২০ টি সেরা ওয়েবসাইট অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করার জন্য 

by

আপনি কি ছবি তুলতে খুব ভালোবাসেন? ঘন্টার পর ঘন্টা ভালো ছবি তোলার জন্য ব্যয় করে থাকেন? সুন্দর শট নেবার জন্য কী সারাক্ষন ক্যামেরা গলায় ঝুলিয়ে বেড়ান? ফোন হোক বা ক্যামেরা, সুন্দর ছবি তোলার জন্য কি আপনার মন সারাক্ষন খুঁতখুঁত করে?

হতে পারে উপরের প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর আপনার জন্য ‘হ্যাঁ’ , কিন্তু আপনার তোলা ছবি যে আপনি অনলাইনে ছবি বিক্রি করার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারেন তা কি জানেন?

একটা সময় অবধি ছিল যখন ফোটোগ্রাফি থেকে টাকা উপার্জন করতে গেলে হয় নিজের পকেট থেকে যথেষ্ট ভালো টাকা খরচ করে ষ্টুডিও বানাতে হতো বা এক্সহিবিশন করতে হতো, তারপর সেখান থেকে ছবি বিক্রি হলে তবে টাকা পাওয়া সম্ভব হতো।

কিন্তু আজ এগুলো অতীত। বাড়িতে বসেই ‘যে কেউ’ এখন তার ছবি বিক্রি করতে পারবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে, এবং তা থেকে যথেষ্ট ভালো টাকা আয় করা সম্ভব।

কিন্তু আমি উপরে এই যে ‘যে কেউ’ কথাটি উল্লেখ করলাম, এটা  পুরোপুরি সত্যি নয়। যদি আপনি এমন কেউ হন যে অনলাইনে রোজগার করবেন কিভাবে এটা খুঁজতে গিয়ে এই লেখা পড়ে অনাবশ্যক উত্তেজিত হয়ে কাল থেকে আপনার ২৪ MP ক্যামেরা যুক্ত মোবাইল নিয়ে (যাতে আপনার ১২৪ রকমের এক্সপ্রেশন দিয়ে নিজের সেলফি তুলে নিজের গ্যালারি ভরান) বা উপহার পাওয়া ডিএসএলআর (লোক দেখানো) ক্যামেরা নিয়ে মাঠ-ঘাট-জল-জঙ্গল-ছাদ চষে ফেলে ছবি তুলে ভাবেন যে এগুলো আপলোড করে দিলেই পরের মাস থেকে হাজার হাজার ডলার আপনার পকেটে ঢুকবে তাহলে সে গুড়ে বালি।

এরকম কিছুই হবার নয় কারণ যার ফোটোগ্রাফি সম্বন্ধে ধারণা খুব কম তাদের জন্য এই পেশা নয়। 

সহজ বাংলায় যদি কেউ ভালো ছবি তোলার প্রতি আগ্রহী হন (সেলফি তোলার প্রতি নয়) তাহলেই এটা আপনার সাইড ইনকাম হতে পারে, ইনকামের উপায় দেখে ফোটোগ্রাফিকে বাছলে, আপনি এক সপ্তাহে বিরক্ত হয়ে অন্য কাউকে জ্ঞান দেবেন যে এসব ফালতু, এভাবে রোজগার সম্ভব নয়। 

সূচীপত্র
  1. অনলাইনে নিজের তোলা ছবি বিক্রি করে কিভাবে আয় করা যায়?
  2. এবার দেখা যাক কোথায় ছবি বিক্রি করা বেশি লাভ জনক, মাইক্রোস্টক ওয়েবসাইট নাকি নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ?
  3. মাইক্রোস্টক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ছবি বিক্রি করলে আপনি কি কি  সুবিধা পাবেন  –
  4. এবার দেখা যাক মাইক্রোস্টক ওয়েবসাইটের অসুবিধা কি ?
  5. নিজের ওয়েবসাইট বানিয়ে তার মাধ্যমে ছবি বিক্রি করলে আপনি কি কি  সুবিধা পাবেন?
  6. নিজের ওয়েবসাইট বানিয়ে তার মাধ্যমে ছবি বিক্রি করলে আপনাকে কি কি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে ?
  7. অনলাইনে ছবি কারা কেনে ? কেন কেনে?
  8. পেমেন্ট কিভাবে পাবেন?
  9. অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করতে কি কি প্রয়োজন হবে?
  10. অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় কতটা লাভজনক?
  11. অনলাইনে ছবি বিক্রি করে কত টাকা আয় করা যায়?
  12. Shutterstock.com –
  13. Dreamstime.com –
  14. Depositphotos.com –
  15. Pond5.com –
  16. Adobe stock-
  17. Getty images –
  18. Istock.com –
  19. Stocksy.com –
  20. Alamy.com –
  21. 123RF.com –
  22. EyeEm.com
  23. Fineart america –
  24. Freepik.com –
  25. Picfair.com  
  26. Smugsmug.com –
  27. Snapped4u.com – 
  28. Zenfolio.com –
  29. Westend61.com –
  30. Canstockphoto.com –
  31. Foap.com –

অনলাইনে আয় করার নানান পদ্ধতি আছে, তারই মধ্যে অন্যতম হলো অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করা। কিভাবে করবেন, কোথায় বিক্রি করবেন, কি কি দরকার সব তথ্য এই নিবন্ধে দেওয়া হলো।

এবার এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানা যাক – 

অনলাইনে নিজের তোলা ছবি বিক্রি করে কিভাবে আয় করা যায়?

আপনি দু ভাবে অনলাইনে ছবি বিক্রি করতে পারবেন।

এক – নিজের ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে আপনার তোলা ছবি দিয়ে সম্পূর্ণ গ্যালারি বানিয়ে, সেখান থেকে ছবি বিক্রি করতে পারবেন।

দুই –  অনেক মাইক্রোস্টক ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি নিজের নাম দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে আপনার তোলা ছবি আপলোড করতে পারবেন। 

এবার দেখা যাক কোথায় ছবি বিক্রি করা বেশি লাভ জনক, মাইক্রোস্টক ওয়েবসাইট নাকি নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ?

মাইক্রোস্টক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ছবি বিক্রি করলে আপনি কি কি  সুবিধা পাবেন  –

১. আপনার কাজ হবে শুধু মাত্র ছবি তোলা ও তার এডিট করা। এডিট করা ছবি আপনি মাইক্রোস্টক ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট বানিয়ে আপলোড করে দিলেই আপনার কাজ সম্পূর্ণ। 

ছবিটির বিজ্ঞাপনি প্রচার বা ট্রাফিক আনার দায়িত্ব সমস্ত কাজ সেই ওয়েবসাইটের, আপনি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পারেন।

২. যখন আপনার ছবি কেউ কিনবে তখন আপনার পকেটে কমিশন হিসেবে টাকা ঢুকে যাবে। যদি আপনার ছবি ২০ বার ২০ জন ব্যক্তি কেনে তাহলে ২০ বার ই আপনি টাকা পাবেন। 

এবার দেখা যাক মাইক্রোস্টক ওয়েবসাইটের অসুবিধা কি ?

অসুবিধা একটাই – মাইক্রোস্টক ওয়েবসাইটগুলি যে দামে ছবি বিক্রি হবে তার খুব কম পার্সেন্টেজ কমিশন হিসেবে আপনাকে দেবে। প্রতিটা মাইক্রোস্টক ওয়েবসাইটের কমিশন আলাদা আলাদা হয়।

যদিও বেশির ভাগ টাকাটাই ওয়েবসাইটই নেয়। যে দামে ছবিটি বিক্রি হচ্ছে কমবেশি প্রায় ৭০% টাকা তারা নেবে আর ফটোগ্রাফারকে দেবে ৩০% এর কাছাকাছি।

নিজের ওয়েবসাইট বানিয়ে তার মাধ্যমে ছবি বিক্রি করলে আপনি কি কি  সুবিধা পাবেন?

আপনি যে দামে ছবি বিক্রি করবেন তার পুরো টাকাটাই আপনি পাবেন। কোথাও কাউকে কোনো কমিশন দিতে হবেনা।

নিজের ওয়েবসাইট বানিয়ে তার মাধ্যমে ছবি বিক্রি করলে আপনাকে কি কি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে ?

অসুবিধা নয় কোনোটাই। সবটাই আপনার ধৈর্য্য ও পরিস্থিতির উপর। নিজের ওয়েবসাইট বানাতে গেলে আপনাকে বেশ খানিকটা পরিশ্রম করতে হবে।

নিজের ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে শুধু ছবি তুলে এডিট করে আপলোড করলেই তো হবেনা, ছবিগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।

আর বিক্রির ব্যবস্থা তখনই সম্ভব হবে যদি আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ভিসিটর/দর্শক আনতে পারেন তবেই। আর এই দর্শক আনার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং ও করতে হবে।

আবার আপনার থেকে যারা জিনিস কিনবেন অর্থাৎ আপনার কাস্টমারদের ধরেও রাখতে হবে। আবার ছবি যে বিক্রি করবেন তার জন্য কাস্টমারের থেকে পেমেন্ট পাওয়ার জন্য পেমেন্ট গেটওয়ের সাথেও ওয়েবসাইট জুড়তে হবে।

অর্থাৎ ডোমেইন কেনা, হোস্টিং নেওয়া, কনটেন্ট তৈরী করা, পেমেন্ট গেটওয়ে বানানো সবকিছু আপনাকেই করতে হবে।

তাই যদি ওয়েবসাইট বানানোর বিষয়ে কোনো জ্ঞান না থাকে তাহলে প্রথমে মাইক্রোস্টক ওয়েবসাইট দিয়েই শুরু করতে পারেন, আর ইতিমধ্যে যদি ইচ্ছে করে তাহলে ওয়েবসাইট বানানো শিখে নিয়ে কিছুদিন পর নিজের ওয়েবসাইট খুলবেন।

পরিস্থিতি ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী পছন্দ ও সিদ্ধান্ত আপনার। 

অনলাইনে ছবি কারা কেনে ? কেন কেনে?

আমরা যারা উপমহাদেশে থাকি তারা বেশিরভাগ কাজই ফ্রীতে করতে চাই। আমরা যে কোনো ছবি, যেগুলি ফ্রীতে পাওয়া যায় তাই ডাউনলোড করে কাজ চালাই।

কিন্তু পশ্চিমের উন্নত দেশগুলিতে ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য, ব্লগ বা আর্টিকেল লেখায় ছবি দেবার জন্য, পোস্টার্স বানাতে , কোম্পানির রিপোর্ট তৈরী করার সময় ছবি দিতে, বিভিন্ন প্রোজেক্টে ছবি ব্যবহার করতে, তারা ভালো কোয়ালিটির ছবি কিনে তা নিজেদের কাজে ব্যবহার করে। 

আর এই ছবি বেচা কেনার কাজে থার্ডপার্টি হিসেবে কাজ করে মাইক্রোস্টক ওয়েবসাইট গুলি। ফটোগ্রাফাররা ছবি তুলে ও এডিট করে এই ওয়েবসাইট গুলিতে আপলোড করে, আর এই ওয়েবসাইটগুলি, যারা নিজেদের কাজের জন্য ভালো ছবি কিনতে আগ্রহী তাদের কাছে সেই ছবি প্রোমোট করে। বিক্রি করে যে টাকা আসে তার একটা পার্সেন্টেজ ফটোগ্রাফারকে দেয়। 

পেমেন্ট কিভাবে পাবেন?

বিভিন্ন ওয়েবসাইট এর পেমেন্ট পদ্ধতি আলাদা। যেহেতু বেশিরভাগ মাইক্রোস্টক ওয়েবসাইট গুলি পশ্চিমী দেশ তাই ওরা চেক, paypal, Payoneer, skrill প্রভৃতি পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট দেয়।  ভারতে যদিও paypal চলে কিন্তু বাংলাদেশে এখনো অবধি paypal এ পেমেন্ট পাওয়া সম্ভব নয় তাই skrill ব্যবহার করতে পারেন।

অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করতে কি কি প্রয়োজন হবে?

ক্যামেরা বা ভালো ছবি তোলা যায় এরকম ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল, ছবি এডিট করার জন্য কম্পিউটার বা মোবাইল অ্যাপ বা সফটওয়্যার থাকতে হবে,  আর চাই ফোটোগ্রাফি সম্পর্কে একটু জ্ঞান (একদম কিছু না জানলে ফোটোগ্রাফি নিয়ে একটু পড়াশুনো করে নিন এবং তারপর শুরু করুন)

এবং অবশ্যই ধৈর্য্য এবং অধ্যাবসায় (কারণ রাতারাতি আপনি ১০০ ডলার উপার্জন করে ফেলবেন এরকম ভাববেন না। সমস্ত প্ল্যাটফর্মেই প্রচুর কন্ট্রিবিউটর নিয়মিত ছবি আপলোড করে, তাই আপনাকেও যে কোনো প্ল্যাটফর্মে নিজের জায়গা তৈরী করতে হলে লেগে থাকতে হবে এবং সৃজনশীল কিছু বানিয়ে যেতেই হবে।

অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় কতটা লাভজনক?

যথেষ্ট লাভজনক। এই প্ল্যাটফর্ম গুলিতে রেজিস্টার করার জন্য আপনাকে কোনো টাকা দিতে হচ্ছেনা ( বা খুব কম টাকা দিতে হয় কিছু ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে )।

আপনি শুধু ছবি তুলবেন এডিট করবেন ও আপলোড করবেন। যদি ছবি বিক্রি হয় তখন আপনি বেশ ভালো amount এর টাকা পাবেন।

যদি খুব কম করেই ধরা হয় তাহলে শুনতে ২০% লাগলেও যদি অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আপনার $১০ হয় তাহলে ভারতীয় মুদ্রায় আপনি প্রায় ৮২০-৮৩০ টাকা মতো পাবেন, আর বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১১০০ টাকা।

কিন্তু যদি আপনি ভাবেন আপনি এটাকে আপনি পেশা করে জীবন ধারণ করবেন, না তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। এটা আপনার সাইড ইনকাম হতে পারে , আর যদি আপনি ছাত্র হন তাহলে এটা সত্যি পড়াশুনোর খরচ চালানোর জন্য একটি উপায় হতে পারে , কিন্তু এটা কে একমাত্র পেশা করে তুলতে চাইলে সমস্যা।

এই ভাবে ছবি বিক্রি করে আপনি হয়তো অনেক অর্থ  উপার্জন করতে পারেন , কিন্তু এর নিশ্চয়তা নেই।

তাই যদি আপনি যে কাজের সঙ্গে যুক্ত তার সাথে আলাদা পেশার সন্ধান চালাচ্ছেন অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য তাহলে এই পেশা কে ভাবতেই পারেন যদি ছবি তোলার প্রতি আপনি প্যাশনেট হন তবেই। 

অনলাইনে ছবি বিক্রি করে কত টাকা আয় করা যায়?

এটার কোনো সঠিক অ্যামাউন্ট বলা সম্ভব নয়।আপনার ছবির কোয়ালিটি যদি যথেষ্ট উন্নত হয় , আপনার ভাবনা চিন্তায় যদি নিজস্বতা থাকে এবং সর্বোপরি সমসাময়িক হয়।

এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সঠিক টপিকে ছবি তুলতে পারেন ও তার ঠিক মতো এডিট করতে পারেন তাহলে আপনার ছবি বেশি বিক্রি হবে এবং আপনি বেশ ভালো অঙ্কের অর্থ রোজগার করতে পারবেন।

খুব কম করে দিলেও বেশিরভাগ ওয়েবসাইট ২০% মতো কমিশন ফটোগ্রাফার বা কন্ট্রিবিউটরদের দেয়। তাই যদি কোনো ছবি ২০$ ৰিক্রি হয় তাহলে নিজেই হিসেবে করুন কতটা টাকা আপনি একটা ছবি একবার বিক্রি করে পাবেন।

ওই একই ছবি তারপর যত বার ডাউনলোড অর্থাৎ বিক্রি হবে প্রতিবার আপনি ২০% করে পাবেন। এবার আপনিই হিসেবে করে দেখুন কতটা লাভজনক।  

অনলাইনে ছবি বিক্রি করার সেরা ওয়েবসাইটগুলি হলো

Shutterstock.com –

অনলাইনে-ছবি-বিক্রি-করার-ওয়েবসাইট-Shutterstock

সবচেয়ে প্রচলিত মাইক্রো স্টক এজেন্সী গুলির একটি হল – shutterstock.com , অনলাইনে ছবি বিক্রি করার ওয়েবসাইট হিসেবে এটি বেশ জনপ্রিয়।

এখানে ফটোগ্রাফারদের কমিশন দেয় প্রায় ১৫ – ৪০% , ছবি, ভিডিও , ভেক্টর এর ক্ষেত্রে কমিশন রেট ও আলাদা আলাদা হয়।

প্রথম দিকে আপনার ছবি বিক্রির সংখ্যা যেহেতু কম হবে তখন যে দামে shutterstock ছবিটি বিক্রি করবে তার আপনি ১৫ %  পাবেন।এরপর যত আপনার ছবি বিক্রির সংখ্যা বাড়বে আপনার কমিশনও বাড়বে।

যদি কোনো এক বছরে ২৫০০০ এর বেশি আপনার ছবি বিক্রি হয় তখন সর্বোচ্চ ৪০% কমিশন আপনি পেতে পারেন।

এন্ড্রোয়েড ও ios সিস্টেম এর জন্য Shutterstock এর মোবাইল অ্যাপ ও আছে ।

ফটোগ্রাফার / কন্ট্রিবিউটর দের পেমেন্ট নিয়মিত করা হয় , তাই প্রথম দিকে পেমেন্ট কম পেলেও এই প্ল্যাটফর্ম যথেষ্ট ভালো। আপনার পেমেন্ট এর ধাপ সম্পর্কে জানতে

অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান – https://www.shutterstock.com/

Dreamstime.com –

অনলাইনে-ছবি-বিক্রি-করার-ওয়েবসাইট-dreamstime

এই ছবি বিক্রি করার ওয়েবসাইটটি ফটোগ্রাফারদের কমিশন দেয় প্রায় ২৫-৫০% , যদিও এদের কমিশন দেবার পদ্ধতিটি একটু জটিল।

যদি dreamstime এ ছবি বিক্রি করে আপনার অ্যাকাউন্টে $ ১০০ হয় , তবেই আপনি তা তুলতে পারবেন। আর যদি আপনার এক্সক্লুসিভ ফটো ওখানে বিক্রি হয় তাহলে প্রায় ৬০% কমিশন পেতে পারবেন।

এন্ড্রোয়েড ও ios সিস্টেম এর জন্য Dreamstime এর মোবাইল অ্যাপ ও আছে ।

পেমেন্ট মেথড – paypal, Payoneer, skrill ও চেক এর মাধ্যমে দেওয়া হয়। 

নিয়মাবলী – https://www.dreamstime.com/faqs-detail-2

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.dreamstime.com/

Depositphotos.com –

এখানে কান্ট্রিবিউটর হতে চাইলে পরীক্ষায় পাস্ করতে হবে। পরীক্ষায় পাস্ করলে তখন আপনাকে ৫ টি লেভেলের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

প্রথম গ্রিন আপ লেভেল – যদি আপনার ৫০০ অবধি  ছবি ডাউনলোড হয় ততক্ষন আপনি একটা নির্দিষ্ট টাকা কমিশন পাবেন। 

ব্রোঞ্জ লেভেল- যদি ৫০০ – ৪৯৯৯ টা ছবি ডাউনলোড হবে, সিলভার লেভেল- ৫০০০-২৪৯৯৯ টা, গোল্ড – ২৫০০০-১৪৯৯৯৯ টা , প্ল্যাটিনাম -১৫০০০০+

আপনার  এই লেভেলে ধাপে ধাপে যত নিজের বিক্রীত সংখ্যা বাড়বে তত আপনি কমিশন বেশি পাবেন। প্রথম ধাপ থেকে শেষ ধাপ পর্যন্ত প্রায় ৩৪ % -৪২% পর্যন্ত কমিশন আপনি পেতে পারেন আপনার প্রতিটা ছবি বিক্রির জন্য। 

এন্ড্রোয়েড ও ios সিস্টেম এর জন্য Depositphoto এর মোবাইল অ্যাপ ও আছে ।

পেমেন্ট মেথড – শুধুমাত্র Payoneer

অফিসিয়াল ওয়েবসাইটhttps://depositphotos.com/

Pond5.com –

অনলাইনে-ছবি-বিক্রি-করে-টাকা-আয়-করার-ওয়েবসাইট-pond5

এটি সেই মার্কেটপ্লেস যেখানে স্টক ভিডিও , মিউজিক ও সাউন্ড এফেক্ট নিয়ে বেশি ফোকাস করা হয়।  তাই যদি কেউ ভিডিও বানিয়ে বিক্রি করতে চান তো এই ওয়েবসাইট তার জন্য। এরা স্টক ছবিও বিক্রির ব্যবস্থা করে কিন্তু এখনো অবধি pond5 ভিডিও এর জন্যই বেশি প্রচলিত। 

নন এক্সক্লুসিভ রা ভিডিও প্রতি ৪০% পাবেন।এক্সক্লুসিভরা ভিডিও প্রতি ৬০% পাবেন, সাউন্ড এফেক্টের জন্য-৩৫%, ফটো, আফ্টারএফেক্টস , ইলাস্ট্রেশন ও ৩D মডেল এর জন্য – ৫০% পাবেন।

পেমেন্ট মেথড – Paypal , Skrill , Payoneer

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.pond5.com/

Adobe stock-

অনলাইনে-ছবি-বিক্রি-করার-ওয়েবসাইট-adobe-stock

অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এটি যা আগে fotolia নামেই পরিচিত ছিল।

এখানে ফটোগ্রাফস, ভিডিও ক্লিপ্স, vectors, and illustrations এগুলি কন্ট্রিবিউটররা আপলোড করতে পারেন। কমিশন – ৩৩% পাবেন। 

অফিসিয়াল ওয়েবসাইটhttps://stock.adobe.com/

Getty images –

অনলাইনে-ছবি-বিক্রি-করার-ওয়েবসাইট-gettyimages

এটি সমসাময়িক ফটোগ্রাফির এক অসাধারণ কালেকশন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রচুর ধরণের ছবি পাওয়া  যায়। যেহেতু  অনেক দিন ধরে এই প্ল্যাটফর্ম বহু সংখ্যক মানুষকে পরিষেবা দিয়ে আসছে তাই এর কাস্টমার বেস ও প্রচুর তাই ছবি বিক্রির সম্ভাবনা ও প্রচুর। 

কমিশন – যদিও এরা ফটোগ্রাফারদের পারিশ্রমিক মোটেই হাত খুলে দিতে পারেনা। শুধুমাত্র ২০% কমিশন দেয়।

এই প্ল্যাটফর্মের এন্ড্রোয়েড app ও গুগল প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন।

পেমেন্ট পদ্ধতি – Payoneer বা paypal

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.gettyimages.com/workwithus

Istock.com

এটিও একটি বিখ্যাত স্টক ফোটোগ্রাফি ওয়েবসাইট। ২০০৫ এ একে getty অধিগ্রহণ করে।  

কমিশন –  নন-এক্সক্লুসিভরা ১৫%থেকে কমিশন শুরু  ছবিতে, আর ২০ % ভিডিও তে আর এক্সক্লুসিভ কান্ট্রিবিউটররা – ২৫-৪৫%

এই প্লাটফর্মের app ও গুগল প্লে স্টোরে ও apple স্টোরে পেয়ে যাবেন।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.istockphoto.com/

Stocksy.com –

ছবি-বিক্রি-করার-ওয়েবসাইট-stocksy

এটি তুলনামূলক নতুন স্টক ফটোগ্রাফির প্ল্যাটফর্ম যার বয়স প্রায় ৮ বছর মাত্র । কিন্তু এর মধ্যেই এই ছবি বিক্রি করার ওয়েবসাইটটি যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করছে। আগের স্টক সাইট গুলির সাথে নিজের জায়গা বেশ ভালো করেই করে নিয়েছে।

কিন্তু এখানে ফটোগ্রাফার হিসেবে যুক্ত হওয়া একটু কঠিন।খুব ভালো ফোটোগ্রাফি না জানলে এরা আপনাকে ওদের প্ল্যাটফর্ম অ্যাক্সেস করতেই দেবেনা।

কমিশন – স্ট্যান্ডার্ড লাইসেন্স এর জন্য – ৫০% কমিশন , এক্সটেন্ডেড লাইসেন্স এর জন্য – ৭৫%

পেমেন্ট পদ্ধতি – Payoneer বা paypal

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.stocksy.com/cta/welcome

Alamy.com –

alamy

এটা ছাত্রছাত্রীদের ফোটোগ্রাফি করে উপার্জন করার জন্য সবচেয়ে ভালো সাইট যা অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করার উপায় হতে পারে। 

যদি আপনি স্টুডেন্ট হন তাহলে যে দামে এই ওয়েবসাইট থেকে আপনার ছবি বিক্রি হবে সেই দামের ১০০ % আপনি পাবেন প্রথম ২ বছরের জন্য। stock photos, videos, vectors, illustrations and Live News. এগুলি এরা বিক্রি করে।

এটা নন- এক্সক্লুসিভ ওয়েবসাইট অর্থাৎ আপনি আপনার ছবি এখানে দিয়ে অন্য ওয়েবসাইটেও দিতে পারবেন।

কমিশন – যদি স্টুডেন্ট না হন, যখন প্রথম বার সাইন আপ করবেন তখন থেকে প্রথম যে ছবি বিক্রি হবে তার ৪০% আপনি পাবেন, তারপর সেই বছরের আপনার ছবি বিক্রির সংখ্যা অনুযায়ী আপনার কমিশন নির্ধারিত হবে।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.alamy.com/contributor/

123RF.com –

123rf

অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করার উপায় হিসেবে আরো একটি ওয়েবসাইট এটি , এটিও নন- এক্সক্লুসিভ ওয়েবসাইট।

পেমেন্ট মেথড-  PayPal, Skrill, Payoneer or Alipay (for China ONLY)

কমিশন – ৩০-৬০%

এই প্ল্যাটফর্মের app ও গুগল প্লে স্টোর ও apple স্টোরে পেয়ে যাবেন।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.123rf.com/contributors/

EyeEm.com

ছবি-বিক্রি-করার-ওয়েবসাইট-eyeem

কমিশন – ৩৫% যারা প্রথম রেজিস্ট্রেশন করবে তাদের জন্য। 

এদের ৪ টি পে লেভেল আছে, যারা শুরুতে জয়েন করবে তারা লেভেল ৩ থেকে শুরু করবে। 

পেমেন্ট মেথড – শুধু paypal

এই প্ল্যাটফর্মের app ও গুগল প্লে স্টোর ও apple স্টোরে পেয়ে যাবেন।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.eyeem.com/signup/creator

Fineart america –

fineart america

এই ওয়েবসাইটটি অন্যান্য স্টক সাইটগুলির থেকে একটু আলাদা, এরা original art, prints, home decor, apparel এর মতো বিষয় গুলির প্রতি বেশি ফোকাস করে। 

সহজ কথায় শুধুমাত্র ফোটোগ্রাফি নয়, আর্টিস্টিক অন্য সৃজনশীল ছবি, ওয়াল পেন্টিং, প্রিন্ট্স্, ম্যাট, হ্যান্ডক্রাফ্ট  ইত্যাদির উপর বেশি নজর দেয়।

এরা  শুধু মাত্র স্টক ফটোর এজেন্সির বাইরে বেরিয়ে আর্টিস্টদের ব্যক্তিগত প্রমোশন ও মার্কেটিং এও সাহায্য করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। এখানে বিক্রিত প্রোডাক্ট এর মূল্য নির্ধারণ করবেন আপনি। 

কমিশন – এরা কোনো কমিশন সিস্টেমে কাজ করেননা। শুধু মাত্র যে বেস প্রাইস রাখবে সাইটটি তাই ওরা নেবে এখানে ছবি বিক্রি করলে সব টাকাটাই আপনি পাবেন।

ধরুন Fineart america তে কোনো একটা প্রোডাক্ট এর বেস প্রাইস দেখাচ্ছে ১২$ . আপনি চাইছেন ওটা ২০০ $ এ বিক্রি করতে , তাহলে আপনি আপনার প্রোডাক্ট এ গিয়ে ২০০$ লিখে দেবেন, তারপর যদি প্রোডাক্ট বিক্রি হয় পুরো টাকা আপনার।

ওদের ভাষায় –

“We set the base price for each product that we manufacture, and then you add a markup on top of that base price. Whatever you set as your markup… that’s exactly how much you’ll earn on the sale.Let’s say that our base price for a 24″ x 36″ canvas print is $50 and that you set your markup to be $25. A buyer would pay $75 for the canvas print, and you would earn $25.You can set your prices as high or as low as you want to set them, and you can change them at any time.”

Source – Fineartamerica

যদি আপনি আপনার Fineart america এর  ফ্রি অ্যাকাউন্ট কে প্রো তে আপগ্রেড মানে আরো উন্নত করতে চান তখন ই একমাত্র ৩০$ প্রতি বছর দিতে হবে। এটা একটা খুব ভালো প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিনামূল্যে আপনি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন।  ফ্রি অ্যাকাউন্টে আপনি ২৫ টি লিস্টিং করতে পারবেন।

পেমেন্ট মেথড – শুধুমাত্র paypal 

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://fineartamerica.com/

Freepik.com –

freepik

এদেরও ওয়েবসাইটে যদি আপনি নিজেকে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে যুক্ত করতে চান তাহলে একটা টেস্ট দিতে হবে।  টেস্ট বলতে আপনার ২০ টা ছবি এই ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে আপনি আপলোড করবেন , যদি ওদের পছন্দ হয় তবেই কন্ট্রিবিউটর হিসেবে যুক্ত হতে পারবেন।

তবে এদের কিরকম ছবি পছন্দ তা নিয়ে সঠিক গাইডলাইন নেই , আপনি ওদের ওয়েবসাইটে কি ধরণের ছবি পাওয়া যায় সেটা ভালো করে দেখে বুঝে তবেই ছবি পাঠান। নাহলে ২ বার যদি পরপর ওরা ছবি রিজেক্ট করে তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেবে।

পেমেন্ট মেথড – paypal ও Payoneer 

পেমেন্ট কমিশন – এই ওয়েবসাইটটি অন্যান্য ওয়েবসাইট গুলির মতো এত সহজ হিসেবে কমিশন % এ দেয়  না। এদের পেমেন্ট সম্বন্ধে সামান্য অংশ এখানে তুলে দেওয়া হলো

There is not a fixed price for the download of an image. This is how your earnings from downloads will be calculated:

At the end of each day, we will calculate the total amount of subscription fees and the “per diem” subscription amount. Then we will calculate the total number of downloads. The total daily subscription average will be divided by the number of downloads to calculate the “per file” price for that day. That number will be multiplied by 0.5 to calculate the 50% rate.

Source – freepik.com

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.freepik.com/

Picfair.com  

picfair

এটিও নতুন যারা ফোটোগ্রাফি শুরু করছে তাদের জন্য খুব ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে ছবি বিক্রি করতে গেলে আপনাকে যেকোনো একটা স্কীমে নিজেকে রেজিস্টার করতে হবে আপনাকে, হয় শুধু picfair নয়তো picfair plus এ।

‘picfair’ এই স্কীমে নিজেকে রেজিস্টার করলে আপনি সর্বোচ্চ ৫০ টা ছবি আপলোড করতে পারবেন, এবং যে দামে ছবি বিক্রি হবে তার একটা পার্সেন্টেজে ওদের দিতে হবে। 

‘picfair plus’ এ কোনো কমিশন আপনাকে দিতে হবেনা , এবং unlimted ছবি আপনার অ্যাকাউন্ট এ আপলোড করতে পারবেন।

নিজের ফটোগ্রাফির ওয়েবসাইট ডোমেইন এখানে জুড়ে দিতে পারবেন , এমন কি চাইলে picfair এর ব্র্যান্ডিং ও এড়ানো যেতে পারে।

কমিশন – দিতে হবেনা , শুধু এই স্কিমের মূল্য মাসিক ৮.৯৯$ দিয়ে রেজিস্টার করলেই যে দামেই আপনার ছবি বিক্রি হোক না কেন এই প্ল্যাটফর্ম কে কোনো টাকা দিতে হবেনা।

এই প্ল্যাটফর্মের app ও গুগল প্লে স্টোর ও apple স্টোরে পেয়ে যাবেন।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.picfair.com/

Smugsmug.com –

smugmug

এটা কোনো মাইক্রো স্টক ওয়েবসাইট নয়। এটা একটা ওয়েবসাইট বিল্ডার যেখানে যদি আপনি কোডিং না জানেন তাও নিজের ফটোগ্রাফির ওয়েবসাইট বানাতে চান, তাহলে এই ওয়েবসাইট আপনাকে আপনার নিজের ডিজিটাল ফোটোগ্রাফি সাইট বানাতে সাহায্য করবে। 

মূলত আর্টিস্ট, ডিসাইনার ও ফটোগ্রাফারদের জন্যই বানানো একটি সার্ভিস প্রদানকারী প্ল্যাটফর্ম। যদি আপনি নিজের কাজ অনলাইনে নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে ইচ্ছুক হন, তবেই এটা আপনার কাজের।

এই প্ল্যাটফর্মের app ও গুগল প্লে স্টোর ও apple স্টোরে পেয়ে যাবেন।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.smugmug.com

Snapped4u.com – 

snapped4u

এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি পোর্টেট ও ইভেন্ট ফোটোগ্রাফি বিক্রি ও কিনতে পারবেন। এই দুটি রকম ছাড়া অন্য কোনো রকমের ছবি এখানে বেচাকেনা হয়না।

যারা এখানে ছবি বিক্রি করে তাদের “অ্যাকাউন্ট  ‘owner’ বলে এবং যারা কেনে তাদের ‘Customer’ বলে। account খুলতে গেলে ১০$ লাগবে। 

এখানে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য $১০ ফীস দিতে হবে, এবং ছবি বিক্রি হলে ডোমেস্টিক সেল এর জন্য ১০% ও আন্তর্জাতিক সেল এর জন ১২% কমিশন এরা কেটে নেবে। এছাড়াও প্রতিটি অর্ডারে এরা ৫০ সেন্ট চার্জ করে।

পেমেন্ট পদ্ধতি – শুধুমাত্র Paypal

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://snapped4u.com/

Zenfolio.com –

zenfolio

এরা আপনার নিজের ফোটোগ্রাফি নিয়ে webstore বানাতে সাহায্য করবে।  এদের বেসিক প্ল্যান ৫$., এই টাকাতেও এরা ১৫ GB জায়গা দেয় আপনার কাজকে প্রদর্শনের জন্য, যেখানে বেশিরভাগ সাইট আরো অনেক টাকা নেয় এই পরিমাণ স্পেস ব্যবহার করার জন্য। 

Wall Art, Packages, Greeting Cards, ফটো প্রিন্ট, ক্যানভাস, ডিজিটাল ডাউনলোড সব কিছুই এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে বিক্রি  করা যায়।

এই প্ল্যাটফর্মের app ও গুগল প্লে স্টোর ও apple স্টোরে পেয়ে যাবেন।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://zenfolio.com/

Westend61.com

এটা জার্মানির একটা স্টক ফটোগ্রাফির এজেন্সী প্লাটফর্ম। যারা বেশিরভাগটাই জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়াতে নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে ডাইরেক্টলি ছবি বিক্রি করে, আর সারা পৃথিবীতে বিক্রির জন্য ওরা অন্যান্য আরো এজেন্সী কে ছবি বিক্রি করতে দিয়ে দেয়।

কমিশন – ৪০-৬০% কমিশন আপনি পাবেন। 

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.westend61.de/en/cms/joinus

Canstockphoto.com –

এটিও একটি স্টক ফটোগ্রাফি বেচাকেনার খুবই প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট যা শুরু হয় ২০০৪ সালে । এই ওয়েবসাইটের কান্ট্রিবিউটর হবার জন্য খুব কিছু জটিল পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় না।

একদম বিনামূল্যে এই অনলাইনে ছবি বিক্রি করার ওয়েবসাইটে গিয়ে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে খুব সহজ একটা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম সাবমিট করতে হবে, সাথে ৩ টি ছবিও।

যদি আপনার ছবি ওদের পছন্দ হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি (সেইদিনের মধ্যেই আপনাকে) জানিয়ে দেবে। এরপর আপনি নিয়মিত ছবি আপলোড করতে পারবেন।

কমিশন – যদি আপনার ছবি টি সরাসরি ডাউনলোড (ইনস্ট্যান্ট ডাউনলোড) হয় তাহলে ২০-৫০% পেতে পারেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছবির ক্রেতারা কোনো না কোনো সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান এ থাকে সেক্ষেত্রে কমিশন কম পাবেন।

যেমন যদি Small JPEG ফাইল এর ক্ষেত্রে ইনস্ট্যান্ট ডাউনলোড এ পাবেন – ১ডলার, আর ক্রেডিট ডাউনলোড এ ওই ছবির ক্ষেত্রে কমিশন হবে ১/২ ডলার।

পেমেন্ট মেথড – Paypal , Skrill

চাইলে canstockphoto.com কম্পিউটার এর ওয়েব ব্রাউসার এ গিয়েও নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি আপনি মোবাইল থেকে ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে canstockphoto app ও ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

পেমেন্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে এই লিংকে যান – https://www.canstockphoto.com/payout_schedule.php

এই প্ল্যাটফর্মের app গুগল প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.canstockphoto.com/

Foap.com –

মোবাইলে-ছবি-তুলে-টাকা-ইনকাম-করার-অ্যাপ-foap

এটি স্টক ফটোগ্রাফির কোনো ওয়েব ব্রাউজার বেসড ওয়েবসাইট নয়। এটি একটি মোবাইল অ্যাপ যা এন্ড্রোয়েড ও ios দু ধরণের ফোনেই ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। ফটো ও ভিডিও দুটিই বিক্রি করতে পারেন প্ল্যাটফর্মে।

আপনি চারটি স্কীমে এই অ্যাপে নিজেকে seller হিসেবে রেজিস্টার করতে পারেন।

১. Foap এ আপনার নিজের অ্যালবাম এ ছবি আপলোড করে বসে থাকুন যদি কেউ কেনে তখন ০.২৫ ডলার পাবেন প্রতি ছবি ডাউনলোড এ।

২. Foap market এর মাধ্যমে ছবি বিক্রি করলে যদি আপনার একটা ছবি ১০ ডলার এ বিক্রি হয় তাহলে তার ৫০% আপনি পাবেন।

৩. Premium mission এ যদি নিজের ছবি বিক্রি করতে চান তাহলে অ্যাপ এ ঢুকে ফোপ coin দিয়ে তা অ্যাক্টিভেট করতে হবে। তারপর ছবি বিক্রি করলে ১০০০ ডলার অবধি আপনি পেতে পারেন বলে ছবি বিক্রি করার ওয়েবসাইটটি দাবি করে.

৪. Regular foap mission এ রেজিস্টার করলে প্রতি ছবি বিক্রিতে ১০ ডলার পাবেন।

পেমেন্ট – শুধু Paypal

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.foap.com/

স্টক ফটোগ্রাফি বিক্রীর ফ্রী কোর্স

যদিও এই কোর্সটি শাটারস্টকে ছবি বিক্রির উপর কিন্তু আপনি অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এর ক্ষেত্রেও তা কাজে লাগাতে পারেন।

ZZ 2

অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম করার জন্য এই ২০ টি ছবি বিক্রি করার ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ আশা করি তাদের কাজে লাগবে যারা ফটোগ্রাফি পছন্দ করে এবং যদি আপনি নিজে ছবি তুলতে আগ্রহী নাও হন তাহলেও নিজের ফটোগ্রাফার বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।

ওয়েবসাইট টেস্টিং করে কিভাবে আয় করবেন ?

ট্রান্সক্রিপশন করে আয় করার দশটি সেরা ওয়েবসাইট

ভয়েস ওভার করে ঘরে বসে ইনকাম করার ওয়েবসাইট

DMCA.com Protection Status

Spread the love

3 thoughts on “২০ টি সেরা ওয়েবসাইট অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করার জন্য ”

  1. I am really surprised by the quality of your constant posts. You really are a genius, I feel blessed to be a regular reader of such a blog Thanks so much..

    Reply
  2. এখানে কয়েকটা ওয়েবসাইট এর সাথে আমি পরিচিত।

    Reply

Leave a Comment

error: Content is protected !!