আমাদের রক্তে সুগার আসে কীভাবে ?
আমরা প্রতিদিন যে যে খাদ্যদ্রব্যগুলি আমাদের দেহের পুষ্টির জন্য খাবার হিসেবে গ্রহণ করি সেগুলিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা – কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা , প্রোটিন, ও ফ্যাট। এর সাথে আছে ভিটামিনস, মিনারেলস ও ডায়াটারি ফাইবার।
ভিটামিন, মিনারেলস ও ডায়াটারি ফাইবার সরাসরি আমাদের পুষ্টি পদ্ধতিতে অংশ গ্রহণ করেনা কিন্তু দেহের প্রতিটি কোষের মধ্যে খাবারের মধ্যে থাকা নিউট্রিটিভ বা পৌষ্টিক উপাদানের শোষণ করার জন্য খাবারে এগুলির প্রয়োজন বাধ্যতামূলক।
উপরে উল্লিখিত ৩ টি আহার্য সামগ্রীর ( কার্বোহাইড্রেট , প্রোটিন, ফ্যাট ) মধ্যে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারগুলি হলো ভাত, রুটি, মুড়ি, চিঁড়ে ইত্যাদি অর্থাৎ আমাদের যে প্রধান খাবার, সেগুলি সবই কার্বোহাইড্রেট এর মধ্যে পড়ে।
এগুলি আমরা পরিমানে সবচেয়ে বেশি খাই কারণ কার্বোহাইড্রেট হলো আমাদের এনার্জি গিভিং ফুড অর্থাৎ আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যে কাজ করছে তার জন্য প্রতিটি কোষের যে শক্তির প্র্রয়োজন তা সরবরাহ করে এই কার্বোহাইড্রেট।
খাবারগুলি যখন আমরা চিবোই তখন থেকেই এই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গুলি আস্তে আস্তে ছোট ছোট কণাতে ভাঙতে শুরু করে, এরপর পেটের মধ্যে গিয়ে সেগুলি আরো ছোট ছোট কণায় ভেঙে কোষের মধ্যে শোষণের উপযোগী হয়ে ওঠে, তখন এই ছোট কণা গুলির নাম হয় গ্লুকোজ।
এরপর রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে পৌঁছে যায় এই গ্লুকোজ মলিকিউল। প্রতিটি অঙ্গের কোশ বা সেলগুলি এই গ্লুকোজ কে তাদের খাবার হিসেবে গ্রহণ করে বেঁচে থাকে এবং তাদের যা কাজ সেগুলি সম্পন্ন করে।
অর্থাৎ যদি খাবারে কার্বোহাইড্রেট এর ঘাটতি দেখা যায় তাহলে প্রতিটি কোষ তাদের খাবার খেতে না পেয়ে মরে যাবে।
ব্লাড সুগার কি ? রক্তের শর্করা কি ?
ব্লাড গ্লুকোজ হলো রক্তবাহের/রক্তনালীর মধ্যে থাকা গ্লুকোজের পরিমান। লক্ষ্য করে দেখুন আমরা যে খাবার খেলাম তা ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র কণায় ভেঙে গেলে ক্ষুদ্রান্ত্রের কোষ গুলি সেগুলির মধ্যে থাকা গ্লুকোজ কে শোষণ ক’রে তা রক্তবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গ ( হাত, পা, মাথা, লিভার, lungs , হার্ট প্রভৃতি ) এ পাঠায়।
খানিকটা কারখানা থেকে মাল বের করে রাস্তা দিয়ে গোডাউন এ যাবার সময় রাস্তায় যে পরিমান ট্রাক ঘোরাফেরা করছে তাই হলো ব্লাড সুগার অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময়ে এই রক্তবাহগুলির মধ্যে থাকা রক্তে কতটা পরিমান গ্লুকোজ আছে তাই হলো ব্লাড গ্লুকোজ বা ব্লাড সুগার ।
রক্তে যদি শর্করার মাত্রা বেশি থাকে সেই রোগকে বলা হয় ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস ২ ধরণের হয় – টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস হয় যদি আমাদের ইন্সুলিন তৈরী করে যেসব কোশ, সেগুলি ধ্বংস প্রাপ্ত হতে থাকে, ফলে ইন্সুলিন রক্তে কমে যায় আর গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস হয় যদি যে কোনো কারণে যে কোষগুলি ইন্সুলিন তৈরী করে তারা পর্যাপ্ত ইন্সুলিন তৈরী করতে না পারে বা আমাদের শরীরের অন্যান্য কোষগুলির গ্লুকোজ কে শোষণ করার ক্ষমতা কমে যায় তখন গ্লুকোজ রক্তেই ঘুরে বেড়াতে থাকে এবং ব্লাড সুগার লেভেল বেশি হয়ে যায়।
ব্লাড সুগার বাড়ে কেন ?
যদি আমরা খুব বেশি পরিমান কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাই ও সেই তুলনায় শারীরিক পরিশ্রম যেমন ব্যায়াম, হাঁটাচলা , বা অন্যান্য কায়িক শ্রম সম্পর্কিত কাজ না করি , তাহলে আমরা যে পরিমান কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করছি সেই পরিমান কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খরচ করে উঠতে পারেনা কারণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কোষগুলির গ্লুকোজের চাহিদাও কম থাকে , তাই রক্ত থেকে গ্লুকোজ বিভিন্ন অরগ্যান এ শোষিত হবার বদলে তা রক্তেই ঘোরাফেরা করতে থাকে, আর তখনি রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়।
অর্থাৎ যে পরিমান কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার আমরা খাচ্ছি ও রক্তে গ্লুকোজ যুক্ত হচ্ছে সেটাকে আমাদের কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে জ্বালিয়ে দিতে হবে যাকে চলতি ভাষায় বলে ক্যালোরি বার্ন আউট করা।
তবে আমাদের শরীর তার নিজস্ব পদ্ধতিতে (বিশেষ করে অল্প বয়সীদের ক্ষেত্রে) রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে যেখানে ইনসুলিন নামক হরমোনটি (যা আমাদের অগ্ন্যাশয়/প্যানক্রিয়াস থেকে ক্ষরিত হয় ) রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে আবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে গেলে তা বাড়িয়ে দিতে গ্লুকাগন হরমোন বেশি পরিমান ক্ষরিত হয়।
সুগার কি কারনে হয় ?
কিন্তু যদি আমরা এতো পরিমান কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করি যে ইনসুলিন তা জ্বালিয়ে দিতে না পারে, তখনই রক্তে গ্লুকোজের পরিমান বেড়ে যায়।
এটা পড়ে মনে হতেই পারে যে শরীরের যখন নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আছে তখন আবার আমাদের কায়িক পরিশ্রম ক’রে ক্যালোরি বার্ন আউট করার কি দরকার ?
কায়িক পরিশ্রম করার দরকার সর্বাগ্রে কারণ অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে রক্তে সুগার এর মাত্রা বেড়ে যাওয়া মোটেই স্বাভাবিক নয় বরং লাইফস্টাইল ডিজিস হিসেবেই পরিলক্ষিত হয় কারণ বর্তমানের সেডেন্টারি লাইফস্টাইল বা এক জায়গায় বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার দরুন আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সচল হয়না তাই আমাদের শরীরের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের যে প্রাকৃতিক মেকানিসম আছে তাও খুব ভালো করে কার্যকর হয়না এবং শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে থাকে, তার সঙ্গে আছে আমাদের কারণে অকারণে ফাস্ট ফুড খাবার প্রবণতা যা কিনা শরীরের অভ্যন্তরীণ সিস্টেম কে বিঘ্নিত করার জন্য যথেষ্ট দ্রুত গতিতে কাজ করে।
কিন্তু বয়স্ক লোকের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা খানিকটা আলাদা, কারণ এমনিই বয়স হলে স্বাভাবিক নিয়মেই প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কম কাজ করে তাই শরীরের ইনসুলিন ক্ষরণ করার ক্ষমতাও কমে যায় , তাই খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে জীবনযাপন সচল রেখে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করা খুব অস্বাভাবিক নয় কিন্তু সেটি তো একটি বয়সের পর, এখন প্রায় অল্প বয়সী থেকে মধ্যবয়সী বেশিরভাগ লোকেরই সুগার একটি প্রধান ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং যা অনেকটাই আমাদের কায়িক পরিশ্রম বিহীন জীবনযাপনের উপহার স্বরূপ।
তাই হাঁটাচলা, এক্সারসাইজ করা খুবই করা দরকার, কারণ শরীর কে কর্মঠ রাখলে তবেই শরীরের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিও সচল থাকবে।
যদিও একথাও ঠিক যে যাদের বংশ পরম্পরায় অর্থাৎ বাবা মা , বা অন্য কেউ ডায়াবেটিক পেশেন্ট হলে তার ও ডায়াবেটিক হবার প্রবণতা থাকে, কিন্তু এই প্রবণতাকে দীর্ঘদিন দূরে ঠেলা তখনি সম্ভব যদি আমরা নিজেরা যথেষ্ট পরিমান কায়িক পরিশ্রম করি।
একটা বয়সের পর ( ধরা যাক ৬০ বছর বয়সের পর ) রক্তে সামান্য অতিরিক্ত সুগার যতটা না ক্ষতি করবে তার অনেকগুন্ ক্ষতি করবে যদি ৩৫ বছর বয়সেই রক্তে সুগারের মাত্রা নিজেদের দোষে বেড়ে যায়। আর এই ৩৫ বছর থেকে ৬০ বছর অবধি সুস্থ থাকার একমাত্র পন্থা হতে পারে কায়িক পরিশ্রম করা।
কম্পিউটার বেসড কর্মজীবনে কায়িক পরিশ্রম হয়ত অসম্ভব মনে হতে পারে , বলতেই পারেন যে কায়িক পরিশ্রম করতে হবে বলে তো আর সব কাজকর্ম ফেলে আমরা সবাই মাঠে লাঙ্গল দিতে পারিনা। কিন্তু যেটা আপনি পারেন তা হলো যথেষ্ট পরিমানে হাটাচলা ও নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস ও এক্সারসাইজ।
কিন্তু কেউ যদি ডায়াবেটিক পেশেন্ট হয় তাহলে তার সুগার নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি আর এই নিয়ন্ত্রণেরই একটি প্রধান ধাপ হলো নিয়মিত সুগার চেক করা।
কিন্তু আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই শারীরিক পরীক্ষাগুলি নিয়মিত করতে অনীহা কাজ করে, এই অনীহা যে সব সময় ইচ্ছে করে তা নয়, এগুলি খানিকটা সময়ের অভাবেও হয়।
ধরা যাক কারোর ১ মাস অন্তর সুগার চেক করার প্রয়োজনীয়তা আছে, কিন্তু সে বিভিন্ন কাজে এমনি জড়িয়ে পড়লো যে সঠিক সময়ে ক্লিনিকে গিয়ে সুগার টেস্ট করার জন্য রক্ত দেওয়া ও হলোনা বা ফোন করে তাদের বাড়িতে ডাকাও হলো না।
এর সাথে বাড়িতে বা কর্মক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকলে তো স্বাস্থ্যের কথা মানুষের ভুলে যাবার উপক্রম হয় যার ফল তখনই ধরা পড়েনা কিন্তু তার বেশ কিছু দিন পর মারাত্মক আকারে সামনে আসে। তাই ডায়াবেটিক পেশেন্টদের নিয়মিত চেক আপ জরুরি। যাতে রক্তে সুগারের মাত্রা জেনে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
তাই বাড়িতে কোনো ডায়াবেটিক পেশেন্ট বা বয়স্ক মানুষ যাদের রেগুলার চেক আপ জরুরি তারা থাকলে, সুগার মাপার মেশিন বাড়িতে থাকা একান্তই প্রয়োজনীয়।
এগুলি দামেও সস্তা এবং বারবার ক্লিনিকে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করার ঝামেলা থেকেও মুক্তি দেয় , যেদিন খুশি বাড়িতে থেকেই সুগারের লেভেল দেখে নেওয়া ২ মিনিটের কাজ, এতে মাত্র ১ ফোটা রক্তেই কাজ হয়ে যায় এবং সাথে ১০০ টাকা করে ক্লিনিকে টেস্টের খরচ ও লাগেনা।
এককালীন টাকা দিয়ে কিনে নিলেই বাড়িতে বসেই আপনিও টেস্ট করতে পারবেন নিজের বা বাড়ির লোকের সুগার লেভেল, আর যদি মনে হয় সুগার মাপার মেশিনটি নিয়ে ব্যবসা করবেন , তাহলে আশপাশের লোকেদের সুগার টেস্টও করে দিতে পারেন টাকার বিনিময়ে।
সুগার মাপার মেশিন (sugar mapar machine)
সুগার মাপার যন্ত্রের নাম কি ?
গ্লুকোমিটার বা ব্লাড গ্লুকোজ মিটার হলো এমন একটি সুগার মাপার যন্ত্র যা যেকোনো জায়গায় বয়ে নিয়ে যাওয়া যায় এবং কোনো ঝামেলা ও ১ সিরিঞ্জ রক্ত নেওয়া ছাড়াই রক্তে সুগারের মাত্রা বলে দিতে সক্ষম।
সুগার মাপার যন্ত্রের দাম কত ? / সুগার মাপার মেশিনের দাম কত ?
গ্লুকোমিটার এর দাম সাধারণ সব মানুষের নাগালের মধ্যেই আছে। ৪০০/৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকার মধ্যেই গ্লুকোমিটার কেনা সম্ভব। আর স্ট্রিপের দাম ২০/২৫ টাকা (প্রতি পিস্)।
গ্লুকোমিটার ব্যবহার পদ্ধতি কি ? /
যারা ডায়াবেটিক পেশেন্ট হয় তাদের নিয়মিত ব্লাড চেক আপ যেহেতু জরুরি তাই ডায়াবেটিস মেশিন ব্যবহারের নিয়ম গুলি জেনে রাখাও আবশ্যিক কারণ ঘরে বসে ডায়াবেটিস পরীক্ষা যেমন আমাদের অনেক সুবিধা করে দিয়েছে একথা সত্যি তেমন ই তার সুযোগ্য ব্যবহারও আমাদের কর্তব্য।
গ্লুকোমিটারে সুগার মাপার পদ্ধতি –
১. সুগার টেস্ট করার আগে নিজের হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে তা শুকনো করে মুছে নিতে হবে।
২. গ্লুকোমিটারের টেস্ট কিট এর সাথে যে সুচ ( নিডল/Niddle ) টি দেওয়া আছে তা দিয়ে হাতের আঙুলের ডগা তে টুক করে ফুটিয়ে দিতে হবে, এবং সামান্য চাপ দিলেই রক্তের ফোঁটা বেরিয়ে আসবে।
৩. এরপর টেস্ট স্ট্রিপের বাইরের প্রান্তে (অপর প্রান্তটি গ্লুকোমিটার এ ঢোকানো থাকবে) সূচ ফোটানোর ফলে যে রক্ত বেরিয়েছে তা ফোটার আকারে দিয়ে দিতে হবে।
৪. কিছু সেকেন্ডের পর ই ডিসপ্লে স্ক্রিন এ আপনার রক্তে থাকা সুগারের পরিমান দেখিয়ে দেওয়া হবে।
এবার গ্লুকোমিটার মেশিন এর প্রতিটা পার্ট এর নাম ও তার কার্যকারিতা জেনে নেওয়া ও আবশ্যিক। যেমন –
ল্যানসেট কি ?
ল্যানসেট হলো প্লাস্টিক এর কভার দ্বারা আবৃত সূচ যার উপরিভাগ সূচকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ঢাকা থাকে এবং ব্যবহারের আগে এই উপরের অংশকে ঘুরিয়ে ফেলে দিলে ছুঁচটি বেরিয়ে আসে।
ল্যান্সিং ডিভাইস কি ?
ল্যান্সিং ডিভাইস হলো পেন আকৃতির একটি যন্ত্র যার মধ্যে ল্যানসেট কে লাগানো হয় এবং কতটা গভীর অবধি সূচকে ফোটাতে চান তা উপরিভাগের মার্কিং অনুযায়ী আপনি নিজেই সেট করে নিতে পারবেন।
টেস্ট স্ট্রিপ কি ?
টেস্ট স্ট্রিপ হলো প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ নির্মিত পাতলা ও সরু আয়তাকার অংশ যার একপ্রান্তে রক্তের ফোঁটা দেওয়া হয় এবং অপর প্রান্তটি গ্লুকোমিটার এ ঢোকানো হয়। এবং এর ফলে আপনি গ্লুকোমিটার এর স্ক্রিনে সুগার লেভেল দেখতে পান।
এই গ্লুকোমিটার মেশিন টির সাথে পেয়ে যাবেন ১০ টি টেস্ট স্ট্রিপ +১০ টি ল্যানসেট + ১ টি ল্যান্সিং ডিভাইস (ল্যান্সিং ডিভাইস মানে সূচ যেটা হাতে ফুটিয়ে রক্ত বার করতে হয় )
ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি সম্পন্ন যেখানে আপনার স্মার্ট ফোনে আপনার রক্তে গ্লুকোজের লেভেল কত তার মেসেজ চলে আসবে। এছাড়াও মেশিনের ডিসপ্লে বোর্ডেও দেখতে পাওয়া যাবে গ্লুকোজ লেভেল কত।
এটি জনসন এন্ড জনসন এর একটি প্রোডাক্ট যা চীনে তৈরী হয় এবং ভারতে আমদানি করা হয়।
এই কম্বো প্যাক এ আপনি পাবেন ১ টি গ্লুকোমিটার এবং তার সঙ্গে ১০ টি টেস্ট স্ট্রিপ, ১০ টি ল্যানসেট ও ১ টি ল্যান্সিং ডিভাইস এবং অতিরিক্ত ৫০ টি টেস্ট স্ট্রিপ আর ২৫ টি ল্যানসেট এর এর দুটি প্যাক।
ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল মাপার জন্য ডিভাইস টি ৩ টি mode বিশিষ্ট; যথা – জেনারেল ( দিনের যে কোনো সময়ে সুগার মাপার জন্য ), AC ( খালি পেটে )PC ( খাবার খাওয়ার পর ) .
৬০ টি টেস্ট স্ট্রিপ+ ১ টি ল্যানসিং ডিভাইস+ ৬০ টি ল্যানসেট
আপনার রক্তে কিটোন বডির মাত্রা বেড়ে বা কমে যাচ্ছে কিনা তাও এই মেশিন টি বলে সক্ষম।
এটি ভারতীয় প্রস্তুত করা হয়েছে এমন একটি পণ্য যা সত্যি খুবই ভালো ভাবে কার্যকরী আর দামেও বিদেশী আমদানী কৃত পণ্যের চেয়ে অনেক কম। কিন্তু দামে কম বলে যে টেস্ট স্ট্রিপ বা ল্যান্সিং ডিভাইস কম তা একেবারেই নয় বরং পরিমানে সব কিছুই আমদানিকৃত প্রোডাক্টের মতোই বা তার থেকে বেশি।
এটির সাথে পেয়ে যাবেন -১ টি গ্লুকোমিটার + ৫০ টি টেস্ট স্ট্রিপ + ১ টি ল্যান্সিং ডিভাইস + ১০ টি ল্যানসেট।
ব্লাড সুগার মাপার নিয়ম কি কি ? / সুগার টেস্ট করার নিয়ম কি কি ?
সাধারণ ক্ষেত্রে ২ রকমের ব্লাড সুগার টেস্ট করা বাঞ্চনীয়, একটির নাম ফাস্টিং টেস্ট দ্বিতীয়টির নাম পিপি।
ফাস্টিং – আগের দিন রাতে যদি ৯ টায় খাওয়া হয় তাহলে পরের দিন ঘুম থেকে উঠে কিছু না খেয়ে খালি পেটে ব্লাড টেস্ট করতে হবে, তাতে রক্তে যে পরিমান শর্করা থাকবে তাই হবে ফাস্টিং সুগার লেভেল রিপোর্ট।
ফাস্টিং ব্লাড সুগার কত থাকা উচিত ?
সাধারণ সুস্থ মানুষের ফাস্টিংএ নরমাল ব্লাড সুগার লেভেল হওয়া উচিত -১০০ ml /dl এর নিচে। ১১০ এর নিচে থাকলেও তা নরমাল ই ধরা হয়। ১১০ এর পর থেকে ১২৫ পর্যন্ত প্রি ডায়াবেটিক। ফাস্টিং ব্লাড সুগার লেভেল এ ১২৬ এর পর ডায়াবেটিক।
পিপি – ভাত/রুটি ( যেকোনো মিল ) খেয়ে ২ ঘন্টা পর ব্লাড টেস্ট করলে রক্তে সুগারের যে রিপোর্ট আসে তার নাম পিপি।
পিপি ব্লাড সুগার কত থাকা উচিত ?/ সুগার লেভেল কত হলে ডায়াবেটিস ?
সাধারণ সুস্থ মানুষের পিপিতে নরমাল ব্লাড সুগার লেভেল হওয়া উচিত – ১৪০ ml /dl এর নিচে।
১৪০ এর পর থেকে ২০০ পর্যন্ত প্রি ডায়াবেটিক। ২০১ এর পর ডায়াবেটিক।
ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ কি কি ?
প্রায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক স্তরে বহু বছর ধরেই কারোর ডায়াবেটিস লুকিয়ে থাকতে পারে, তার কোনো রোগ লক্ষন প্রকাশ পাওয়া খুব আবশ্যক নয় যদি না রক্তে সুগারের মাত্রা যথেষ্ট বেড়ে যায়। তাই রেগুলার ব্লাড চেক আপই একমাত্র উপায় প্রাথমিক অবস্থায় ডায়াবেটিস এর ধরা পড়ার।
সুগার কমে গেলে কি হয় ?/ রক্তে গ্লুকোজ কমে গেলে কি হয় ?
রক্তে যদি গ্লুকোজের মাত্রা খুব কমে যায় তাহলে তা প্রাণঘাতী হতে পারে প্রাথমিক ভাবে রোগীর যে রোগগুলো প্রকাশ পায় তা হলো কাঁপতে থাকা, ক্লান্তি, মাথা ঝিম ঝিম করা , ভাবনা চিন্তা করার ক্ষমতা লোপ পাওয়া , কথা বলা জড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এই মুহূর্তে ব্যবস্থা না নিলে রোগী কোমায় পর্যন্ত চলে যেতে পারে।
রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি হতে যথেষ্ট সময় লাগে কিন্তু ডায়াবেটিক পেশেন্টদের ক্ষেত্রে হটাৎ করে ব্লাড সুগার লেভেল কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে তাই তা প্রাণঘাতীও হতে পারে।
সুগার ফল্ট হলে কি হয় ?
যখন রক্তে সুগারের পরিমান ৭০ml /dl এর নিচে নেমে যায় তখন তাকে সুগার ফল্ট বলে। যেখানে রক্তে থাকা সুগারের পরিমান খুব কমে যায় এবং ইনসুলিন হরমোন যা রক্তের শর্করা বা সুগার কে জ্বালিয়ে দিতে সাহায্য করে তার পরিমান বেড়ে যায়।
সুগার হলে কি খেলে ভালো হবে ?
সুগার হলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খেতে খেতে হবে অর্থাৎ ভাত, রুটি, মুড়ি এগুলির পরিমান কম করে খেতে হবে এবং বেশি পরিমান শাক সবজি, ফল প্রোটিন ( মাছ, চিকেন ) জাতীয় খাবার খেতে হবে।
যে যে ফল পরিমান খেতে হবে সেগুলি হলো –
(apples, oranges, berries, melons, pears, peaches
যে যে সবজি গুলি বেশি পরিমান খেতে হবে সেগুলি হলো –
vegetables (like broccoli, cauliflower, spinach, cucumbers, zucchini)
এছাড়াও ব্রাউন রাইস , ওটস ইত্যাদিও খাওয়া যেতে পারে।
protein-rich foods (skinless poultry, seafood, lean cuts of red meat, tofu, tempeh)
পানীয় হিসেবে এই দ্রব্য গুলি খাওয়া যেতে পারে –
beverages (water, black coffee, unsweetened tea, vegetable juice)
তথ্যসূত্র – https://www.healthline.com/health/type-2-diabetes/best-meal-plans#foods-to-include
নিয়মিত কি কি খাওয়া যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে ?
কোল্ড ড্রিঙ্কস, চিনি দেওয়া চা কফি, মিষ্টি , মাটির তলার সবজি , ফাস্ট ফুড, দু বেলা ভাত ইত্যাদি।
- high fat meat (fatty cuts of pork, beef, and lamb, poultry skin, dark meat chicken)
- full-fat dairy (whole milk, butter, cheese, sour cream)
- sweets (candy, cookies, baked goods, ice cream, desserts)
- sugar-sweetened beverages (juice, soda, sweet tea, sports drinks)
- sweeteners (table sugar, brown sugar, honey, maple syrup, molasses)
- processed foods (chips, microwave popcorn, processed meat, convenience meals)
- trans fats (vegetable shortening, fried foods, dairy-free coffee creamers, partially hydrogenated oil
বর্ডার লাইন ডায়াবেটিস কি ?
বর্ডার লাইন ডায়াবেটিস হলো প্রি ডায়াবেটিক অবস্থারই আর এক নাম যেখানে কোনো মানুষের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় বেশি কিন্তু আবার খুব বেশি ও নয় যে তাকে ডায়াবেটিক বলা চলে।
অর্থাৎ রক্তে গ্লুকোজ এর মাত্রা যখন বিপদসীমা অতিক্রম করেনি কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন তাকে বিপদ সীমার দিকে ঠেলে দিতে যাচ্ছে সেই অবস্থাই হলো বর্ডার লাইন ডায়াবেটিস।
ফাস্টিং ব্লাড সুগার লেভেল এর ক্ষেত্রে বর্ডার লাইন হলো – ১১০ এর পর থেকে ১২৫ পর্যন্ত।
পিপি ( খাবার ২ ঘন্টা পরের যে পরীক্ষা তাতে ) ব্লাড সুগার লেভেল এর ক্ষেত্রে বর্ডার লাইন হলো ১৪০ এর পর থেকে ২০০ পর্যন্ত।
সুগার হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না ?
কিশমিশ, বা শুকনো জাতীয় ফল খাওয়া উচিত নয় কারণ যখন ফল টি শুকিয়ে যাচ্ছে তার ভিতরে থাকা সুগারের ঘনত্বের পরিমান আরো বেড়ে যাচ্ছে তাই ড্রাই ফল এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
খাওয়ার পর ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল ?
১৪০ ml /dl এর নিচে।
ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ ?
প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলেই ব্যবস্থা নিন বা ডাক্তারের পরামর্শ নিন, বিপদের অপেক্ষায় অবহেলা করবেন না।
ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্রের দাম কত ? তা কি সাধারণের নাগালের মধ্যে ?
অবশ্যই তা সকলের নাগালের মধ্যে। স্ট্রিপ সমেত ৯০০/১০০০ টাকা থেকে শুরু হয় ডায়াবেটিস মাপার কিট বা মেশিন। তাই ” ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের দাম কত ” এটা ভেবে চিন্তিত হবার কিছু নেই যদি আপনার প্রয়োজন হয় ডায়াবেটিস মাপার মেশিন যখন খুশি কিনতে পারবেন বাড়িতে বসেই অনলাইনেই যা দামেও সস্তা কিন্তু কার্যকরী।
তাই সবচেয়ে ভালো ডায়াবেটিস মেশিন কোনটি তা খোঁজার আগে ভেবে দেখুন সবচেয়ে ভালো ডায়াবেটিস মেশিন নিয়ে আপনি কি করবেন ? মাথায় তুলে শোকেসে সাজিয়ে রাখবেন নাকি ব্যবহার করবেন ? যদি ব্যবহার উদ্দেশ্য হয় তাহলে লিংকে যান আপনার বাজেট ও পছন্দ মতো দামে কি কি মেশিন আছে তা দেখুন তার রিভিউ পড়ুন আর অর্ডার দিয়ে দিন ( যদিও এখানে চেষ্টা করা হয়েছে যাতে ভালো প্রোডাক্ট এর লিংক ই রাখতে তাও আপনার যদি পছন্দ না হয় তাহলে অন্য প্রোডাক্ট পছন্দ করে বেছে নিন )।
কোন ডায়াবেটিস মেশিন ভালো?
ডায়াবেটিস কোনো মেশিন নয়, ডায়াবেটিস মাপার মেশিন লিখে সার্চ করে দেখুন।
ডায়াবেটিস কত হলে ওষুধ খেতে হবে ?
বর্ডার লাইন অতিক্রম করলেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং তিনিই বলে দেবেন কখন ওষুধ খেতে হবে।
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় / ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায় কি ?
ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায় সার্চ করতে গিয়ে যদি এই নিবন্ধ টি পড়তে থাকেন তাহলে – ২ টি জিনিস মাথায় রাখুন ; এক আপনার রক্তে সুগার লেভেল যদি স্বাভাবিকের তুলনায় অল্প বেশি হয় তবেই এই সমস্ত ঘরোয়া উপায় আপনার জন্য , আর যদি দীর্ঘদিন ধরে আপনি ডায়াবেটিস এর পেশেন্ট হন বা হঠাৎ টেস্ট করে দেখলেন যে সুগার লেভেল খুব হাই তাহলে কিন্তু অতি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতেই হবে, গুগল এ সার্চ করে ডাক্তারি করলে ব্লগার দের সুবিধা হতে পারে , আপনার তাতে ক্ষতি ই হবে।
হাঁটুন প্রচুর পরিমানে , (যদি প্রচুর পরিমানে হাটতে নাও পারেন তাহলেও আস্তে আস্তে হাটতে থাকুন কিন্তু নিয়মিত )
শুয়ে বসে থাকার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন , যথা সম্ভব এক্টিভ জীবন যাপন করুন।
দুপুরের পর ভাত খেয়ে ঘুমাবেন না। চিনি খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিন।
মিষ্টি, কোল্ড ড্রিঙ্কস, স্নাক্স, ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন।
আলু সহ যে যেকোনো মাটির নিচের ফল খাওয়া কমিয়ে দিন।
এবার যে খাবার গুলি ডায়াবেটিস পেশেন্ট দের জন্য খাওয়া উপকারী সেগুলি দেখে নেওয়া যাক –
নিম পাতা –
পরীক্ষায় দেখা গেছে যে নিম পাতার মধ্যে এমন গুন্ বর্তমান যে তা কোষের মধ্যে গ্লুকোস কে বেশি পরিমানে ঢুকতে সাহায্য করে ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে ।
করলা – সকালে করলার রস সুগারের জন্য খুব উপকারী।
আমলকি – এতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি যা আমাদের সারা শরীর কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
মেথি – খুব কার্যকরী উপায়। ২ চামচ মেথির বীজ নিয়ে সারা রাত একটি পাত্র জল নিয়ে তাতে ভিজিয়ে রাখুন , প্রতিদিন সকালে ওই জল খেয়ে নিন।এবার ১ সপ্তাহ বাদে সুগার চেক করে দেখুন যে সুগার কমেছে কিনা।
প্রচুর পরিমান জল – এটা আবশ্যক। যত জল খাবেন তত আপনার শরীরের রেচনতন্ত্র সুস্থ থাকবে ফলে আপনার সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বাড়বে ( কিন্তু যাদের কিডনির সমস্যা আছে যাদের জল মেপে খেতে হয় তারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করবেন না )
পেঁয়াজ – পেঁয়াজের রস ও আয়ুর্বেদিক মতে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
বেল – এর বিজ্ঞান সম্মত নাম – Aegle marmelos.বিভিন্ন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে বেল পাতা রক্তের সুগার, কোলেস্টেরল ও ইউরিয়া কে কমাতে সাহায্য করে
আলোভেরা – বিভিন্ন জীব জন্তুর উপর পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা গেছে অ্যালোভেরার মধ্যেও অ্যান্টি ডায়াবেটিক গুনাবলী বর্তমান।
বাবুল – এর বিজ্ঞান সম্মত নাম Acacia arabica. এই গাছ টি ভারতে প্রায় সর্বত্রই ওয়াইল্ড গাছ হিসেবে দেখা যায় কিন্তু এর বীজের ভেষজ গুন্ বর্তমান , মনে করা হয় এটি রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা ( প্যানক্রিয়াস থেকে বেশি পরিমান ইন্সুলিন ক্ষরণ করেত সাহায্য করে ) বাড়িয়ে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে
https://pharmeasy.in/blog/home-remedies-for-diabetes/ – তথ্যসূত্র
যদিও এখানে উল্লিখিত প্রতি টি পদ্ধতি তারাই ব্যবহার করে দেখতে পারেন যাদের গ্লুকোজ লেভেল একটু বেশি নরমালের চেয়ে।যাদের খুব বেশি হয়ে গেছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিন যত শীঘ্র সম্ভব।
আর ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে সত্যি সুগার কমছে কিনা তার জন্য কিন্তু নিয়মিত পরীক্ষা করা জরুরি। তাই শুধু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে ১৫ দিন পর আবার চেক করে দেখুন সত্যি রক্তে সুগার কমলো কিনা , আর যদি সত্যি কমে তাহলে এই পোস্টে এ এসে কমেন্ট এ নিজের অভিজ্ঞতা জানান।
ভেপার মেশিন কি ? এর ব্যবহার ও গুরুত্ব
পালস অক্সিমিটার কি ? এর ব্যবহার ও গুরুত্ব
প্রেসার মাপার যন্ত্র বাড়িতে রাখা কতটা উপযোগী ? প্রেশার মাপার যন্ত্রের দাম