আগা খান ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২২ – স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য ও J.N. TATA ENDOWMENT LOAN SCHOLARSHIP – স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য।
আগা খান ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ
এই স্কলারশিপটি স্নাতকের পর যে সব পড়ুয়ারা স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করছে শুধুমাত্র তাদের জন্য।
দ্রষ্টব্য –
যদিও আগা খান ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ মাস্টার্স করার জন্যই স্কলারশিপ দেয় কিন্তু তাও যদি কোনো পড়ুয়া পিএইচডি পড়তে চায় স্কলারশিপের টাকায়, তাহলে তাও আগা খান ফাউন্ডেশন প্রদান করবে।
কিন্তু সেক্ষেত্রে পিএইচডি প্রোগামের স্কলারশিপ পেতে পারবে প্রথম ২ বছরের জন্য, বাদ বাকি বছরের জন্য অন্য কোনো ব্যবস্থা পড়ুয়াকে করে নিতে হবে।
আর যারা পিএইচডি করার জন্য এই স্কলারশিপের আবেদন করতে চাইবে সেই সব পড়ুয়াদের প্রমান দেখাতে হবে যে তাদের প্রফেসররা পিএইচডি করার জন্য উপদেশ দিচ্ছেন যাতে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতে কাজের সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল হয়।
Bangladesh, India, Pakistan, Afghanistan, Tajikistan, Kyrgyzstan, Syria, Egypt, Kenya, Tanzania, Uganda, Madagascar, Mozambique দেশগুলি থেকে স্কলারশিপের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয়।
France, Portugal, UK, USA and Canada, এই দেশগুলির যে বাসিন্দারা আদতে উপরোক্ত দেশগুলির অধিবাসী তারা আবেদন করতে পারে।
আগা খান ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ পাওয়ার শর্ত কি ?
ভারত/ বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
বয়স ৩০ এর মধ্যে হতে হবে।
গ্র্যাজুয়েশনের পর মাস্টার্স পড়াকালীন আবেদন করতে পারবে।
আগা খান ফাউন্ডেশন স্কলারশিপে কি কি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে ?
এই স্কলারশিপে পড়ুয়ার টিউশন ফী ও থাকা খাওয়ার খরচ দেওয়া হবে।
মনে রাখো – কোনো শিক্ষা মূলক ভ্রমণের খরচ এই স্কলারশিপে পাওয়া যাবেনা।
Loan Conditions
Half of the scholarship amount is considered as a loan, which must be reimbursed with an annual service charge of 5%. A guarantor is required to co-sign the loan agreement. The payback period is five years, starting six months after the study period funded by the Aga Khan Foundation.
আগা খান ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ কখন আবেদন করতে হয় ?
২০২২ সালের ভারতে স্কলারশিপের আবেদনের সময়সীমা ছিল – ১৪ ই মার্চ ২০২২ – ২১ শে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত।
২০২২ সালের বাংলাদেশের স্কলারশিপের আবেদনের সময়সীমা ছিল – ৬ ই মার্চ ২০২২- ৩১ শে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত।
যার মেধা তালিকা বের হয় জুন-জুলাই মাসে।
আগা খান ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ কিভাবে আবেদন করতে হয় ?
অফলাইনে।
প্রতিটি দেশের মধ্যে শহরে অবস্থিত স্থানীয় আগা খান ফাউন্ডেশনের অফিস থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে তা পূরণ করে আবার ওই আগা খান ফাউন্ডেশনের অফিসেই জমা দিতে হয়।
সমস্ত তথ্য এই নিবন্ধে পরিবেশন করা হলেও আগা খান ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সমস্ত তথ্য আর একবার যাচাই করতে চাইলে ক্লিক করুন।
https://www.akdn.org/our-agencies/aga-khan-foundation/international-scholarship-programme
এখন আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
আগা খান ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের জন্য আবেদনকারীদের নির্বাচন কিভাবে হয় ?
পড়ুয়ার অ্যাকাডেমিক রেকর্ড ধারাবাহিক ভাবে ভালো হতে হবে।
সত্যিকারের আর্থিক প্রয়োজনীয়তা থাকতে হবে।
কোনো একটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য ভর্তি হয়ে থাকতে হবে।
The relevance of the field of study to the foundation’s focus areas.
স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত হতে আর কি কি অতিরিক্ত শর্তাবলী থাকলে তারা নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রেফারেন্স পাবে ?
যাদের এই স্কলারশিপের টাকা ছাড়াও অন্যভাবে পড়াশোনার খরচের টাকা জোগাড় করার সোর্স থাকবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য-
আগা খান ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের কাছে অনুরোধ করে যে তারা যাতে অন্য কোনো ব্যবস্থা থেকেও পড়াশোনার কিছুটা খরচের ব্যবস্থা করে যাতে স্কলারশিপের জন্য কর্তৃপক্ষ কে সর্বনিম্ন আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে হয়।
যোগাযোগ মাধ্যম –
Aga Khan Foundation (India)
Sarojini House, 2nd floor
6, Bhagwan Dass Road
New Delhi 110001, INDIA
Telephone Number – (11) 47399700
Email ID – akfisp.india2019@gmail.com
জে এন টাটা এন্ডোমেন্ট স্কলারশিপ / J.N. TATA ENDOWMENT LOAN SCHOLARSHIP – স্নাতকোত্তরের জন্য
জে এন টাটা এন্ডোমেন্ট স্কলারশিপটি পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন পড়াশোনা বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করার জন্য টাটা ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা হিসাবে প্রদান করা হয়।
এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামটি শুধু মাত্র সেইসব গ্র্যাজুয়েট ভারতীয় পড়ুয়ার জন্য যারা ফুল টাইম পোস্ট গ্র্যাজুয়েট , পোস্ট ডক্টরাল, ডক্টরাল ও রিসার্চ সম্বন্ধিত পড়াশোনা বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করতে আগ্রহী।
এখানে কোনো কাস্টের ভিত্তিতে সংরক্ষণ নেই, সবার জন্যই নিয়ম সমান ।
এই স্কলারশিপে বিদেশে পড়াশোনার সমস্ত খরচ প্রদান করা যে হবে এমনটা নয়।
স্কলারশিপের দরুন প্রাপ্ত অর্থের পরিমান – ১ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
এবং স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা যে সর্বোচ্চ পরিমানের স্কলারশিপ অর্থাৎ ১০ লক্ষ টাকা পাবে এমন নয়। ট্রাস্ট যাদের দেওয়া উচিত মনে করবে তারাই একমাত্র পাবে।
স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীরা আংশিক ৫০,০০০ টাকার ট্রাভেল অ্যালাউন্স পেতে পারে ও গিফট অ্যাওয়ার্ড ও পেতে পারে।
গিফট অ্যাওয়ার্ডের পরিমান – ২ লক্ষ টাকা থেকে ৭,৫০০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এই গিফট অ্যাওয়ার্ড তারাই পাবে যারা ধারাবাহিক ভাবে ভালো অ্যাকাডেমিক রেকর্ড দেখাতে পারবে ও তা ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষর কাছে ভালো বলে নির্বাচিত হবে।
ডিসেম্বর – জানুয়ারীতে আবেদন করার সময় শুরু হয়। মার্চ অবধি আবেদন প্রক্রিয়া চলে।
২০২২ সালের আবেদন করার সময় শেষ হয়ে গেছে। আবেদনের শেষ তারিখ ছিল- ২১ শে মার্চ ২০২২।
আবেদন পদ্ধতি – অনলাইন
আবেদনকারীর কি যোগ্যতা থাকতে হবে ?
ভারতীয় হতে হবে।
৩০ শে জুন ২০২২ এর মধ্যে তার বয়স ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
ভারতের যে কোনো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউশন থেকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অর্থাৎ ডিগ্রি কোর্স স্তরের পড়াশোনা শেষ করে থাকতে হবে বা ফাইনাল ইয়ারে থাকাকালীন ও আবেদন করা যাবে।
আবেদনকারীকে স্নাতক (UG) স্তরে ৬০% নম্বর পেয়ে পাস্ করতে হবে।
seminars, conferences, training, workshops, paper presentation এর জন্য যদি কোনো ভারতীয় বিদেশে যায় বা ডিসট্যান্স এডুকেশনের জন্য যায় তাহলে এই স্কলারশিপের জন্য সে আবেদন করতে পারবেনা।
যেসব পড়ুয়ারা বিদেশে প্রথম বছর পড়াশোনা করে ফেলেছে দ্বিতীয় বছরের পড়াশোনা বাকি তারাও আবেদন করতে পারবে।
আগের বছর যারা স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেছিল কিন্তু স্কলারশিপ পায়নি তারাও চাইলে আবেদন করতে পারবে।
The course to which candidates are admitted must be recognized as a Graduate Program (post-graduate in Indian terminology).
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.jntataendowment.org/loan-scholarship-process
এই স্কলারশিপ সংক্রান্ত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন- https://jntataendowment.org/faq
জি পি বিড়লা ও ONGC ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ
ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ কি ? কাদের জন্য ? কত টাকা পাওয়া যায় ?