পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চারটি স্কলারশিপ (ওয়েসিস স্কলারশিপ)

by

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি স্কলারশিপ কেন দেওয়া হয় ও সমাজে তার কি প্রভাব পড়ে। এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করবো পশ্চিমবঙ্গের সরকারি আরো কিছু স্কলারশিপের যাবতীয় খুঁটিনাটি। স্বামী বিবেকানন্দ ছাড়া আরো যে স্কলারশিপগুলি সরকারের পক্ষে দেওয়া হয় সেগুলি হল –

১) ওয়েসিস স্কলারশিপ

২) বিজ্ঞানী কন্যা মেধা বৃত্তি স্কলারশিপ 

৩) হিন্দি স্কলারশিপ স্কিম –

৪) ঐক্যশ্রী

এবার সমস্ত স্কলারশিপের বিস্তারিত আলোচনা এক এক করে করা হল –

ওয়েসিস স্কলারশিপ –

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের অধীনে শুধুমাত্র ST /SC /OBC পড়ুয়াদের মাধ্যমিক স্তর ও তার পরবর্তী পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাবার জন্য যে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাদের সেই সাহায্য করার জন্য এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয় । 

ওয়েসিস-স্কলারশিপ

ওয়েসিস স্কলারশিপের্ জন্য কবে আবেদন করতে হয় ?

মে – জুনের পর থেকেই আবেদন চালু হয়ে যায় পরের বছরের স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য। 

২০২৩ এর জন্য আবেদন করার শেষ তারিখ ছিল ৩১ শে মার্চ ২০২৩। 

এই স্কলারশিপের অধীনে যে যে স্কলারশিপ গুলি পড়ে তা হলো –

  • প্রি ম্যাট্রিক স্কলারশিপ (SC) দের জন্য 
  • পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ (SC) দের জন্য
  • প্রি ম্যাট্রিক স্কলারশিপ (ST) দের জন্য  
  • পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ (ST) দের জন্য
  • প্রি ও পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ OBC দের জন্য 

ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রি ম্যাট্রিক স্কলারশিপ (sc/st দের জন্য) –

 কারা পাবার যোগ্য?

১. পড়ুয়াকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। 

২. SC/ST হতে হবে। 

৩. নবম-দশম শ্রেণীর পড়ুয়া হতে হবে। 

৪. পড়ুয়ার পারিবারিক আয় বার্ষিক ২ লক্ষ টাকার অধিক হবেনা।

এই স্কীমের অধীনে কত টাকা পাওয়া যাবে ?

এই স্কীমের অধীনে যেসব পড়ুয়ারা হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবে তারা ৭৫০ টাকা/প্রতি মাসে অংকের আর্থিক সহায়তা পেতে পারবে ১০ মাসের জন্য। যারা ডে স্কলার হবে তারা ১৫০টাকা/প্রতি মাসে হিসেবে আর্থিক সহায়তা পাবে ১০ মাসের জন্য।

ওয়েস্ট বেঙ্গল পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ SC/ST –

 কারা পাবার যোগ্য?

১. পড়ুয়াকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। 

২. SC/ST হতে হবে। 

৩. একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া হতে হবে বা তার পরবর্তী পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। 

৪. পড়ুয়ার পারিবারিক আয় বার্ষিক ২.৫ লক্ষ টাকার অধিক হবেনা। 

এই স্কীমের অধীনে কত টাকা পাওয়া যাবে ?

এই স্কীমের অধীনে যেসব পড়ুয়ারা হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবে তারা  ১২০০ টাকা পর্যন্ত /প্রতি মাসে অংকের আর্থিক সহায়তা পেতে পারবে ১০ মাসের জন্য। এবং যারা ডে স্কলার হবে তারা ৫৫০ টাকা পর্যন্ত /প্রতি মাসে হিসেবে আর্থিক সহায়তা পাবে। 

একাদশ-দ্বাদশ /পলিটেকনিক,ITI  পড়ুয়ারা পাবে ডে স্কলাররা  – ২৩০ টাকা /প্রতি মাসে 

একাদশ-দ্বাদশ /পলিটেকনিক,ITI পড়ুয়ারা পাবে hosteller রা   – ২৩০ টাকা/প্রতি মাসে 

ইঞ্জিনীয়ারিং, BSc ,Agriculture,মেডিক্যাল, LLM, PhD ডে স্কলার রা পাবে – ৫৫০ টাকা/প্রতি মাসে 

ইঞ্জিনীয়ারিং, BSc ,Agriculture,মেডিক্যাল, LLM, PhD hosteller  রা পাবে – ১২০০ টাকা /প্রতি মাসে

বি ফার্ম , বিএসসি নার্সিং , হোটেল ম্যানেজমেন্ট ডে স্কলার রা পাবে – ৫৩০ টাকা প্রতি মাসে 

বি ফার্ম , বিএসসি নার্সিং , হোটেল ম্যানেজমেন্ট hosteller রা পাবে – ৮২০ টাকা প্রতি মাসে 

আন্ডার গ্র্যাজুয়েট অনার্স পড়ুয়ারা পাবে ডে স্কলাররা -৩০০ টাকা /প্রতি মাসে 

আন্ডার গ্র্যাজুয়েট অনার্স পড়ুয়ারা পাবে hosteller রা  – ৭৫০ টাকা /প্রতি মাসে

পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ OBC দের জন্য-

কারা পাবে ?

১. পড়ুয়াকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। 

২. OBC  হতে হবে। 

৩. একাদশ-দ্বাদশ বা তার উপরের স্তরের পড়াশোনার জন্য কোনো ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে থাকতে হবে। 

৪. পড়ুয়ার পারিবারিক আয় বার্ষিক ২.৫ লক্ষ টাকার অধিক হবেনা। 

এই স্কীমের কত টাকা পাওয়া যাবে ?

এই স্কীমের অধীনে যেসব পড়ুয়ারা হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবে তারা ২৬০- ৭৫০ টাকা পর্যন্ত /প্রতি মাসে অংকের আর্থিক সহায়তা পেতে পারবে ১০ মাসের জন্য ।এবং যারা ডে স্কলার হবে তারা ১৬০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত /প্রতি মাসে হিসেবে আর্থিক সহায়তা পাবে।

ইঞ্জিনিয়ারিং , বিএসসি , এগ্রিকালচার মেডিক্যাল, LLM, MPhil & PhD ডে স্কলার পড়ুয়ারা পাবে – ৩৫০ টাকা/প্রতি মাসে

ইঞ্জিনিয়ারিং , বিএসসি , এগ্রিকালচার মেডিক্যাল, LLM, MPhil & PhD hosteller পড়ুয়ারা পাবে – ৭৫০ টাকা/প্রতি মাসে

বিফার্ম, বিএসসি নার্সিং, LLB , হোটেল ম্যানেজমেন্ট , পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডে স্কলার পড়ুয়ারা পাবে- ৩৩৫ টাকা /প্রতি মাসে

বিফার্ম, বিএসসি নার্সিং, LLB , হোটেল ম্যানেজমেন্ট , পোস্ট গ্র্যাজুয়েট hosteller পড়ুয়ারা পাবে – ৫১০ টাকা /প্রতি মাসে

স্নাতক ডে স্কলার পড়ুয়ারা পাবে – ২১০ টাকা /প্রতি মাসে

স্নাতক hosteller পড়ুয়ারা পাবে – ২১০ টাকা /প্রতি মাসে

পলিটেকনিক,ITI , একাদশ-দ্বাদশ ডে স্কলার পড়ুয়ারা পাবে – ১৬০ টাকা /প্রতি মাসে

পলিটেকনিক,ITI , একাদশ-দ্বাদশ ডে স্কলার পড়ুয়ারা পাবে – ২৬০ টাকা /প্রতি মাসে

স্কলারশিপের্ দরুন প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণের অফিসিয়াল ডকুমেন্ট – ডাউনলোড করুন

ওয়েসিস স্কলারশিপের জন্য কী করে আবেদন করতে হবে ?

প্রথম ধাপ-

Oasis application portal তে যান – https://oasis.gov.in/

Student’s Registration লিংক এ ক্লিক করতে হবে।

যে ইনস্টিটিউটে পড়ুয়া পড়ছে, সেই ইনস্টিটিউট যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার নাম সিলেক্ট করতে হবে। আর যদি পড়ুয়া অন্য রাজ্যে পড়াশোনা করে তাহলে তাকে নিজের হোম ডিস্ট্রিক্ট সিলেক্ট করতে হবে। 

এরপর নিজের নাম , বাবার নাম দিয়ে , কম্পিউটারাইজড কাস্ট সার্টিফিকেট নম্বর দিয়ে সাবমিট বাটনে এ ক্লিক করতে হবে। 

তারপর প্রাথমিক তথ্য , যেমন জন্ম তারিখ, সাব কাস্ট , বর্তমান ইনস্টিটিউট নাম ,  নং , ইমেইল ও নিজের স্ক্যান করা ছবি আপলোড করতে হবে ও তারপর সাবমিট বাটন এ ক্লিক করতে হবে। 

সঙ্গে সঙ্গে কম্পিউটার এ তৈরী করা Acknowledgement Slip ডাউনলোড করে নিতে হবে। 

এবং ওই ডাউনলোড করা পিডিএফ এই আবেদনকারী পড়ুয়ার ইউসার ID ও পাসওয়ার্ড থাকবে।

দ্বিতীয় ধাপ-

আবার Oasis application portal তে যান ও  Registered Student’s Login বাটন এ ক্লিক করতে হবে। 

নিজের ইউসার ID, পাসওয়ার্ড ও জেলার নাম  দিয়ে লগ ইন করতে হবে। 

এরপর নিজের সমস্ত তথ্য (ঠিকানা, ইন্সটিটিউশন এর তথ্য ইত্যাদি) দিতে হবে ও সেভ করতে হবে। 

এরপর নিজের ব্যাংকের নাম, Account Number, IFSC Code and MICR Code দিতে হবে (যে অ্যাকাউন্টে টাকা নিতে চায় পড়ুয়া সেই অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে হবে ) এরপর Verify and Lock অপশনে ক্লিক করতে হবে, (এরপর আর কোনো তথ্য যাবে না।)

এরপর ক্লিক করতে হবে Print Application বাটনে ও অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি ডাউনলোড করতে হবে। 

তৃতীয় ধাপ-

ডাউনলোড করা অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটির প্রিন্ট আউট বের করে নিজের স্ট্যাম্প সাইজ ফটো, সর্বশেষ পরীক্ষার মার্কশিট বা সার্টিফিকেটের জেরক্স (সেলফ অ্যাটেস্টেড অর্থাৎ নিজের নাম সই করতে হবে জেরক্স কপির উপর),কাস্ট সার্টিফিকেটের জেরক্স (সেলফ অ্যাটেস্টেড) ও ব্যাঙ্ক পাস্ বই এর প্রথম পৃষ্ঠার জেরক্স করে BDO অফিসে (যারা ব্লকে বসবাস করে তারা) বা PO-cum-DWO (যারা কর্পোরেশন বা মিউনিসিপ্যালিটি তে বসবাস করে তারা) অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হবে।

ওয়েসিস স্কলারশিপ স্ট্যাটাস চেক

http://oasis.gov.in/apps/server/?redirect=/apps/portal/students/track_status

বিজ্ঞানী কন্যা মেধা বৃত্তি স্কলারশিপ ২০২৩ –

এখন ই আবেদন গ্রহণ চলছে ( শুধুমাত্র অনলাইনে ) – অনলাইন আবেদন করার শেষ তারিখ -৫ ই আগস্ট ২০২৩ , লিখিত পরীক্ষার তারিখ – ২০ শে অগাস্ট ২০২৩ ( রবিবার ). [পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।]

আবেদন করুন এই লিংকের সাহায্যে – https://jbnsts.ac.in/activities.php

উচ্চমাধ্যমিক পাস্ করার পর পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী যেসব মেধাবী মেয়েদের আর্থিক সীমাবদ্ধতার দরুন পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে, তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন উড়ানকে বাস্তবায়িত করতে জগদীশ বোস ন্যাশনাল সায়েন্স ট্যালেন্ট সার্চ এর তরফ থেকে বিজ্ঞানী কন্যা মেধা বৃত্তি স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।

জগদীশ বোস ন্যাশনাল সায়েন্স ট্যালেন্ট সার্চ একটি স্বশাসিত সংস্থা হলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকাররের পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্ত ও পরিচালিত।

জগদীশ বোস ন্যাশনাল সায়েন্স ট্যালেন্ট সার্চ ৪ ধরণের স্কলারশিপ দেয়।

১) জুনিয়র ট্যালেন্ট সার্চ টেস্ট (কারেন্ট বছরে মাধ্যমিক পাস্ করে একাদশে পড়াকালীন আবেদন যোগ্যও ছেলে ও মেয়ে উভয়েই আবেদনযোগ্য ),

২০২৩ সালের আবেদনের নিয়ম অনুযায়ী – মাধ্যমিক বা সমতুল্য বোর্ডের পরীক্ষায় সামগ্রিক ভাবে ৭৫% নম্বর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশে বিজ্ঞান বা সায়েন্স নিয়ে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে। ( ছেলে -মেয়ে উভয়ের জন্য )

২) জুনিয়র বিজ্ঞানী কন্যা মেধা বৃত্তি, (কারেন্ট বছরে মাধ্যমিক পাস্ করে একাদশে পড়াকালীন আবেদন যোগ্য। শুধুমাত্র মেয়েরাই আবেদনযোগ্য),

২০২৩ সালের আবেদনের নিয়ম অনুযায়ী – মাধ্যমিক বা সমতুল্য বোর্ডের পরীক্ষায় সামগ্রিক ভাবে ৭৫% নম্বর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশে বিজ্ঞান বা সায়েন্স নিয়ে পাঠরত ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে। (শুধু মেয়েদের জন্য)

জুনিয়র বিজ্ঞানী কন্যারা মাসে ১২৫০ টাকা বৃত্তি এবং বার্ষিক ২৫০০ হাজার টাকা বই কেনার অনুদান পাবে দু’বছর।

মনে রাখো – জুনিয়র বিজ্ঞানী কন্যা মেধা বৃত্তি স্কলারশিপ কারা পাবে তা নির্ধারিত হবে জুনিয়র ট্যালেন্ট সার্চ টেস্ট/জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এর মাধ্যমেই।

৩) সিনিয়র ট্যালেন্ট সার্চ টেস্ট (কারেন্ট বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পাস্ করে বেসিক সায়েন্স নিয়ে স্নাতকে অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েশনে অনার্স পড়াকালীন মেডিক্যাল বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াকালীন আবেদন যোগ্য। ছেলে ও মেয়ে উভয়েই আবেদন করতে পারে।)

২০২৩ সালের আবেদনের নিয়ম অনুযায়ী – বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল্য বোর্ডের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌলিক বিজ্ঞান ( সাম্মানিক /অনার্স)/ BS-MS/কারিগরি বিদ্যা /চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে। ( ছেলে -মেয়ে উভয়ের জন্য )

(বিশেষ আকর্ষণ -সিনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রথম ১০ জন ছাত্র ও প্রথম ১০ জন ছাত্রী কে স্কলারশিপ ছাড়াও ল্যাপটপ দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে )

৪) সিনিয়র বিজ্ঞানী কন্যা মেধা বৃত্তি (কারেন্ট বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পাস্ করে বেসিক সায়েন্স নিয়ে স্নাতকে অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েশনে অনার্স পড়াকালীন, মেডিক্যাল বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াকালীন আবেদন যোগ্য। শুধুমাত্র মেয়েরাই এই স্কলারশিপ পেতে পারবে।)

২০২৩ সালের আবেদনের নিয়ম অনুযায়ী – বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল্য বোর্ডের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে (৭৫% বা তার বেশি নম্বর সহ) মৌলিক বিজ্ঞান (সাম্মানিক /অনার্স)/ BS-MS/কারিগরি বিদ্যা /চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠরত ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে। (শুধু মেয়েদের জন্য )

সিনিয়র বিজ্ঞানী কন্যারা মাসে চার হাজার টাকা বৃত্তি এবং তিন বছর বার্ষিক পাঁচ হাজার টাকা বুক গ্রান্ট পাবেন।

মনে রাখো – সিনিয়র বিজ্ঞানী কন্যা মেধা বৃত্তি স্কলারশিপ কারা পাবে তা নির্ধারিত হবে সিনিয়র ট্যালেন্ট সার্চ টেস্ট /সিনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় এর মাধ্যমেই।

জগদীশ বোস ন্যাশনাল সায়েন্স ট্যালেন্ট সার্চ এর সমস্ত স্কলারশিপের সম্বন্ধে জানতে এই অফিসিয়াল লিংকে ক্লিক করুন- https://jbnsts.ac.in/activities.php

কবে আবেদন করতে হয় ?

বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আবেদনের বিভিন্ন বিভ্রান্তি মূলক তারিখ উল্লেখ করা থাকলেও তার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।

২০২৩ এর মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর পর জুনিয়র বিজ্ঞানী কন্যা মেধা বৃত্তি স্কলারশিপ এবং উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর পর সিনিয়র বিজ্ঞানী কন্যা মেধা বৃত্তি স্কলারশিপের আবেদনের জন্য দৈনিক সংবাদপত্র ও এই পোস্টে উল্লিখিত এদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

উচ্চমাধ্যমিক / ১০+২ এর পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনোর পর স্নাতক স্তরের ( তা বেসিক সায়েন্স ই হোক বা ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যাল) পড়াশোনা শুরু হলে যে কোনো ইনস্টিটিউটে পড়ুয়ার ভর্তির পর ই এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যেতে পারে।

২০২১ এ স্কলারশিপ প্রদানের যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল সেখানে ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ থেকে ২০ শে অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত আবেদন করার তারিখ ছিল।

২০২৩ এ স্কলারশিপের আবেদনের জন্য যে নোটিস বেরোবে তা অবশ্যই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্টের পর ই প্রকাশিত হবে।

তাই এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে আবেদন শুরুর তারিখ জানার জন্য জগদীশ বোস ন্যাশনাল সায়েন্স ট্যালেন্ট সার্চ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেই নজর রাখো

(আর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হলে সুলুকসন্ধানের ওয়েবসাইটে এসে এই পোস্টের তলায় কমেন্ট করে তাও জানাতে পারো , এতে ছাত্রছাত্রীরাই উপকৃত হবে)

ওয়েবসাইট টি হলো https://www.jbnsts.org/

(তালিকা বানিয়ে রাখো যে সব স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে চাও, সপ্তাহে একবার প্রত্যেকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে চেক করে নেওয়া বাঞ্ছনীয়)

২০২১ সালের স্কলারশিপের বিজ্ঞপ্তিটি দেওয়া হল পড়ুয়াদের সুবিধার্থে –

বিজ্ঞানী-কন্যা-মেধা-বৃত্তি-স্কলারশিপ

বিজ্ঞানী কন্যা মেধা বৃত্তি স্কলারশিপে কত টাকা স্কলারশিপ হিসেবে পাওয়া যেতে পারে?

MBBS, B.E. / B.Tech পড়ুয়ারা সর্বোচ্চ ৪০০০ টাকা অবধি/ প্রতি মাসে এই স্কলারশিপের দরুন পেতে পারে।

বেসিক সায়েন্সর অনার্স এর পড়ুয়ারা M.Sc. পর্যন্ত ৮০,০০০ টাকা প্রতি বছরে স্কলারশিপের দরুন পেতে পারে।

এর সাথে প্রতি বছর ৫,০০০ টাকা বই কেনার জন্য পাওয়া যাবে।

এই স্কলারশিপের জন্য কারা আবেদনযোগ্য?

শুধুমাত্র মেয়েরা আবেদন করতে পারে।  

অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। 

২০২৩ এ উচ্চমাধ্যমিক বা ১০+২ পাস্ করার পর কোনো স্নাতক/ডিগ্রি কোর্সেই পড়াশোনার জন্য ভর্তি হতে হবে। (ডিপ্লোমা পড়লে এই স্কলারশিপের আবেদন যাবেনা।)

শুধুমাত্র বেসিক সায়েন্স/মেডিক্যাল/ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিগ্রী পড়লে তবেই আবেদনযোগ্য। 

যে ইন্সটিটিউশনে ভর্তি হতে চাইছো সেই ইনস্টিটিউটকে পশ্চিমবঙ্গেই অবস্থিত হতে হবে। 

কারেন্ট অর্থাৎ বর্তমান বছরে ২০২৩ এ উচ্চমাধ্যমিক/১০+২ পাস্ করতে হবে বা স্নাতকে ফার্স্ট ইয়ারে পড়াশোনা চলাকালীন ও আবেদন করা যেতে পারে।

স্কলারশিপের জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে স্কলারশিপ কারা পাবে তা নির্ণয় করার পদ্ধতিঃ –

এই নির্বাচন ৩ টি পর্যায়ে হবে –

১. প্রথম ধাপ – লিখিত পরীক্ষা 

২. ইন্টারভিউ – যারা লিখিত পরীক্ষাতে পাস্ করবে তারা ইন্টারভিউ এর ডাক পাবে।

৩. সায়েন্টিফিক ক্রিয়েটিভিটি টেস্ট – ইন্টারভিউ তে যারা কোয়ালিফাই করবে তাদের সাইন্টিফিক ক্রিয়েটিভিটির টেস্ট দিতে হবে।

৪. যারা সাইন্টিফিক ক্রিয়েটিভিটির টেস্ট পর্যায়ে উত্তীর্ণ হতে পারবে তাদের নামের লিস্ট  JBNSTS  এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। 

কী করে আবেদন করতে হবে?

অনলাইন ও অফলাইন দুভাবেই আবেদন করা যায়

অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি –

১. https://www.jbnsts.org/ সাইট থেকে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে ও তার প্রিন্ট আউট বের করতে হবে। 

২. ফর্মে যা যা থাকবে তা ফিল করতে হবে।

৩. ফর্মের সাথে যা যা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যুক্ত করতে হবে অর্থাৎ আপলোড করতে হবে।

যেমন – পাসপোর্ট সাইজ ফটো ও সাইন (JPEG ফরম্যাটে) , দ্বাদশ এর মার্কশিট ও বর্তমানে যে ইনস্টিটিউটে পড়ুয়া পড়ছে তার অ্যাডমিশন এর প্রমাণপত্র অবশ্যই আপলোড করতে হবে । প্রতিটা ডকুমেন্টস এর ফাইল সাইজ ১ MB এর বেশি হবেনা। 

৪. অ্যাপ্লিকেশন এর জন্য ১০০ টাকা ফী পেমেন্ট করতে হবে ( এর সাথে যুক্ত হবে ব্যাঙ্ক চার্জ ও পেমেন্ট গেটওয়ে চার্জ যদিও তা খুবই কম)। 

৫. এরপর অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম সাবমিট করতে হবে।

অফলাইনে আবেদন পদ্ধতি –

১. অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে ও তার প্রিন্ট আউট বের করতে হবে।

২. ফর্মে যা যা থাকবে তা ফিল আপ করতে হবে।

৩. ফর্মের সাথে যা যা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে সেগুলি যুক্ত করতে হবে।  

৪. নীচের ঠিকানাতে পাঠিয়ে দিতে হবে। 

JBNSTS office, 1300 Rajdanga Main Road, Kasba, Kolkata 700 107

কি কি ডকুমেন্টস লাগবে ?

সর্বশেষ পরীক্ষায় পাশের সার্টিফিকেট।  

কাস্ট সার্টিফিকেট।

জন্মের প্রমাণপত্র।  

রেসিডেন্সিয়াল প্রমাণপত্র

ইনকাম সার্টিফিকেট।

যে ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করছো বর্তমানে ফী রিসিপ্ট। 

নিজের স্ট্যাম্প সাইজের ফটোগ্রাফ।

ব্যাঙ্ক পাসবই এর প্রথম পৃষ্ঠার জেরক্স।

যোগাযোগ কেন্দ্র

Jagadis Bose National Science Talent Search 1300, Rajdanga Main Road
Kasba, Kolkata – 700107, West Bengal, India
Phone : 033 2442 8270
Fax : 033 2442 8267

হিন্দি স্কলারশিপ স্কিম –

যেসব রাজ্যগুলিতে মূলত অ – হিন্দিভাষীরা বসবাস করে সেখানে হিন্দি ভাষাকে বিস্তার দেওয়ার জন্য এই স্কলারশিপ চালু হয়।

হিন্দি-স্কলারশিপ-স্কিম

কারা পাবে হিন্দি স্কলারশিপ?

যেসব পড়ুয়াদের মাতৃভাষা হিন্দি নয় এবং অ-হিন্দি রাজ্যে বসবাস সত্ত্বেও হিন্দি নিয়ে পড়াশোনা করছে তারাই পাবে এই স্কলারশিপ। 

উচ্চমাধ্যমিক স্তরে –

মাধ্যমিক পাস্ করে যদি কেউ উচ্চমাধ্যমিক স্তরে অর্থাৎ একাদশ-দ্বাদশে হিন্দি কে একটি বিষয় হিসেবে নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় তাহলে তাকে মাধ্যমিকে/CBSE /ICSE এ ৬০ % নম্বর সহ মাধ্যমিক পাস্ করতে হবে। 

স্কলারশিপের প্রাপ্ত অর্থ – প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে। 

স্নাতক স্তরে –

উচ্চমাধ্যমিক পাস্ করে যদি কেউ স্নাতক স্তরে অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েশনে হিন্দি কে একটি বিষয় হিসেবে নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় তাহলে তাদেরকে উচ্চমাধ্যমিকে /CBSE /ICSE এ ৬০ % নম্বর সহ পাস্ করতে হবে। 

স্কলারশিপের প্রাপ্ত অর্থ -প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে। 

স্নাতকোত্তরে –

স্নাতক স্তরে পড়াশোনা শেষ করে যদি কেউ স্নাতকোত্তরে  অর্থাৎ পোস্ট – গ্র্যাজুয়েশনে হিন্দি কে একটি বিষয় হিসেবে নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় তাহলে তাদেরকে স্নাতকে /CBSE /ICSE এ  ৬০ % নম্বর সহ পাস্ করতে হবে। 

স্কলারশিপের প্রাপ্ত অর্থ – ১০০০ টাকা করে প্রতি মাসে। 

https://wbchse.nic.in/html/scholarship_hindi_schlar_schm.html#hss

ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ কি? কাদের জন্য এবং কত টাকা পাওয়া যায়?

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কি ?

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য দরকারি কিছু বই

উচ্চমাধ্যমিকে আর্টস নিয়ে পড়ার পর কি কি করা যায়?

DMCA.com Protection Status

Spread the love

Leave a Comment

error: Content is protected !!