ব্লাড প্রেশার শব্দটির সাথে আমরা সবাই মোটামুটি পরিচিত কারণ ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার সাথে মানুষের জীবন মরণ জড়িয়ে। খুব বেশি ব্লাড প্রেসার হলেও বিপদ আবার কম হলেও তথৈবচ।
তাই নিয়ম করে প্রেসার মাপার যন্ত্র ব্যবহার করে ব্লাড প্রেসার মেপে তা নিয়ন্ত্রণে রাখাই একমাত্র উপায় এই জনিত কোনো আকস্মিক বিপদ এড়ানোর। এবার ছোট করে দেখে নেওয়া যাক ব্লাড প্রেসার কি এবং কেন তা বাড়া কমা করে ?
ব্লাড প্রেসার কি ?
শরীরের রক্তবাহের (ব্লাড ভেসেল) মধ্যে দিয়ে রক্ত বয়ে যাবার সময়, সেই রক্তবাহের দেয়ালের গায়ে রক্ত যে পরিমাণ চাপ দেয় তাকেই বলা হয় ব্লাড প্রেসার। এই চাপ তৈরী হয় হৃৎপিণ্ড যে পরিমান রক্ত পাম্প করে রক্তবাহের মধ্যে প্রদান করে তার চাপের উপর।
ব্লাড প্রেসার সাধারণত দুটি শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা হয় ; ১) সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার ২) ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেসার
সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার কি ?
আমাদের শরীরে রক্ত, রক্তনালি বা রক্তবাহের (আর্টারি) গায়ে যে পরিমাণ চাপ দেয় “হার্ট বিট করার সময় ” , তাই হল সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার।
ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেসার কি ?
আমাদের শরীরে রক্ত, রক্তনালি বা রক্তবাহের (আর্টারি) গায়ে যে পরিমাণ চাপ দেয় “ যখন হার্ট রেস্ট করে ২ টি বিট করার মাঝের সময়ে “ তাকে বলা হয় ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেসার।
যদি কারোর ব্লাড প্রেসার ১৩০/৯০ হয়, তার মানে তার সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার ১৩০ mmHg , ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেসার ৯০ mmHg .
ব্লাড প্রেসার মাপার একক কি ?
mmHg
আপনি ব্লাড প্রেসার কেন মাপবেন ?
আপনি উচ্চ রক্তচাপের অর্থাৎ High blood pressure এর রোগী কিনা তা জানতে হলে নিয়মিত ব্লাড প্রেসার মাপাই একমাত্র উপায় কোনো বিপদ এড়াবার কারণ সাধারণত রক্তচাপ বাড়ার কোনো প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায়না , তাই বেশিরভাগ মানুষ জানেন ই না যে তার রক্তচাপ কত। হঠাৎ করে কোনো সমস্যা হলে তখন মানুষ জানতে পারে।
অর্থাৎ হার্টের কার্যকারীতার উপর নজরদারি চালাতেই হবে সুস্থ থাকতে হলে। আর এই নিয়মিত নজরদারি তখনই সম্ভব যদি নিজের বাড়িতেই রাখা যায় একটা প্রেসার মাপার মেশিন।
ব্লাড প্রেসার কোথায় মাপতে পারেন ?
ডাক্তার বাবুর কাছে গিয়ে, যেকোনো ওষুধের দোকানে বা এখন নিজের বাড়িতেই ইলেক্ট্রনিক/ ডিজিটাল প্রেসার মাপার যন্ত্র কিনে মাপতে পারেন।
ব্লাড প্রেসার কত থাকা উচিত ?
স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার ১২০/৮০ হওয়া উচিত যদিও একটু বয়স বাড়লে কমবেশী ১২৫/৮৫ ও স্বাভাবিক হিসেবেই ধরা হয়।
এবার দেখে নেওয়া যাক প্রেসার মাপার নিয়ম গুলি যা আমাদের মেনে চলতে হবে :-
ব্লাড প্রেসার মাপার আগে কি কি করণীয় ?
১. ব্লাড প্রেসার মাপার আধ ঘন্টা আগে কিছু খাওয়া বা পানীয় পান করা উচিত নয়।
২. মাপার ৫ মিনিট আগে এমন একটা চেয়ারে বসুন যার পিছনে হেলান দিতে পারবেন তারপর মাপুন্।
৩. পা ২ টি ক্রস না করে সমান ভাবে মাটিতে রাখুন।
৪. যে হাতটিতে প্রেসার মাপবেন সেটা কোনো একটা টেবিলের উপর রাখুন।
৫. প্রেসার মাপার কাফ টি আপনার ত্বকের উপর জড়াবেন , জামা কাপড়ের উপর নয়।
৬. একদম আরামদায়ক অবস্থায় কমফোর্টেবলি বসুন, প্রেসার মাপার সময় কথা বলবেন না, খুশি মনে প্রেসার মাপলে রিডিং সঠিক পাবেন।
ব্লাড প্রেসার কোন হাতে মাপতে হয়?
আপনি যদি ডান -হাতি হন তাহলে বাঁ হাতেই প্রেসার সাধারণত মাপা উচিত। আর যদি আপনার ডাক্তার বাবু বলে থাকেন তাহলে ডান হাতেও মাপতে পারেন।
ব্লাড প্রেসার মাপার সময় আপনার কি কি শারীরিক ভঙ্গিমা সঠিক রিডিং নিতে সমস্যা তৈরী করতে পারে ?
১. ব্লাড প্রেশার মাপতে গিয়ে আমরা সবাই কম বেশি কি রিডিং আসবে সেই নিয়ে ভয় পাই যার ফলে ব্লাড প্রেসারের রিডিং বেড়ে যায়। ( বলা হয় প্রতি ৩ জনে একজনের ব্লাড প্রেসার ডাক্তারবাবুর কাছে গেলে বেড়ে যায় কিন্তু ডাক্তার বাবুর কাছ থেকে বেরিয়ে এলে ব্লাড প্রেসার কমে যায়। )
২. যদি প্রেসার মাপার আগের আধ ঘন্টার মধ্যে আপনি ধূমপান, অ্যালকোহল বা চা কফি জাতীয় কিছু পান করে থাকেন যাতে ক্যাফিন আছে তাহলে ব্লাড প্রেসারের রিডিং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আসবে। এছাড়া ওই আধ ঘন্টার মধ্যে শরীরচর্চা করে থাকলেও রক্তচাপের রিডিং বেশি আসে।
৩. এছাড়াও পা ক্রস করে বসলে হাত টেবিলে না রেখে এমনি ফেলে রাখলেও রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আসবে।
কতদিন ছাড়া ছাড়া ব্লাড প্রেসার মাপা উচিত ?
প্রতি মাসে একবার করে যেকোনো সুস্থ মানুষের যার প্রেসার নেই অথচ ৪০ এর উপর বয়স তার প্রেসার চেক করা উচিত।
আর যাদের প্রেসার সবে মাত্র ধরা পড়েছে তাদের যদি সম্ভব হয় কিছু দিন ছাড়া ছাড়াই প্রেসার চেক করা উচিত বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।
আর যারা দীর্ঘদিন রক্তচাপের সমস্যাতে ভুগছেন তাদের সপ্তাহে একবার বা ১০ দিন ছাড়া একবার চেক করা উচিত।
দিনের মধ্যে কখন ব্লাড প্রেসার চেক করা উচিত ?
সারাদিন আমাদের ব্লাড প্রেশার বদলাতে থাকে ,যখন আমরা ঘুম থেকে উঠি তখন সবচেয়ে কম থাকে রক্তচাপ আর যখন খুব কাজ কর্ম করি তখন সবচেয়ে বেশি হয়।
তাই যারা হাই ব্লাড প্রেশার এর রোগী তারা , যেদিন প্রেসার মাপবেন বলে ভাবছেন সেদিন ২ বার চেক করুন।
প্রথম বার চেক করুন ঘুম থেকে ওঠার আধ ঘন্টা পর ব্রেকফাস্ট এর আগে, আর দ্বিতীয় বার সন্ধ্যে বেলা। সন্ধেয় চেক করার পর যে রিডিং পাবেন তা সকালের চেয়ে ১০ mmHg বেশি হতে পারে।
ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয় কি ?
আপনি যে বয়সেরই হন না কেন ব্লাড প্রেশার বেড়ে গেছে দেখলে ভয় পাবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ কি কি ?
যখন প্রথম কারোর উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা শুরু হয় তখন সেইভাবে কোনো রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায়না। অল্পতে হাঁপিয়ে পড়া, ক্লান্তি , মাথা ঘোরা, ঘাড়ের যন্ত্রনা এগুলি প্রাথমিক ভাবে হতে পারে।
আর এই প্রাথমিক লক্ষণগুলি উপেক্ষা করলে পরে গুরুতর ক্ষেত্রে ঝাপসা দেখা, মাথার যন্ত্রনা, বুকের যন্ত্রনার মতো সমস্যা তৈরী হয়। তাই সামান্য সমস্যা হলেই ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিন।
উচ্চ রক্ত চাপে কি কি সমস্যা হতে পারে ?
১. হার্টের মাসল বা পেশিগুলি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে, ফলে হার্ট সারাদেহে রক্ত পাম্প করতে পারেনা এবং হার্ট ফেল পর্যন্ত হতে পারে।
২. কিডনিতে সমস্যা দেখে দিতে পারে, সেরিব্রাল অ্যাট্যাক বা মস্তিষ্কে স্ট্রোক, রক্তক্ষরণও হতে পারে।
৩. রেটিনা নষ্ট পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে উচ্চ রক্তচাপের ফলে।
ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক রাখার জন্য দৈনন্দিন জীবনে কি করবেন আর কি করবেন না ?
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় / উচ্চ রক্তচাপের প্রতিকার –
১. ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলির মধ্যে প্রথম হল খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ। এমন খাবার খান যা হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। টাটকা শাক – সবজি , ফল ,হালকা প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান। কাঁচা নুন একেবারেই খাওয়া চলবে না ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে।

২. চিনি, তেল, চর্বি, ডালডা, ঘি, মাখন, অত্যধিক সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, রেড মিট, মিষ্টি, সফ্ট ড্রিঙ্কস এড়িয়ে চলুন।
৩. প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘন্টা শরীর চর্চা করুন।

৪. ধূমপান করলে তা ত্যাগ করার চেষ্টা করুন। যারা সবে ধূমপান শুরু করছেন তারা মাথায় রাখুন যে ঈশ্বর নাক আর মুখ দিয়েছেন বেঁচে থাকার তাগিদে খাবার জন্য এবং নিঃশ্বাস নেবার জন্য, শ্বাসনালিতে ধোঁয়া ঢুকিয়ে জীবন বিপন্ন করতে নয়।
৫. অ্যালকোহল এড়িয়ে চলাই ভালো।

৬. পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের সর্বাধিক প্রয়োজনগুলির মধ্যে একটা।
৭. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন যে কোনো উপায়ে।
৮. যদি ওষুধ খেতে হয় তা ডাক্তাররের পরামর্শ মেনে খান, নিজে ডাক্তারি করতে যাবেন না।
৯. আর একটি গুর্রুত্বপূর্ণ উপদেশ যা চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন তা হলো দুঃশ্চিন্তাকে প্রশ্রয় না দেওয়া। যদি অত্যধিক চিন্তা করার অভ্যাস যা শহুরে ভাষায় “স্ট্রেস ” নামে পরিচিত সেটা থাকে, তাহলে কিন্তু ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায় খুঁজলেও পাওয়া যাবেনা।
কিন্তু বর্তমানে স্ট্রেস প্রায় আমাদের কাজের জায়গায় নিত্যসঙ্গী, সেটা বাদ দিয়ে উপার্জন সম্ভব নয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, কাজের সময় ছাড়া বাদবাকি সময় চেষ্টা করুন খুশি থাকতে, প্রাণশক্তি এতে বাড়বে।
হার্ট বা হৃৎপিন্ডকে ভালো ও সুস্থ রাখতে কি ধরণের খাবার খাওয়া উচিত ?
আপেল , কলা , কমলালেবু , ব্রকোলি , গাজর , আটার রুটি , আটার পাস্তা , অল্প বাদাম খাওয়া ভালো।
ব্লাড প্রেসার মাপতে যারা ডাক্তার নয় কি ধরণের প্রেসার মাপার যন্ত্র বাড়িতে রাখা উপযোগী ?
প্রেসার মাপার যন্ত্র যেটা আগে ব্যবহার হত অর্থাৎ হাতে করে ডাক্তারবাবুরা পাম্প করে হাতে কাফ জড়াতেন তাতে প্রেসার দিতেন এবং স্টেথো দিয়ে কানে লাগিয়ে শুনে বলতেন সেই প্রেসার মাপার মেশিনের মতো যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে বাড়িতে আপনাকে শিখতে হবে কিভাবে কোন আওয়াজ কানে শুনতে হয়, তাই সাধারণের পক্ষে তা ব্যবহার সহজ নয়।
কিন্তু ডিজিটাল প্রেসার মাপার যন্ত্র যে কেউ ব্যবহার করতে পারে। সব কাজ যন্ত্রই করে, কিছু শিখতে হবেনা। তাই বাড়িতে এটা ব্যবহার করাই সবচেয়ে সুবিধাজনক। শুধু কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে এমন যন্ত্র কিনতে যা সত্যিই সঠিক রিডিং দেয়।
এখনও যেহেতু এনালগ প্রেসার মাপার মেশিন বহু জায়গায় ব্যবহৃত হয় তাই এনালগ প্রেসার মাপার মেশিনের দাম সম্পর্কে অনেকের কৌতূহল থাকে। তাই দুই ধরণেরই প্রেসার মাপার যন্ত্রের মূল্য কীরকম হতে পারে তা জেনে রাখাও জরুরী।
ডিজিটাল মেশিনে প্রেসার মাপার নিয়ম কী আলাদা ?
প্রেসার মাপার মেশিনের ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি আলাদা হলেও প্রেসার মাপার যন্ত্রের পরিচালনার নিয়ম বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একই রকম। সত্যি বলতে ৫ বছরের বাচ্চাকে শিখিয়ে দিলে সে ও পারবে।
যার প্রেসার মাপা হবে তার বাঁ হাতে ‘ কাফ ‘ পরিয়ে মেশিনের অন করার বোতাম টিপে দিলেই মেশিন নিজেই হাওয়া ভরবে কাফে , তখন ব্যক্তি হাতে বেশ চাপ অনুভব করবে , তারপর কিছুক্ষণ পর ই যন্ত্রটি নিজেই আস্তে আস্তে হাওয়া ছেড়ে দিতে থাকবে এবং স্ক্রিনে প্রেসার কত হলো তা দেখাবে। তখন কাফ খুলে নিতে হবে। এতটাই সহজ পদ্ধতি।
প্রেসার মাপার যন্ত্র কোথায় পাওয়া যায় ?
এখন তো বাড়িতে বসে অনলাইনেই পেয়ে যাবেন প্রেসার মাপার যন্ত্র। এছাড়াও আপনার আশপাশের যেকোনো ওষুধের দোকান , মেডিক্যাল/সার্জিকাল দ্রব্যাদির দোকানে পাওয়া যাবে।
ব্লাড প্রেসার মাপার যন্ত্রের দাম কখনোই খুব বেশী হয়না , তাই সম্ভব হলে বাড়িতেই কিনে রাখা উচিত যা এখন সত্যি প্রয়োজন।
রক্তচাপ মাপার যন্ত্রের দাম/প্রেসার মাপার মেশিনের দাম কত? তা কি সবার সাধ্যের মধ্যেই ?
বাজারে মোটামুটি ১০০০ টাকা থেকে রক্তচাপ মাপার যন্ত্রের দাম শুরু হয়। আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী মেশিন কিনতেই পারেন।
ম্যানুয়াল প্রেসার মাপার যন্ত্রের দাম কত ?
১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে।
সেরকমই বাড়িতেই ব্লাড প্রেসার মাপার জন্য সবচেয়ে ভালো কয়েকটি ডিজিটাল প্রেসার মাপার যন্ত্রের উদাহরণ ও সেই সঙ্গে প্রেশার মাপার মেশিনের দাম সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হল –
Omron HEM ৭১২০ ফুললি অটোমেটিক ডিজিটাল ব্লাড প্রেসার মনিটর

সঠিক রিডিং এর জন্য এটা অসিলোমেট্রিক পদ্ধতিতে রক্তচাপ মাপে।
যদি কারোর ব্লাড প্রেসার বেশি থাকে তাহলে এই যন্ত্রের গায়ের ইন্ডিকেটর জ্বলতে থাকে সাথে পালস রেট ও মাপতে পারে।
৩ বছরের ওয়ারেন্টি।ব্যাটারি চালিত মেশিন।
Omron মোস্ট অ্যাডভান্স ডিজিটাল ব্লাড প্রেসার মনিটর

৩৬০ ডিগ্রী অ্যাকিউরেসি wrap কাফ ভালো ভাবে হাতে ফিট করতে সাহায্য করে। ফলে বাড়িতেই সঠিক মাপ নেওয়া সম্ভব হয় যেকোনো সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে।
২. অস্বাভাবিক হার্টবিট , হাইপারটেনশন, পালস রেট মাপতে পারে। ব্যাটারি চালিত মেশিন।
Omron HEM ৭৩৬১ bluetooth ডিজিটাল ব্লাড প্রেসার মনিটর

এই প্রেসার মাপার যন্ত্রটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল ব্লাড প্রেসার মেপে সঙ্গে সঙ্গে এর bluetooth ব্যবহার করে আপনার ফোনে প্রেসার কত হলো তা মেপে পাঠিয়ে দেয় , যদিও তখনি এই ব্লাড প্রেসার মাপার মেশিনটির স্ক্রিনেও রেজাল্ট দেখতে পাবেন।
এটিও অস্বাভাবিক রক্তচাপ , পালস রেট অন্য প্রেসার মাপার যন্ত্রগুলির মতোই মাপতে পারে। ব্যাটারি চালিত মেশিন।
Dr Morpean BP one BP09 ফুললি অটোমেটিক ব্লাড প্রেসার মনিটর

প্রেসার মাপার সাথে পালস রেট ও মাপতে পারে।
ব্যবহার করা খুব সহজ। দামেও খুব সস্তা
Dr ট্রাস্ট স্মার্ট ডুয়াল টকিং অটোমেটিক ডিজিটাল ব্লাড প্রেসার মনিটর

এই প্রেসার মাপার যন্ত্রটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এটা সঠিক প্রেসার মেপে হিন্দি ও ইংরেজিতে বলে পর্যন্ত দেয় যে আপনার প্রেসার কত।
প্রেসার ও পালস রেট ২ ই মাপতে পারে।
AmbiTech ডিজিটাল অটোমেটিক ব্লাড প্রেসার মনিটর (Made in India)

স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চরক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপ বোঝানোর জন্য ইনডিকেটর আছে। আপনার প্রেসার বেশি কিনা তা এই ইনডিকেটর দেখেই বুঝতে পারবেন।
প্রেসার ও হার্টবিট ২ ই মাপা যায়।
দামে খুবই কম। সকলের সাধ্যে মধ্যে। ১ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি।
যখন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রেসার মাপার যন্ত্র ও তার কার্যকারিতা দেখা গেলো এবার দেখা যাক এই প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে হার্ট দায়ী সেই হার্টের হার্টবিট মাপার কয়েকটি স্মার্ট ওয়াচ বা স্মার্ট ঘড়ি যাতে আপনি সারাদিন আপনার হার্ট কেমন চলছে জানতে পারবেন –
স্মার্ট ওয়াচ বা ডিজিটাল ওয়াচ –






এবার আসা যাক ওজন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে, কারণ হার্ট সহ সম্পূর্ণ শরীর সুস্থ রাখতে গেলে যেকোনো উপায়ে অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবেই।
আর সেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকছে কিনা তা জানতে নিয়মিত ওজন ও চেক করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ ও শরীর চর্চা বাড়াতে ও কমাতে হবে।
এবার দেখা যাক কোনো মানুষ তার ওজন মেপে তা সঠিক কিনা জানবে কিভাবে ?
প্রতিটা মানুষের দেহের ওজন সঠিক, নাকি অতিরিক্ত, নাকি অপুষ্টিজনিত তা নির্ণয় করা হয় মানুষটির উচ্চতা এবং হাড়ের ঘনত্বের উপর। যাকে বলা হয় BMI বা বডি মাস ইনডেক্স।
আপনার বডি মাস ইনডেক্স (BMI) কিভাবে নির্ণয় করা যায় বাড়িতেই ?
BMI = কেজি / মিটার ^২
প্রথমে নিজের ওজন মাপুন ওয়েট মেশিনে তার পর নিজের উচ্চতা মাপুন। যদি উচ্চতা সেমি তে মাপেন তাহলে আপনার উচ্চতা কে ১০০ দিয়ে ভাগ করে তাকে মিটারে পরিবর্তিত করে নেবেন।
BMI যদি কারোর ২৫ এর বেশি হয় তাহলে তার ওজন বেশি
BMI যদি ১৮.৫ থেকে ২৪.৯ এর মধ্যে থাকে তাহলে তার ওজন স্বাভাবিক।
১৮.৫ এর কম হলে তার ওজন স্বাভাবিকের থেকে কম।
তাহলে দেখে নেওয়া যাক কয়েকটি ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্র বা ওয়েট মেশিন :-


