হায়দ্রাবাদে অবস্থিত এই ফাউন্ডেশনটি বেশ কিছু বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে আর্থিকভাবে সমস্যার সম্মুখীন মেধাবী পড়ুয়ারা তাদের মেধার সম্পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারে ও তা কাজে লাগানোর সম্পূর্ণ সুযোগ পেয়ে কর্মক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ যাতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে তাদের সত্যি ক্ষমতাসম্পন্ন করে তুলতে পারে ও দেশের উন্নতিসাধন করতে পারে তা নিশ্চিত করতে।
এই সশক্ত স্কলারশিপ শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য।
এই স্কলারশিপের দরুন প্রাপ্ত অর্থের পরিমান – ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ( মোট ৩ বছরের বিএসসি কোর্সের জন্য, অর্থাৎ প্রতি বছর প্রায় ৮০,০০০ টাকার মতো ) এর মধ্যে কলেজ টিউশন ফী, পড়াশোনার খরচ ও থাকা খাওয়ার খরচ এই অর্থের মধ্যে পড়বে।
এখন আবেদন চলছে আবেদনের জন্য তারিখ – ১ লা মে ২০২২ থেকে ৩১ শে অগাস্ট ২০২২ পর্যন্ত।
এই সশক্ত স্কলারশিপের জন্য কারা আবেদন করতে পারে ?
যেসব মেয়েরা পিওর সায়েন্সর যেকোনো বিষয়ে নিয়ে স্নাতকে অনার্স পড়তে চায়, তারাই আবেদন যোগ্য। অর্থাৎ বিএসসি ডিগ্রি কোর্স এ যেসব মেয়েরা ভর্তি হয়েছে তারা আবেদন করতে পারে।
যেকোনো কলেজে বিএসসি অনার্স পড়লেই যে কেউ এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারে তা নয়।
সারা ভারতের মধ্যে মাত্র ১২ টি কলেজে পড়ুয়া হিসেবে নাম নথিভুক্ত করতে পারলে তবেই এই স্কলারশিপ পেতে পারবে।

কলকাতার মাত্র ২ টো কলেজের পড়ুয়ারা এর জন্য আবেদন করতে পারবে।
যথা – সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ও লরেটো কলেজ।
যেসব পড়ুয়াদের আর্থিক সমস্যা থাকবে তারাই এই স্কলারশিপ পাবে।
কখন আবেদন করতে হয় ?
২০২২ সালের স্কলারশিপের আবেদনের জন্য তারিখ – ১ লা মে ২০২২ থেকে ৩১ শে অগাস্ট ২০২২ পর্যন্ত।
সশক্ত স্কলারশিপ পাবার যোগ্যতা ?
ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
পিওর/ন্যাচারাল সায়েন্স এর যে কোনো বিষয় নিয়ে অনার্স পড়তে হবে।
অ্যাকাডেমিক রেকর্ড ধারাবাহিকভাবে ভালো থাকতে হবে।
যারা আর্থিকভাবে দুর্বল ও গ্রামীণ স্তরের পড়ুয়া হবে তাদের স্কলারশিপের প্রাপক হিসেবে নির্বাচনে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
(উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্টের উপরই বেশি নির্ভর করে যে সে স্কলারশিপ পাবে কিনা।)
আবেদন করার জন্য কি কি কাগজ পত্র/ডকুমেন্ট লাগবে ?
মাধ্যমিকের মার্কশিট
মাধ্যমিকের সার্টিফিকেট ( বাধ্যতা মূলক )
উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট ( বাধ্যতা মূলক )
উচ্চমাধ্যমিকের সার্টিফিকেট
ইনকাম সার্টিফিকেট ( পারিবারিক আয় বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার কম হতে হবে ) ( বাধ্যতা মূলক )
শারীরিক ভাবে যারা প্রতিবন্ধী তাদের PWD সার্টিফিকেট।( বাধ্যতা মূলক )
যে ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছো তার অ্যাডমিশন রিসিপ্ট। ( বাধ্যতা মূলক )
কি করে আবেদন করা যাবে ?
অনলাইনেই আবেদন করা যাবে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হলো – https://www.sashaktscholarship.org/

১) প্রথমে ‘apply now’ বাটনে ক্লিক করো।
২) একটি ফর্ম খুলে যাবে যেখানে নিজের নাম ঠিকানা , ও সমস্ত প্রাথমিক তথ্য দিয়ে তা পূরণ করতে হবে ও রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হবে।
৩) এরপর রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে লগ ইন করে অ্যাপলিকেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে, কোন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হবার জন্য অ্যাডমিশন নিশ্চিত হয়েছে তা সিলেক্ট করতে হবে ও এডমিশন রিসিপ্ট সাবমিট করতে হবে।
এরপর যদি তুমি সিলেক্ট হও ইমেইলে তোমার কাছে নোটিফিকেশন মেইল আসবে।
স্কলারশিপ সংক্রান্ত কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে তা আমাদের এই suluksandhan.com ওয়েবসাইটেও জানাতে পারেন বা সরাসরি ডঃ রেড্ডি ফাউন্ডেশনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
যোগাযোগের ঠিকানা-
DR REDDY’S FOUNDATION
6-3-655/12, Somajiguda, Hyderabad-500082.
PHONE: +91-40-65343424, 23304199 /1868
FAX: +91-40-23301085
EMAIL: info@sashaktscholarship.org
DR REDDY’S FOUNDATION WEBSITE: www.drreddysfoundation.org
এছাড়াও ‘জুনিয়র সশক্ত’ নামক একটি স্কলারশিপ এই রেড্ডি ফাউন্ডেশনের তরফ থেকেই দেওয়া হয়। দেখে নেওয়া যাক সেই স্কলারশিপ কাদের জন্য ও তার সমস্ত খুঁটিনাটি।
রেড্ডি ফাউন্ডেশন জুনিয়র সশক্ত স্কলারশিপ

এই স্কলারশিপ টি দেওয়া হয় মাধ্যমিক বা দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা পাস্ করার পর যেসব পড়ুয়ারা একাদশ শ্রেণীতে সাইন্স নিয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক তাদের জন্য।
এটি সম্পূর্ণ রূপে মেরিট বেসড স্কলারশিপ প্রোগ্রাম যেখানে মাধ্যমিকের পর অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল কিন্তু মেধাবী ছাত্রীদের পরবর্তী কালে সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য যে সহায়তা দরকার তা প্রদান করা হবে।
২০২২ সালের এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন এখনই চলছে।
আবেদন করার শেষ তারিখ- ৩১ শে মে ২০২২।
স্কলারশিপের আবেদনকারীদের মধ্যে যারা নির্বাচিত হবে তাদের এই স্কলারশিপ পাবার জন্য কিছু নির্দিষ্ট স্কুলে গিয়ে অনলাইন পরীক্ষা দিতে হবে।
জুনিয়র সশক্ত স্কলারশিপের জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে ?
অনলাইনে।
এই স্কলারশিপটি পেতে গেলে পড়ুয়ার কি কি যোগ্যতা থাকা আবশ্যিক ?
ভারতীয় ছাত্রী হতে হবে।
মাধ্যমিকে ভালো নম্বর পেয়ে বোর্ড পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হতে হবে।
অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল।
উচ্চমাধ্যমিক বা ১০+২ স্তরে সায়েন্স নিয়ে পড়তে আগ্রহী বা ভর্তি হতে হবে।
এই স্কলারশিপের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ ২ ধরণের সহায়তা করে। যথা-
১) অন্ধ্রপ্রদেশের বা তেলেঙ্গানার সবচেয়ে ভালো CBSE স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকে সায়েন্স নিয়ে পড়ার সমস্ত খরচ ও ব্যবস্থা করে দেবে।
বা
২) স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত ছাত্রীদের এমন ট্যাবলেট ও সাথে ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়া হবে যার মধ্যে আগে থেকেই এমন কোর্স ভর্তি থাকবে ( ট্যাবলেটের মধ্যে ) যাতে তারা সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।
তাই যেসব ছাত্রীরা এই লেখাটি এখন পড়ছো তারা apply করে দেখতেই পারো, কারণ স্কলারশিপ পাবে কিনা তা পরের কথা কিন্তু চেষ্টাটুকু তো শুরু করো। নিজের যোগ্যতায় যেকোনো কিছু পাওয়ার আনন্দ অসীম।
আর যদি তোমার অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা (তা দুর্বলতা বলে আমার মনে হয়না, যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ‘অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল’ শব্দবন্ধটি প্রচলিত) পড়াশোনার পথে বাঁধা হিসেবে দাঁড়ায় আর যদি দেখো এই সশক্ত স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য যে শর্তাবলী প্রযোজ্য তা তোমার নেই তাহলেও কখনো পিছিয়ে আসবেনা।
অনেক স্কলারশিপ আছে মেধাবী বা সাধারণ মানের পড়ুয়াদের জন্য, ভালোভাবে খোঁজ নাও, চেষ্টা করো সেগুলো পেতে।পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম কাজ করে নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করো।
তোমার হয়ে কেউ চেষ্টা করবেনা, চেষ্টা তোমাকেই করতে হবে কারণ জীবন তোমার তা সুন্দর করে গড়ে তোলার দায়িত্ব একান্তই তোমার।
ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ কি ? কাদের জন্য ? কত টাকা পাওয়া যায় ?
স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিন্স স্কলারশিপের বিশদ খুঁটিনাটি
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চারটি স্কলারশিপ (ওয়েসিস, হিন্দি, বিজ্ঞানী কন্যা)