ওয়েবসাইট টেস্টিং কি?
এই ওয়েবসাইট টেস্টিং এর কাজে আপনি একজন ইউজার টেস্টার হিসেবে কাজ করবেন। এখানে ইউজার টেস্টারদের কাজ হল কোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ঠিকমতো চলছে কিনা তা টেস্ট অর্থাৎ পরীক্ষা করে দেখা।
কিন্তু এইভাবে ওয়েবসাইট টেস্ট করার দরকারটা কি ?
দরকারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখন প্রায় সব কোম্পানি বা ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান অনলাইনের মাধ্যমে তাদের কাস্টমারের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে , তাই সব প্রতিষ্ঠানই চেষ্টা করে যাচ্ছে ওয়েবসাইট ভিসিটর বা ইউজারদের ওয়েবসাইট ব্যবহার করার সময় সর্বভাবে সাহায্য করতে যাতে যারা তাদের ওয়েবসাইটে আসবে তারা যেন সন্তুষ্ট হয়।
তাই ওয়েবসাইটের সব কিছু ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য ওয়েবসাইট মালিকরা কোনো তৃতীয় ব্যক্তি দিয়ে ওয়েবসাইটটি পরীক্ষা করায় ও ইউসার হিসেবে তার ফিডব্যাক নেয়। আর এই তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে কাজ করে ইউসার টেস্টাররা।
ভেবে দেখুন আপনি যখন কোনো অনলাইন কেনাকাটার সাইট থেকে কোনো জিনিস কিনবেন বলে তা খুঁজতে থাকেন , তখন যদি ওয়েবসাইটটি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস দেখাতে না পারে , যদি ওয়েবসাইটের চাকা ঘুরতেই থাকে বা অনেক সময় নেয় লোড হতে তাহলে কি আর আপনি সেই সাইটে পরের বার ঢুকবেন? ঢুকবেন না।
আপনার মনে হবে ওখানে খোঁজা সময় নষ্ট বই অন্য কিছু নয়। তাহলে সেই শপিং সাইটটির ব্যবসা লাটে উঠে যাবে।
বা ধরুন আপনি এই যে এখন যে পোস্ট বা নিবন্ধটি পড়ছেন suluksandhan.com এ , আপনাকে এখানে নিয়ে আসার জন্য আমাকে ব্যবস্থা করতে হয়েছে যাতে আপনি আপনার পছন্দ ও দরকার অনুযায়ী কনটেন্ট খুঁজে পান।
এবার ওয়েবসাইটে এই পোস্টটি পড়তে এসে আপনার যদি ভালো লাগে তাহলে অন্য আর কি কি নিবন্ধ আছে আপনার দরকার অনুযায়ী পড়তে চাইবেন , সেই নিবন্ধ গুলিতে আপনাকে নিয়ে যাবার জন্য যে নেভিগেশন এর দরকার তা ঠিক না দেওয়া থাকলে আপনি অন্য নিবন্ধ পড়তে পারবেন না, আর ক্রস করে বেরিয়ে যাবেন।
আর এখানেই ওয়েবসাইট টেস্টিং এর পেশার উদ্ভব, যেখানে এখন থার্ড পার্টিকে দিয়ে আমি আমার ওয়েবসাইট চেক করাবো যাতে ভিসিটরদের সুবিধা হয় ওয়েবসাইটির সমস্ত কনটেন্ট এর সম্পূর্ণ সম্ভার পেতে।
একজন ওয়েবসাইট টেস্টার কে কি কি টেস্ট করতে হয় ? ওয়েবসাইট টেস্টিং এর কাজ কি ?
অনেক ধরণের কাজ আছে ওয়েবসাইট টেস্টিং এর। সেরকমই কয়েকটা উল্লেখ করা হলো-
১. ফাংশানালিটি টেস্টিং-
এখানে যে যে জিনিসগুলি টেস্ট করতে হয় তা হল- ইউসার ইন্টারফেস, সিকিউরিটি, API, সার্ভার, ডেটাবেস, বেসিক ওয়েবসাইটের কার্যকারিতা ইত্যাদি।
এটা খুবই সুবিধা পূর্ণ কাজ যেখানে cookie, HTML, আউটগোয়িং লিংক, ইন্টারলিংক, anchor লিংক গুলি ঠিক ঠিক ভাবে ওয়েবসাইটে কাজ করছে কিনা তা দেখতে হয় । .
২. ইউসেবিলিটি টেস্টিং –
এটা সেই সব ওয়েব প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে করতে হয় যাদের একটা নির্দিষ্ট টার্গেট দর্শক আছে। যেমন সমস্ত সাইটের মেনু বা অন্যান্য বাটন ঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা এবং একটা কনটেন্ট থেকে অন্য কন্টেন্টে এ সহজেই নিয়ে যেতে পারছে কিনা , তা এখানে চেক করা হয় ।
এছাড়াও কন্টেন্টের মধ্যে কোনো ব্যাকরণগত ভুল আছে কিনা বা কনটেন্ট এ যে ছবিগুলি দেওয়া আছে প্রতিটার সাথে Alt text জুড়ে দেওয়া আছে কিনা এগুলিও চেক করতে হয়।
৩. ইন্টারফেস টেস্টিং-
এখানে যে যে প্যারামিটার গুলি চেক করতে হয় তা হল – ডেটাবেস সার্ভার, অ্যাপ্লিকেশন, ও ওয়েব সার্ভার।
ডেটাবেস সার্ভার – ডেটাবেস এ যা যা queries পাঠানো হবে তার যেন যথাযথ রেজাল্ট দেখানো হয় তা চেক করতে হয়।
অ্যাপ্লিকেশন – ডাটাবেসে যা টেস্ট রিকোয়েস্ট পাঠানো হবে তার সঠিক আউটপুট যেন ক্লায়েন্ট এর দিক থেকেও পাওয়া যায়। যদি এরম কোনো সমস্যা দেখা দেয় যা হয়তো অ্যাডমিনিস্ট্রেটর দেখতে পাচ্ছে কিন্তু ইউসার পাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে সেটা error বলে ধরা হবে।
ওয়েব সার্ভার – এর কাজ হলো সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন রিকোয়েস্টগুলি সঠিকভাবে সামলানো।
৪. ডেটাবেস টেস্টিং –
ডেটাবেস হলো যেকোনো ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা খুব ভালো করে চেক করতে হয়।
যে যে বিষয় গুলি চেক করতে হয় তা হল –
কোনো queries execute করার সময় কোনো error দেখা দিচ্ছে কিনা।
কোনো ধরনের তথ্য, সম্পাদনা, সংযুক্তি বা মুছে ফেলা হলেও Data ইন্টেগ্রিটি বজায় থাকছে কিনা।
কোনো queries এর রেসপন্স টাইম কত লাগছে তা দেখা ও মডিফাই করা।
ডাটাবেস থেকে নেওয়া তথ্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে সঠিকভাবে দেখাচ্ছে কিনা তা দেখা।
৫. কম্প্যাটিবিলিটি টেস্টিং-
এই ধরণের টেস্টিং এর বিষয় হলো – ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলি সমস্ত ডিভাইস যেমন মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব, বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে ঠিকঠাক ভাবে খুলছে কিনা এবং কার্যকারিতা একই রকম থাকছে কিনা তা টেস্ট করা ।
হয়তো লক্ষ করেছেন ডিভাইস বদলালে একই কনটেন্ট এর ডিসপ্লেও বদলে যায় তাই এই বদলটা হলে তা ইউসারদের জন্য যাতে কোনো সমস্যা তৈরী না করে তা চেক করতে হয়।
৬. পারফরমেন্স টেস্টিং-
পারফরমেন্স টেস্টিং দ্বারা দেখা হয় আপনার ওয়েবসাইট বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থাতেও ঠিকভাবে চলছে কিনা,
বিভিন্ন ধরনের কানেকশন স্পীডে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনটির রেসপন্স টাইম কত।
নরমাল ও peak লোডে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা দেখা।
স্ট্রেস টেস্ট দ্বারা দেখা যে কত লোডের পর ওয়েবসাইটটি তার কার্যক্ষমতা হারায় এবং কিভাবে আবার তাকে কার্যক্ষম করে তোলা যায়।
পেজ লোডিং এর সময় কমানোর জন্য যে যে অপ্টিমাইজেশনগুলি করা দরকার তা করা হয়েছে কিনা দেখা।
৭. সিকিউরিটি টেস্টিং-
এই ধরণের টেস্টিং ই-কমার্স সাইটের জন্য সবচেয়ে গুর্রুত্বপূর্ণ কারন এরা কাস্টমারের কার্ড ডিটেইল ও নানা ব্যক্তিগত তথ্য স্টোর করে রাখে, তাই ওয়েবসাইট থেকে যাতে কেউ তথ্য চুরি করতে না পারে তার জন্য সিকিউরিটি ব্যবস্থা মজবুত আছে কিনা তা দেখা হলো অন্যতম কাজ সিকিউরিটি টেস্টিং করার সময়।
কোনো secure পেজ এ কোনোভাবে unauthorized access যাতে না করা যায় তা দেখা।
যথাযথ access ছাড়া যেন কোনো restricted ফাইল ডাউনলোড করা না যায়।
বহুক্ষণ ইউসার inactive থাকলে সেই session অটোমেটিক্যালি শেষ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
SSL সার্টিফিকেট এর ব্যবহার এবং সঠিকভাবে এনক্রিপ্টেড পেজে তা রিডাইরেক্ট হচ্ছে কিনা সেটা দেখা।
৮. ক্রাউড টেস্টিং-
একসঙ্গে বহু লোককে দিয়ে বা কোনো কোম্পানির একটি গ্রুপ কে দিয়ে টেস্ট করানো, এর ফলে বহু অলক্ষিত ত্রুটিও ধরা পড়ে যায়।
এবার আসল প্রশ্নের সমাধান করা যাক –
ওয়েবসাইট টেস্টিং করে কত টাকা রোজগার করা যায় ?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রতিটা কাজের জন্য ১০-২০ ডলার পাওয়া যায়। আর এই প্রতিটা কাজ করতে কম বেশি ১-২ ঘন্টা সময় লাগতে পারে বা তার ও কম অনেক সময় ২০ মিনিটের কাজ ও থাকে।
তাই বুঝতেই পারছেন এ কাজ করে কেউ বড়ো লোক হতে পারবে না, শুধুমাত্র এক্সট্রা কিছু উপার্জন সম্ভব।
ওয়েবসাইট টেস্টিং কি সম্পূর্ণ সময়ের জন্য কারোর পেশা হতে পারে?
যদি আপনি উপরের প্রশ্নের উত্তর দেখে ভাবেন যে ১ ঘন্টায় যদি ১০ ডলার সর্বনিম্ন উপার্জন করতে পারি, তাহলে ১০ ঘন্টা কাজ করলে তো অনেক টাকাই পাবো, তাহলে জেনে নিন যে আপনার এ ভাবনা কাল্পনিক।
কারণ সারা দুনিয়াতে প্রোডিউসার খুব কম, বেশিরভাগ লোকই কনসিউমার, তাই এতো ওয়েবসাইটের থেকে ওয়েবসাইট টেস্টারের সংখ্যাই বেশি, তাই কারোর পক্ষেই এত কাজ পাওয়া সম্ভব নয়।
হয়তো দেখা গেলো প্রতি সপ্তাহে আপনি ২ টি করে কাজ পাচ্ছেন, তাতে তো আর সংসার চলবেনা , তাই বুঝতেই পারছেন এই পেশা এক্সট্রা ইনকামের জন্য বা কাউকে গিফট দেবার জন্য, সপ্তাহান্তে বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড কে ঘুরতে নিয়ে যাবার জন্য এই কাজ করতে পারেন।
বেশিরভাগ সময়ই এই কাজগুলো যাদের পাঠানো হয় তাদের মধ্যে থেকে যারা প্রথম রেসপন্স করে তাদেরকেই দেওয়া হয়, তাই আপনি যদি ধরণের এই সাইটে টেস্টার হিসেবে রেজিস্টার করে থাকেন তাহলে মেইল এর প্রতি একটু ভালো করে সকালবিকেল নজর রাখতে হবে।
এই নিবন্ধে আমরা শুধুমাত্র ইউস্যাবিলিটি টেস্টিং এর মাধ্যমে যাতে সাধারণ মানুষ (যারা পেশাদার নন ওয়েবসাইট টেস্টিংয়ের বিষয়ে) কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পারে তার জন্যই কিছু ওয়েবসাইটের সুলুকসন্ধান দেওয়া হল।
বিশেষ দ্রষ্টব্য – ওয়েবসাইটে টেস্টিং এমন একটি বিষয় যার পরিধি বিশাল, একটা সাইট ঠিক ভাবে চলছে কিনা তার জন্য অনেক কিছু টেস্ট করতে হয় এবং প্রফেশনাল ওয়েব টেস্টার হতে গেলে তাদের সফটওয়্যার , কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
অর্থাৎ ব্যাপার টা এরকম নয় যে ‘যে’ কেউ (অপেশাদার) সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট টেস্টিং করতে পারবেন।
তাই এই পোস্টটিতে চেষ্টা করা হয়েছে শুধুমাত্র Usability টেস্টিং সংক্ৰান্ত কাজ করার দিশা দেখানোর, কারণ usability testing করার জন্য কোনো সফটওয়্যার/প্রোগ্রামিং এর জ্ঞান থাকা আবশ্যিক নয়।
(ধরুন ওয়েবসাইটে গেলে ইউস্যাবিলিটি টেস্টার হিসেবে আপনাকে দেখতে হবে যে ওয়েবসাইটের ব্যবহার সাধারণ যে কোনো মানুষের জন্য সুবিধাজনক কিনা, প্রতিটি লিংক ঠিক নির্দিষ্ট পেজে যাচ্ছে কিনা ইত্যাদি।)
Usability Testing যে কোনো অন্য পেশার মানুষ যদি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারে সড়গড় হয় তাহলেই করতে পারবে।
ওয়েবসাইট টেস্টিং করার জন্য কি কি লাগবে ?
কম্পিউটার / ল্যাপটপ , মোবাইল , মাইক্রোফোন , ওয়েবক্যাম এবং অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে ও লিখতে সড়গড় হতে হবে।
(কারণ যখন ওয়েবসাইটটি টেস্ট করবেন তখন তা স্ক্রিন রেকর্ডার চালিয়ে করতে হবে এবং কিরকম চলছে ওয়েবসাইটটি তা আপনাকে মুখে বলতে হবে ইংরেজিতে)
এবার দেখা যাক ওয়েবসাইট টেস্টিং করার জন্য কোন কোন ওয়েবসাইটে ইউসার টেস্টার হিসেবে যুক্ত হতে পারবেন-
Usability টেস্টিং বা ওয়েবসাইট টেস্টিং করে আয় করার ১৪ টি সেরা ওয়েবসাইট
1. Usertesting.com-
এখানে ইউসার টেস্টার হতে গেলে একটা প্র্যাকটিস টেস্টে অংশ নিতে হবে, সেই টেস্টে পাস্ করলে তবেই এখানে ওয়েবসাইট টেস্টিং করে টাকা উপার্জন করতে পাবেন। বেশিরভাগ কাজ গুলি ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই হয়ে যাবে।
প্রতি ৫ মিনিটের টেস্টে ৪ ডলার ও ২০ মিনিটের টেস্ট পিছু ১০ ডলার করে দেওয়া হয়। এছাড়া লাইভ ইন্টারভিউ এর ক্ষেত্রে আরো বেশি আয় করতে পারেন।
এখানে আপনার কম্পিউটারে ওয়েব ক্যাম না থাকলেও কাজ করতে পারবেন।
পেমেন্ট মেথড – PayPal, Payoneer, Skrill, প্রতিটা টেস্ট সম্পূর্ণ করার ৭ দিন পর Paypal এর মাধ্যমে পেমেন্ট পাবেন।
ওয়েবসাইট – https://www.usertesting.com/get-paid-to-test
2. Loop11.com –
এটা একটা অস্ট্রেলিয়া বেসড কোম্পানি যেখানে আপনি মাঝে মাঝে ওয়েবসাইট টেস্টিং এর কাজ পেতে পারেন।
ওয়েবক্যাম ও মাইক্রোফোন থাকতে হবে কম্পিউটারে, কারণ এদের এখানেও ওয়েবসাইট টেস্টার হতে গেলে ৫ মিনিটের একটা টেস্ট দিতে হবে আপনাকে, তবে কাজ পেতে পারেন।
পেমেন্ট মেথড – কোনো তথ্য নেই।
ওয়েবসাইট – https://www.loop11.com/get-paid-to-test-websites/
3. Test.io –
Test.io এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে ওয়েবসাইট টেস্টাররা ওয়েবসাইট , অ্যাপ ও গেমিং অ্যাপের Bug ধরার জন্য বিখ্যাত।
আর যদি আপনি না পারেন bug ধরতে তাহলেও কোনো চিন্তা নেই কারণ আপনি বিভিন্ন app এর রেটিং দিয়েও টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
অন্তত একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার থাকতে হবে এছাড়াও অন্যান্য ডিভাইস যত থাকবে তত বেশি টেস্ট পাওয়ার সুযোগ বাড়বে।
পেমেন্ট মেথড – PayPal, Payoneer, Skrill, or bank transfer এর মাধ্যমে প্রতি মাসে।
ওয়েবসাইট – https://test.io/become-a-tester/
4. Testingtime.com –
এটি একটি খুব ভালো ওয়েবসাইট টেস্টিং এর প্ল্যাটফর্ম। এখানে নিজেকে ওয়েবসাইট টেস্টার/ইউসার টেস্টার হিসেবে রেজিস্টার করতে নিজের সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়ে সাইন আপ করতে হবে যাতে আপনি ঠিক কি ধরণের প্রজেক্টে কাজ করতে পারবেন তা তারা নির্ধারিত করতে পারে।
যদি কোনো প্রজেক্টের জন্য আপনার প্রোফাইল দেখে যদি ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষর মনে হয় যে আপনি সেই নির্দিষ্ট কাজটি করতে পারবেন তাহলে আপনাকে মেইল করা হবে , আপনি যদি সেই কাজটি করতে আগ্রহী হন তাহলে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবেন এবং নিজের সুবিধা মতো কোন সময়ে আপনি কাজটি করতে ইচ্ছুক তা জানিয়ে দেবেন।
আপনার ঠিক করা সময়ে ক্লায়েন্ট এর উপস্থিতিতে অনলাইনে বা skype ব্যবহার করে আপনি কাজটি করবেন।এখানে আপনি সার্ভে এর উত্তর দিয়ে, বিভিন্ন প্রোডাক্ট টেস্ট করে ও বিভিন্ন app টেস্ট করে তার ফিডব্যাক দিয়ে আয় করতে পারবেন।
এবার আপনার কাজ হয়ে গেলে ১০ দিনের মধ্যে আপনি পেমেন্ট পায়ে যাবেন।সর্বোচ্চ ৫০ ইউরো অবধি প্রতি প্রজেক্টে পেতে পারেন।
এখানে যে যে ধরণের ইউস্যাবিলিটি টেস্টিং এর কাজ পেতে পারেন ও তা থেকে কিরকম আয় করতে পারেন তার তালিকা হল-
- বিভিন্ন ধরনের স্টাডিস এ ইন পারসন অংশগ্রহণ করে সবচেয়ে বেশি আয় করতে পারেন।
- ঘরে থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে ইউসার টেস্ট বা ইন্টারভিউ দিলে তার থেকে একটু কম আয় হবে।
- আর শুধুমাত্র অনলাইন সার্ভে তে অংশ নিলে সবচেয়ে কম আয় হবে।
পেমেন্ট মেথড – Paypal
ওয়েবসাইট – https://app.testingtime.com/en/register#!/basics
5. Checkealos.com –
এই ওয়েবসাইটে প্রতিটা ওয়েবসাইট চেক করে ফিডব্যাক দিতে হয় যে ব্যবহার করে ইউসার হিসেবে অভিজ্ঞতা কেমন হল।
এই সাইটের সবচেয়ে ভালো দিক হল খুব ছোট ছোট সেশন হয়, প্রতিটা সেশন এর জন্য ১৫ মিনিটের সময় থাকে আর সেই কাজটি ঠিক করে করতে পারলেই ৮ ইউরো পাবেন।
যে কোনো দেশের নাগরিকরাই এখানে কাজ করতে পারবেন, শুধু তার ডেস্কটপ, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট, মাইক্রোফোন, ভালো ইন্টারনেট সংযোগ ও একটি Paypal অ্যাকাউন্ট থাকলেই হবে।
আর অবশ্যই স্প্যানিশ বা ইংরেজি বলতে জানতে হবে।
পেমেন্ট মেথড – ইউরো কারেন্সি তে Paypal এর মাধ্যমে। প্রতি টেস্ট এ ৮ ইউরো।
ওয়েবসাইট – https://www.checkealos.com/get-paid-for-your-feedback/
6. Ferpection.com –
এখানেও আপনি ডেস্কটপ, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট ব্যবহার করে টাস্ক সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
এই ওয়েবসাইটে টেস্টিং এর কাজ করতে গেলে কোনো ভিডিওবা অডিও রেকর্ড করতে হয়না , শুধুমাত্র স্ক্রিন শট তুলে নিচে যে প্রশ্ন থাকে সেই অনুযায়ী উত্তর লিখে দিতে হয়।
এখানে কাজ হিসেবে টাকার অংক ঠিক হয়। যদি ৩০-৪০ মিনিটের কাজ হয় তাহলে প্রায় ২০-২৫ ডলার উপার্জন করতে পারবেন।
পেমেন্ট মেথড- প্রতি মাসের শেষ শুক্রবারে Paypal এর মাধ্যমে পেমেন্ট করা হয়।
ওয়েবসাইট – https://ferpection.com/en/become-tester/
7. Userbrain.com –
প্রতিটা প্রজেক্ট এখানে ৫-২০ মিনিটের জন্য হয়, এখানে নিজেকে রেজিস্টার করার পর একটা কোয়ালিফাইং টেস্ট দিতে হবে, এতে পাস্ করলে আপনি বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করতে পারবেন।
এখানে ওয়েবসাইট টেস্টিং এর কাজ করতে গেলে userbrain recorder এর ক্রোম এক্সটেনশন কম্পিউটারে ইনস্টল করে নিতে হবে।
userbrain এবার যা কাজ/ টাস্ক দেবে সেটা করতে করতে স্ক্রিন রেকর্ড করতে হবে এবং মুখে জোরে জোরে বলতে হবে যে ইউসার হিসেবে ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন হচ্ছে।
পেমেন্ট মেথড – Paypal এর মাধ্যমে প্রতি ৫-২০ মিনিটের approved প্রজেক্টের জন্য ৫ ডলার।
ওয়েবসাইট – https://tester.userbrain.com/
8. Usercrowd.com –
এখানে খুব দ্রুত কিছু প্রোডাক্টের/পণ্যের ডিজাইন সার্ভে করতে হবে এবং তা সম্পর্কে সহজ ভাবে রিভিউ দিতে হবে যাতে ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ প্রোডাক্টের ডিজাইন আরো সুন্দর করে তুলতে পারে।
আপনার দেওয়া প্রতিটা উত্তরের জন্য আপনি ১-২ টি ক্রেডিট পাবেন, আর এই প্রতি ক্রেডিট মানে ০.২০ ডলার। ৫০ টা ক্রেডিট আপনি পেলে অর্থাৎ ১০ ডলার হয়ে গেলে তবে Paypal থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
পেমেন্ট মেথড – Paypal
ওয়েবসাইট – https://www.usercrowd.com/
9. Utest.com –
এখানে প্রধানত বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কে টেস্ট করতে হয়। তাই টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকাটা প্রয়োজন।সাইট টি অ্যাডভান্স সাইট, সবার জন্য নয়।
Google, Amazon, Netflix, এরকম ওয়েবসাইটগুলির প্রোডাক্ট টেস্ট করতে হয়। এখানেও টেস্টার হিসেবে যুক্ত হতে অডিশন টেস্ট দিতে হবে, যদি পাস্ করেন তবেই ওয়েবসাইট টেস্টার হিসেবে এখানে কাজ পাওয়া যাবে।
পেমেন্ট মেথড- Paypal / Payoneer কত টাকা টেস্ট প্রতি দেয় সেই বিষয়ে সাইটে কোনো সঠিক তথ্য দেওয়া নেই।
ওয়েবসাইট – https://www.utest.com/signup/personal
10. Nest.testbirds.com –
এই প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন সফটওয়্যারকে টেস্ট করে যদি তাতে কোনো বাগ (মানে ডিফেক্ট) থাকে তাহলে তা খুঁজে বার করতে হবে।
ইন্টারনেট সংযোগ করা যায় এরকম যে কোনো ডিভাইস ই কাজের জন্য যথেষ্ট।
যেরকম কাজ করবেন তেমন অংকের টাকা পাওয়া যাবে। ১৮ বছরের নিচে যেকোনো ব্যক্তি ও এখানে ওয়েবসাইট টেস্টার হিসেবে যুক্ত হতে পারে।
পেমেন্ট মেথড – প্রতি টেস্ট পিছু সাধারণ টেস্টার ১৫ পাউন্ড বা ২০ ইউরো পেতে পারেন Paypal এর মাধ্যমে।
ওয়েবসাইট – https://nest.testbirds.com/home/tester
11. Ubertester.com –
খুব ভালো সাইট, এখানে ওয়েবসাইট টেস্টিং এর কাজের জন্য ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং মোবাইল থাকতে হবে এবং এই অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করতে হবে।
এখানে দুই ধরণের টেস্টিং এর কাজ পাওয়া যাবে, যাদের সফটওয়্যার এর ডিফেক্ট ধরার দক্ষতা আছে তারা প্রাইম টেস্টার হিসেবে বিবেচিত হয় ,আর যাদের সফটওয়্যার এর ব্যাপারে কোনো জ্ঞান নেই তারা বিভিন্ন অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্মের ইউসার এক্সপেরিয়েন্স টেস্টিং এ টেস্টার হিসেবে যোগ দিতে পারে।
পেমেন্ট – পেপ্যাল, আমাজন গিফট কার্ড ও কিছু ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার পাওয়া যেতে পারে।
ওয়েবসাইট – https://ubertesters.com/become-tester/
12. Userfeel.com-
খুব ভালো ওয়েবসাইট – টেস্ট প্রতি ১০ ডলার করে পাওয়া যাবে, এখানে প্রতিটা টেস্ট বা কাজ ১০-২০ মিনিটের।
এখানে ওয়েবসাইট টেস্টার হতে গেলে একটা স্যাম্পল টেস্ট দিতে হবে, যদি আপনার দেওয়া টেস্ট ওরা অ্যাপ্রুভ করে তাহলে মেইল এ আপনাকে কাজ পাঠাবে। ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে মাইক্রোফোন থাকতে হবে।
.পেমেন্ট মেথড – Paypal এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে।
ওয়েবসাইট – https://app.userfeel.com/register/tester
13. Intellizoom.com –
Intellizoom একটি “ওয়েবসাইট usability” চেক করার প্ল্যাটফর্ম যা মোবাইল ও ডেস্কটপ দু ধরণের ডিভাইসের জন্যই কাজ করে।
ছোট্ট ছোট্ট সার্ভেগুলির জন্য ২ ডলার করে দেয় আর যদি ভিডিও সাবমিট করেন তাহলে ১০ ডলার অবধি পেতে পারেন, প্রতিটা টেস্ট ১০-২০/২৫ মিনিটের জন্য হয়।
পেমেন্ট – ২১ দিনের মধ্যে Paypal এর মাধ্যমে।
userzoom সাইট টিও validately/Intellizoom এর অংশ
ওয়েবসাইট – https://www.intellizoom.com/
14. Betatesting.com-
এই প্ল্যাটফর্মে ওয়েবসাইট টেস্টার হিসেবে যুক্ত হতে গেলে সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স হতেই হবে। ইংরাজি ভালোভাবে বলতে ও লিখতে জানতে হবে।
আপনি এই প্ল্যাটফর্মে নতুন ওয়েবসাইট, অ্যাপ ও হার্ডওয়্যার টেস্ট করতে পারবেন। কিরকম কাজ পাবেন তা নির্ভর করবে আপনার প্রোফাইল অনুযায়ী (অর্থাৎ যদি ক্লায়েন্ট এর আপনার প্রোফাইল ভালো লাগে এবং আপনার ডেমোগ্রাফি পছন্দ হয় তাহলে আপনি মাসে সর্বোচ্চ ৫ টি কাজ / প্রজেক্ট পেতে পারেন।
পেমেন্ট – প্রতি কাজের জন্য ১০-২০ ডলার Paypal এর মাধ্যমে পাবেন , কাজ শেষ হবার ৭ দিনের মধ্যে ।
ওয়েবসাইট – https://betatesting.com/beta-testers
এছাড়াও আপনি ইন্টারনেটে খুঁজলে বহু ওয়েবসাইট টেস্টিং এর সাইট পাবেন কিন্তু সেগুলি বেশিরভাগই কোনো কাজের নয় এবং কোনো রকম উপাৰ্জন সেখান থেকে পাওয়া যায় না।
এরম কিছু সাইট আছে যেগুলি বেশ জনপ্রিয় কিন্তু বহু ব্যবহারকারী জানিয়েছে তারা অনেক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ও বিভিন্ন টেস্ট কমপ্লিট করা সত্ত্বেও কোনো রকম আয় এই সাইটগুলি থেকে করতে পারেনি। সাইটগুলি হলো –
Enrollapp.com, TryMyUI team, Respondent, Userlytics.com, Validately.com ইত্যাদি।
Usability টেস্টিং বা ওয়েবসাইট টেস্টিং করে আয় করার জন্য কি কি খেয়াল রাখবেন –
অনেকগুলি ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করুন – ওয়েবসাইট টেস্টিং করে আয় করতে গেলে শুধুমাত্র কোনো একটি ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করে বসে থাকবেন না। বরং বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করে রাখুন এবং যারা প্রজেক্টের জন্য আপনাকে আমন্ত্রণ জানাবে।
সাড়া দিন তৎক্ষণাৎ – যারাই আপনাকে কাজ এর অফার দেবে খুব তাড়াতাড়ি আপনি কাজের জন্য হ্যাঁ বলুন, কারণ এখানে বেশিরভাগ কাজই প্রথম যে রেসপন্স করবে তাকেই দেওয়া হয়।
অডিশন টেস্টের প্রতি মনোযোগ দিন – অডিশন টেস্ট ঠিক করে না দিলে পাস্ করতে পারবেন না, আর কাজ ও পাবেন না।
সর্বোপরি অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের মোহ রাখবেন না।
ট্রান্সক্রিপশন করে আয় করার দশটি সেরা ওয়েবসাইট
ভয়েস ওভার এর কাজ করে ঘরে বসে ইনকাম করার ওয়েবসাইট