২০২০ থেকে শুরু হয়েছে করোনা নামের এই মহামারী। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ শুধুমাত্র ভারতেই মারা গেছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়েছে কদিন আগেই।
কেউ জানেনা কবে এই অতিমারি শেষ হবে।ডাক্তারদের নিদান অনুযায়ী জীবন বাঁচাতে ভরসা শুধু মাস্ক, স্যানিটাইজার আর নির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্য বিধি। তাই করোনা থেকে বাঁচার ঘরোয়া উপায়গুলি জেনে নেওয়াই ভালো।
যারা সারাক্ষণ এই কোভিড রোগাক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত আছেন তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু স্বাস্থ্য বিধির কথা এখানে উল্লেখ করা হল যাতে নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে এই অতিমারির বিরদ্ধে লড়াইয়ে আমরা জিততে পারি।
করোনা কালে বাড়িতে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করবেন ?
১. যতটা সম্ভব কম বাইরে বের হন। একমাত্র প্রয়োজনেই বাইরে বেরোন।
সরকার বলছে বাড়িতে থাকুন সুরক্ষিত থাকুন। কিন্তু সেটা তাদের পক্ষেই সম্ভব যারা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু সাধারণ আমজনতাকে রুজি রুটির জন্য বাইরে বেরোতেই হবে। তাই বাইরে বেরোলে বাইরের পোশাক আলাদা করে রাখুন, প্রতিদিন ধুয়ে নিন।
২. বাইরে থেকে যেকোনো জিনিস এনে তা প্রবহমান জলধারায় ধুয়ে নিন। আর যদি ধোয়া সম্ভব না হয় অবশ্যই স্যানিটাইজ করুন কারণ আপনি জানেননা সে জিনিসটি আগে কোনো কোভিড আক্রান্ত ছুঁয়েছে কিনা।
৩. বাইরে বেরোলে ২ টো মাস্ক অবশ্যই পড়ুন যদি তা সার্জিকাল মাস্ক হয়।
৪. চেষ্টা করুন সারা সপ্তাহের বাজার একদিনে করে নিতে বা ২ দিনে করে নিতে। রোজ বাজার যাওয়া পরিত্যাগ করুন।
৫. অনেক মানুষ আছে যারা করোনা কে রোগ বলে মনে করেনা, আপনাকে তাদের বাড়িতে এই মহামারীতে নিমন্ত্রণ করলে, ভদ্রভাবে বিনয়ের সাথে না বলুন। জীবন আপনার, তাই সুরক্ষিত থাকার দায়িত্ব ও আপনার।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে ৫০০ এর ও বেশি চিকিৎসক মারা গিয়েছেন এখনো অবধি। বুঝতেই পারছেন সমস্যা কত গভীর।
রাজ্য প্রশাসন সমস্তরকম ভাবে চেষ্টা করছে পরিস্থিতি সামাল দেবার কিন্তু আমার আপনার সবার দায়িত্ব তাদের সহযোগিতা করা। কারণ তারা আমাদেরই সুরক্ষিত রাখার জন্য চেষ্টা করছে। কেউ মাস্ক পড়া নিয়ে যতই ঠাট্টা তামাশা করুক, আপনি কিন্তু সবিনয়ে মাস্ক পড়ে থাকুন।
দেখে নেওয়া যাক কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে নিজের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবার কিছু ঘরোয়া উপায় :-
১. সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জলে গার্গেল করুন ও নাসাপান (নাক দিয়ে জল টানুন) করুন।
২. অর্ধেক পাতিলেবুর রস ঈষদ উষ্ণ জলে মিশিয়ে পান করুন।
৩. লবঙ্গ, দারুচিনি, গোলমরিচ, আদার শুট ও তুলসীপাতা গরমজলে ফুটিয়ে পান করুন। (দিনে ৩ বার)
৪. সকালে গরম জলের ভাপ ১০ বার মুখ ও ১০ বার নাক দিয়ে টানুন।
৫. সকালে টিফিন এর সাথে ১ টা ডিম সেদ্ধ বা ৬ টা আমণ্ড বাদাম খেলে ভালো ।
৬. কেউ খালি পেটে থাকবেন না বা উপবাস করবেন না।
৭. প্রতিদিন ১ ঘণ্টা রোদে থাকার চেষ্টা করুন।
৮. এসি ব্যবহার করবেন না।
৯. গরম জল খান, গলা ভেজা রাখুন।
১০. সর্ষের তেল নাকে লাগান।
১১. বাড়িতে কর্পূর ও লবঙ্গ দিয়ে ধুনো দিন ।(৩ বার দিনে)
১২. অর্ধেক চামচ শুট (শুকনো আদা) প্রত্যেক সবজিতে দিন।
১৩. যদি পারেন ১ চামচ চ্যবন প্রাস খান।
১৪. সকালে চা এ ১ টি লবঙ্গ দিয়ে খান।
১৫. ফলের মধ্যে লেবু জাতীয় ফল বেশি করে খান।
১৬. আমলা যে কোনো ভাবে আচার, গুঁড়ো, ইত্যাদি ভাবে খান।
১৭. খালি হাতে ব্যায়াম করুন রোজ আধা ঘণ্টা কমপক্ষে।
১৮. এক কাপ ঈষদ উষ্ণ দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করুন।
১৯. রাত্রে শোবার আগে প্রথমে গরম জলে গার্গেল করুন ও গরম জলে ভাপ অবশ্যই নিন।
তথ্য সূত্র – রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম , রামহরিপুর, কর্তৃক জনস্বার্থে প্রচারিত
আপনার রোজকার জীবনে উপরের এই জীবন শৈলী বজায় রাখুন, আশা করি সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকবেন।
একথা ঠিক যে এখন যা পরিস্থিতি একটা বয়সের পরে সবাইকেই নিয়মমাফিক কিছুদিন ছাড়া ছাড়াই ডাক্তারবাবুদের কাছে চেক আপ করাতেই হয়।
কিন্তু এখন ডাক্তারখানা যাওয়াও এক বিভীষিকার বিষয়। আমরা জানিনা যে ডাক্তারখানায় যেসব পেশেন্টরা আসছেন তারা কেউ কোভিড পজিটিভ কিনা।
কিন্তু এতদিন কোনো চেক আপ ছাড়া থাকা তো ঠিকই নয়। বিশেষ করে সুগার, প্রেশারের মতো রোগ যাদের আছে তাদের তো কিছু সময়ের ব্যবধানে এই অসুখগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চেক আপ করা আবশ্যিক, নাহলে হঠাৎ করে কোনো রোগ বেড়ে গেলে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।
এর সাথে যদি কেউ এই অতিমারীর সময় একটু জ্বর ভাব ও অনুভব করে তাহলেও কিছুটা চিন্তার বিষয়, তখন আবার শরীরে অক্সিজেন লেভেল দেখতে হবে ঠিক আছে কিনা।
যদি কেউ কোভিড পজিটিভ হয় তখন আবার তার জন্য ভেপার মেশিন প্রয়োজন।
তাই এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে করোনা থেকে বাঁচার জন্য যে যন্ত্রাদিগুলো বাড়িতে রাখা একান্ত আবশ্যিক এবং যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সেরকম কিছু চিকিৎসার যন্ত্রাদির তালিকা দেওয়া হলো –
দেখে নিন কি কি যন্ত্রাদি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আবশ্যিক এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী তা ক্রয় করুন বাড়িতে বসেই –
২. ভেপার মেশিন
৪. মাস্ক
৫. স্যানিটাইজার