ফিক্সড ডিপোজিট কি ? ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা রাখা কতটা লাভজনক ?

by

ফিক্সড ডিপোজিট কি ?

এটি হলো সেই ব্যবস্থা যেখানে আপনি কোনো সরকারি বা বেসরকারি ব্যাঙ্কে একটি নির্দিষ্ট অ্যামাউন্টের টাকা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জমা করে রাখেন যাতে পরবর্তীতে সেই নির্দিষ্ট সময় শেষ হলে ওই টাকা সুদসহ ফেরত পান।

ফিক্সড ডিপোজিট এ সেভিংস অ্যাকাউন্টের থেকে বেশি পরিমাণ সুদ পাওয়া যায় কিন্তু সেভিংস অ্যাকাউন্টের মতো আপনি যখন ইচ্ছা টাকা তুলতে পারবেন না , যে সময়ের জন্য আপনি আপনার টাকা ফিক্সড করেছেন সেই নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পরেই আপনি টাকা ফেরত পাবেন।

যদি কোনো কারণে আপনি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে ফেলতে চান তবে আপনাকে পেনাল্টি দিতে হবে এবং আপনি সুদও কম পাবেন।

বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অনুযায়ী ফিক্সড ডিপোজিট এর সুদের হার আলাদা আলাদা হয় এছাড়াও আপনি কত টাকা এবং কত সময়ের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট করাচ্ছেন তার ওপরেও সুদের হার নির্ভর করে।

যত বেশি সময়ের জন্য আপনি ফিক্সড ডিপোজিট করবেন সুদের হার ও তত বেশি হবে।

আপনি সুদের টাকা একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর পেতে চান না কি একদম ম্যাচুরিটির সময় একসাথে পেতে চান তা আপনাকেই ঠিক করে নিতে হবে ফিক্সড ডিপোজিট করানোর সময়।

১ লক্ষ টাকা আয় করুন আর্থিক পণ্য বিক্রি করে

ফিক্সড ডিপোজিট কি কি ধরনের হয় ?

ফিক্সড-ডিপোজিট-কত-ধরণের-হয়
ফিক্সড ডিপোজিটের প্রকারভেদ

সাধারণ ফিক্সড ডিপোজিট –

এতে আপনি সর্বনিম্ন ৭ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারেন। সুদের হার ৪% থেকে ৭% অবধি হতে পারে।

ট্যাক্স সেভিং ফিক্সড ডিপোজিট –

ইনকাম ট্যাক্স অ্যাক্ট ১৯৬১ এর সেকশন ৮০c অনুযায়ী আপনি এই ধরণের ফিক্সড ডিপোজিটে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন কিন্তু এতে ৫ বছরের লক-ইন পিরিয়ড থাকে অর্থাৎ ৫ বছরের আগে আপনি টাকা তুলতে পারবেন না।

সিনিয়র সিটিজেন ফিক্সড ডিপোজিট –

নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে এটি শুধুমাত্র ষাটোর্দ্ধদের জন্য এতে সাধারণ ফিক্সড ডিপোজিটের তুলনায় সুদের হার কিছুটা বেশি পাওয়া যায়।

ফ্লেক্সিবল বা সুইপ ইন ফিক্সড ডিপোজিট –

এটি এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে আপনার ফিক্সড ডিপোজিট ও সেভিংস অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকে এবং আপনি দুটোরই সুবিধা পান এবং চাইলেই ম্যাচুরিটির আগেই টাকা তুলে নিতে পারেন।

এছাড়াও আরো কিছু ফিক্সড ডিপোজিট হয় যেমন কিউমুলেটিভ এবং নন কিউমুলেটিভ , কর্পোরেট বা কোম্পানি ফিক্সড ডিপোজিট, NRE ও NRO ফিক্সড ডিপোজিট প্রভৃতি, তবে সাধারণ মানুষের জন্য উপরোক্ত চার ধরণের ফিক্সড ডিপোজিট সম্বন্ধে ধারণা থাকাই উপযোগী।

ফিক্সড ডিপোজিট এর ক্ষেত্রেও অবশ্যই আপনি কাউকে নমিনি করে রাখবেন যাতে পরবর্তীতে কোনো অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়।

ফিক্সড ডিপোজিট এর সুদ বাবদ প্রাপ্ত অর্থের ওপর আপনাকে ট্যাক্স দিতে হবে যদি তা কোনো আর্থিক বর্ষে ৪০০০০ টাকার (সিনিয়র সিটিজেনদের ক্ষেত্রে ৫০০০০ টাকা) বেশি হয়।

ফিক্সড ডিপোজিট করাতে কি কি লাগে ?

১. পরিচয়পত্র – আধার / ভোটার কার্ড / রেশন কার্ড / ড্রাইভিং লাইসেন্স / প্যান কার্ড / পাসপোর্ট ইত্যাদি।

২. ঠিকানার প্রমান – আধার / ভোটার কার্ড / রেশন কার্ড / ড্রাইভিং লাইসেন্স / পাসপোর্ট ইত্যাদি।

ফিক্সড ডিপোজিট কিভাবে করাবেন ?

অফলাইনে – ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে সমস্ত দরকারি ডকুমেন্টস জমা করে ফিক্সড ডিপোজিট করাতে পারেন।

অনলাইনে – ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, মোবাইল ব্যাঙ্কিং বা ব্যাঙ্কের অ্যাপ ব্যবহার করে বাড়িতে বসেই ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারেন।

ফিক্সড ডিপোজিট করানোর সময় যে সুদের হার নির্ধারিত হবে আপনি সেই হারেই সুদ পাবেন তা কোনোভাবেই পরিবর্তিত হবে না কিন্তু এর হার আমাদের দেশের মূল্যবৃদ্ধির হারের তুলনায় অনেক কম।

আপনি আপনার আপদকালীন সময়ের জন্য যে পরিমাণ টাকা দরকার সেটা ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখতে পারেন কিন্তু যদি আপনি আপনার টাকাকে মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে বাঁচাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিনিয়োগ করতে হবে।

বিনিয়োগের জন্য ভারতে সবচেয়ে সুবিধাজনক ডিসকাউন্ট ব্রোকারগুলি হল –

Upstox (জনপ্রিয় উদীয়মান ডিসকাউন্ট ব্রোকার) – সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অ্যাকাউন্ট খুলুন

Zerodha (ভারতের বৃহত্তম ডিসকাউন্ট ব্রোকার) – অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ফীস ২০০ টাকা

বিশেষ দ্রষ্টব্য : এই নিবন্ধ কোনোভাবেই বিনিয়োগের পরামর্শ দেবার জন্য নয়, এটি শুধুমাত্র তথ্যমূলক, বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত একান্তই পাঠকের ব্যক্তিগত।

টার্ম ইন্স্যুরেন্স করানোর আগে কি কি দেখবেন ?

টাকার দশটি সূত্র যা আপনার জীবন বদলে দেবে

স্বাস্থ্য বীমা করানোর আগে কোন কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন ?

DMCA.com Protection Status

Spread the love

Leave a Comment

error: Content is protected !!