অনলাইন ইনকাম এর উপায় [৪০টিরও বেশি উপায় ঘরে বসে টাকা আয় করার]

by

জীবনযাপনের জন্য অর্থ উপার্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই উপার্জনের পদ্ধতিও বিভিন্ন রকম হতে পারে।

কিভাবে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে টাকার ব্যবহার শুরু হলো এবং সময়ের সাথে সাথে টাকার বিবর্তন কিভাবে ঘটলো তা টাকার ইতিহাস কি? টাকার বিবর্তন কিভাবে হলো নিবন্ধে আগেই লিখেছি।

কিন্তু বিবর্তন শুধু টাকার ই হয়নি, হয়েছে উপাৰ্জন বা ইনকামের পদ্ধতিরও। প্রাচীনকালে বাণিজ্য করতে মানুষ দেশ দেশান্তরে পাড়ি দিত এবং ভরসা ছিল শুধুমাত্র জলপথ।

এরপর বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে মানুষ সড়কপথ, রেলপথ বানিয়ে দুর্গম গিরি কান্তার মরু এবং দুস্তর পারাবার এইসবকিছুকেই সুগম করে তুললো।

শুধু তাই নয় আকাশপথের যাত্রাও নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়ে উঠলো বহু মানুষের কাছেই। তবে এই সমস্ত পথ ও সবরকমের যানবাহনেও কিন্তু সময় লাগতো এক জায়গা থেকে অন্য্ জায়গায় পৌঁছতে।

এই যাতায়াতের দূরত্বও ঘুচিয়ে দিয়েছে ইন্টারনেট। এর দৌলতে গোটা পৃথিবী আজ আপনার হাতে, ইন্টারনেট এ যে কত কিছু করা যায় তার ইয়ত্তা নেই, কিন্তু আজ বলবো ইন্টারনেট কিভাবে অনলাইন ইনকামের পথকেও সুগম করে তুলেছে।

অনেকেই হয়তো শুনেছেন যে সফল কেরিয়ার গড়তে গেলে নাকি ঘর ছেড়ে বেরোতেই হয়, বা অনেকেই আছেন যারা অফিসেই দিনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে ফেলেন এবং ভাবেন যে ভালো ইনকাম করতে হলে তো সকলকেই এরকমভাবেই চলতে হয়।

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন এই সমস্ত কথাগুলি ততদিন ই সত্যি ছিল যতদিন ইন্টারনেট এত সহজলভ্য হয়ে ওঠেনি।

এখন অনলাইন ইনকাম করা কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয়, বহু লোক ই তা করছে এবং চিরাচরিত চাকরিগুলিতে যে টাকা রোজগার করা যায় তার থেকেও অনেক বেশি টাকাই উপার্জন করছে।

আপনি নিজের বাড়িতে থেকেই অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন যদি আপনার কাছে ইন্টারনেট সংযোগ এবং তা ব্যবহার করার জন্য একটি ডিভাইস (যেমন – কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল) থাকে।

তবে ঘরে বসে ইনকাম করা যায় মানেই এরম ভাবার কোনো কারণ নেই যে অনলাইন ইনকাম খুব সহজ।

একদমই তা নয়, অফলাইনে একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে যেমন পরিশ্রম লাগে, অনলাইনেও তেমনি যথেষ্ট ও সময় ও পরিশ্রম দিতে হবে, তবেই ভালো ইনকাম করা সম্ভব।

এই নিবন্ধে অনলাইন ইনকাম এর পদ্ধতিগুলি সম্বন্ধে লিখবো যেগুলি থেকে আপনি নিজের পছন্দমতো পদ্ধতি বেছে নিয়ে উপাৰ্জন শুরু করতে পারেন।

সূচীপত্র

অনলাইন ইনকাম এর সুবিধাগুলি কি কি?

অফলাইন ব্যবসার তুলনায় অনলাইন ইনকাম এর ক্ষেত্রে ব্যবসা শুরু করতে আপনার খরচ অনেক কম লাগে।

অফলাইনে যে কোনো ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি মূলধন লাগে কিন্তু অনলাইন এ আপনি খুব সামান্য বা কোনো মূলধন ছাড়াই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

আলাদা করে দোকান বা কোনো জায়গা নেওয়ার দরকার পরে না, আপনাকে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছোটাছুটি করে অফিস বা দোকানে পৌঁছতেও হবে না।

বাসে লোকের গুঁতো খেয়ে, সেজেগুজে আপনাকে অফিসে যেতে হবে না, আপনি নিজের পছন্দের পোশাকে নিজের ইচ্ছেমতো যেকোনো জায়গা থেকে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন, দরকার শুধু ইন্টারনেট ও কম্পিউটার।

অনলাইন ইনকাম এর অসুবিধা কি?

ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া আপনি এক্ষেত্রে অচল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ খারাপ হয়ে গেলেও তাই।

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, কিন্তু অনলাইন ইনকাম এর ক্ষেত্রে আপনি যদি ঘরে বসে একা কাজ করেন তবে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে তা সমস্যা হয়ে উঠতে পারে বিশেষত তাদের ক্ষেত্রে যারা একদমই কথা না বলে থাকতে পারে না।

এছাড়াও অনলাইন ইনকামের নানা সুবিধা অসুবিধার কথা আলোচনা করা যেতে পারে কিন্তু সেটা এই নিবন্ধের বিষয়বস্তু নয়, এই নিবন্ধের মূল উদ্দেশ্য হলো অনলাইন ইনকামের সমস্ত উপায়গুলি সম্পর্কে সুলুকসন্ধানের পাঠকদের অবগত করানো। চলুন দেখে নেওয়া যাক –

অনলাইন ইনকামের উপায়

ব্লগিং করে আয়

ব্লগিং-করে-অনলাইন-ইনকাম-করা

ব্লগিং অনলাইনে ইনকাম করার অন্যতম সেরা উপায় এবং এটিকে সবার আগে লেখার কারণ হলো আমি নিজেও একজন ব্লগার।

আপনি যদি লিখতে ভালোবাসেন তাহলে নিজের পছন্দের যে কোনো বিষয় নিয়েই ব্লগ শুরু করতে পারেন এবং একাধিক ভাবে ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন।

একদম শুরুতে ব্লগার রা গুগল অ্যাডসেন্স ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করে, এছাড়াও স্পন্সর্ড পোস্ট থেকে আয় করা যায়।

আপনি paid newsletter চালু করতে পারেন, নিজের ব্লগের মাধ্যমে ফ্রীল্যান্স সার্ভিস দিতে পারেন, ইবুক বা অন্য্ কোনো ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট ও বিক্রি করতে পারেন।

আপনি মেম্বারশিপ চালু করতে পারেন, অনলাইন কোর্স বা অনলাইন ট্রেনিং নিজের ব্লগের মাধ্যমে বিক্রি করে আয় করতে পারেন এবং যদি আপনি কোনো বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষ হন তবে আপনি কোচিং ও কনসাল্টিং এর মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন।

সর্বোপরি আপনার ব্লগে যদি যথেষ্ট ভালো ট্রাফিক থাকে তবে আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট যথেষ্ট ভালো পরিমাণ টাকায় বিক্রিও করে দিতে পারবেন।

মনে রাখবেন ব্লগ থেকে আয় তখনই সম্ভব যখন তাতে ভালো পরিমাণ ট্রাফিক বা দর্শক আসবে এবং তার জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ, আর্টিকেল ও ব্লগের SEO করা এবং ব্লগ পোস্ট বা নিবন্ধগুলিকে প্রোমোট করা খুব জরুরি।

আরও একটি বিষয় হলো এখনো পর্যন্ত বাংলা ব্লগ থেকে কোনো বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করা যথেষ্ট কঠিন কিন্তু একই পরিশ্রমে আপনি যদি প্রথম বিশ্বের দেশ বিশেষত USA কে টার্গেট করে ইংরেজিতে ব্লগ লেখেন তবে অনেক বেশি পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে আয়

ইউটিউব-থেকে-অনলাইন-আয়-এর-উপায়

ব্লগিং এর পরেই যে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মটির কথা না বললেই নয় সেটি হলো Youtube। এখন প্রায় প্রতিটি ঘরেই আপনি Youtuber খুঁজে পেয়ে যাবেন।

Youtube চ্যানেল শুরু অনেকেই করে কিন্তু সফলভাবে সেটা সকলে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে না।

ইউটিউব থেকে আয়ের প্রথম ধাপ হলো ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম যেমন ব্লগের ক্ষেত্রে গুগল অ্যাডসেন্স এটিও তেমনই।

আপনি যদি ইউটিউব এ লাইভ স্ট্রিমিং করেন তবে আপনার ফ্যানদের থেকে আপনি সুপার চ্যাট, সুপার স্টিকার ও সুপার থ্যাঙ্কস এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

আপনি নিজের মার্চেন্ডাইজ বিক্রি করতে পারেন, মেম্বারশিপ চালু করতে পারেন, এছাড়াও যেমন ব্লগের ক্ষেত্রে স্পন্সরড কনটেন্ট তেমনই ইউটিউবে যখন আপনার দর্শক বেড়ে যাবে তখন বিভিন্ন ব্র্যান্ড নিজেদের প্রোডাক্ট আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার করার জন্য আপনাকে টাকা দেবে।

এগুলি ছাড়াও ব্লগের মতোই আপনি ইউটিউবের মাধ্যমেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন, নিজস্ব প্রোডাক্ট, সার্ভিস বিক্রি করতে পারেন এবং কোচিং ও কনসাল্টিং এর মাধ্যমেও টাকা রোজগার করতে পারেন।

ইউটিউবের জনপ্রিয়তা এতই বেশি যে অনেকেই এখন এটিকে পেশা হিসেবেই বেছে নিচ্ছে। এবং এটি এমন একটি অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি যেটি একদম নিখরচায় শুরু করা যায়।

আপনি যদি ভিডিওতে নিজের মুখ না দেখাতে চান তাহলে আপনি ফেসলেস ইউটিউব চ্যানেল শুরু করতে পারেন। ১০০ টির ও বেশি এরকম ফেসলেস চ্যানেল আইডিয়া উদাহরণ সহ নিচের ভিডিওতে দেওয়া রইলো।

ডোমেইন ফ্লিপিং

ডোমেইন-ফ্লিপিং-এর-মাধ্যমে-ঘরে-বসে-টাকা-আয়

ডোমেইন কি তা যদি না জেনে থাকেন তবে আগে ডোমেইন নেম কাকে বলে নিবন্ধটি পড়ে নিন।

আশা করি পড়ে নিয়েছেন, এবার তাহলে শুনুন, ডোমেইন ফ্লিপিং এর মানে হলো কম দামে ডোমেইন কিনে তা অনেক বেশি টাকায় বিক্রি করা।

এখনো অবধি সর্বাধিক দামে বিক্রিত ডোমেইন হলো Business.com যা ৩৪৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল সেটা টাকায় কত হয় একবার গুগল করে দেখে নিন তারপরে যদি জ্ঞান হারান তাহলে একটু সময় নিয়ে জ্ঞান ফিরলে জল খেয়ে আবার নিবন্ধটি পড়তে বসুন।

এই লিংকে গিয়ে দেখে নিতে পারেন সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া ডোমেইন গুলি – https://fortunly.com/articles/the-most-expensive-domain-names-ever-sold/

এছাড়াও ৫০০ টি সর্বাধিক দামে বিক্রিত ডোমেইন দেখতে পারেন এই লিংক থেকে – https://alter.com/blog/top-domain-name-sales তবে এটিতে Voice.com এর পরে আর আপডেট করা হয়নি দেখা যাচ্ছে।

এবার এইসব দেখে অনেকেই ভাবে ব্যস কাল থেকে ৭০০-৮০০ টাকায় ডোমেইন কিনবো আর ১০ বিশ হাজারে বিক্রি করবো কিন্তু তা হওয়ার নয়।

ডোমেইন ফ্লিপিং এর জন্য expired domain বেশি মূল্যবান, যাতে ভালো ব্যাকলিংক আছে, যা হয়তো brandable এবং আরো অনেক বিষয় দেখার আছে যেগুলি এখানে লেখা সম্ভব নয়, সময় পেলে ডোমেইন ফ্লিপিং নিয়ে আলাদা একটি নিবন্ধ লিখবো।

একটি ভালো expired domain এর দাম কয়েক লক্ষ টাকা হতে পারে, তাছাড়া শুধু ডোমেইন কিনে তা বিক্রির জন্য লিস্টেড করে দিলেই হলো না, ডোমেইন ফ্লিপিং কে যদি পেশা হিসেবে নিতে চান তাহলে আপনাকে Outreach করতে হবে prospective buyer দের কাছে এবং follow – up করাও জরুরি।

ওয়েবসাইট ফ্লিপিং

ডোমেইন এর মতোই ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করেও টাকা আয় করা যায় তবে এক্ষেত্রে পরিশ্রম আরো বেশি।

কারণ যে ওয়েবসাইট আপনি বিক্রি করতে চান তাকে আগে লাভজনক করে তুলতে হবে, নয়তো অন্য্ কেউ সেটা কিনবে কেন?

এক্ষেত্রে দুটি কাজ করা যায়, প্রথম হলো আপনি ডোমেইন কিনে, হোস্টিং নিয়ে একদম শূন্য থেকে একটি ওয়েবসাইট শুরু করলেন, তাতে ক্রমাগত আর্টিকেল লিখে চললেন, এস ই ও করলেন, আরো নানাভাবে প্রচার করলেন এবং এভাবে চলতে চলতে যখন আপনার ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিতভাবে প্রফিট বা লাভ হতে শুরু হলো তখন আপনি সেটিকে বেশি দামে বিক্রি করে দিতে পারেন।

আর দ্বিতীয় হলো, আপনি ওয়েবসাইট কেনাবেচার মার্কেটপ্লেসগুলি থেকে খুঁজে খুঁজে কমদামে এমন কোনো ওয়েবসাইট কিনলেন যেটিকে আরো profitable করে তোলা আপনার পক্ষে সম্ভব বলে আপনি হয়তো জানেন।

এরপর আপনি তাতে দরকার মতো পরিবর্তন আনলেন, হয়তো হোমপেজ বদলালেন, থিম বদলালেন, আরো ভালো করে অন পেজ seo করলেন, টেকনিক্যাল এস ই ও তেও নজর দিলেন এবং অফ পেজ এস ই ও তে আরো জোর দিলেন। নতুন কনটেন্ট অ্যাড করলেন এবং পুরোনো কিছু আর্টিকেল হয়তো ডিলিট করলেন।

Monetization এর আরো কিছু উপায় যুক্ত করলেন এবং এভাবে ওয়েবসাইটটিকে প্রফিটেবল করে তোলার পর সেটি যে দামে কিনেছিলেন তার থেকে আরো অনেক বেশি দামে বিক্রি করলেন।

সাধারণত একটি ওয়েবসাইট এর মাসিক গড় আয় যত হয় তার ৩০-৩৫ গুণ টাকায় ওয়েবসাইটটি বিক্রি করা যায়। আর এই মাসিক গড় আয় নির্ণয় করা হয় আপনি যে সময় ওয়েবসাইটটি বিক্রি করছেন তার আগের অন্তত ৬ মাস বা ১২ মাসের আয়ের গড় করে।

আপনি outreach এর মাধ্যমে বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ ব্যবহার করে খদ্দের খুঁজে ওয়েবসাইট কেনাবেচা করতে পারেন কিন্তু সেক্ষেত্রে লেনদেনে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

অপরদিকে আপনি কোনো মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট বিক্রি করলে সুরক্ষিতভাবে লেনদেন করতে পারবেন কিন্তু সেক্ষেত্রে মার্কেটপ্লেসটি আপনার থেকে কমিশন হিসেবে বেশ কিছু টাকা নেবে তাদের দেওয়া পরিষেবার বদলে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অন্য্ কারোর পণ্য (প্রোডাক্ট) বা পরিষেবার (সার্ভিস) মার্কেটিং বা প্রচার করা এবং পরিবর্তে কিছু পরিমাণ কমিশন আয় করা।

যদি বুঝতে না পারেন তাহলে একদম সহজ উদাহরণ দিয়ে বলি, আপনি ছোট থেকে বড় হওয়া অবধি কখনো না কখনো অবশ্যই কোনো LIC এজেন্ট কে দেখে থাকবেন, এই এজেন্টরা একটা পলিসি করানোর জন্য নাওয়াখাওয়া ভুলে লেগে থাকত।

এবার ধরুন আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ LIC করালেন ওই এজেন্টের থেকে এবং পরিবর্তে সে বেশ মোটা টাকা কমিশন পেল, কিন্তু এখানেই শেষ নয় এরপর বছরের পর বছর আপনি যতবার প্রিমিয়াম দিতে থাকবেন সেই এজেন্ট কিন্তু কোনো কাজ না করেও বসে বসে প্রতিবার আপনার দেওয়া প্রিমিয়াম এর ওপর কমিশন পেতে থাকবে।

এটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর খুব সহজ একটি উদাহরণ, এখানে ওই এজেন্টকে অ্যাফিলিয়েট বলা যেতে পারে।

ঠিক এভাবেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনি কোনো কোম্পানির এজেন্ট বা অ্যাফিলিয়েট হয়ে টাকা রোজগার করতে পারেন।

ইন্টারনেট এসে এই কাজটি আরো সহজ হয়ে গেছে। ব্লগিং, ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং থেকে যারা আয় করে তাদের বেশিরভাগ ই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেই আয় করে, এক্ষেত্রে আপনাকে কাউকে যাচাযাচি করতে হবে না। আপনি অ্যাফিলিয়েট হিসেবে যুক্ত হলে একটি স্পেশাল লিংক পাবেন যেটি আপনার নিজস্ব অ্যাফিলিয়েট লিংক হবে।

এরপর আপনার ওই লিংক ব্যবহার করে কেউ কিছু কিনলে তা কুকিজ দ্বারা ট্র্যাক করা হবে এবং যেহেতু আপনার লিংক ব্যবহার করা হয়েছে তাই আপনিই কমিশন পাবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এও অনেক বিষয় আছে যেমন কুকিজ duration, কমিশন structure (যেমন কিছু ক্ষেত্রে আপনি একবার টাকা পাবেন আবার কিছু ক্ষেত্রে বিশেষত সার্ভিস বেসড অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর ক্ষেত্রে বারবার কমিশন পাবেন)।

ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট দুইয়ের ই অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম হয় তবে ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে কমিশন অনেক বেশি হয় যেটি খুব স্বাভাবিক।

এখানে আর একটি কথা বলা খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো কোনোরকম অ্যাফিলিয়েট প্রোগাম এ যুক্ত হতে কখনই টাকা লাগেনা।

কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি টাকা তখনই পাবেন যদি আপনি কোনো কিছু বিক্রি করতে সফল হন, কাজেই আপনার টাকা দেওয়ার কোনো প্রশ্ন ই থাকে না।

আর ক্রেতা আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে কিছু কিনুক বা না ব্যবহার করে এমনি কিনুক, দুই ক্ষেত্রেই তার জন্য পণ্য বা পরিষেবার দাম একই থাকে।

আপনি যে কমিশন পান সেটা ক্রেতার থেকে নয়, কোম্পানি নিজের লভ্যাংশ থেকে আপনাকে দেয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এরম বহু প্রতারক ঘুরে বেড়ায় যারা নানারকম আয়ের স্ক্রিনশট শেয়ার করে এবং আপনাকে লালায়িত করে বলে এটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং বলে আপনিও কিছু টাকা দিয়ে join করে আয় করতে পারবেন।

আর আপনি যদি বোকার মতো join করেন তাহলেও আপনাকেও তারপর ওই একই কাজ করতে হবে, আপনিও স্ক্রিনশট শেয়ার করে লোককে লোভ দেখিয়ে তাদের থেকে টাকা নিয়ে তাদের যুক্ত হতে বলবেন এবং তারপর তাদের ও ওই একই কাজ করতে বলবেন।

এটি এক ধরণের চক্রাকার স্ক্যাম, এবং নানান প্রোডাক্টের নাম দিয়ে তা চলতেই থাকে, একে আর যাই হোক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোনোমতেই বলা চলে না।

তাই আবারও বলছি কোনো ধরণের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ যুক্ত হতে কোনো টাকা লাগে না, যদি কেউ অন্য্ কথা বলে তাহলে হয় সে প্রতারক অথবা মূর্খ।

ইবুক লিখে আয়

আপনার যদি যে কোনো বিষয়ে আগ্রহ ও জ্ঞান থাকে তবে আপনি সেই বিষয়ে ই-বুক লিখেও আয় করতে পারেন।

ই বুক এর বিষয়বস্তু গুছিয়ে লেখাই আসল কাজ, একবার সেটা করা হয়ে গেলে খুব সহজেই সেটাকে একটি সুন্দর আকর্ষণীয় ই বুকে পরিণত করা খুবই সহজ ব্যাপার।

আপনি যদি আগে থেকেই ব্লগ লেখেন বা ভিডিও বানান তাহলে আপনি আপনার ব্লগ বা ভিডিও কনটেন্টকেই ব্যবহার করে ই-বুক বানিয়ে ফেলতে পারেন।

আপনি আপনার ই বুক ফ্রী তে বিক্রি করতে পারেন এবং ই বুকের বিষয়বস্তুতে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে আয় করতে পারেন অথবা আপনি আপনার ই বুক দামসহ অর্থাৎ পেইড হিসেবে বিক্রি করতে পারেন।

পেইড ইবুক বিক্রি করার জন্য আপনি আমাজন কিন্ডল ডাইরেক্ট পাবলিশিং, smashwords বা Rakuten kobo র মতো প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করতে পারেন।

পডকাস্ট থেকে আয়

ঠিক প্রথমের বলা ইনকামের পথগুলির মতোই পডকাস্ট থেকেও আপনি আয় শুরু করতে পারেন অ্যাডভার্টাইসিং ও স্পনসরশিপ থেকে।

এছাড়াও নিজের merchandise ও বিক্রি করতে পারেন। আপনার পডকাস্ট এপিসোড এর শো নোটস এ আপনি অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি আপনার পডকাস্ট এর মেম্বারশিপ চালু করতে পারেন, দর্শকদের থেকে ডোনেশন নিতে পারেন, crowdfunding এবং পেইড ইভেন্ট করতে পারেন।

আপনি আপনার পডকাস্ট কনটেন্ট ট্রান্সক্রিপশন করে সেই কনটেন্ট ব্যবহার করেই ব্লগ লিখতে পারেন, অথবা তাকে ভিডিও তে কনভার্ট করে ইউটিউব চ্যানেল শুরু করতে পারেন।

আপনার পডকাস্ট জনপ্রিয় হলে আপনি এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট এর জন্য আলাদা সাবস্ক্রিপশন ফীস চালু করতে পারেন এবং তখন আপনি পডকাস্টিং এর বিষয়ে অনলাইন কোর্স বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন অথবা সেই বিষয় কোচিং ও কনসাল্টিং দিয়ে প্রচুর টাকা রোজগার করতে পারেন।

অনলাইনে পড়িয়ে আয়

যদি আপনি পড়াতে ভালোবাসেন তাহলেও অনলাইনে প্রচুর সুযোগ। আপনি কোনো বিষয়ে নিজের লেকচার রেকর্ড করে সেটাকে কোর্স বানিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারেন।

আপনি শিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন এড টেক ওয়েবসাইটে যুক্ত হতে পারেন এবং নিয়মিত লাইভ ক্লাস নিতে পারেন।

আপনি যদি ইংরেজিতে দক্ষ হন তাহলে এরকম অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা ইংরেজি শেখানোর জন্য শিক্ষক নেয়, সেগুলিতে যুক্ত হয়ে আয় করতে পারেন।

এছাড়াও কোনো ওয়েবসাইট এ যুক্ত না হয়েও শুধুমাত্র কোনো ওয়েবিনার সফটওয়্যার বা ভার্চুয়াল মিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছাত্র পড়াতে পারেন কিংবা ইউটিউব চ্যানেল বানিয়েও পড়াতে পারেন।

ড্রপসিপিং করে আয়

ড্রপশিপিং এক ধরণের ফুলফিলমেন্ট বিসনেস, যেখানে আপনি কোনো প্রোডাক্ট ছুঁয়েও দেখবেন না অথচ সেই প্রোডাক্ট বিক্রি করেই আপনি টাকা কামাবেন।

এখানে মূলত তিনজন থাকে। সেলার অর্থাৎ আপনি, supplier ও খরিদ্দার বা কাস্টমার। আপনি সেলার এর থেকে হোলসেল দামে মাল কিনে তাতে আরো দাম বাড়িয়ে (markup price) নিজের একটি ই কমার্স স্টোর এর মাধ্যমে কাস্টমার এর কাছে বিক্রি করবেন।

কাস্টমার যখন অর্ডার দেবে তখন আপনি তা supplier কে জানাবেন এবং সে ই প্রোডাক্ট পৌঁছে দেবে কাস্টমার এর কাছে।

ড্রপশিপিং করে প্রচুর টাকা রোজগার করা সম্ভব কিন্তু এতে কম্পিটিশন ও যথেষ্ট বেশি, এছাড়াও আপনাকে ব্যবসার জন্য লাইসেন্স ও ট্যাক্স এর আইন সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে যা বিভিন্ন দেশ অনুযায়ী আলাদা আলাদা হয়।

নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয়

ফিজিক্যাল হোক বা ডিজিটাল দুই ধরনের প্রোডাক্ট ই অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা সম্ভব তবে ডিজিটাল প্রোডাক্ট এ আপনার net margin অনেক বেশি থাকার সম্ভাবনাও বেশি কারণ এক্ষেত্রে অন্যান্য খরচ কম।

ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে আপনি ওয়েবসাইট বা অনলাইন স্টোর তৈরী করে প্রোডাক্ট লোকের সামনে তুলে ধরতে পারবেন কিন্তু আপনাকে প্রোডাক্ট মজুত রাখতে হবে, সেগুলির প্যাকেজিং করতে হবে এবং শিপিং ও করতে হবে অর্থাৎ আপনার কাস্টমারদের কাছে সেগুলি পৌঁছে দিতে হবে। এই সবেতেই কিন্তু খরচ ও লোক দুই ই লাগবে।

অপরদিকে ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে এসব কিছুই লাগবে না। যেমন কোনো অনলাইন কোর্স, ই বুক, পিডিএফ বা সফটওয়্যার বিক্রি করলে আপনি কাস্টমার কে শুধুমাত্র access দেবেন আর কিছুই না। তাই এতে লোক ও সেভাবে লাগবে না, আপনি একাই ব্যবসা চালাতে পারবেন।

তার মানে এই নয় যে সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল এর সুবিধা বা লাভ ফিজিক্যাল এর থেকে বেশি। সবটাই আপনার ইচ্ছা, দক্ষতা ও লক্ষ্যের উপর নির্ভর করছে। ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট অনলাইন এর মাধ্যমে বেচেও আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।

একটা কথা মাথায় রাখা দরকার যে যা কিছু আপনি অফলাইনে বিক্রি করেন তার প্রায় ৯০% ই অনলাইন এও বিক্রি করা সম্ভব শুধু তফাৎ হলো অনলাইনে আপনি আরো বেশি লোকের কাছে পৌঁছতে পারবেন।

অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট

আপনার মোবাইলে কতগুলি অ্যাপ আছে? মনে করুন শেষ কবে এরকম দিন গেছে যেদিন আপনি সারাদিনে একবারও কোনো অ্যাপ ব্যবহার করেননি।

অ্যাপ ব্যবহার করেই এখন টাকার লেনদেন, গ্যাস ইলেকট্রিক বিলের পেমেন্ট বা বিনিয়োগ সবই করা হয়ে থাকে।

কিন্তু আপনি যদি অনলাইনে টাকা আয় করতে চান তাহলে অ্যাপ ব্যবহারকারী নয় উৎপাদনকারী হতে হবে।

আপনি কোডিং জানলে তো নিজেই অ্যাপ বানিয়ে নিতে পারবেন আর যদি কোডিং নাও জানেন তাতেও কিছুই নয় এরকম প্রচুর প্ল্যাটফর্ম আছে যেখানে বিভিন্ন এলিমেন্ট ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ করে আপনি কোনোপ্রকার কোডিং নলেজ ছাড়াই আপনার অ্যাপ্পলিকেশন বানিয়ে ফেলতে পারবেন।

অ্যাপ থেকে আয় তখনই সম্ভব যখন বহু লোক সেটিকে ব্যবহার করবে। ব্লগিং বা ইউটিউবের মতোই অ্যাপ থেকেও প্রাথমিক আয়ের উপায় হলো অ্যাডভার্টাইসমেন্ট।

এছাড়াও ইন অ্যাপ purchase এর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন, স্পনসরশিপ থেকে আয় করতে পারেন, merchandise বিক্রি করতে পারেন অথবা সাবস্ক্রিপশন এর ব্যবস্থা চালু করতে পারেন।

অনলাইনে ভাষা শিখিয়ে আয়

আপনি যদি ইংলিশ বা অন্যান্য বিদেশী ভাষা জেনে থাকেন তাহলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভাষা শিখিয়েও আপনি উপাৰ্জন করতে পারেন।

Vipkid, Cambly ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইংরেজি শেখার জন্য কিন্তু একইভাবে আপনি ভাষা শেখানোর জন্যও এই ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়াও Verbling, iTalki, Verbalplanet এর মতো ওয়েবসাইটগুলি আছে যেগুলিতে আপনি ইংলিশ ছাড়াও অন্যান্য নানা ভাষা শেখাতে পারেন।

তবে আপনি যে ভাষা শেখাতে চান সেই ভাষার ডিগ্রী বা শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ এই ওয়েবসাইট গুলিতে দিতে হতে পারে শিক্ষক হিসেবে যুক্ত হতে চাইলে।

আর যদি আপনার শিক্ষকতার কোনো সার্টিফিকেট থাকে তাহলে তো খুবই ভালো। এক্ষেত্রে আপনি ঘন্টায় ন্যূনতম ৭/৮ ডলার উপাৰ্জন করতে পারবেন।

ফ্রীল্যান্সিং করে আয়

ফ্রীল্যান্সিং করে বহু মানুষ অর্থ উপার্জন করেন, এটি যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে হতে পারে – ভিডিও এডিটিং, copywriting, কনটেন্ট রাইটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, লোগো ডিসাইন, ভয়েস ওভার, ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক ডিসাইন, ইমেইল রাইটিং, ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি কাজ ফ্রীল্যান্সার রা করে থাকে।

ফ্রীলান্সিং এর শুরুতে কাজ পাওয়া যথেষ্ট কঠিন কাজ, ধীরে ধীরে নিজের পরিচিতি বাড়লে এবং একটি ভালো পোর্টফোলিও তৈরী হয়ে গেলে এর থেকে অনেক পরিমাণ টাকাই রোজগার করা সম্ভব।

বিস্তারিত পড়ুন – ফ্রীল্যান্সিং কি? ফ্রীল্যান্সার হতে গেলে যা যা অবশ্যই প্রয়োজন

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আয়

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আপনি পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে থাকা মানুষের হয়ে কাজ করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনি সরাসরি কোনো ক্লায়েন্ট এর হয়ে কাজ করতে পারেন অথবা এমন কোনো এজেন্সির সাথে যুক্ত হতে পারেন যারা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সরবরাহ করে।

এক্ষেত্রে আপনাকে মাসে অন্তত পক্ষে ২০-৪০ ঘন্টা কাজ করতে হতে পারে এবং কাজের সময় অনুযায়ী আপনি টাকা পাবেন।

অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজ, অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং, কাজের schedule তৈরী করা, ডাটা এন্ট্রি, ট্রাভেল arrangement, ফোন কল করা, ইমেইল পাঠানো, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা প্রভৃতি কাজ (যা ক্লায়েন্ট এর দরকার) ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টরা করে থাকে। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ হলো একপ্রকার ফুল টাইম রিমোট ওয়ার্ক।

অনলাইনে লিখে আয় (ফ্রীলান্স রাইটিং)

ভালো কনটেন্ট রাইটার এর চাহিদা এখনো যথেষ্ট। আপনি ফ্রীল্যান্সার হিসেবে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ পেতে পারেন। অথবা শুধুমাত্র কনটেন্ট রাইটার নিযুক্ত করে এরকম ওয়েবসাইট গুলিতে গিয়ে ফুল টাইম বা পার্ট টাইম কনটেন্ট রাইটার হিসেবে যুক্ত হতে পারেন।

তবে এক্ষেত্রেও আপনার কাজ পেতে সুবিধা হবে যদি আপনি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কাজ করেন। অর্থাৎ যে কোনো বিষয়ে কনটেন্ট না লিখে নিশ কনটেন্ট রাইটার হয়ে উঠুন।

আর তার সাথে এস ই ও শিখতে থাকুন কারণ একজন সাধারণ যে কোনো বিষয়ে লিখতে পারে এরকম কোনো কনটেন্ট রাইটার এর থেকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান আছে এবং এস ই ও জানে এরকম কনটেন্ট রাইটার এর চাহিদা অনেকগুণ বেশি এবং তার আয়ের সুযোগ ও বেশি।

ভয়েস ওভার করে আয়

যদি আপনার উচ্চারণ স্পষ্ট হয় এবং আপনি সুন্দর করে কথা বলতে পারেন তবে ভয়েস ওভার করেও উপাৰ্জন করা সম্ভব।

কিভাবে করতে পারেন ভয়েস ওভার করতে কি কি দরকার সেই সমস্ত বিষয়ে আগেই নিবন্ধ লিখেছি, সেটি পড়ে নিতে পারেন – কথা বলে বাড়িতে বসেই রোজগারের উপায় (ভয়েস ওভার করে টাকা ইনকাম)

ট্রান্সক্রিপশন করে আয়

ট্রান্সক্রিপশন কে সহজ কথায় শ্রুতিলিখন বলা যেতে পারে। এক্ষেত্রে কোনো অডিও শুনে আপনাকে সেটিকে সঠিকভাবে লিখতে হবে।

যদিও মেডিক্যাল ও লিগ্যাল ট্রান্সক্রিপশন এর মাধ্যমেই বেশি টাকা আয় করা যায় কিন্তু আপনি সাধারণ অডিও ট্রান্সক্রিপশন করেও আয় করতে পারেন।

ট্রান্সক্রিপশন করে আয় করার বিষয়ে নিবন্ধও বহুদিন আগেই লেখা হয়েছে, অনুগ্রহ করে সেটি পড়ে ফেলুন।

Udemy তে পড়িয়ে আয়

আপনি যদি কোনো বিষয়ের ওপর যথেষ্ট জ্ঞান আহরণ করে থাকেন এবং তা অন্যকেও বোঝাতে বা পড়াতে ভালোবাসেন তাহলে আপনি সেই বিষয়ের উপর ভিডিও রেকর্ড করে সেগুলি udemy তে কোর্স হিসেবে বিক্রি করতে পারেন।

Udemy আপনার বিক্রি হওয়া কোর্স এর থেকে কমিশন হিসেবে বেশ কিছু টাকা কেটে নেবে তাই আপনি যদি নিজের কোর্স বিক্রি করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার লাভের পরিমাণ বেশি হবে।

কিন্তু নিজে বিক্রি করতে গেলে আপনাকে প্রমোশন বা প্রচার এর কাজটিও নিজেকেই করতে হবে যা মোটেই সহজ নয় যদি না আপনার আগে থেকেই অনলাইন এ যথেষ্ট ভালো পরিচিতি থেকে থাকে।

অপরদিকে Udemy প্রায় ৫২ মিলিয়ন লোক ব্যবহার করে তাই বুঝতেই পারছেন এখানে আপনার আলাদা করে প্রচারের কোনো দরকার হবে না। তাই এটিও অনলাইন এ টাকা ইনকাম করার একটি উপায় হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

ইমেইল মার্কেটিং করে আয়

আপনি অনলাইনে যদি ব্লগিং করেন বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করেন অথবা ইউটিউব এ ভিডিও বানান, তাহলে এই সবের মাধ্যমেই আপনি নিজের একটি ইমেইল লিস্ট তৈরী করতে পারেন।

এবং ধীরে ধীরে যথেষ্ট ইমেইল সাবস্ক্রাইবার গড়ে তুলতে পারলে আপনি সেখান থেকেও টাকা রোজগার করতে পারবেন।

আপনি নিজের ইমেইল লিস্টের মাধ্যমে নিজের ব্লগ আর্টিকেল বা ইউটিউবের ভিডিও প্রোমোট করতে পারবেন।

বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রোমোট করতে পারবেন বা নিজস্ব প্রোডাক্ট ও সার্ভিস ও প্রোমোট করতে পারেন।

এছাড়াও আপনি পেইড ইমেইল নিউজলেটার চালু করতে পারেন যেখানে একটি মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফীস এর পরিবর্তে লোকেরা আপনার ইমেইল পেতে চাইবে।

ছবি বিক্রি করে আয়

যদিও অন্যান্য পদ্ধতিগুলির মতো প্রচুর পরিমাণ অর্থ আয় এই পদ্ধতিতে সম্ভব নয় তবুও আপনি যদি আপনার ফাঁকা সময়কে কাজে লাগিয়ে আয় করতে চান তাহলে অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করতে পারেন।

অনলাইনে ছবি কিভাবে বিক্রি করা যায়? ছবি বিক্রির ওয়েবসাইট কোনগুলি? ছবি বিক্রি করে কত টাকা ইনকাম করা যায়? এই সমস্ত তথ্যসহ নিবন্ধ আগেই লিখেছি।

তাই অনলাইন ইনকামের এই পদ্ধতিটির সম্বন্ধে বিশদে জানতে এই নিবন্ধটি পড়ুন – সেরা ওয়েবসাইট অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করার জন্য

ওয়েবসাইট টেস্টিং করে আয়

এক্ষেত্রে মূলত ওয়েবসাইট এর usability testing এর মাধ্যমে আয়ের কথা বলা হচ্ছে যেটা আগের পদ্ধতির মতোই আপনি ফাঁকা সময় কাজে লাগানোর জন্য দেখতে পারেন কিন্তু এটাও আয়ের কোনো গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম নয়।

এই বিষয়েও বিস্তারিত নিবন্ধ আগেই লেখা হয়েছে, আগ্রহী হলে পড়ে নিতে পারেন – ওয়েবসাইট টেস্টিং করে কিভাবে আয় করা যায়?

টি শার্ট ডিসাইন করে আয়

এরকম প্রচুর ওয়েবসাইট আছে যেগুলি আপনাকে ফ্রী তে অনলাইন স্টোর বানিয়ে দেবে এবং আপনি নিজের ইচ্ছেমতো টি শার্ট বা অন্যান্য পোশাক ডিজাইন করতে পারবেন এবং কত দামে বিক্রি করবেন সেটাও আপনিই ঠিক করতে পারবেন।

তবে এত কিছুর পরিবর্তে ওই ওয়েবসাইটগুলি আপনার বিক্রিত পণ্যের উপর কমিশন হিসেবে কিছু টাকা নেবে। এই ক্ষেত্রে লাভজনক হওয়ার জন্য আসল কাজ হলো ট্রাফিক বা দর্শক আনা বা আপনার প্রোডাক্টগুলি অনেক লোকের সামনে আনা।

যদি আগে থেকেই আপনার কোনো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভালো পরিমাণ ফলোয়ার থেকে থাকে তাহলে আপনি দ্রুত এই ব্যবসা থেকে লাভ করতে পারবেন অন্যথায় আপনাকে মার্কেটিং করার জন্য ও যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে।

প্রিন্ট অন ডিমান্ড এর মাধ্যমে আয়

প্রিন্ট অন ডিমান্ড হলো এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে আপনি নিজে টি শার্ট, বই, কফি মগ, বা অন্যান্য কোনো প্রোডাক্ট ডিসাইন করতে পারেন এবং সেটিকে নিজস্ব ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি করতে পারেন।

এক্ষেত্রে যে প্রিন্ট অন ডিমান্ড সার্ভিসটি আপনি ব্যবহার করবেন তারাই আপনার হয়ে প্রোডাক্ট তৈরী করবে এবং কাস্টমার এর কাছে পৌঁছেও দেবে। খদ্দের এর থেকে অর্ডার আসার পরেই প্রোডাক্ট বানানো হয়।

আপনার কাজ শুধু প্রোডাক্ট এর ডিসাইন করা এবং অবশ্যই সেটিকে প্রোমোট করা, এই পদ্ধতিতে আপনি নিজস্ব ই-কমার্স ব্যবসাও শুরু করতে পারেন।

ট্রান্সলেশন করে আয়

ট্রান্সলেশন কি তা তো সকলেই জানেন, ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করেও আপনি আয় করতে পারেন যদি আপনার একাধিক ভাষার ওপর দখল থেকে থাকে।

আপনি ফ্রীল্যান্সিং এর কাজ পাওয়া যায় এরকম ওয়েবসাইটগুলিতেও ট্রান্সলেশন এর কাজ খুঁজতে পারেন। এক্ষেত্রে সাধারণত প্রতি শব্দ হিসেবে টাকা নির্ধারিত হয়।

Etsy তে আর্ট ক্র্যাফটস বিক্রি করে

Etsy এমন একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে যে কেউ নিজস্ব অনলাইন স্টোর খুলে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারে। Etsy তে প্রায় ৯৫ মিলিয়ন buyers আছে।

আপনি জামাকাপড়, গয়না, স্টিকার, গ্রিটিং কার্ড, মোমবাতি, printables, আর্টস & ক্রাফ্টস, হোম ডেকোর, ফার্নিচার, templates সব কিছুই বিক্রি করতে পারেন।

তবে এটা মাথায় রাখতে হবে Etsy আপনার প্রোডাক্ট চার মাসের জন্য লিস্টেড রাখবে এবং সেজন্য আপনাকে লিস্টিং ফীস দিতে হবে। এছাড়াও আপনার বিক্রি হওয়া প্রোডাক্ট এর ওপর ৬.৫% transaction fees চার্জ করবে এবং paypal ও প্রসেসিং ফীস কাটবে, আর যদি আপনার প্রোডাক্ট এর প্রচার এর জন্য offsite ads ব্যবহার করেন তাহলে ১৫% ফীস লাগবে যদিও সেটি অপশনাল।

যদিও Etsy র জনপ্রিয়তা USA তেই বেশি কিন্তু ভারতেও বহু লোক Etsy র মাধ্যমে প্রোডাক্ট বিক্রি করে টাকা উপার্জন করছে।

সার্চ ইঞ্জিন এভ্যালুয়েটর হয়ে টাকা আয়

গুগল বা যে কোনো সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে আপনি যখন কিছু সার্চ করেন তখন সেই সার্চ ইঞ্জিন চেষ্টা করে সবচেয়ে ভালো রেজাল্টটা আপনার কাছে পৌঁছে দিতে এবং এর জন্য অবশ্যই নানান অ্যালগোরিদম, মেশিন লার্নিং প্রভৃতি কাজ করে।

কিন্তু শুধু এগুলিই নয়. এমন অনেক কিছুই আছে যা মেশিন বা অ্যালগোরিদম এর পক্ষে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তাই বহু মানুষ কাজ করে সার্চ ইঞ্জিন এভ্যালুয়েটর হিসেবে, এক্ষেত্রে আপনার কাজ হবে কোনো সার্চ query র প্রেক্ষিতে সার্চ ইঞ্জিন যে রেজাল্টগুলি পৌঁছে দিচ্ছে সেগুলি কতটা প্রাসঙ্গিক এবং সেগুলির মধ্যে সেরা রেজাল্ট কোনগুলি তা বেছে নেওয়া।

সার্চ ইঞ্জিন এভ্যালুয়েটর হতে গেলে আপনার ভালো গতির ইন্টারনেট, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং খুঁটিয়ে রিসার্চ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। এই কাজগুলিতে সাধারণত ঘন্টা হিসেবে টাকা দেওয়া হয়।

তবে এই কাজগুলি পেতে গেলে আগে আপনাকে একটি টেস্ট দিতে হয়, সমস্ত গাইডলাইনস সম্বলিত পিডিএফ আপনাকে আগেই দিয়ে দেওয়া হবে এবং তার পরে আপনি যখন মনে করবেন আপনি প্রস্তুত তখনই আপনি টেস্ট বা পরীক্ষাটি দেবেন।

এই টেস্টে পাস্ করলে তবেই আপনি সার্চ ইঞ্জিন এভ্যালুয়েটর হিসেবে কাজ পাবেন। Appen, TELUS International, Teemwork.ai প্রভৃতি সংস্থাগুলি এই কাজের জন্য লোক নিযুক্ত করে থাকে।

মেম্বারশিপ সাইট বানিয়ে টাকা ইনকাম

আপনি যদি নিজস্ব একটি মেম্বারশিপ ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারেন এবং সেখানে যথেষ্ট পরিমান লোকেরা মেম্বার বা সদস্য হিসেবে যুক্ত হয় তবে সেখান থেকে নানা উপায়ে আয় করা সম্ভব।

আপনার মেম্বারশিপ সাইট এ যুক্ত হওয়ার জন্য আপনি মাসিক বা বাৎসরিক একটি সাবস্ক্রিপশন ফীস চালু করতে পারেন যার পরিবর্তে আপনার এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট আপনার সাইটের সদস্যরা পাবে।

আপনি নিজস্ব প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সদস্যদের কাছে তুলে ধরে প্রচার ও বিক্রি করতে পারেন। যদি আপনার নিজস্ব প্রোডাক্ট না থাকে তাহলে অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট এর মাধ্যমেও আয় করতে পারেন।

আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা ব্যবসার সাথে যোগাযোগ করে তাদের advertisement space বিক্রি করতে পারেন এবং তার পরিবর্তে টাকা নিতে পারেন।

SaaS বানিয়ে টাকা উপার্জন

SaaS এর পুরো কথা হলো Software as a Service যা বর্তমান যুগে যথেষ্ট জনপ্রিয় ধরনের ব্যবসা। আমরা বেশিরভাগ কাজ এখন অনলাইনেই করি এবং নানা ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করি।

আপনি যদি এমন কোনো সফটওয়্যার তৈরী করতে পারেন যা কোনো না কোনো সমস্যার সমাধান করবে তাহলে বহু লোক সেই সার্ভিস ব্যবহার করার জন্য সফটওয়্যারটি কিনবে এবং SaaS এর ক্ষেত্রে সাধারণত মাসিক বা বাৎসরিকভাবে সাবস্ক্রিপশন ফীস চার্জ করা হয়।

আপনি দ্রুত বেশি পরিমাণ কাস্টমার পাওয়ার জন্য অবশ্যই সীমিত ফীচার সহ একটি ফ্রি প্ল্যান রাখবেন এবং সমস্ত ফীচার দেওয়ার জন্য পেইড প্ল্যানস এর ব্যবস্থা করবেন।

আপনার যদি কোডিং ও প্রোগ্রামিং এর নলেজ থেকে থাকে তাহলে খুব ই ভালো যদি তা না হয় সেক্ষেত্রে আপনি সফটওয়্যার ডেভেলপার ভাড়া করে SaaS বানাতে পারেন।

তাছাড়াও বর্তমানে বাজারে প্রচুর no-code tools রয়েছে যেগুলি কোডিং এর কোনো জ্ঞান ছাড়াই ব্যবহার করা যায় এবং সেগুলি ব্যবহার করেও বহু লোক SaaS বানাচ্ছে।

ট্রেডিং করে আয়

শেয়ার বাজারে ট্রেডিং করেও আপনি নিয়মিত আয় করতে পারেন কিন্তু এর জন্যও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ও ধৈর্য্য ও সংযম থাকা প্রয়োজন।

কারণ ট্রেডিং করে খুব অল্প সময়ে টাকা কামানো যতটা সহজ তার থেকেও অনেক বেশি সহজ এখানে টাকা খোয়ানো।

আপনি কোনো প্রোডাক্ট এ ট্রেড করবেন? কত সময়ের জন্য করবেন অর্থাৎ কয়েক মিনিটের জন্য, কয়েক ঘন্টার জন্য নাকি কয়েক দিনের জন্য? আপনি কত টাকা profit এর টার্গেট রাখতে চান এবং তার জন্য কত টাকার ঝুঁকি নিতে পারবেন? কোন সময় ট্রেডিং করবেন? কি ধরনের indicator ব্যবহার করবেন? নাকি কোনো indicator ছাড়াই শুধুমাত্র candlestick দেখে বা support ও resistance এর ভিত্তিতে বা trendline দিয়ে ট্রেড করবেন এরকম নানা বিষয় আপনাকে আগেই ঠিক করে নিতে হবে।

সবকিছু জেনে বুঝে তবেই সিদ্ধান্ত নিন যে ট্রেডিং কে আপনি আয়ের মাধ্যম হিসেবে নিতে চান কিনা, কারণ এটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

অনলাইন ইনকামের অন্যান্য পদ্ধতিগুলিতে আপনি টাকা না কামাতে পারলে আপনার সময় নষ্ট হবে, কিন্তু এক্ষেত্রে শুধু সময় নয় আপনি টাকাও হারাবেন।

যদিও সময় টাকার থেকে অনেক বেশি মূল্যবান তবুও সময় নষ্ট করতে মানুষ কষ্ট পায় না, কিন্তু টাকা খোয়ানোর কষ্ট অনেকেই সহ্য করতে পারে না।

তাই ট্রেডিং অনলাইন ইনকাম এর উপায় হওয়া সত্ত্বেও আপনার জন্য উপযোগী কিনা সেটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে।

PLR প্রোডাক্ট এর মাধ্যমে আয়

PLR হলো Private Label Rights যার অর্থ হলো এগুলি এমন প্রোডাক্ট যা আপনি নিজের বলে ব্যবহার করতে পারেন।

এগুলি আর্টিকেল, ভিডিও, ই বুক, টেমপ্লেটস, গ্রাফিক্স বা প্রভৃতি ডিজিটাল প্রোডাক্ট হতে পারে।

আপনি এরকম কোনো PLR প্রোডাক্ট নিয়ে সামান্য রদবদল করে সেটা resell করতে পারেন। আপনি PLR প্রোডাক্ট ব্যবহার করে নতুন কনটেন্ট তৈরী করতে পারেন।

আপনি অনেকগুলি PLR প্রোডাক্ট নিয়ে একটা bundle deal হিসেবে বিক্রি করতে পারেন। আপনি ইমেইল কালেক্ট করার জন্য PLR প্রোডাক্ট কে লিড ম্যাগনেট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি PLR প্রোডাক্ট ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন অথবা আপনি নিজের আসল প্রোডাক্ট এর সাথে বোনাস হিসেবে PLR দিতে পারেন নিজের কাস্টমারদের।

কপিরাইটিং (Copywriting) করে আয়

কপিরাইটিং হলো এমন ধরনের লেখা যা পাঠককে কোনো নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করে তোলে। আপনি যে কোনো বিজ্ঞাপনে যে ধরনের লেখা দেখেন সেগুলো সব ই কপিরাইটিং।

যা দেখে আপনি সেই বিজ্ঞাপনের সামগ্রী কিনতে আগ্রহী হন, যে কোনো সার্ভিস এর ক্ষেত্রেও কপিরাইটিং ব্যবহার করা হয়।

এককথায় অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবে এমন ধরনের লেখাই হলো কপিরাইটিং। এটি বিজ্ঞাপনী প্রচারে, ওয়েবসাইট এর কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে, ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য, প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

কপিরাইটার হতে গেলে আপনার লেখার ক্ষমতা খুব ভালো হওয়া দরকার যাতে আপনার লেখা আকর্ষণীয় হয় এবং তা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

আপনি কপিরাইটার হিসেবে ফ্রীল্যান্স সার্ভিস দিতে পারেন অন্য্ কাউকে বা কোনো ব্যবসাকে এবং টাকা আয় করতে পারেন।

কোনো এজেন্সীতে কপিরাইটার হিসেবে যুক্ত হতে পারেন অথবা নিজস্ব কপিরাইটিং এজেন্সী শুরু করতে পারেন।

এছাড়াও আপনি নিজস্ব প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর জন্য নিজেই কপিরাইটিং করতে পারেন, নিজের ব্লগ বা ইমেইল এর ক্ষেত্রেও এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে টাকা উপাৰ্জন করতে পারেন।

অনলাইন proofreading করে আয়

আপনার যদি ব্যাকরণগত জ্ঞান খুব ভালো হয় তাহলে আপনি প্রুফরিডার হিসেবে কাজ করতে পারেন।

এক্ষেত্রে কোনো লেখা খুঁটিয়ে পড়ার মতো ধৈর্য্য এবং সেখানে থাকা সমস্ত নূন্যতম ত্রুটিও খুঁজে বের করে সেগুলি শুধরে সঠিক করবার দক্ষতা আপনার থাকতে হবে।

আপনি বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এ প্রুফরিডার হিসেবে যুক্ত হয়ে টাকা কামাতে পারেন অথবা ফ্রিল্যান্স সার্ভিস দিতে পারেন।

এছাড়াও আপনি নিজস্ব প্রুফরিডিং সার্ভিস এজেন্সী শুরু করে ব্যবসা করতে পারেন অথবা আপনি যদি দক্ষ প্রুফরিডার হন তাহলে কিভাবে প্রুফরিডিং করতে হয় সেই বিষয়ে কোর্স বানিয়ে বা বই লিখে বিক্রি করতে পারেন।

ভার্চুয়াল বুককিপিং করে আয়

আপনি অনলাইনে হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারেন, আপনার যদি অ্যাকাউন্টিং এর কাজ জানা থাকে তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির আর্থিক লেনদেনের হিসেবে রাখার জন্য আপনি bookkeeper হিসেবে যুক্ত হতে পারেন।

বিভিন্ন অনলাইন বুককিপিং প্ল্যাটফর্মে আপনি যুক্ত হয়ে বা ফ্রীল্যান্স বুককিপিং সার্ভিস দিয়ে অর্থ আয় করতে পারেন।

আপনি বুককিপিং পরিষেবা দেওয়ার নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে পারেন, বুককিপিং কিভাবে করতে হয় সেই সম্পর্কিত বই লিখে বা অনলাইন কোর্স বানিয়েও অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

গ্রাফিক ডিসাইন করে আয়

একজন গ্রাফিক ডিসাইনার হিসেবে আপনি ফ্রীল্যান্সিং এর কাজ করতে পারেন, বিভিন্ন সংস্থার হয়ে কাজ করতে পারেন।

বিভিন্ন এজেন্সী বা পাবলিকেশন এর হয়ে কাজ করতে পারেন, ইউটিউবারদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের ভিডিওর আর্কষনীয় থাম্বনেইল বানাবার জন্য টাকা নিতে পারেন।

নিজস্ব এজেন্সি চালু করতে পারেন, নিজের বানানো টেমপ্লেটস, illustraiton প্রভৃতি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ বিক্রি করতে পারেন।

এছাড়াও গ্রাফিক ডিসাইন শিখিয়ে আয় করতে পারেন, কোর্স বানিয়ে বা বই লিখে ও বিক্রি করতে পারেন।

চ্যাটবোট মার্কেটিং করে আয়

চ্যাটবট হলো হলো এমন কম্পিউটার প্রোগ্রামস যা কোনো মানুষের সাথে সাথে কথোপকথন এর পরিবর্ত হিসেবে কাজ করে।

যে কোনো ধরনের কোম্পানিতে বা ব্যবসাতে কাস্টমার সার্ভিস এর প্রয়োজন পরে কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই বহু কাস্টমারদের একই ধরনের জিজ্ঞাস্য থাকে বা এমন কিছু সাধারণ প্রশ্ন থাকে যা সকল কাস্টমারদের ক্ষেত্রে একই হয়।

তাই সেক্ষেত্রে কোনো মানুষের পরিবর্তে চ্যাটবট ব্যবহার করে সেই ব্যবসা বা কোম্পানি তাদের খরচ বাঁচাতে পারে এবং কাস্টমাররাও দ্রুত তাদের উত্তর পেতে পারে।কাস্টমার সার্ভিস ছাড়াও সেলস ও মার্কেটিং এর জন্যও চ্যাটবট খুব কার্যকরী।

আপনার যদি প্রোগ্রামিং এর জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি নিজেই চ্যাটবট বানিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা বা কোম্পানির কাছে বিক্রি করতে পারেন।

আপনি বিভিন্ন ব্যবসাকে চ্যাটবট কনসাল্টিং পরিষেবা দিতে পারেন অর্থাৎ কিভাবে তারা তাদের ব্যবসায় চ্যাটবট ব্যবহার করে নিজেদের মার্কেটিং আরো জোরদার করতে পারে বা বিক্রি আরো বাড়াতে পারে। আপনি চ্যাটবট ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও করতে পারেন।

আপনি যদি যথেষ্ট ফীচার সম্বলিত কোনো চ্যাটবট বানাতে পারেন তাহলে সেই চ্যাটবট এর জন্য সাবস্ক্রিপশন ফিস চালু করেও রোজগার করতে পারেন।

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অনলাইন ইনকাম করার উপায়

ফেসবুক মার্কেটিং বা ফেসবুক থেকে আয়

ফেসবুক আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুক থেকে নানাভাবে আয় করা যায় –

প্রথমত আপনি নিজের ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলের প্রচার করতে পারেন ফেসবুক এর মাধ্যমে, বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রোমোট করতে পারেন।

ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন অথবা বিভিন্ন গ্রুপে যুক্ত হয়েও জিনিস কেনাবেচা করতে পারেন।

আপনার নিজস্ব একটি ফেসবুক পেজ থাকাও খুব জরুরি, আপনার ফেসবুক পেজ এর মাধ্যমে আপনি আয়ের সম্ভাবনা বাড়াতে পারবেন।

আপনার ফেসবুক পেজ এ ভিডিও আপলোড করে সেই ভিডিও তে instream ads চালু করতে পারলে আপনি টাকা পাবেন।

ভিডিও র মতোই আপনি লিখিত কনটেন্ট বা ফেসবুক এর ক্ষেত্রে যাকে বলা হয় Instant articles সেখান থেকেও অ্যাড এর মাধ্যমে টাকা পাবেন।

আপনার পেজ এ যথেষ্ট ফলোয়ার থাকলে আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের থেকে স্পনসরশিপ এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার পেজ এ আপনি পেইড সাবস্ক্রিপশন এর ব্যবস্থা চালু করতে পারেন।

এছাড়াও আপনি নিজের পেজ থেকে লাইভ ভিডিও করেও নিজস্ব প্রোডাক্ট ও সার্ভিস এর প্রচার ও বিক্রি দুই ই করতে পারেন।

শুধুমাত্র ফেসবুক এ লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে বহু মহিলারা এখন শাড়ি, গয়না, হস্তশিল্প, কেক, জুতো প্রভৃতি বিক্রি করে রীতিমতো ভালো টাকা উপার্জন করছে।

ইনস্টাগ্রাম থেকে আয়

ইনস্টাগ্রাম এ আপনি স্পন্সরড কনটেন্ট, ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ, পণ্যের কেনাবেচা, শপ চালু করে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে, এছাড়া ভিডিও থেকে রিল্স বানিয়ে নানা উপায়ে আয় করতে পারেন। ইনস্টাগ্রাম থেকে আয়ের উপায়গুলি সম্বন্ধে আগেই বিশদে লেখা হয়েছে।

বিস্তারিত পড়ুন – ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করার দশটি উপায়

টুইটার (Twitter) থেকে আয়ের উপায়

অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া র মতোই টুইটার থেকেও আপনি আপনার কনটেন্ট, ভিডিও এবং টুইটার স্পেস এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

টুইটার থেকে Amplify Pre roll ও Amplify Sponsorship এর মাধ্যমে আপনি টাকা কামাতে পারেন। এছাড়া আপনার ফ্যান দের থেকে tip নিতে পারেন অথবা সাবস্ক্রিপশন ফীস এর পরিবর্তে সুপার follows চালু করতে পারেন।

Pinterest থেকে আয়ের উপায়

Pinterest এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি সরাসরি নিজের পিন এ অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করতে পারেন, কিন্তু সরাসরি সেটি ব্যবহার করে কেউ কিছু কিনবে এরকম সম্ভাবনা কম।

তাই পিন্টারেস্ট মূলত ব্যবহার করে ব্লগার রা এবং অনলাইন এ প্রোডাক্ট বিক্রি করে এরকম ব্যক্তিরা। আপনি ইমেজ বা ভিডিও পিন বানিয়ে তাতে নিজের ব্লগ আর্টিকেল এর লিংক দিতে পারেন এবং নিজের ব্লগে ভিজিটর আনতে পারেন।

অথবা আপনার ই কমার্স স্টোর থাকলে নানারকম প্রোডাক্ট এর সুন্দর ছবি দিয়ে বা ভিডিও পিন বানিয়ে নিজের স্টোরে দর্শক আনতে পারেন।

কোরা (Quora) থেকে আয়ের উপায়

যেমন ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম এর জন্য ফেসবুক পেজ থাকা জরুরি তেমনই Quora থেকে উপার্জনের জন্য আপনাকে একটি মঞ্চ বা Quora Space চালু করতে হবে।

আপনি আপনার Quora Space এর কনটেন্ট দর্শকদের পড়তে দেওয়ার জন্য সাবস্ক্রিপশন ফীস চালু করতে পারেন এছাড়া Quora র ad reveneu sharing এর মাধ্যমেও আপনার স্পেস এ ad দেখিয়েও টাকা কামাতে পারেন।

বিনিয়োগের মাধ্যমে আয়

যদিও অনলাইন ইনকাম বা যে কোনো ইনকাম বলতে আমরা আমাদের দৈনিক বা মাসিক রোজগারের কথাই বলে থাকি।

কিন্তু বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সেই কথা প্রযোজ্য নয় কারণ বিনিয়োগ সাধারণত দীর্ঘ সময়ের জন্য করা হয়ে থাকে, অন্ততপক্ষে কিছু বছর তো বটেই।

আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করে রাখলে বেশ কিছু সময় পর বা বেশ কিছু বছর পর সেখান থেকেও যে রিটার্ন পাবেন সেটাকেও আপনার ইনকাম ই বলা যেতে পারে।

ওয়েব ৩.০ থেকে টাকা আয় করার উপায়

ক্রিপ্টোকারেন্সী থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়

ক্রিপ্টোকারেন্সী থেকে আয়ের সবচেয়ে সাধারণ উপায় হলো এতে বিনিয়োগ করা কারণ মাত্র কয়েক মাস বা কয়েক বছরেই কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম কয়েকশ গুণ বেড়ে যেতে পারে।

কিন্তু মনে রাখা দরকার ঠিক উল্টোটাও হতে পারে, অর্থাৎ কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম কয়েকশ গুণ কমেও যেতে পারে। তাই এটি অনলাইন ইনকাম এর অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ মাধ্যম।

এছাড়াও আপনি সাধারণ শেয়ার বাজারের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ট্রেডিং করতে পারেন। আপনি ক্রিপ্টো স্টেকিং করে অর্থাৎ কোনো প্ল্যাটফর্মে লিকুইডিটি প্রদান করে টাকা পেতে পারেন এবং কিছু প্ল্যাটফর্ম আপনাকে আপনার হোল্ড করে রাখা ক্রিপ্টোর ওপর ইন্টারেস্ট ও দেয়।

এছাড়া আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সী মাইনিং করে ইনকাম করতে পারেন কিন্তু তার জন্য প্রোগ্রামিং ও ব্লকচেইন সম্পর্কিত জ্ঞান থাকা দরকার আর একই সাথে অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার ও থাকা দরকার। সাধারণ কোনো কম্পিউটার দিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সী মাইনিং করা সম্ভব নয়।

NFT থেকে অনলাইনে টাকা আয়

NFT র পুরো কথা হলো non-fungible tokens, এর অর্থ হলো যা অনন্য অর্থাৎ যার কোনো বিকল্প নেই।

যে কোনো সাধারণ ছবি, আর্ট, মিউসিক, ভিডিও বা অন্যান্য ডিজিটাল অ্যাসেট কেও ব্লকচেইন এ মিন্ট করে NFT তে পরিণত করা যায়।

বিভিন্ন ক্রিয়েটর রা তাদের ক্রিয়েশন কে NFT তে পরিবর্তিত করে সেগুলি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারে।

এছাড়াও NFT র ক্ষেত্রে royalty র মাধ্যমেও ক্রিয়েটর রা আয় করে, কোনো NFT যতবার কেনাবেচা হবে তার থেকে একটা পার্সেন্টেজ রয়্যালটি হিসেবে সেই NFT যিনি মিন্ট করেছিলেন তিনি পাবেন।

আপনি যদি নিজে ক্রিয়েটর না হয়েও থাকেন তাহলে NFT কেনাবেচার মাধ্যমে আয় করা যেতে পারে অর্থাৎ ডিমান্ড আছে এমন কোনো NFT কমদামে কিনে তা বেশি দামে বিক্রি করা।

এছাড়াও কিছু প্ল্যাটফর্ম আছে যারা আপনাকে NFT staking এর জন্য অর্থাৎ কিনে তা হোল্ড করে রাখার জন্য টাকা দিতে পারে।

অনলাইন ইনকাম এর সম্বন্ধে আমার জানা সমস্ত উপায় এখানে উল্লেখ করেছি, সুলুকসন্ধান এ লেখা সমস্ত নিবন্ধগুলির মধ্যে এখনো অবধি সবচেয়ে বেশি সময় লেগেছে আমার এই নিবন্ধটি লিখতে।

তাই নিবন্ধটি পরিচিত মানুষদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য পাঠকের কাছে অনুরোধ রইল।

সম্পদশালী মস্তিষ্কের গোপন সূত্র

The Psychology of Money Bengali Summary

DMCA.com Protection Status

Spread the love

1 thought on “অনলাইন ইনকাম এর উপায় [৪০টিরও বেশি উপায় ঘরে বসে টাকা আয় করার]”

Leave a Comment

error: Content is protected !!