কথা বলে বাড়িতে বসেই রোজগারের উপায় – ভয়েস ওভার করে টাকা ইনকাম

by

আপনি কি বাড়িতে বসে উপার্জনের কথা ভাবছেন ?

তাহলে কিন্তু আপনার গলার স্বর ই হয়ে উঠতে পারে আপনার উপার্জনের পথ। যেমন ধরুন আমরা রাস্তা-ঘাটে, মেট্রো স্ট্রেশনে রেডিওতে, টিভি তে যে গলার স্বর শুনতে পাই, তা হতে পারে আপনার এবং বাড়িতে বসেই তা করা সম্ভব। আর এই পেশার নাম ভয়েস ওভার।

Table Of Contents
  1. ভয়েস ওভার কাকে বলে ?
  2. কি কি ক্ষেত্রে ভয়েস ওভার ব্যবহার করা হয়?
  3. দেখা যাক কিভাবে আমরা ভয়েস ওভার করে কিভাবে টাকা উপার্জন করতে পারবো ?
  4. ভয়েস ওভার করতে গেলে বাড়িতে কি কি যন্ত্রপাতি রাখা প্রয়োজনীয়?
  5. কোন কোন ওয়েবসাইট থেকে ভয়েস ওভার এর ফ্রীল্যান্সিং এর কাজ  পাওয়া যায় ?
  6. ভয়েস ওভার এর কাজ করার ৯ টি ওয়েবসাইট

ভয়েস ওভার কাকে বলে ?

খুব সহজ ভাষায় ভয়েস ওভার হলো এমন একটি পদ্ধতি (production technique) যেখানে গলার স্বর (কথা বলা বা কোনো কণ্ঠস্বর) যা আমরা শুনতে পাই তা আসলে আলাদাভাবে রেকর্ড করা হয়েছে।

যেমন ধরা যাক আমরা টিভিতে যে কার্টুন দেখি, সেই কার্টুনের ছবি তো তৈরী হয়েছে আসলে অ্যানিমেশন পদ্ধতির মাধ্যমে।

কিন্তু সেই কার্টুনের চরিত্রগুলি যে কথাগুলো বলে সেগুলো আসলে একজন মানুষের কণ্ঠস্বর আলাদাভাবে রেকর্ড করে তা ওই অ্যানিমেশনের সঙ্গে এমন সুন্দর ভাবে মেলবন্ধন করা হয়েছে যে আমাদের মনে হয় চরিত্রগুলোই আসলে কথা বলছে।

এই যে একজন মানুষের গলার স্বর আলাদাভাবে রেকর্ড করে ব্যবহার করা হল, এটাই হল ভয়েস ওভার। 

টিভিতে বা এখন মোবাইলেও যে কোনো সিনেমা বা ভিডিও আমরা দেখি তাতে চরিত্ররা যে কথাগুলি বলে, বলে আমরা শুনতে পাই তা অনেকক্ষেত্রে কিন্তু আসলে ক্যামেরা দিয়ে ছবিটি শ্যূট করার পরে আবার আলাদা করে শুধুমাত্র সিনেমার বাক্যলাপগুলি আবার রেকর্ডিং রুমে রেকর্ড করা হয় (এটা হয় বলেই সিনেমার সংলাপ আমরা ভালো ভাবে শুনতে পাই), এটাও একপ্রকার ভয়েস ওভার।

যে কোনো ভাষার সিনেমা যখন অন্য কোনো ভাষায় ডাবিং করা হয় তখন ও আসলে ভয়েস ওভারই ব্যবহার করা হয়, কারণ সিনেমার ছবি এক থাকে শুধু শব্দ (ভাষা) বদলে যায়। 

এছাড়া আমরা ট্রেন, প্লেন, রেডিওতে যে শব্দ শুনি যেখানে আমাদের বিভিন্ন কথার মাধ্যমে ইন্সট্রাকশন বা নির্দেশ দেওয়া হয়, এগুলি সবই হলো ভয়েস ওভার।

কি কি ক্ষেত্রে ভয়েস ওভার ব্যবহার করা হয়?

বিদেশী ভাষার সিনেমার ডাবিং 

টিভি প্রোগ্রাম 

কমার্সিয়াল 

রেডিও বা অডিও নাটক / গল্প 

ভিডিও গেম

অডিও বুক

প্রোমো

ট্রেলার 

ট্রেনিং /ই -লার্নিং 

পডকাস্ট 

দেখা যাক কিভাবে আমরা ভয়েস ওভার করে কিভাবে টাকা উপার্জন করতে পারবো ?

বাড়ি বসে অনলাইনে আয় করার অন্যান্য পদ্ধতির মতোই বিভিন্ন ফ্রীল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আমরা আমাদের গলার স্বর ব্যবহার করে অর্থাৎ কথা বলে অর্থ উপার্জন করতে পারি। 

ভয়েস ওভার করে কত টাকা ইনকাম করা যায় ?

একজন মানুষ ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে কত টাকা উপার্জন করতে পারবে তা অনেকটাই নির্ভর করবে সে কি ধরণের ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করবে তার ওপর। যেমন – টিভি অ্যাডভার্টাইসমেন্ট , কমার্শিয়াল, গান, কার্টুন চরিত্র, প্রধান চরিত্র নাকি সাপোর্টিং রোলের ভয়েস ওভার আর্টিস্ট। 

এটা কি কোনো রোজগারের প্রধান পথ (ফুল টাইম জব) হিসেবে নেওয়া যায় ?

হ্যাঁ অবশ্যই নেওয়া যায়। এই যে ডোরেমন, সিন্-চ্যান, ছোটা ভীম, গোপাল ভাঁড়, নন্টে ফন্টের মতো কার্টুন এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা কিন্তু বেশিরভাগটাই ভয়েস ওভার আর্টিস্টদের দক্ষতায় তারা প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে বলে।

আর সত্যি যদি কারোর কণ্ঠস্বরের ট্যালেন্ট থাকে, আর প্রথম দিকে ধৈর্য্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে নিজে কাজের সুযোগ করে নিজেকে প্রমাণ করতে পারে, তাহলে সত্যিই এটা খুব ভালো পেশা।  

ভয়েস ওভার করতে গেলে বাড়িতে কি কি যন্ত্রপাতি রাখা প্রয়োজনীয়?

কি কি জিনিস লাগবে –

যদি কোনো রেকর্ডিং ষ্টুডিওতে রেকর্ডিং করেন তাহলে সত্যি বাড়িতে কিছু কেনার দরকার নেই।

কিন্তু আমাদের এই নিবন্ধর উদ্দেশ্যই হলো বাড়িতে বসে কিভাবে ভয়েস ওভার করা যায়, সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া, তাই যারা ভয়েস ওভার এর কাজ করতে চায় তাদের বাড়িতে সমস্ত ব্যবস্থা করে রাখতেই হবে। 

মাইক্রোফোন

maono podcast condenser 1
boya condenser microphone 1
blue yeti usb microphone 1

মাইক স্ট্যান্ড 

হেডফোন

infinity jbl headphone 1
sony noise cancelling headphones 1
bose quite comfort wireless headphones 1

সফটওয়্যার ( AUDACITY, OCEANAUDIO ইত্যাদি)

ল্যাপটপ বা কম্পিউটার

acer aspire 5 1
lenovo ideapad flex 5 1
apple 2024 macbook air 1

একদম নিঃস্তব্ধ পরিবেশ 

বিশেষ দ্রষ্টব্য –

১. যখনই কোনো ওয়েবসাইটে নিজেকে ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে যুক্ত করতে চাইবেন, ভালো করে দেখে নেবেন যে সেই সাইটটি আপনার জানা ভাষার ভয়েস ওভার পরিষেবা দেয় কিনা।

২. যদি আপনি একের বেশী ভাষা বলতে সাবলীল হন, তাহলে আপনি বিভিন্ন ভাষার VO আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দেবার জন্য একই ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারেন। 

৩. যদি দেখেন কোনো ওয়েবসাইট বাংলা ভয়েস ওভার সার্ভিস দেয় না, সেক্ষেত্রে আপনি যদি ইংরেজির ইন্ডিয়ান অ্যাকসেন্ট এ সাবলীল হন তাহলে তার জন্যও আবেদন করতে পারেন। 

কোন কোন ওয়েবসাইট থেকে ভয়েস ওভার এর ফ্রীল্যান্সিং এর কাজ  পাওয়া যায় ?

ভয়েস ওভার এর কাজ করতে যদি ইচ্ছুক হন তাহলে তার জন্য দু ধরণের সাইটে নিজেকে নথিভুক্ত বা রেজিস্টার করে VO আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দিতে পারা যায়।  যেমন –

১) বিভিন্ন ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস (এমন প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন বিষয়েই ফ্রীল্যান্সিং কাজ করা যায়)

২) শুধুমাত্র ভয়েস ওভার পরিষেবা দেয় এরকম বিশেষ কিছু ওয়েবসাইট 

ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস –

শুধুমাত্র ভয়েস ওভার কাজের সাইট না হলেও ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতে হলে এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে রেজিস্টার করা ও কাজ শুরু করার চেষ্টা করতেই হবে কারণ এই সব সাইটগুলির জনপ্রিয়তা ও কাস্টমার বেস সবচেয়ে বেশী। 

সেরকমই কয়েকটি মার্কেটপ্লেস সাইট হল –

Fiverr

ফ্রীল্যান্সিং-মার্কেটপ্লেস-ফাইভার

এটি হলো এমন একটি মার্কেটপ্লেস যেখানে যে কেউ (ফ্রীল্যান্সার রা) সমস্ত ধরণের কাজই পেতে পারে এবং যেহেতু এটা ফ্রীল্যান্সারদের জন্য যথেষ্ট বড় মার্কেটপ্লেস তাই এখানে সত্যি কাজ পাবার সম্ভাবনা অন্যান্য ভয়েস ওভার সাইটের তুলনাতে বেশি।

বিশেষ করে যারা নতুন এই ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দিতে ইচ্ছুক তাদের জন্য তো বটেই।

কেন ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসেও রেজিস্টার করে প্রোফাইল বানিয়ে রাখা দরকার?

শুধুমাত্র ভয়েস ওভার এর জন্য নির্দিষ্ট যে সাইটগুলি আছে তারা যে সবাই বাংলায় বা স্থানীয় ভাষায় কাজ দিতে সক্ষম এরকম নয়, বরং বেশিরভাগ বিদেশী সাইটগুলির বাংলা ভয়েস ওভার সার্ভিস নেই বা যদিও থাকে তা এতটাই কম যে শুধুমাত্র যদি কেউ ভাবে যে ঐরকম একটি সাইটে রেজিস্টার করে বাংলা ভয়েস ওভার করবেন ভাবেন, তাহলে তার আর কাজ করা হবেনা।

কিন্তু Fiverr এর মতো মার্কেটপ্লেসগুলিতে সত্যি কাজের সুযোগ তুলনায় বেশি পাওয়া যায়। তাই প্রথমদিকে এইরকম কোনো সাইটে কাজ করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে তারপর বিশেষ সাইটগুলিতে যাওয়া ভালো।

(বা একসাথেই সমস্ত সাইটে প্রোফাইল বানিয়ে রাখতে পারেন। এবার যেখান থেকে কাজ পাওয়া যাবে সেই সুযোগ গ্রহণ করে নিজেকে প্রমান করুন।)

অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান ও রেজিস্টার করুন – https://www.fiverr.com

UPWORK –

এটিও একটি মার্কেট প্লেস যেখানে ভয়েস ওভার কাজের জন্য নিজের প্রোফাইল বানিয়ে ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে যুক্ত হওয়া খুবই দরকার।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান ও রেজিস্টার করুন – https://www.upwork.com/freelance-jobs/voice-over/

Trulancer.com –

এটিও ফ্রীল্যান্সারদের একটি মার্কেট প্লেস upwork ও Fiverr এর মতো। এখানেও রেজিস্টার করে রাখতেই পারা যায় কারণ বাংলা ভয়েস ওভার এর কাজ এখান থেকেও পাওয়া যেতে পারে।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান ও রেজিস্টার করুন – https://www.truelancer.com/freelance-voiceover-jobs

LinkedIn –

এই সাইটটিও যেহেতু বিভিন্ন পেশার মানুষের ( ফুলটাইম ই হোক বা পার্ট টাইম বা ফ্রীল্যান্সার)  কাজ খুঁজে দেবার মাধ্যম হিসেবেও কাজ করে, তাই এখানেও নিজের প্রোফাইল বানিয়ে রাখা আবশ্যিক।

এবার দেখা যাক যে সাইটগুলি শুধুমাত্র ভয়েস ওভার কাজের জন্যই বিখ্যাত –

ভয়েস ওভার এর কাজ করার ৯ টি ওয়েবসাইট

Bunnystudio –

ভয়েস-ওভার-করে-টাকা-উপার্জনের-সাইট-bunnystudio

এই প্ল্যাটফর্মটি যারা একদম নতুন VO হিসেবে কাজ করতে চাইছেন তাদের জন্য সত্যি খুব ভালো।

ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ আপনাকে প্রতি ঘন্টায় কাজ পিছু কত চার্জ করবেন তা ঠিক করতে দেয় এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে কাজে লাগিয়ে আপনার মেলবক্স এ আপনার প্রোফাইল অনুযায়ী কাজ পাঠিয়ে দেয়, এর ফলে আপনাকে লিস্ট থেকে কাজ বেছে নেবার ঝামেলা থেকে মুক্ত করে দেয়।  

কোন কোন ভাষায় ভয়েস ওভার করতে পারেন?

এখানে অবশ্যই আপনি আপনার যে কোনো ভাষাতেই ভয়েস রেকর্ড করে পাঠিয়ে দিতে পারেন।

এই প্ল্যাটফর্ম পৃথিবীর প্রায় সব ভাষার ভয়েস ওভার পরিষেবা দিয়ে থাকে। 

ভয়েস আর্টিস্ট বা ভয়েস অ্যাক্টরদের কাজের জন্য খুবই কার্যকরী একটি ওয়েব প্ল্যাটফর্ম। এখানে ভয়েস ওভার ছাড়াও রাইটার, ট্রান্সলেটর, ট্রান্সক্রাইবার, অডিও/ ভিডিও প্রোডিউসার, অডিওবুক ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবেও ইচ্ছে হলে যুক্ত হতে পারেন।   

কিন্তু এখানে খুব তাড়াতড়ি কাজ করে দিতে হয়। 

পেমেন্ট – paypal ও payoneer এর মাধ্যমে 

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://bunnystudio.com/

Voices123 –                                                                 

অসাধারণ একটি ওয়েবসাইট যা সত্যি খুবই সহজভাবে কাজ পাওয়ার উপযুক্ত। এই প্ল্যাটফর্মটি এই ইন্ডাস্ট্রিতে যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং এদের কাস্টমার বেসও যথেষ্ট বড়ো।

পেমেন্ট – এখানে অডিও ফাইলের সময় কতক্ষন তার উপরে কিরকম পেমেন্ট পাবেন তা  নির্ভর করে ।

কীরকম পেমেন্ট পাবেন তা আপনাকে ক্লায়েন্ট এর সাথে দরাদরি করে ঠিক করতে হবে। ভয়েস ১২৩ শুধুমাত্র মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। 

পেমেন্ট পার্টনার – পেপ্যাল

ওয়েবসাইটে VO আর্টিস্ট হিসেবে যুক্ত হবার পদ্ধতি –

খুব সহজেই এই ওয়েবসাইটে ভয়েস ওভার অ্যাক্টর বা আর্টিস্ট হিসেবে যোগদান করা সম্ভব।

শুধুমাত্র নিজের গলার স্বর সুন্দর করে রেকর্ড করুন এবং এই ওয়েবসাইটে এসে কয়েকটি ছোট্ট ছোট্ট তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করে নিজের অ্যাকাউন্ট বানান, আপনার রেকর্ড করা অডিও আপলোড করে দিন, ব্যাস আপনার কাজ শেষ। 

যদি আপনার ভয়েস কর্তৃপক্ষের পছন্দ হয় তাহলে রিজেক্ট হবেন না।

এখানে তিন ধরণের অ্যাকাউন্ট হয়, স্ট্যান্ডার্ড , প্রিমিয়াম, ও প্ল্যাটিনাম। যে কেউ স্ট্যান্ডার্ড অ্যাকাউন্টটি বিনামূল্যে খুলতে পারবে।  

ফ্রি অ্যাকাউন্ট থেকে আগে কাজ করুন, যদি দেখেন আপনার কাজটি ভালো লাগছে ও আরো বেশি কাজ করতে ইচ্ছুক তখন প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্ট নেবেন।

কোন কোন ভাষায় ভয়েস ওভার করতে পারেন?

বাংলা, ইংরেজি , হিন্দি সহ সমস্ত ভাষাতেই সম্ভব।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://voice123.com/#how -to-works

Voices.com –

এটা এমন একটি ওয়েবসাইট যার হেডকোয়ার্টার লন্ডন ও কানাডা তে।

আর এরা বেশির ভাগ ভয়েস ওভার পরিষেবা দিয়ে থাকে ইউরোপিয়ান ও উত্তর আমেরিকান অ্যাকসেন্ট এর উপর।

তাই একথা বলতেই হয় যে যাদের এই ভাষাগুলি মাতৃভাষা নয়, তাদের জন্য এই সাইটে কাজ করা খুব একটা লাভজনক নয়, (যদিও এখন বেশ কিছু সাইট অন্যান্য স্থানীয় ভাষার কাজও অনেক সময় করায়, কিন্তু তা সংখ্যায় খুবই কম।) 

এখানে যে কেউ কোনো মূল্য ছাড়াই ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন এবং তারপর নিজের একটা ভালো প্রোফাইল বানাতে হবে (ডেমো দিয়ে), আপনার প্রোফাইল দেখে যদি ক্লায়েন্টদের পছন্দ হয় তাহলে আপনি কাজ পাবেন। 

যদিও সাইটটি একদম যারা ভয়েস ওভার দুনিয়ায় নতুন তাদের জন্য নয়। 

পেমেন্ট – এদের নিজস্ব Escrow সার্ভিস আছে , অর্থাৎ পেমেন্ট পদ্ধতি যথেষ্ট ভালো।

(In other words, the client pays Voices before you do the work. You automatically get paid if you do a good job. If you don’t, the client receives their money back.) 

যদিও “ফ্রি রেজিস্ট্রেশন” করে কাজ পাবার সম্ভাবনা কম থাকে, কারণ এদের যে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন আছে $৪৯ এ তা দিয়ে যদি রেজিস্ট্রেশন কেউ করে তাহলে অনেক কাজের সুযোগ আসে।

কোন কোন ভাষায় ভয়েস ওভার করতে পারেন?

বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি সহ সমস্ত ভাষাতেই সম্ভব।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.voices.com/

Voice ১২৩, bunnystudio, voices.com এগুলি খুবই জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলেও এগুলি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম তাই আলাদা করে বাংলাকে বিশেষ গুরুত্ব দেবার সুযোগ এখানে কম। 

এবার এমন কিছু বিশেষ সাইটের উল্লেখ করা হবে যারা বাংলা ভয়েস ওভার সার্ভিসকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় –

অতি অবশ্যই যে সাইটগুলো নতুনদের বাংলা ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দেবার জন্য সবচেয়ে ভালো –

Voquent.com –

অসাধারণ একটি ওয়েবসাইট , বাংলাতে ভয়েস ওভার করতে চাইলে অতি অবশ্যই এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দেওয়া উচিত।

কোনো রেজিস্ট্রেশন মূল্য ছাড়াই এখানে যোগদান করতে পারবেন। 

পেমেন্ট স্কেল সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে voquent এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হল – https://www.voquent.com/voice-over/rates/

Voyzapp.com –

যারা এই ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন তাদের জন্য যথেষ্ট ভালো প্ল্যাটফর্ম। সেই অর্থে কোনো টাকা দিয়ে এখানে কাজ পেতে হয় না। 

এই সাইটটি তুলনামূলক নতুন এবং বেশিরভাগ ভারতীয় ভাষায় VO সার্ভিস দেয়। 

পেমেন্ট  মেথড – এদের নিজস্ব Escrow সিস্টেম আছে টি পেমেন্ট এর জন্য তাই পেমেন্ট এর চিন্তা করার দরকার নেই। 

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.voyzapp.com/

Voicetalentonline.com –

এখানেও কোনো জয়েনিং ফী নেই , তাই এই ওয়েবসাইটে যুক্ত হতে রেজিস্টার করুন ও ডেমো পাঠান যদি কর্তৃপক্ষের পছন্দ হয় তাহলে এখান থেকেও কাজ পেতে পারেন।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.voicetalentonline.com/

Covoco.co –

এটিও যথেষ্ট জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। আগে কোনো পেমেন্ট করতে হয় না। 

পেমেন্ট – Paypal দিয়ে করা হয়। 

অতি অবশ্যই এখানেও রেজিস্টার করতে পারেন। 

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://covoco.co/artist-signup.html

Voiceovergrid.com –

এই প্ল্যাটফর্মটি পরিচালিত হয় দিল্লী থেকে, এখানেও কোনো রকম জয়েনিং ফী ছাড়া VO artist হিসেবে যুক্ত হতে পারেন।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.voiceovergrid.com/freelancer-sign-up.html

Voicfy.com – 

বাঙালি ভয়েস ওভার আর্টিস্টদের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটিও যথেষ্ট ভালো, অতি অবশ্যই এই প্ল্যাটফর্মের সাথেও যুক্ত হয়ে যাওয়া  উচিত।   

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://voicfy.com/

আরো বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যেগুলির সম্পর্কে বিশেষ কোনো তথ্য এখনো অবধি পাওয়া যায়নি, তাই এই নিবন্ধে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো না।

যদি এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলিতে কাজ করতে চান বা নিজেকে VO আর্টিস্ট হিসেবে যুক্ত করতে চান তাহলে যথেষ্ট খোঁজখবর নিয়েই  ( পেমেন্ট মেথড কিরকম, কাস্টমার রিভিউ কেমন ইত্যাদি) তবেই যুক্ত হওয়া ঠিক হবে।  সেরকম একটি  ওয়েবসাইট হলো – voicerecordingstudio.in

আশা করা যায় এই সাইটগুলি থেকে আপনার ভয়েস ওভার হওয়ার আর্টিস্ট হওয়ার যাত্রা শুরু অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে, যদি ঘরে বসে উপার্জনের অন্যান্য পথ খুঁজতে চান তবে নিচে দেওয়া নিবন্ধগুলি পড়ুন।

ওয়েবসাইট টেস্টিং করে কিভাবে আয় করা যায়?

ট্রান্সক্রিপশন করে আয় করার ১০ টি সেরা ওয়েবসাইট

২০ টি সেরা ওয়েবসাইট অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করার জন্য

DMCA.com Protection Status

Spread the love

Leave a Comment

error: Content is protected !!