ভেপার মেশিন : (গরম জলের ভাপ নেবার জন্য)
কোভিড আক্রান্তদের সাথে বা জনসংযোগ করতে বাধ্য হচ্ছেন এমন মানুষদের বেশিরভাগকেই ডাক্তাররা গার্গেল করতে বলেছেন, এবং নাক দিয়ে স্টিম (মানে গরম জলের ভাপ) নিতে বলছেন, যা সত্যি খুবই কার্যকরী।
এই বিগত এক বছর ধরে যারা স্বাস্থ্যপরিষেবা দিয়ে চলেছেন করোনা আক্রান্তদের, তারা নিজেরাও অনেকেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া ও লোকমুখে এমনও একটা তথ্য প্রচার হচ্ছে যে গার্গেল করলে ও স্টিম নিলে নাকি শরীরে যদি করোনা ভাইরাস ঢুকে থাকে তা মারা যায়, কিন্তু এটা সম্পূর্ণভাবে সঠিক তথ্য নয়।
কারণ শরীরে যদি করোনা ভাইরাস সবে ঢুকে থাকে এবং তা শুধু গলাতেই আবদ্ধ থাকে তাহলে গাৰ্গল করে কিছু সুফল পাওয়া যেতেও পারে।যদিও তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়।
কিন্তু ডাক্তারবাবুরা স্টিম নিতে বলছেন কারণ স্টিম নিলে আমাদের নাসিকা পথে, গলায়, ফুসফুসের মধ্যে জমে থাকা সর্দি বা মিউকাসগুলোকে নরম করে গলিয়ে তা বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।
যদিও কোভিডে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে শ্বাসকষ্টের। কারণ আমাদের নাসিকা পথের রক্তবাহগুলো (ব্লাড ভেসেল) ইনফেকশনের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ফলে ফুসফুস পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাচ্ছে না।
অক্সিজেন ৯০% এর কমে পৌঁছালে করোনা ভাইরাস ফুসফুসের কোষগুলোকে নষ্ট করে দিচ্ছে ফলে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমছে ও শ্বাসকষ্টের উৎপত্তি হচ্ছে।
যা প্রাণঘাতি হতে পারে, কারণ বেশিক্ষন ৯০% এর নিচে অক্সিজেন থাকলে ফুসফুসের কোষগুলো সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এই স্টিম বা ভাপ নিলে এই রক্তবাহগুলো খুলে যাবে ও ফুসফুসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন যাবার পথ প্রশস্ত হবে।
এই স্টিম নেবার জন্যই ইলেকট্রিক ভেপার (Vapour machine) দরকার। যারা আক্রান্ত তাদের ব্যবহার করতেই হবে। আর যারা বাইরে বেরোতে বাধ্য হচ্ছেন তাদেরও সুরক্ষিত থাকার জন্য এই ভাপ নেওয়ার মেশিন দরকার।
ভেপার মেশিন বা ভাপ নেওয়ার মেশিন কিভাবে কাজ করে?
ইলেকট্রিক ভেপার মেশিনের মধ্যে জল দিয়ে দিতে হয়। যতটা জায়গা নির্দিষ্ট করা থাকবে ততটাই জল দিয়ে প্লাগ লাগিয়ে দিতে হবে।
ওই জল থেকে স্টিম বা বাস্প তৈরী হলে উপরের অংশে নাক ও মুখ রেখে বাস্প নিতে হবে (২ থেকে ৫ মিনিট) কোনো ঝামেলা ছাড়াই খুব সহজ পদ্ধতিতে ভাপ নিতে পারবেন।
একটানা ১০ মিনিটের বেশি ভাপ না নেওয়াই ভালো।
ভেপার মেশিন আর কিভাবে কাজ করে ?
যদিও এই পোস্টটিতে কোভিড প্রতিরোধের জন্যই কি কি লাগবে তার তালিকাই দেওয়া হচ্ছে কিন্তু তাও এই মেশিনের অন্য আরো একটি কার্যকারিতা আছে।
এর সাহায্যে বাড়িতে ফেসিয়াল স্পা করা যায়। গরম স্টিম আমাদের বন্ধ হয়ে যাওয়া ত্বকের ছিদ্র (পোরস) ও কোষ গুলোকে খুলতে, মেক আপ তোলার পর আমাদের শুকিয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের কোষগুলো সারিয়ে ফেলতে সহায়তা করে।
অতিমারীর পরও সাধারণ ঠান্ডা লাগায়, নাক বন্ধ হলে, সাইনাসের সমস্যা থাকলে এই মেশিন আপনার কাজে লাগবে।
এই মেশিনকে কিন্তু পরিষ্কার করে রাখতে হবে আপনাকেই, নাহলে ফাংগাল ইনফেকশন, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হতে পারে। তাই কাজ হয়ে গেলে জল শুকিয়ে পরিষ্কার রাখা আবশ্যিক।
গরম জল করে ভাপ না নিয়ে এই মেশিন কিনবো কেন ?
এরকম নয় যে সাধারণ পাত্রে গরম জল নিয়ে ভাপ নিলে তাতে উপকার কম বা বেশি, কিন্তু পাত্রতে গরম জল করা, তারপর বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় যে কাপড় মাথায় চাপা দিয়ে ওই পাত্রের উপর থেকে ভাপ নেওয়া খুবই কষ্টকর।
কারণ তাতে আমাদের গলা থেকে পুরো মাথা ওই গরম স্টিমের সামনে আস্তে বাধ্য। আর অসুস্থ অবস্থায় পাত্র থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখাও কষ্টকর, বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে সমস্যা বেশি, তাই তারা করতেও চান না।
এই মেশিনের মাধ্যমে ভাপ নিলে আলাদা করে গরম জল করার দরকার নেই। জল দিয়ে রাখলেই আর প্লাগ দিলেই হবে।
তারপর নাক ও মুখ রাখার নির্দিষ্ট জায়গাতে মুখ রাখলেই হবে। তুলনামূলকভাবে কষ্ট কম এই মেশিনে, এবং দামও সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে, তাই বাড়িতে রাখা যেতেই পারে।
এবার দেখে নিন কতকগুলি ভেপার মেশিন
দ্রব্যটি খুবই হালকা, সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে বহনযোগ্য ও ব্যবহার করা খুবই সহজ। প্লাষ্টিক নির্মিত তাই প্রথম বার ব্যাবহার করার সময় গন্ধ এড়াতে, ব্যবহার করার আগে ঈষদ উষ্ণ গরম জলে ধুয়ে নিন।
সর্দি কাশির কষ্ট কমাতে, জমে থাকা সর্দি তুলতে বা গলার ইনফেকশন কমাতে যেরকম কার্যকরী তেমনই সৌন্দর্য্যায়নে স্পা, পেডিকিওর, মেনিকিওর করতে ও করোনা মোকাবিলাতেও একইরকম কার্যকরী।
সম্পূর্ণ রূপে ইলেক্ট্রিক শক থেকে সুরক্ষিত।
এটিও খুবই হালকা, সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে বহনযোগ্য ও ব্যবহার করা খুবই সহজ। প্লাষ্টিক দ্বারা নির্মিত তাই প্রথম বার ব্যবহার করার সময় গন্ধ এড়াতে ব্যবহার করার আগে ঈষদ উষ্ণ গরম জলে ধুয়ে নিন।
সর্দি কাশির সমস্যা কমাতে, নাক ও গলার ইনফেকশন দূর করতে ও স্পা অন্যান্য ফেসিয়াল থেরাপির জন্য খুবই কার্যকরী।
এটিও ভালো মানের প্লাস্টিক দ্বারা নির্মিত, সর্বত্র বহনযোগ্য ভেপার মেশিন যা খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়।
এতে ন্যানো আইকনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি দুই ক্ষেত্রেই ভালোরকম কার্যকর।
এতে ন্যানো – আইকনিক টেকনোলজি, UV স্টেরিলাইজেসন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ২০০ ml জল ধরবে।
এটা ব্যবহার করতে পারবেন কফ / সাইনাস / অ্যাসমা / এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে। বাচ্চা ও বয়স্কদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।
অন্য ভেপারাইজারের সাথে তফাৎ হল – বাষ্পের সাথে একটুও জল মুখে লাগে না। ন্যানো মিটার সাইজের শুধুমাত্র স্টিম বা বাস্পটাই বেরিয়ে আসে। খুব তাড়াতাড়ি জল থেকে বাস্প বের হয়। বাস্প বেরোনোর আগে তা UV রে দিয়ে সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত হয়। তাই স্বাস্থ্য বিষয়টি নিশ্চিত।
অন্যান্য ভেপারাইজার এর সব সুবিধার সাথে আরো একটি সুবিধা হল – ন্যাসাল মাস্ক টা অর্থাৎ যাতে নাক রাখবেন তা ৩৬০ ডিগ্রী ঘোরাতে পারবেন। এই মেশিনটাতে ইন্ডিকেটর এবং রেগুলেটর আছে যা দিয়ে নিজের পছন্দ মতো পরিমানের বাস্প নিতে পারবেন।
কফ / সাইনাস / অ্যাসমা / এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, ত্বক পরিষ্কার করতে, ফেসিয়াল করতে, ত্বকের ব্ল্যাক হেডস দূর করতে খুবই সাহায্যকারী।
বিশেষ দ্রষ্টব্য –
১. RO বা ফিল্টার ওয়াটার অর্থাৎ পরিশ্রুত জল কখনোই ব্যবহার করবেন না।
২. ব্যবহার করা জল ফেলে শুকনো করে মুছে রাখুন।
৩. প্রতিবার ব্যবহার করার আগে জল বদলে নিন।
৪. প্রত্যেকটি ভেপারাইজার থেকে ইলেক্ট্রিক শক লাগার কোনো সম্ভাবনা নেই।
৫. খুবই কম ইলেকট্রিক পোড়ে।
৬. ব্যবহার করার পর প্লাগ খুলে রাখুন।