
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
ভারতের ভৌগোলিক ও রেল নেটওয়ার্কের নিরিখে সর্বশেষ স্টেশনটি হলো “সিঙ্গাবাদ” রেলওয়ে স্টেশন, পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার হবিবপুর এলাকায়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত।
এই স্টেশনটি ভারতের শেষ প্রান্ত নির্ধারণ করে, অর্থাৎ এখান থেকে ভারতীয় সীমান্ত শেষ এবং বাংলাদেশ সীমান্ত শুরু হয়।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব
- ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠা: এই স্টেশনটি ব্রিটিশ আমলেই তৈরি হয়েছিল এবং সে যুগে কলকাতা ও ঢাকা শহরের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করত।
- বিখ্যাত যাত্রী: মহাত্মা গান্ধী ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বেরা এই স্টেশন দিয়ে ঢাকা (বর্তমানে বাংলাদেশ) গমন করেছিলেন।
বর্তমান পরিস্থিতি
- সময়ের সাথে সাথে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে। এখন শুধুমাত্র মালগাড়ি ট্রেন সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যায়।
- শূন্য প্ল্যাটফর্ম, বিবর্ণ ভবন: স্টেশনে যাত্রীসংখ্যা নেই, প্ল্যাটফর্ম এতটাই ফাঁকা যে রেলওয়ে কর্মীরা ছাড়া কারও দেখা মেলে না। টিকিট কাউন্টারও বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও ঐতিহাসিক চুক্তি
- ১৯৭৮ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার ফলে মাল পরিবহন বাড়ে।
- ২০১১ সালের পরিবর্ধিত চুক্তিতে নেপাল থেকেও মালগাড়ি চলাচলের সুযোগ হয়।
স্টেশনটি নিয়ে বিশেষ তথ্য
| বিষয় | বিবরণ |
| অবস্থান | মালদা, হবিবপুর, পশ্চিমবঙ্গ |
| ব্যবহার | শুধুমাত্র মালবাহী ট্রেন, যাত্রী ট্রেন নেই |
| ইতিহাসে | মহাত্মা গান্ধী ও নেতাজি ঢাকা যাওয়ার পথে ব্যবহার করেছিলেন |
| দেশের সীমান্ত | ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত |
| বাণিজ্য | বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাল পরিবহন |
ঐতিহাসিক গুরুত্ব
- ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য আজও সংরক্ষণের উদ্যোগ চলছে।
- ব্রিটিশ আমলের স্থাপনা, পুরনো রেল সিগন্যাল, টিকিট কাউন্টারের চিহ্ন আজও বহন করে সে সময়ের স্মৃতি।
- অভ্যন্তরীণ ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক, যদিও বর্তমানে নিস্তব্ধ ও অব্যবহৃত।
সারাংশ
সিঙ্গাবাদ স্টেশন ভারতের শেষ রেল স্টেশন হিসেবে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে।
ব্রিটিশ আমলে ভারত-বাংলাদেশ (পূর্বে ঢাকা) সংযোগ ও বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাল পরিবহনের কেন্দ্রে হয়ে রয়েছে।
আজও স্টেশনের নামের নিচে লেখা—”ভারতের শেষ স্টেশন”—এক নিস্তব্ধ প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে আছে।
