ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

by

যে কোনো ব্যবসা (business), পণ্য (product), সার্ভিস (service) বা ব্র্যান্ড (brand) কে জনসাধারণের মধ্যে প্রচারের মাধ্যমে বাজারজাত করা এবং সেগুলির চাহিদা (demand) ও মূল্য (price) বৃদ্ধি করবার প্রক্রিয়াকে বলা হয় মার্কেটিং (marketing)।

এই একই কাজ যখন ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন ডিজিটাল (Digital) মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে করা হয়ে থাকে তখন তাকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং(Digital Marketing)।

ইন্টারনেটের দ্বারা করা হয় বলে ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) কে অনলাইন মার্কেটিং (Online Marketing) ও বলা হয়ে থাকে।

আপনি নিজের অজান্তেই প্রতিদিন ডিজিটাল মার্কেটিং এর সম্মুখীন হন। কতকগুলি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা আরো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন।

ধরুন আপনি কোনো জিনিস অনলাইনে কেনার জন্য amazon বা flipkart এর মতো কোনো ওয়েবসাইটে গেলেন তারপর সেখানে কিছুক্ষণ সময় নিয়ে বেশ কতকগুলি জিনিসের ডিটেলস দেখলেন হয়তো বা কয়েকটি প্রোডাক্ট add to cart ও করলেন কিন্তু কিনলেন না, এরপর আপনি গেলেন ফেসবুক (facebook) এ সেখানে স্ক্রল করতে করতে দেখলেন amazon এর একটি sponsored post বা advertisement যাতে সেই প্রোডাক্টটাই আপনি দেখতে পাবেন যেটা কিছুক্ষণ আগেই আপনি add to cart করেছেন। Amazon যে পদ্ধতিতে facebook এ আপনারই পছন্দ করা জিনিস আপনাকে দেখাচ্ছে সেটাই হল ডিজিটাল মার্কেটিং।

এবার ধরুন Youtube এ আপনি কোনো ভিডিও দেখছেন , শুরুতেই বা ভিডিও চলাকালীন কোনো advertisement এলো যেটা অন্তত ৫ সেকেন্ড না দেখে আপনি skip করতে পারবেন না এটাও একপ্রকার ডিজিটাল মার্কেটিং। 

আপনার স্ক্রিন এর ডানদিকে suggested videos এর তালিকাতেও দেখবেন সেই সমস্ত ধরণের ভিডিওই আসছে যেগুলো আপনি দেখতে পছন্দ করেন , এটাও ডিজিটাল মার্কেটিং।

এছাড়াও আপনার ইমেইল এ আসা ব্যাঙ্কের নানা অফার বা google এ কিছু সার্চ করলে একদম প্রথমে রেজাল্ট হিসেবে যে advertisement আসে এসবই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। আশা করছি এবার কিছুটা হলেও বুঝতে  পারছেন।

প্রথাগত মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর তফাৎ কি?

                                Traditional Marketing                                       Digital Marketing
                           এর প্রসার নির্দিষ্ট স্থানেই সীমাবদ্ধ                                      এর প্রসার বিশ্বব্যাপী
                                      লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট নয়                                            লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট
                                    অত্যন্ত   ব্যয়সাপেক্ষ                                           ব্যয়সাপেক্ষ  নয়
                                   ফলাফল নিশ্চিত নয়                                        ফলাফল সুনিশ্চিত

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা

১. এর প্রসার বিশ্বব্যাপী , ইন্টারনেট আছে এরম যেকোনো স্থানেই আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারি পৃথিবীর যেকোনো কোণা থেকে , ভৌগোলিক পরিসীমার কোনো বাধা নেই। 

ভারতবর্ষে বসেই আমরা পৃথিবীর যেকোনো দেশে যেমন USA, UK, Australia তে নিজেদের advertisement দেখাতে পারি এর জন্য আমাদের সশরীরে সেখানে উপস্থিত হওয়ার দরকার পরে না যা traditional মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অসম্ভব ছিল।

২. ডিজিটাল মার্কেটিং এ real time data track করা যায় অর্থাৎ আমাদের কোনো ad কতজন click করছে কোথা থেকে click করছে বিগত ১ মাস বা বিগত ১ সপ্তাহ অথবা শেষ ১ ঘন্টায় আমাদের ad কতজন দেখেছে, এই মুহূর্তে কতজন ad টি দেখছে এসব কিছুরই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে  আমরা সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য পেতে পারি।

৩. আমরা আমাদের লক্ষ্য অত্যন্ত সূক্ষভাবে সুনির্দিষ্ট করতে পারি ধরা যাক আমরা কোনো কসমেটিক্স প্রোডাক্ট এর ad চালাবো সেক্ষেত্রে আমরা ad টা শুধুমাত্র মহিলা user দের দেখাতে পারি এমনকি বয়স ও নির্দিষ্ট করে শুধুমাত্র ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী মহিলাদের দেখাতে পারি।

৪. এটা স্বল্প খরচেই করা সম্ভব , ছোটো ব্যবসায়ীরাও সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজেদের প্রসার বিস্তৃত করে লাভবান হতে পারে।

৫. সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে সরাসরি কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ করা বা তাদের ফীডব্যাক পাওয়া সহজ হয়।

৬. conversion rate খুব ভালো কারণ আমাদের লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট।

Inbound ডিজিটাল মার্কেটিং –   যে পদ্ধতিতে দর্শককে ভালো তথ্যের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে আকর্ষিত করে ব্যবসা বাড়ানো হয়।  যেমন – SEO, কনটেন্ট অপ্টিমাইজেশন , কনটেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি।

Outbound ডিজিটাল মার্কেটিং –  বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমকে ব্যবহার করে আপনার ব্যবসার প্রচার ও পরিচিতি বাড়ানোর পদ্ধতি। সোশ্যাল মিডিয়া ads , ppc ads প্রভৃতি।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের সুযোগ কি কি? ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বাড়বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ এর সুযোগও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। 

২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার ৫০% ইন্টারনেট ব্যবহার করে। শুধুমাত্র ভারতেই প্রায় ৭০ কোটি  মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে  এবং এই সংখ্যাটা দিনে দিনে বাড়তেই থাকবে।

১. ফ্রীল্যান্সিং

২. চাকরি (MNC আর স্টার্ট আপ )

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজে কোন কোন পদে নিযুক্ত হওয়া যায়?

১. ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যানেজার

২. content মার্কেটিং ম্যানেজার

৩. content writer

৪. Inbound মার্কেটিং ম্যানেজার

৫. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এক্সপার্টস

৬. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটার

৭. SEO Executive

৮. Conversion rate optimiser

৯. Copywriters

১০. Ad campaign ম্যানেজার ইত্যাদি।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর পদ্ধতিগুলো কি কি ?

১. SEO  – সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (সার্চ ইঞ্জিন মূলত গুগল এর প্রথম পাতায় আসার প্রক্রিয়া) – organic

২. PPC – পে পার ক্লিক বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং – Paid

৩. ইমেইল মার্কেটিং

৪. কনটেন্ট মার্কেটিং

৫. ফেসবুক অ্যাড

৬. ভিডিও মার্কেটিং

৭. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

৮. সোশ্যাল মিডিয়া অপ্টিমাইজেশন

৯. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

১০. অ্যাপ স্টোর অপ্টিমাই জেশন

১১. ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার

১২. গুগল অ্যানালিটিক্স ইত্যাদি।

কীওয়ার্ড রিসার্চ কি ?

ডোমেইন নেম কাকে বলে ?

DMCA.com Protection Status

Spread the love

Leave a Comment

error: Content is protected !!