্তা অনুযায়ী। আমাদের কৃত যা কিছু আমরা ভুল বলে মনে করি তা আসলে শিক্ষা, আমাদের জীবনে ঘটা প্রতিটি নেতিবাচক অভিজ্ঞতা আসলে আত্মনিয়ন্ত্রণের কৌশল রপ্ত করার সুযোগ। 

মনকে উর্বর বাগানের মতো যত্ন করার তিনটি কৌশল – 

The Heart of the Rose – 

সদাচঞ্চল মনকে শান্ত রাখার জন্য যোগী রমন জুলিয়ানকে বলেছিলেন একটি নিঃস্তব্ধ পরিবেশে একটি গোলাপের কেন্দ্রে তাকিয়ে মনসংযোগ করতে, তিনি বলেছিলেন গোলাপ আমাদের জীবনের মতো, এর যাত্রাপথ কন্টকাকীর্ণ কিন্তু যদি আমরা নিজেদের স্বপ্নের ওপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যেতে পারি তবেই আমরা ওই ফুলের সৌন্দর্য (জীবনের মহিমা) উপলব্ধি করতে পারবো।

আমরা যতই ব্যস্ত হই না কেন দিনের যে কোনো একটা সময় যদি আমরা স্থির ও শান্ত পরিবেশে বসে কেবলমাত্র একটা কোনো চিন্তার প্রতি একাগ্র হয়ে মনসংযোগ করতে পারি তাহলে আমরা আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।

Opposition thinking –

যখনই আমাদের মনে কোনো নেতিবাচক চিন্তা আসবে তখনই দরকার একটা খুব সুন্দর ইতিবাচক চিন্তা দ্বারা তাকে প্রতিস্থাপিত করা বা বদলে দেওয়া। আমাদের মনে একটা নির্দিষ্ট সময়ে কেবলমাত্র একটা চিন্তাই থাকতে পারে এবং আমরা নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী তাকে বদলে ফেলতে সক্ষম।

যে কোনো চিন্তাই (ইতিবাচক হোক বা নেতিবাচক) একপ্রকার শক্তি বা এনার্জি এবং আমরা সেই চিন্তাকে যত সময় দেব বা তার প্রতি যত একাগ্র হব সেই শক্তির প্রাবল্য ততই বাড়তে থাকবে।  আর আমরা চাইলেও নেতিবাচক চিন্তা আসা বন্ধ করতে পারবো না তাই উপায় হচ্ছে যে মুহূর্তে মনে হবে যে চিন্তাটা ভাবছি সেটা নেতিবাচক সঙ্গে সঙ্গে তার বিপরীত অর্থাৎ ইতিবাচক চিন্তাটা নিয়ে ভাবতে শুরু করুন।

The Secret of the Lake –

শিভানা গোষ্ঠীর সাধুরা একটি স্থির স্বচ্ছ জলাশয়ের সামনে এসে তার জলে তাকাত এবং কল্পনা করত তাদের স্বপ্ন,ইচ্ছা বা যা তারা করতে চায় তা বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি জিনিস দুবার তৈরি হয়, প্রথমে তা তৈরি হয় আমাদের মনে এবং তার পরেই তার বাস্তবিক রূপলাভ সম্ভব হয়।

ভেবে দেখুন আমাদের চারপাশে আমরা যা কিছু দেখি, মানুষের করা যে কোনো আবিষ্কার সেগুলির কোনোটাই কিন্তু একদিনে সম্ভব হয়নি, সবকিছুই কেউ না কেউ আগে তার মনে ভেবেছে তারপরে সেটাকে বাস্তবিক রূপদান করেছে।

তাই যা আপনি চান, যেভাবে নিজেকে এবং নিজের জীবনকে দেখতে চান তা কল্পনা করুন, না এর জন্য আপনার কোনো জলাশয়ের প্রয়োজন নেই। আপনি নিজের বাড়ি, অফিস যেকোনো জায়গায় বসে চোখবুজে, গভীর শ্বাস নিয়ে নিজের কাঙ্খিত জীবন কল্পনা করুন। আপনার চিন্তাশক্তির অলৌকিক ক্ষমতা আছে আপনার সমস্ত ইচ্ছাকে পরিপূর্ণ করার।

প্রতিটি কৌশলই মনোযোগ সহকারে নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে তবেই তা ফলপ্রসূ হবে।

লাইটহাউস বা বাতিঘর এই গল্পের লাইটহাউস হল উদ্দেশ্যপূর্ণ জীবনের প্রতীক। লাইটহাউস আলো ফেলে সমুদ্রের জাহাজের নাবিককে দিকনির্দেশনা দেয় এবং তাকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করে ঠিক একইভাবে জীবনের যাত্রাপথে সঠিক দিকে চলার জন্য জীবনের একটা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকা প্রয়োজন।

প্রকৃত অর্থে জ্ঞানী তারাই যারা খুব ভালো ভাবে জানে যে তারা তাদের জীবনে কি চায়, সেটা উপাদানগত ভাবে হোক, মানসিকভাবে বা আধ্যাত্মিকভাবে।

যদি আপনি এটাই না জানেন যে আপনার গন্তব্য কোনটা তাহলে আপনি সেখানে পৌঁছবেন কি করে?

কাঙ্খিত লক্ষ্য ও জীবনের উদ্দেশ্যপূরণের জন্য দৃঢ়ভাবে একাগ্রতার সাথে কাজ করে তা অর্জন করতে পারলে মানুষ অফুরন্ত আনন্দের অধিকারী হয়।

The Power of Self Examination – 

নিজেকে খুব ভালোভাবে জানুন , কোন কাজটা করতে পারলে আপনি সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাবেন, নিজের জীবনকে আপনি ঠিক কোন কাজে লাগাতে চান যাতে আপনি বিরক্ত হয়ে নয় বরং অত্যন্ত আনন্দ ও উদ্যমের সাথে সেই কাজটি করে যেতে পারেন।

The ৫ step method of attaining goals – 

১. আপনার লক্ষ্যপূরণের ফলাফলের স্বচ্ছ প্রতিচ্ছবি কল্পনা করুন।

২. নিজের ওপর ইতিবাচক চাপ সৃষ্টি করুন সেই কাজের প্রতি উদ্যমী থাকার জন্য। 

৩. লক্ষ্যপূরণের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা স্থির করুন এবং আপনার লক্ষ্যকে একটি খাতায় লিখে রাখুন।

( আমাদের কোনো চিন্তাকে যদি আমরা লিপিবদ্ধ করি তবে তা আমাদের অবচেতন মনে আলাদা গুরুত্ব পায়, আপনার প্রতিটি লক্ষ্য তা শারীরিক, আর্থিক বা আধ্যাত্মিক হোক সেগুলি খাতায় আলাদা ভাগে ভাগ করে লিখে রাখুন )

৪. এই লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যে যে কাজগুলি করা দরকার তা একটানা ২১ দিন অবশ্যই করুন কারন কোনো কাজ সম্পূর্ণ ইচ্ছা ও উদ্যম নিয়ে একটানা ২১ দিন ধরে করলে তা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয় (The Magic Rule Of ২১).

৫. লক্ষ্যপূরণের এই যাত্রাকে উপভোগ করুন। কোনো উদ্দেশ্য পূরণের অর্থ এই নয় যে সেটা পাওয়ার জন্য আপনি জীবনের অন্যান্য সমস্ত দিকগুলিকে উপেক্ষা করবেন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করার সাথে সাথেই একাগ্র হয়ে নিজের লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যে এগিয়ে চলুন।

সুমো পালোয়ান – এই গল্পের সুমো পালোয়ান হল জাপানি শব্দ Kaizen এর প্রতীক। 

জাপানি দর্শন অনুযায়ী এই ‘Kaizen’ শব্দের অর্থ হলো অবিরত ও অন্তহীন উন্নতিসাধন।

আমাদের বাইরের জগত আমাদের ভিতরের জগতেরই প্রতিফলন মাত্র। বাইরের সমস্ত সফলতা শুরু হয় ভেতর থেকেই।

নিজের দেহ,মন ও আত্মার ক্রমাগত উন্নতিসাধনের মাধ্যমেই আত্মোন্নতিসাধন সম্ভব। আত্মনিয়ন্ত্রণই হল জীবন নিয়ন্ত্রণের DNA.

আত্মোন্নতিসাধনের কৌশল 

Do the Things You Fear –  যে কোনো ধরণের কাজ সফলভাবে করার জন্য দরকার সাহস ও উদ্যমের এবং এগুলি বাড়ানোর শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে সেই সমস্ত কাজ করা যা করতে আপনি ভয় পান। জীবনের যে কোনো ক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতা আমরা আমাদের মনেই তৈরী করি এবং যদি সেই সীমাকে অতিক্রম করার সাহস আমরা দেখাতে পারি তবেই সর্বোতপ্রকার উন্নতি সম্ভব।

The ১০ Ancient Rituals for Radiant Living – 

১. দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় অন্ততপক্ষে মিনিট ১৫ একই জায়গায় বসে নীরবতা ও স্থিরতাকে উপভোগ করুন ও নিজেকে জানুন। ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুতে যাওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের মনকে নানারকম চিন্তায় ব্যস্ত ও উদ্বিগ্ন করে রাখি তাই কিছু সময় অন্তত মনকে স্থির রেখে বিশ্রাম দেওয়া একান্ত প্রয়োজন এবং সম্ভব হলে দিনের অন্তত কিছু সময় প্রাকৃতিক পরিবেশে কাটান।

২. আমাদের দেহ ও মন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত, মনকে সুস্থ রাখার জন্য দেহকে সুস্থ রাখাও একান্ত প্রয়োজনীয় তাই নিয়মিত শ্রমসাধ্য ব্যায়াম করুন এবং দেহের প্রতিটি অংশে রক্তসঞ্চালনকে বাড়িয়ে তুলুন ও শরীরের সচলতা বৃদ্ধি করুন এবং নিয়মিত প্রকৃতির মাঝে জোরে হাঁটুন।

৩. সজীব প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণ করুন, সেই শাকসবজি, শস্যাদি ও ফলমূল দিয়ে আপনার খাবারের থালা ভরিয়ে ফেলুন এবং কৃত্রিম সমস্ত খাবার (Junk Food) পুরোপুরি বর্জন করুন।

৪. আজীবন একজন আগ্রহী ছাত্রের মতো শিখতে থাকুন, জীবনে ঘটে চলা প্রতিটি অভিজ্ঞতা থেকে জ্ঞান আহরণ করুন এবং সেই জ্ঞানকে কাজে লাগান অন্যকে সহায়তা করার জন্য। এজন্য প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত আধঘন্টা কোনো বই পড়ুন, অবশ্যই এমন কিছুই পড়বেন যা আপনার মনের বাগানকে আরো উর্বর করে তুলবে।

৫. নিয়মিত গভীর মননের অভ্যাস গড়ে তুলুন, দিনের শেষে আপনার সারাদিনে করা কাজগুলি সম্পর্কে ভাবুন অথবা লিখে ফেলুন আপনি কি কি করেছেন এরপর নিজেই বিচার করুন তার মধ্যে কোন কাজগুলি আরো ভালোভাবে করতে পারেন বা এর পরের দিন কোন কাজগুলি আরো গুরুত্ব সহকারে আগে সম্পন্ন করবেন। নিজের অন্তর্নিহিত শক্তিকে এভাবে আরো সক্রিয় করে তোলা সম্ভব।

৬. প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই ঘুম থেকে উঠুন এবং সম্ভব হলে ভোরের সূর্যের আলো নিজের ওপর গ্রহণ করুন।

৭. প্রতিদিন কোনো স্নিগ্ধ সুর বা সঙ্গীত শুনুন।

৮. প্রতিদিন জোরে জোরে কিছু positive affirmation করুন যা আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে সমৃদ্ধ করে তুলতে সাহায্য করবে।

৯. আপনার চরিত্রের সার্বিক বিকাশের জন্য প্রতিনিয়ত সচেষ্ট থাকুন। আমরা যে ধরনের চিন্তার বীজ মনের বাগানে বপন করি সেই অনুযায়ী কর্ম করি, যে ধরনের কর্ম আমরা প্রতিনিয়ত করি সেই অনুযায়ী আমাদের অভ্যাস গড়ে ওঠে, আমাদের অভ্যাসগুলিই আমাদের চরিত্র গড়ে তোলে এবং আমাদের চরিত্র অনুযায়ী আমাদের ভাগ্য নির্ধারিত হয়।

১০. জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর প্রতি প্রাধান্য দিয়ে সাধারণ জীবন যাপন করুন, সমস্ত অপ্রয়োজনীয় আতিশয্য ও বাহুল্য বর্জন করুন।

The Pink Wire Cable – এই গল্পের সুমোর পরনে থাকা গোলাপি সুতোর মতো কাপড় হলো আত্মসংযম ও নিয়মানুবর্তিতার প্রতীক।

প্রতিনিয়ত শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে করা ছোটো ছোটো কাজের মাধ্যমেই আত্মসংযম ও ইস্পাতের মতো মজবুত ইচ্ছাশক্তি গড়ে তোলা সম্ভব।

প্রতিযোগিতা অন্যের সাথে নয় সর্বদা নিজের সাথে করুন।ইচ্ছাশক্তির ক্ষমতা অসীম তাই মনের সমস্ত পঙ্গু ও দুর্বল চিন্তাভাবনাগুলিকে সরিয়ে শুধুমাত্র ইতিবাচক চিন্তাগুলোর প্রতি মনোনিবেশ করুন।

ইচ্ছাশক্তির তীব্রতা বৃদ্ধি পায় মনের নিয়ন্ত্রন দ্বারা। যদি আপনি আপনার মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তবে আপনি আপনার জীবনকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন আর যখন আপনি আপনার জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন তখন আপনি নিজের ভাগ্য নিজেই গড়ে তুলবেন।

Stopwatch – গল্পের চকচকে সোনার স্টপওয়াচ হলো আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান বস্তুর প্রতীক যা হলো – সময় 

যে সময় একবার চলে যায় তা আর কখনই ফিরে আসে না, আমাদের বাংলাতেও একটা প্রবাদ আছে ‘ সময় বহিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়’, তাই সময়কে গুরুত্ব দেওয়া খুব দরকারি, জীবনে উন্নতির অন্যতম মূলমন্ত্র হল সময়ের সঠিক ব্যবহার।

আমাদের করা ৮০% কাজ থেকে আমরা মাত্র ২০% ফল পাই অন্যদিকে আমাদের করা মাত্র ২০% কাজ থেকে আমরা ৮০% ফল লাভ করি, তাই অত্যন্ত জরুরি হলো ওই ২০% শতাংশ কাজকে চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার দেওয়া যেখান থেকে আমরা ৮০% ফল অর্জন করবো।

এ বিষয়ে Richard Koch এর লেখা একটি বই আছে যা হলো The 80/20 Principle: The Secret to Achieving More with Less – এটিও অবশ্যই পড়ে দেখুন।

Yellow Roses – গল্পের হলুদ গোলাপের সুবাস এর তাৎপর্য হলো – আমাদের জীবনের মূল্য নির্ধারিত হয় আমাদের অবদানের দ্বারা।

আমরা যখন অন্য কারোর জীবনকে উন্নত করার চেষ্টা করি তখন অজান্তেই নিজেদেরকে উন্নত করে তুলি। আমাদের সম্পর্কগুলিকে আমরা আরো সুন্দর করে তুলতে পারি।

The Path Of Diamonds – গল্পের হীরে বিছানো রাস্তা হলো জ্ঞানদীপ্ত জীবনের প্রতীক।

কৃতিত্ব বা লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টায় জীবনের আনন্দের মুহূর্তগুলোকে অবহেলা করা উচিত নয়,  এরম ভাবা উচিত নয় যে আনন্দ শুধুমাত্র কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনের পরই পাওয়া যাবে বরং যাত্রাপথটা উপভোগ করুন ও এগিয়ে চলুন।

চেষ্টা করেছিলাম খুব স্বল্প কথায় বইটির মর্মাথ নিজের ভাষায় তুলে ধরতে তা সত্ত্বেও লেখাটা বেশ বড়োই হয়ে গেল, বইটি আমার নিজের এতই ভালো লেগেছে যে নিজের মাতৃভাষায় এর সম্বন্ধে না লিখে থাকতে পারলাম না 

তাই নিজের জীবনকে সমৃদ্ধ করে তুলতে চাইলে আপনারাও বইটি অবশ্যই পড়ুন

The $100 Startup – বাংলা সারসংক্ষেপ

Rich Dad Poor Dad – বাংলা সারাংশ

The Richest Man In Babylon (ব্যাবিলনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি) – বাংলা সারমর্ম

DMCA.com Protection Status

Spread the love

Leave a Comment

error: Content is protected !!