আগের নিবন্ধে পলিটেকনিক দিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন কোর্সের আলোচনা করা হয়েছে আর এই নিবন্ধে আলোচনা করা হবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর আরো যে বিভিন্ন কোর্সগুলি আছে তার সম্পর্কে।
ডিপ্লোমা পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন কোর্স – পর্যায় :- দ্বিতীয়
এই স্ট্রীম গুলিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কিভাবে পড়া যায় ?
প্রতিটি স্ট্রীম জেক্সপো এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাস্ করে তবেই পড়া সম্ভব ।
ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং / Electrical Engineering
ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
ইঞ্জিনিয়ারিং এর এই শাখায় বিদ্যুৎকে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত কাজে ব্যবহার করার প্রক্রিয়া পড়ানো হয়।
ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ হল বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য দ্রব্যাদি যেমন ইলেকট্রিক মোটর , রাডার, কমিউনিকেশন এর জন্য ব্যবহৃত জিনিস , পাওয়ার জেনেরেশন ইকুইপমেন্টস , মিউসিক সিস্টেম, ন্যাভিগেশন সিস্টেম এর পার্টস প্রভৃতি প্রায় সমস্ত ইলেক্ট্রিক্যাল বা ইলেকট্রনিক জিনিসের ডিজাইন করা , তা ম্যানুফ্যাকচার করা ও মেইনটেন্যান্স করা।
কাজের সুযোগ কেমন ?/ কি কি চাকরি পাওয়া যায় ?
আমরা সকাল থেকে রাত অবধি বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি দ্বারা ঘিরে আছি তাই এই যন্ত্র বা মেশিনারির বাজার ও খারাপ নয় , মাথার উপরে থাকা ফ্যান, টিভি থেকে গিজার , ফ্রিজ থেকে ওয়াশিং মেশিন, মিক্সার থেকে জল তোলার পাম্প সবই বৈদ্যুতিক যন্ত্র তাই এই সমস্ত যন্ত্রাংশ উৎপাদন করে এমন কোম্পানি তে কাজ পাওয়া সম্ভব। এবার দেখার বিষয় হলো ডিপ্লোমা করে কি কি কাজ পাওয়া যায় –
ডিপ্লোমা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজের বিভিন্ন স্পেশালাইসেশন এর ক্ষেত্র গুলি হলো –
পাওয়ার
ইলেক্ট্রনিক্স
কন্ট্রোল
মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স
সিগন্যাল প্রসেসিং
টেলিকম্যুনিকেশন
ইন্সট্রুমেন্টেশন
কম্পিউটার
মেকাট্রনিক্স
যে যে কোম্পানি গুলি ডিপ্লোমা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ করে তাদের কয়েকটি হল –
NEEPCO, SAIL, BHEL, and NTPC, Jindal Steel and Power Limited, Hindustan Motors, OMEGA elevators, L&T Construction ইত্যাদি।
কোন কোন গভর্নমেন্ট কলেজে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয় ?
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় বেশিরভাগ পলিটেকনিক কলেজগুলোতেই ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয়।
পড়ার খরচ কত ?
৩ বছরের মোট কোর্স ফী প্রায় ২০০০ টাকার মধ্যে।
ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোল)।Electrical Engineering (Industrial Control)
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ( ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোল ) কি ?
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাব-ব্রাঞ্চ হলো ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোল। যারা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে তাদের সাথে এই সাব ব্রাঞ্চের সিলেবাসও পুরো এক, শুধুমাত্র অতিরিক্ত একটি সাবজেক্ট পড়তে হয় যার নাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোল।
যেকোনো ইন্ডাস্ট্রি বা ফ্র্যাক্টরি বা প্রতিষ্ঠান তা সফটওয়্যারই হোক বা হার্ডওয়্যার বা বড় ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, তা দাঁড়িয়ে আছে তার ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম এর উপর আর এই ইলেক্ট্রিক্যাল সিস্টেম কন্ট্রোল করাই শেখানো হয় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোল) শাখায় যেখানে ইঞ্জিনিয়ার কে কন্ট্রোল রুমে বসে সমস্ত ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম কে কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
যথেষ্ট ভালো স্ট্রিম, যদি কেউ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায় কিন্তু হয়তো তা পড়তে পাচ্ছেনা তাহলে অবশ্যই কাউন্সিলিং এর সময় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ( ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোল ) কে দ্বিতীয় পছন্দ বাছতেই পারবে।
যেসব জায়গায় ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর রিক্রুটমেন্ট বা নিয়োগ হবে সেই সমস্ত ফর্ম একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ( ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোল ) এর ইঞ্জিনিয়ারও অনায়াসে ফিল আপ করতে পারবে, আবেদন যোগ্য হবে ও কাজ করতে পারবে।
কোন কোন গভর্নমেন্ট কলেজে পড়ানো হয় ?
একমাত্র কোলাঘাট গভর্নমেন্ট কলেজে পড়ানো হয়।
কোলাঘাট গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজ, পূর্ব মেদিনীপুর –
ঠিকানা – Village- Amalhanda
Kolaghat
Purba Medinipur: 721134
E-mail: kolagovpoly@gmail.com
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট –
https://polytechnic.wbtetsd.gov.in/polytechnic/academics/programs/kolaghatgovpoly
খরচ কেমন ?
খুবই কম খরচেই পড়া যাবে কারণ গভর্নমেন্ট কলেজে অন্যান্য কোর্স গুলি দেখতেই পাচ্ছ কত স্বল্প মূল্যে করা যায়।
ইলেকট্রিক্যাল & ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং| Electrical & Electronics Engineering | EEE
ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
এই ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা হল ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি ইন্টিগ্রেটেড ব্রাঞ্চ যেখানে পাওয়ার জেনারেশন ( বিদ্যুৎ উৎপাদন ) ডিস্ট্রিবিউশন ( সরবরাহ ), কম্যুনিকেশন ও মেশিন কন্ট্রোল করার পদ্ধতি, বিদ্যুতের প্রযুক্তিগত বিভিন্ন প্রয়োগ, বিভিন্ন circuitry & electronic equipment এর ডিজাইন ও তার প্রয়োগ পদ্ধতি শেখানো হয়।
ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে শক্তি ( এনার্জি ) ও ক্ষমতা ( পাওয়ার ) ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। বিভিন্ন পদ্ধতিতে শক্তির উৎপাদন ও তার প্রয়োগ যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই যেমন টারবাইন, গ্যাস, হাইড্রো, সোলার, উইন্ড ও জিওথার্মাল এনার্জির ক্ষেত্র গুলিও এই ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক।
(EEE) মানে শুধু ইলেক্ট্রিক্যাল যন্ত্রাবলী বা applaiance নিয়ে কাজ করা নয় সাথে কম্পিউটার , ইলেকট্রনিক্স , কমিউনিকেশন ও মেকানিক্যাল ফিল্ড এও কাজ করা যাবে।
কোন কোন গভর্নমেন্ট কলেজে পড়ানো হয় ?
ইসলামপুর গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক, উত্তর দিনাজপুর –
আসন – ৫৪ টি
ঠিকানা – NH 31
Islampur
Uttar Dinajpur,733202
ফোন নং – – 03526256171
https://polytechnic.wbtetsd.gov.in/islampurgovpoly
মীরমদন মোহনলাল গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক, নদীয়া –
আসন- ৬০
ঠিকানা – গ্রাম: গোবিন্দপুর , PO – পলাশী , নদীয়া
ইমেইল : mmgovtpoly[at]gmail[dot]com
ফোন নং : 9474677578
পিন কোড : 741156
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট –
https://s33c7781a36bcd6cf08c11a970fbe0e2a6.s3waas.gov.in/public-utility/mirmadan-mohanlal-government-polytechnic-college/
পড়ার খরচ কত ?
অন্যান্য স্ট্রীমের পলিটেকনিকের মতোই।
ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং (পাওয়ার সিস্টেম )। Electrical Power System-
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ( পাওয়ার সিস্টেম ) কি ?
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাব ব্রাঞ্চ হলো ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাওয়ার সিস্টেম । এটিও ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোলের মতো।
যারা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে তাদের সাথে এই সাব ব্রাঞ্চের সিলেবাস ও পুরো এক , শুধুমাত্র অতিরিক্ত একটি সাবজেক্ট পড়তে হয় যার নাম পাওয়ার সিস্টেম ।
আসলে আমাদের দেশ এতো জন বহুল একটি রাষ্ট্র যে তাতে ছাত্র সংখ্যাও নেহাত কম নয়, এক একটি স্ট্রিমের উপর ছাত্র সংখ্যার প্রবল চাপ কমিয়েও এই বিপুল ছাত্রদের জন্য বিভিন্ন স্ট্রিমে পড়ার ব্যবস্থা করতেই এক একটি স্ট্রিম কেই বিভিন্ন নামে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যেকোনো ইন্ডাস্ট্রি বা ফ্র্যাক্টরি বা প্রতিষ্ঠান তা সফটওয়্যার ই হোক বা হার্ডওয়্যার বা বড় ম্যানুফ্যাকচারিং দাঁড়িয়ে আছে তার ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম এর উপর।
আর এই ইলেক্ট্রিক্যাল সিস্টেম ইলেক্ট্রিসিটি generation, transmission, distribution, and utilization of ইলেকট্রিসিটি শেখানো হয় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ( পাওয়ার সিস্টেম ) শাখায়।
যথেষ্ট ভালো স্ট্রিম, যদি কেউ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায় কিন্তু পড়তে না পারে পারেতাহলে অবশ্যই কাউন্সিলিং এর সময় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ( পাওয়ার সিস্টেম ) কে দ্বিতীয় বা তৃতীয় পছন্দ বাছতেই পারবে।
যেসব জায়গায় ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর রিক্রুটমেন্ট বা নিয়োগ হবে সেই সমস্ত ফর্ম একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ( পাওয়ার সিস্টেম )) এর ইঞ্জিনিয়ার ও অনায়াসে ফিল আপ করতে পারবে ও আবেদন যোগ্য হবে ও কাজ করতে পারবে।
কোন কোন গভর্নমেন্ট কলেজে পড়ানো হয় ?
একমাত্র কোলাঘাট গভর্নমেন্ট কলেজে পড়ানো হয়।
আসন সংখ্যা – ৬০, খরচ – ১৯০০ টাকার মধ্যে ( মোট ৩ বছরের )
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট –
https://polytechnic.wbtetsd.gov.in/polytechnic/academics/programs/kolaghatgovpoly
খরচ কেমন ?
খুব ই কম। কারণ গভর্নমেন্ট কলেজে অন্যান্য কোর্স গুলি দেখতেই পাচ্ছ কত স্বল্প মূল্যে করা যায়।
ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনস্ট্রুমেনটেশন | (Electronics & Instrumentation Engineering)
ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড ইন্সট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্সট্রুমেন্টেশন হল ইঞ্জিনিয়ারিং এর এমন একটা কম্বিনেশন স্ট্রিম যেখানে ইলেকট্রনিক্স ও অটোমেশন একসাথে হাত ধরাধরি করে থাকে। ইন্সট্রুমেন্টেশন যে কোনো ম্যানুফ্যাক্চারিং বা প্রোডাকশন ক্ষেত্রে অত্যাবশকীয় একটি বিভাগ।
এই স্ট্রীমের সিলেবাসের সাথে কিছু বিষয়ের EC স্ট্রিমের সাথে মিল আছে এবং কিছু EE স্ট্রিমের সাথে মিল আছে। ইঞ্জিনিয়ারিং এর এই স্ট্রিম যথেষ্ট ভালো সুযোগ দিতে পারে একজনের কেরিয়ার তৈরী তে কিন্তু সেক্ষেত্রে ডিপ্লোমা করে চাকরি করে তারপর বি টেক করার কথাও ভাবতে হবে।
কেউ যদি পড়াশোনা চলাকালীন PLC & SCADA কোর্স গুলি করে নিতে পারে তাহলে সত্যি PLC & SCADA প্রোগ্রামার হিসেবে যথেষ্ট ভালো বেতনের চাকরি পাওয়া যাবে।
একজন ইন্সট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ার এর প্রধান কাজ হল বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেম, মেশিনারি ও প্রসেসকে কন্ট্রোল করা,মনিটর করা, ম্যানেজ করা, সেগুলি ডিজাইন করা, ইনস্টল করা ও ডেভেলপ করা।
ইন্সট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং হলো মেকাট্রনিক্স ও রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল ভিত্তি বা বেসিক সাইন্স।
ইন্সট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করে বি টেক করার পর ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য যে যে কর্মক্ষেত্রগুলি খুলে যায় সে গুলি হল – সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার, নেটওর্য়াক প্ল্যানিং ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিকাল ডিরেক্টর সফটওয়্যার এনালিস্ট, কাস্টমার সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট, ফিল্ড টেস্ট ইঞ্জিনিয়ার এছাড়াও রিসার্চ ইনস্টিটিউটগুলিতেও কাজের যথেষ্ট ভালো সুযোগ রয়েছে।
কিন্তু খেয়াল করে দেখো এই ক্ষেত্র গুলিতে কাজ করার সুযোগ তখন ই তুমি পাবে যখন তুমি ডিপ্লোমা করার পর উচ্চশিক্ষা অর্থাৎ বিটেক করে নিতে পারবে। তার আগে অবধি অর্থাৎ ডিপ্লোমা করে কিন্তু ফিল্ড ওয়ার্ক এর/ ডিজাইনিং এর কাজ এর সুযোগ ই বেশি পাওয়া যাবে।
কাজের সুযোগ কেমন ?/কি কি চাকরি পাওয়া যায় ?
কাজের সুযোগ যথেষ্ট ভালো , বিশেষ করে বিটেক করার পর সত্যি সুযোগ খুবই ভালো। যে যে ক্ষেত্র গুলি তে এই স্ট্রিমের ছাত্রছাত্রীদের কাজ করার জন্য আছে তা হলো- ডিসাইন, ডেভেলপমেন্ট, অটোমেশন, কন্ট্রোল, ফ্যাব্রিকেশন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ও ইন্সপেকশন পরিষেবা ক্ষেত্র গুলিতে।
জব রোল গুলি হলো- ইনস্ট্রুমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ার,কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার, কন্ট্রোল সিস্টেম টেকনোলজিস্ট , প্রসেস এনালাইজার ইটিয়াদি
প্রাইভেট সেক্টরের পাশাপাশি গভর্নমেন্ট সেক্টরেও চাকরির সুযোগ ভালো।
সেরকম ই কিছু ইনস্টিটিউট হলো- DRDO, BSNL, ISRO,BARC, IOC, NTPC, রেল, HAL, AAI ইত্যাদি
স্যালারি কেমন ?
না শুধু ডিপ্লোমা করে যদি ভাবো যে এক লাখি মাইনের চাকরি করতে পারবে, তা একেবারেই নয়। ওই ঝাঁ চকচকে জীবন চাইলে অবশ্যই বিটেক করতে হবে কিন্তু ডিপ্লোমা করেও যথেষ্ট ভালো চাকরি করা যায় তারপর আসতে আসতে অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে নিলে মাইনেও/বেতন ও বাড়তে থাকে।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রের সোপান মাত্র। যদিও বিটেক ও তাই। তাই যদি কারোর এই বিষয়ে মাস্টার্স করার ইচ্ছে হয় তাহলে ডিপ্লোমা করে সে উচ্চশিক্ষার দিকে পা বাড়াক আর যদি জীবন ধারণের জন্য চাকরি আবশ্যিক হয় তাহলে সেই চাকরির বাজার ও খারাপ নয়।
কোন কোন গভর্নমেন্ট কলেজে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনস্ট্রুমেনটেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা পড়ানো হয় ?
নর্থ ক্যালকাটা পলিটেকনিক –
ঠিকানা – 15, Gobinda Mondal Lane
Cossipore
Kolkata: 700002
ইমেইল : principal.ncp.1@gmail.com
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট –
https://polytechnic.wbtetsd.gov.in/northcalpoly
শিলিগুড়ি পলিটেকনিক –
ঠিকানা – 1, Dabgram colony
Siliguri
Darjeeling: 734006
ইমেইল : siligovtpoly@gmail.com
ফোন নং – 03532596277
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট –
https://polytechnic.wbtetsd.gov.in/siligurigovpoly
ইন্সট্রুমেন্টেশন এন্ড কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিং | (Instrumentation & Control Engineering )
এটা কি ইলেক্ট্রনিক্স & ইন্ট্রুমেন্টেশনের থেকে আলাদা ?
হ্যাঁ ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগ হিসেবে ইলেক্ট্রনিক্স & ইন্ট্রুমেন্টেশনের চেয়ে আলাদা হলেও দুটি স্ট্রিমের সিলেবাস এর কিছু মিল বর্তমান।
কোথায় পড়ানো হয় ?
পশ্চিমবঙ্গে একটি মাত্র গভর্নমেন্ট কলেজে এখনো অবধি পড়ানো হয় তা হলো –
ময়নাগুড়ি গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজ , জলপাইগুড়ি
আসন সংখ্যা – ৬০ টি
ঠিকানা – P.O.- Domohani, P.S.- Maynaguri , Dist.-Jalpaiguri, PIN – 735302.
ফোন নং -03561-234010
অফিসিয়াল মেল আইডি –
maynaguripoly@gmail.com
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?/Mechanical Engineering/ME
ইঞ্জিনিয়ারিং এর এই শাখা তে বিভিন্ন মেশিনারি তা ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিন হতে পারে, ট্রান্সপোর্টেশনের মেশিন বা রোবটের মেশিন, স্যাটেলাইট এর মেশিন , হসপিটালের মেশিন, ফ্যান, বা যেকোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, রেল, জাহাজ, গাড়ি প্রভৃতি জিনিসের ডিজাইন করা, বানানো, মেইনট্যান্সনাস ও রিপেয়ারিং করা।
ছোট বড় প্রায় সমস্ত কারখানায় বিভিন্ন প্রকার মেশিন ব্যবহার করা হয় ,সেগুলি সমস্ত বানানোর কাজ এই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের।
কোন কোন গভর্নমেন্ট কলেজে পড়ানো হয় ?
প্রায় বেশিরভাগ গভর্নমেন্ট কলেজে পড়ানো হয় এই বিভাগ।
কাজের সুযোগ কেমন ?
যেহেতু ছোট বড় সমস্ত কলকারখানায় মেশিন ই বেশির ভাগ কাজ করে তাই সেগুলি বানানোর কাজের লোকের ও দরকার, এরকম একেবারেই নয় যে শুধু কারখানার ভিতর ম্যানুফ্যাকচারিং ই শুধুমাত্র এই ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্র, বরং চাইলে তারা কম্পিউটার বসে ডিজাইন এর কাজও করতেপারে , এবং তাতেও যথেষ্ট ভালো টাকা বেতন পাওয়া যায়।
মেকাট্রনিক্স | Mechatronics | MTR –
এটি হল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সেই স্ট্রিম যেখানে এমন মেশিনের ডিজাইন করা, ম্যানুফ্যাকচারিং করা, ও তার মেইনটেন্যান্স করা শেখানো হয় যেখানে মেকানিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স সিস্টেম একসাথে কাজ করে।
মেকাট্রনিক্সে মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলি কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং একসাথে হাত ধরাধরি করে চলে। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু যন্ত্রপাতির সম্মুখীন হই যা এই মেকাট্রনিক্সের ফলাফল।
যেমন –
রোবোটিক সার্জারি – রোবটের একহাতে থাকে ক্যামেরা আর অন্য হাতে সার্জারির ইনস্ট্রুমেন্ট , তাতে সুবিধা হল এই যে কম কাটাকুটি করতে হয় রক্তপাত কমানো যায় , ইনফেকশনের চান্স কমে এবং তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া যায়। চোখের অস্ত্রোপ্রচার, হাঁটুর অস্ত্রোপ্রচার এর জন্য এই রোবোটিক সার্জেরী যথেষ্ট ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
গাড়ির ক্ষেত্রে – মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং আন্টি লক ব্রেক ও স্টেবিলাইজেসন, এয়ার ব্যাগ ইনফ্লেশন , সম্পূর্ণ অটোনোমাস অর্থাৎ স্বয়ংক্রিয় গাড়ি তৈরী করে বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।মহাকাশে যে এতো স্যাটেলাইট পাঠানো হচ্ছে সেগুলিও এই মেকাট্রনিক্সেরই ফসল।
কোন কোন গভর্নমেন্ট কলেজে পড়ানো হয় ?
রাজ্য সরকারি কোনো গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজ নেই যেখানে মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা পড়ানো হয়।
কাজের সুযোগ কেমন ?
যেখানে যেখানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রা ও ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার রা কাজের সুযোগ পায় সেরকম বেশিরভাগ জায়গায়ই মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করতে পারবে।তাই কাজের বাজার খুব খারাপ নয়।
বেশিরভাগ ইঞ্জিনিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট গুলিতেই কাজের সুযোগ পাবে।
কিছু ক্ষেত্রে ল্যাবরেটরিতেও কাজের সুযোগ পেতে পারো কিন্তু যদি ভাব মেকাট্রনিক্স বেশ আধুনিক ইন্টারেস্টিং স্ট্রীম এবং নাসা/ইসরো যেসব রোবট বানায় চাঁদে যাবার জন্য সেই সব প্রজেক্টে তুমি কাজ করবে তাহলে সে আশায় জল ঢালাই ভালো। ওরকম হাই প্রোফাইল কাজের জন্য নিজের ডিগ্রী ও নিজের পড়াশোনা করে শেখার ইচ্ছে দুই থাকতে হবে। মেকাট্রনিক্সে শুধু ডিপ্লোমা করে ওসব হবেনা।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনারিং (প্রোডাকশন) |Mechanical Engineering (Production)|MEP –
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ই একটা পার্ট বা সাব ব্রাঞ্চ হলো – প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং তাই প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে যেখানে যেখানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রা আবেদন যোগ্য সেখানেই প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ার রাও আবেদন করতে পারবে।
কোন কোন গভর্নমেন্ট কলেজে পড়ানো হয় ?
নজরুল সেন্টিনারি পলিটেকনিক কলেজ । Nazrul Centenary Polytechnic College.-
কলেজ হিসেবে ভালো , খরচ ও কম কিন্তু এই কলেজের ক্যাম্পাসিং এর উপর সবার খুব ভরসা নেই , তাই যদি পড়াশোনা করে নিজের চেষ্টায় চাকরি জোগাড় করতে পারো বা বিটেক এর জন্য পড়াশোনা করতে চাও তা করতে পারো।
ঠিকানা -Rupnarayanpur, Hindustan Cables Road
Salanpur
Paschim Bardhaman: 713335
E-mail: ncproop@yahoo.co.in
খরচ- ১৯০০ টাকার মতো , আসন- ৬০
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট –
https://polytechnic.wbtetsd.gov.in/nazrulcentpoly
কাজের সুযোগ কেমন ?
কাজের সুযোগ খারাপ নয় কারণ যেকোনো ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট তা সে ছোটো বা বড় যাই হোক, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর প্রয়োজন পড়ে।
মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং | Metallurgical Engineering | MET –
মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এমন একটি শাখা যার ব্যাপ্তি বিশাল।
Metal extraction, testing of metals, metal refining and processing, প্রভৃতি সমস্ত বিষয় গুলি নিয়ে তৈরী হয়েছে মেটালার্জি।মেটালার্জির বিভিন্ন বিষয় গুলি হলো ফিজিক্যাল মেটালার্জি , মেকানিক্যাল মেটালার্জি, এক্সট্র্যাক্টিভ মেটালার্জি, corrosion মেটালার্জি, ও ওয়েল্ডিং মেটালার্জি।
এই এতো গুলো বিষয়কে দুভাগে ভাগ করা যায় যথা – ফিজিক্যাল মেটালার্জি ও কেমিক্যাল মেটালার্জি।
ফিজিক্যাল মেটালার্জি হল সেই বিষয় যেখানে মেটালের বা ধাতুর ফিজিক্যাল বা ভৌত অবস্থার ও ধর্মাবলী নিয়ে কাজ করা হয়।
কেমিক্যাল মেটালার্জি হল সেই বিষয় যেখানে মেটালের বা ধাতুর কেমিক্যাল ধর্মাবলী নিয়ে কাজ করা।
কি কি ধরণের কাজের সুযোগ আছে ?
কোয়ালিটি কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্টে।
alloy ডিজাইন করা।
মেটেরিয়াল ডিসাইন করা
কোন কোন কোম্পনি তে কাজের সুযোগ আছে ?
তেল উত্তোলন কারী সংস্থা, ডিফেন্স, মেটালার্জিক্যাল ল্যাব, আয়রন স্টিল ইন্ডাস্ট্রি প্রভৃতি সেক্টরে।
মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা যে যে কোম্পানি তে কাজের সুযোগ পেতে পারে সেগুলি হল-
আয়রন ও স্টিল ইন্ডাস্ট্রি :
- Steel Authority of India Ltd (SAIL)
- Visakhapatnam Steel Plant
- Visakhapatnam Jindal Steel Works (JSW) – Bellary
- TISCO- Jamshedpur
- POSCO
- USHA Martin group
- Essar Steels
- National Mineral Developing Corporation (NMDC) Kudrumukh Iron Ore Ltd .
- National Alumnium Co. Ltd. (NALCO)
- HINDALCO
- Sterlite group
- Hindustan Zinc Ltd
- Hindustan Copper Ltd. (HCL)
- MIDHANI, etc
তৈল কোম্পানি :
- HPCL
- IOCL
- BPCL etc.
রিসার্চ ইনস্টিটিউট :
- DMRL (Defence Metallurgical Research Laboratory)
- NML (National Metallurgical Laboratory)
- BARC (Bhaba Atomic Research Center)- Mumbai
- IGCAR (Indira Gandhi Center for Atomic Research)- Kalpakkam
- Hindustan Aeronautical Ltd (HAL) – Bangalore
- CMET- Labs, Hyderabad
কোন কোন কলেজে পড়ানো হয়?
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিক, ঝাড়গ্রাম
ঠিকানা – P.O.- Sevayatan, P.S.- Jhargram, Dist.- Jhargram, PIN-721514.
ফোন নং- 03221-201136
পুরুলিয়া পলিটেকনিক , পুরুলিয়া –
ঠিকানা – P.O.-Vivekananda Nagar, Dist.-Purulia, PIN -723147.
ফোন নং – 03252-246198
ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট ফর জুনিয়র এক্সেকিউটিভ ( দালাল পুকুর) , হাওড়া
ঠিকানা – M.B. Road, Dalalpukur, Dist.-Howrah, PIN-711104.
ফোন নং- 033-26678222
বাঁকুড়া গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক –
ঠিকানা – Kalpathar, Bankura, PIN-722146
ফোন নং- 3242201075
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট –
https://polytechnic.wbtetsd.gov.in/bankuragovpoly
মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং | Mining Engineering | MIN
ইঞ্জিনিয়ারিং এর এই শাখা তে বেশিরভাগ টাই শেখানো হয় কিভাবে খনি থেকে বিভিন্ন ধাতু বা মেটাল এর আকরিক উত্তোলন করা হয়, তা থেকে ধাতু নিষ্কাশন করা এবং সেই নিষ্কাশিত ধাতু কে প্রসেসিং করে তা ব্যবহার যোগ্য করে তোলা হয় তার পদ্ধতি ।
এর সাথে যেসব জায়গায় খনি থাকার সম্ভাবনা আছে সেগুলি পরীক্ষা করা, আবিষ্কার করা, খনি তৈরি করা, আকরিক উত্তোলন করা, তা থেকে ধাতু বানানো, তা মার্কেটিং করা, খনির জমির আশপাশের সমস্ত জায়গা কে পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনা, সম্বন্ধীয় সমস্ত কিছুই এই বিষয়ে পড়ানো হয়।
কোন কোন গভর্নমেন্ট কলেজে পড়ানো হয় ?
হরশংকর ভট্টাচার্য ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি , বর্ধমান
খরচ – ১৯০০ টাকা, আসন – ৫০ টি
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://hbitm.co.in/
ঠিকানা- NH60 ,Girjapara, Raniganj, West Bengal 713347
ফোন নং- 0341 244 4196
আসানসোল পলিটেকনিক কলেজ , পশ্চিম বর্ধমান
https://polytechnic.wbtetsd.gov.in/asansolpoly
কাজের সুযোগ কেমন ?
কাজের সুযোগ ভালো কারণ এই সব জায়গায় কাজের লোক কম পাওয়া যায় , কিন্তু ওই জায়গায় টিকে থাকা মুশকিল তাই , এই ধরণের ফিল্ড বাছার আগে খুব ভালো করে খোঁজ খবর নাও যারা এই ফিল্ডে পড়াশোনা করছে বা করে চাকরি করছে তাদের ফিল্ড এক্সপেরিয়েন্স কেমন , তুমি যদি মনে করো ওই ধাক্কা সহ্য করতে পারবে তবেই এগোও , অন্যথায় অন্য স্ট্রিম নেওয়া ই ভালো।
যদিও এখন সমস্ত স্ট্রিমেই ডিজাইন সেক্টরে কাজ করলে তা ডেস্ক জব হয় , ফিল্ড বা সাইটের ওই প্রতিকূল পরিস্থিতে তে থাকতে হয়না, কিন্তু কোনো ডিজাইন ই সম্পূর্ণ হবে না এবং ডিজাইনার ই তার ক্যারিয়ার এ উঁচুর দিকে উঠতে পারবেনা যদি না ডিজাইনার এর ফিল্ড এক্সপেরিয়েন্স থাকে।
Mine Surveying | MIS-
মাইন্ সার্ভেয়ার দের কাজ হলো যখন কোনো খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায় তখন সেখানে খনি বানানোর জন্য যা যা করতে হয় যেমন মাপ জোপ এবং যাতে নিরাপদে সমস্ত খনি তৈরির পদ্ধতি তৈরী করা, খনির ডিজাইন করা, প্ল্যানিং করা, মাটির উপরের শিলার নিরাপত্তা বজায় রাখা যাতে নির্মাণ ও খনন চলাকালীন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য সেফটি ব্যবস্থা করা , খনির ভিতরের প্রবেশপথ তা বানানো ও তার রক্ষনাবেক্ষন ব্যবস্থা করা ও সমস্ত প্ল্যানিং করা।
৩ ধরণের মাইন্ সার্ভেয়ার হয় – ১) কোয়ান্টিটি সার্ভেয়ার – এরা ঠিক করে একটি খনি বানাতে ঠিক খরচ হবে তার এস্টিমেট করা ও যাতে সেই প্রস্তাবিত খরচের মধ্যে খনি বানানোর কাজ শেষ হয় তার দেখভাল করা।
২) কার্টোগ্রাফার – খনির ম্যাপ বানানো।
৩) হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভেয়ার- সমুদ্রের জলের তলায় সিবেড এর নিচে বা সমুদ্রের আশেপাশে যদি খনি আবিষ্কার হয় তাহলে খনিজ পদার্থ উত্তোলন আরো সমস্যার সম্মুখীন হয় তাই এই সব পদার্থ উত্তোলন বিশেষ কিছু পদ্ধতিতে হয়, তো সেইসব উত্তোলনের জন্য মাপ জোপ করা , মেজারমেন্ট নেওয়া , সিবেডের তলা কি ধরণের শিলা দিয়ে গঠিত তা স্টাডি করা ও সেই অনুযায়ী উত্তোলনের ব্যবস্থা করা কাজ এই সার্ভেয়ারদের।
কোন কোন গভর্নমেন্ট কলেজে পড়ানো হয় ?
একমাত্র –
আসানসোল পলিটেকনিক কলেজ , পশ্চিম বর্ধমান –
মাইনিং এর জন্য যথেষ্ট ভালো কলেজ।
খরচ -১৯০০ টাকা।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট –
https://polytechnic.wbtetsd.gov.in/asansolpoly
কাজের সুযোগ কেমন ?
সার্ভে ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে মাইন্ সার্ভেয়িং ইঞ্জিনিয়ারিং এর পার্থক্য হলো মাইন্ সার্ভেয়িং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে চাকরি শুধুমাত্র খনি যেখানে আছে বা সম্ভাব্য খনি যেখানে আছে বলে অনুমান করা হয় সেখানেই কাজ করতে হবে , তাই কাজ যে শহরের মধ্যেই পেতে পারবে এমন নয় ,কিন্তু সার্ভে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে শহরে ও গ্রামে যেকোনো জায়গায় যেখানেই কন্সট্রাকশনের কাজ হবে সেখানে কাজ করতে পারবে।
তাই এই মাইন্ সার্ভেয়িং ইঞ্জিনিয়ারিং তাদের পড়া উচিত নয় যারা শহর ছেড়ে বেরোতে চাও না , সহজ ভাষায় যারা কষ্টসহিষ্ণু নও। কারণ খনি কখনো শহরের মধ্যে হয়না এবং জীবনযাত্রাও খুব নিরাপদ ও বিড়ম্বনা বিহীন নয়।
কিন্তু যদি কারোর কষ্ট করার সামর্থ্য থাকে এবং জীবনে অ্যাডভেঞ্চার কেই আনন্দ বলে ভাবতে পারো তাহলে এই স্ট্রিমে পড়তে পারো। যদিও কলেজে বই খাতায় পড়া আর আসল সাইট এর অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ আলাদা ও কষ্ট সাপেক্ষ।
কাজের সুযোগ ভালোই আছে। কিন্তু ডেস্ক জব যেহেতু নয় তাই এই ফিল্ড ও সবার জন্য নয়।
এই লিংক থেকে জানতে পারবে বিগত বছরে প্রতিটি কলেজে ছাত্রভর্তি বিভিন্ন স্ট্রিম অনুযায়ী কোন Rank থেকে হচ্ছিলো-
https://jexpo.webscte.co.in/seat-Information/GOVERNMENT/ASN/MS
পলিটেকনিক দিয়ে কোন কোন শাখায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যায় ? – প্রথম পর্ব
পশ্চিমবঙ্গে ডিসট্যান্স এডুকেশনের মাধ্যমে কোথায় গ্র্যাজুয়েশন ও মাস্টার্স করা যায় ?